প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ক্ষমতার ভারসাম্য বদলে যেতে পারে
বিশ্বজুড়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান ও নৌশক্তির আধিপত্য চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় তাদের বিশাল সব জঙ্গি বিমানবাহী রণতরী। এসব রণতরী থেকে উড়ে গিয়ে জঙ্গি বিমান ভূভাগের অনেক গভীরে ঢুকে হামলা চালাতে সক্ষম। অজেয় এই রণতরীগুলোর বদৌলতেই যুক্তরাষ্ট্র দশকের পর দশক ধরে সমুদ্রে তাদের আধিপত্য বজায় রেখেছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের সেই আধিপত্যের দিন বদলে যেতে পারে। আর সেটা হতে পারে চীনের হাতেই। চীনের নতুন ক্ষেপণাস্ত্র জলভাগে যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্য খর্ব করে দিতে পারে। প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ক্ষমতার ভারসাম্যে পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারে এই ক্ষেপণাস্ত্র।
ডং ফেং ২১ডি নামের নতুন এই ক্ষেপণাস্ত্র চীন তৈরি করছে সাগরে শত্রুপক্ষের রণতরী ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে। ভূমি থেকে নিক্ষেপণযোগ্য এ ক্ষেপণান্ত্র সাগরে ভাসমান বা চলমান রণতরীতে নির্ভুলভাবে আঘাত হানতে সক্ষম। দেড় হাজার কিলোমিটারেরও বেশি দূরের লক্ষ্যবস্তুতে এটি আঘাত হানতে পারবে।
বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, চলতি বছরের শেষ নাগাদ চীন এই ক্ষেপণাস্ত্রের চূড়ান্ত পরীক্ষা চালাতে পারবে। তবে নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার জন্য সব দিক দিয়ে এটিকে সক্ষম করে তুলতে আরও কত দিন লাগতে পারে, সেটি এখনো নিশ্চিত নয়।
গত বছর সামরিক মহড়ার সময় নতুন এই ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শন করেছিল চীন। প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ক্ষমতার ভারসাম্যে চীনের ভূমিকায় বড় ধরনের বিপ্লব আনতে পারে এই অস্ত্র। একই সঙ্গে তাইওয়ান বা উত্তর কোরিয়া নিয়ে সম্ভাব্য সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপের সক্ষমতা চরমভাবে দুর্বল হয়ে যেতে পারে। চীনের ১৮ হাজার কিলোমিটার উপকূলসংলগ্ন আন্তর্জাতিক জলসীমায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রবেশও হুমকির মুখে ফেলতে পারে চীনের নতুন এই ক্ষেপণাস্ত্র।
যদিও তাত্ত্বিকভাবে একটি পারমাণবিক বোমা সহজেই একটি রণতরী ধ্বংস করতে পারে। কিন্তু পারমাণবিক বোমা ব্যবহারের আগে যেকোনো দেশকে হাজারটা বিষয় চিন্তা করতে হবে। তার থেকে বরং এ ক্ষেপণাস্ত্র সহজেই ব্যবহার করা যাবে।
গত দুই দশক ধরে প্রতিবছরই চীন তাদের সামরিক বাজেট বাড়াচ্ছে। চীনা নৌবাহিনী এখন এশিয়ার সবচেয়ে বড় নৌশক্তি। তাইওয়ানকে পুনরায় দখলে নেওয়ার ধারাবাহিক চেষ্টার পাশাপাশি তারা এখন প্রশান্ত মহাসাগরের গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিপথের ওপর নিজেদের নিয়ন্ত্রণ আরও জোরদার করার চেষ্টা করছে।
ওয়াশিংটনভিত্তিক সেন্টার ফর এ নিউ আমেরিকান সিকিউরিটির এশিয়া প্যাসিফিক সিকিউরিটি প্রোগ্রামের জ্যেষ্ঠ পরিচালক প্যাট্রিক ক্রেনিন বলেন, ‘চীনের রণতরী বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের সক্ষমতা বিশেষ করে ডং ফেং ২১ডি স্নায়ুযুদ্ধের পর আমাদের নৌশক্তির বিরুদ্ধে এই প্রথম কোনো হুমকি। ডং ফেং ২১ডি ক্ষেপণাস্ত্র সে উদ্দেশ্যেই তৈরি করা হয়েছে।’
নতুন কোনো অস্ত্রের চূড়ান্ত পরীক্ষার আগে চীন সাধারণত তা নিয়ে মুখ খোলে না। ডং ফেং ২১ডি ক্ষেপণাস্ত্র নিয়েও চীন এখনো কোনো কথা বলেনি এবং এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলেও চীনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় কোনো জবাব দেয়নি।
পীত সাগর এবং পূর্ব চীন বা দক্ষিণ চীন সাগরে কখনো দক্ষিণ কোরিয়া, কখনো বা তাইওয়ানকে সঙ্গে নিয়ে একের পর এক বড় বড় সামরিক মহড়া চালিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। বরাবরই এর বিরোধিতা করে আসছে চীন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র তাতে কান দেয় না। চীনের উত্তর-পূর্ব উপকূলে পীত সাগরে গত সপ্তাহে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে একটি বড় নৌমহড়া চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এতে যোগ দিয়েছিল মার্কিন রণতরী ইউএসএস জর্জ ওয়াশিংটন। ওই রণতরী থেকে মার্কিন জঙ্গি বিমান এফ-১৮-এর আওতায় ছিল বেইজিং। এ নিয়ে চীন বেশ উদ্বিগ্নও এবং আপত্তিও তুলেছিল। কিন্ত কান দেয় কে।
চীন যদি সফলভাবে ডং ফেং ২১ডি ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করতে পারে তাহলে নিশ্চয় যুক্তরাষ্ট্রের এই নীতিতে পরিবর্তন আসবে।
ডং ফেং ২১ডি নামের নতুন এই ক্ষেপণাস্ত্র চীন তৈরি করছে সাগরে শত্রুপক্ষের রণতরী ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে। ভূমি থেকে নিক্ষেপণযোগ্য এ ক্ষেপণান্ত্র সাগরে ভাসমান বা চলমান রণতরীতে নির্ভুলভাবে আঘাত হানতে সক্ষম। দেড় হাজার কিলোমিটারেরও বেশি দূরের লক্ষ্যবস্তুতে এটি আঘাত হানতে পারবে।
বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, চলতি বছরের শেষ নাগাদ চীন এই ক্ষেপণাস্ত্রের চূড়ান্ত পরীক্ষা চালাতে পারবে। তবে নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার জন্য সব দিক দিয়ে এটিকে সক্ষম করে তুলতে আরও কত দিন লাগতে পারে, সেটি এখনো নিশ্চিত নয়।
গত বছর সামরিক মহড়ার সময় নতুন এই ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শন করেছিল চীন। প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ক্ষমতার ভারসাম্যে চীনের ভূমিকায় বড় ধরনের বিপ্লব আনতে পারে এই অস্ত্র। একই সঙ্গে তাইওয়ান বা উত্তর কোরিয়া নিয়ে সম্ভাব্য সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপের সক্ষমতা চরমভাবে দুর্বল হয়ে যেতে পারে। চীনের ১৮ হাজার কিলোমিটার উপকূলসংলগ্ন আন্তর্জাতিক জলসীমায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রবেশও হুমকির মুখে ফেলতে পারে চীনের নতুন এই ক্ষেপণাস্ত্র।
যদিও তাত্ত্বিকভাবে একটি পারমাণবিক বোমা সহজেই একটি রণতরী ধ্বংস করতে পারে। কিন্তু পারমাণবিক বোমা ব্যবহারের আগে যেকোনো দেশকে হাজারটা বিষয় চিন্তা করতে হবে। তার থেকে বরং এ ক্ষেপণাস্ত্র সহজেই ব্যবহার করা যাবে।
গত দুই দশক ধরে প্রতিবছরই চীন তাদের সামরিক বাজেট বাড়াচ্ছে। চীনা নৌবাহিনী এখন এশিয়ার সবচেয়ে বড় নৌশক্তি। তাইওয়ানকে পুনরায় দখলে নেওয়ার ধারাবাহিক চেষ্টার পাশাপাশি তারা এখন প্রশান্ত মহাসাগরের গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিপথের ওপর নিজেদের নিয়ন্ত্রণ আরও জোরদার করার চেষ্টা করছে।
ওয়াশিংটনভিত্তিক সেন্টার ফর এ নিউ আমেরিকান সিকিউরিটির এশিয়া প্যাসিফিক সিকিউরিটি প্রোগ্রামের জ্যেষ্ঠ পরিচালক প্যাট্রিক ক্রেনিন বলেন, ‘চীনের রণতরী বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের সক্ষমতা বিশেষ করে ডং ফেং ২১ডি স্নায়ুযুদ্ধের পর আমাদের নৌশক্তির বিরুদ্ধে এই প্রথম কোনো হুমকি। ডং ফেং ২১ডি ক্ষেপণাস্ত্র সে উদ্দেশ্যেই তৈরি করা হয়েছে।’
নতুন কোনো অস্ত্রের চূড়ান্ত পরীক্ষার আগে চীন সাধারণত তা নিয়ে মুখ খোলে না। ডং ফেং ২১ডি ক্ষেপণাস্ত্র নিয়েও চীন এখনো কোনো কথা বলেনি এবং এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলেও চীনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় কোনো জবাব দেয়নি।
পীত সাগর এবং পূর্ব চীন বা দক্ষিণ চীন সাগরে কখনো দক্ষিণ কোরিয়া, কখনো বা তাইওয়ানকে সঙ্গে নিয়ে একের পর এক বড় বড় সামরিক মহড়া চালিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। বরাবরই এর বিরোধিতা করে আসছে চীন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র তাতে কান দেয় না। চীনের উত্তর-পূর্ব উপকূলে পীত সাগরে গত সপ্তাহে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে একটি বড় নৌমহড়া চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এতে যোগ দিয়েছিল মার্কিন রণতরী ইউএসএস জর্জ ওয়াশিংটন। ওই রণতরী থেকে মার্কিন জঙ্গি বিমান এফ-১৮-এর আওতায় ছিল বেইজিং। এ নিয়ে চীন বেশ উদ্বিগ্নও এবং আপত্তিও তুলেছিল। কিন্ত কান দেয় কে।
চীন যদি সফলভাবে ডং ফেং ২১ডি ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করতে পারে তাহলে নিশ্চয় যুক্তরাষ্ট্রের এই নীতিতে পরিবর্তন আসবে।
No comments