হিরোশিমার অনুষ্ঠানে এবার জাতিসংঘ যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্স
পরমাণু বোমামুক্ত বিশ্ব গড়ার প্রত্যয় নিয়ে জাপানের হিরোশিমা শহর প্রথমবারের মতো জাতিসংঘ প্রধান এবং যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও ফ্রান্সসহ ৭০টি দেশের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে আণবিক বোমা হামলার ৬৫তম বার্ষিকী পালন করেছে। হিরোশিমার পিস মেমোরিয়াল পার্কে গতকাল শুক্রবার বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা হাজির হয়ে পরমাণু বোমা হামলায় নিহত ব্যক্তিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের প্রধান বিরোধী শক্তি ও হিরোশিমায় বোমা বর্ষণকারী দেশ যুক্তরাষ্ট্র এ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ায় এবারের অনুষ্ঠানকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
১৯৪৬ সালের ৬ আগস্ট সকাল সোয়া আটটায় যুক্তরাষ্ট্রের এনোলা গে নামের একটি বি-২৯ যুদ্ধবিমান হিরোশিমায় চার টন ইউরেনিয়ামসমৃদ্ধ একটি আণবিক বোমা ফেলে। ‘লিটল বয়’ নামের ওই বোমার বিস্ফোরণে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে পুরো হিরোশিমা নরককুণ্ডে পরিণত হয়। তাৎক্ষণিকভাবে সেখানে মারা যায় এক লাখ ৪০ হাজার মানুষ। বিস্ফোরণস্থলের চারপাশের এক মাইল এলাকার একটি মানুষও জীবিত ছিল না। এ ঘটনার তিন দিন পরে জাপানের আরেক শহর নাগাসাকিতে একই ধরনের আরও একটি আণবিক বোমা হামলা হয়। সেখানে মারা যায় ৭০ হাজার মানুষ। ১৫ আগস্ট জাপান আত্মসমর্পণ করে এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আনুষ্ঠানিক অবসান ঘটে। মর্মান্তিক ওই ঘটনার পর থেকে প্রতিবছরের এই দিনে হিরোশিমায় নিহত ব্যক্তিদের স্মরণ করা হয়। বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের দাবি সত্ত্বেও আণবিক বোমা ফেলে লাখ লাখ মানুষের প্রাণহানি ঘটানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করা হয়নি। তবে এ বছর হিরোশিমার স্মরণ অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে তার অন্যতম মিত্র দেশ ব্রিটেন ও ফ্রান্সের প্রতিনিধিরা যোগ দেওয়ায় দেশগুলোকে স্বাগত জানিয়েছে জাপান।
সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, গতকাল পিস পার্কে উপস্থিত সবাই সকাল সোয়া আটটায় এক মিনিট নীরবতা পালন করে নিহত ব্যক্তিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এ সময় জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন ও যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে টোকিওতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত জন রুস সেখানে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বান কি মুন বলেন, তিনিই জাতিসংঘের প্রথম মহাসচিব, যিনি হিরোশিমার স্মরণ অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন এবং এ কারণে তিনি নিজেকে সম্মানিত মনে করছেন।
১৯৪৬ সালের ৬ আগস্ট সকাল সোয়া আটটায় যুক্তরাষ্ট্রের এনোলা গে নামের একটি বি-২৯ যুদ্ধবিমান হিরোশিমায় চার টন ইউরেনিয়ামসমৃদ্ধ একটি আণবিক বোমা ফেলে। ‘লিটল বয়’ নামের ওই বোমার বিস্ফোরণে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে পুরো হিরোশিমা নরককুণ্ডে পরিণত হয়। তাৎক্ষণিকভাবে সেখানে মারা যায় এক লাখ ৪০ হাজার মানুষ। বিস্ফোরণস্থলের চারপাশের এক মাইল এলাকার একটি মানুষও জীবিত ছিল না। এ ঘটনার তিন দিন পরে জাপানের আরেক শহর নাগাসাকিতে একই ধরনের আরও একটি আণবিক বোমা হামলা হয়। সেখানে মারা যায় ৭০ হাজার মানুষ। ১৫ আগস্ট জাপান আত্মসমর্পণ করে এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আনুষ্ঠানিক অবসান ঘটে। মর্মান্তিক ওই ঘটনার পর থেকে প্রতিবছরের এই দিনে হিরোশিমায় নিহত ব্যক্তিদের স্মরণ করা হয়। বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের দাবি সত্ত্বেও আণবিক বোমা ফেলে লাখ লাখ মানুষের প্রাণহানি ঘটানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করা হয়নি। তবে এ বছর হিরোশিমার স্মরণ অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে তার অন্যতম মিত্র দেশ ব্রিটেন ও ফ্রান্সের প্রতিনিধিরা যোগ দেওয়ায় দেশগুলোকে স্বাগত জানিয়েছে জাপান।
সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, গতকাল পিস পার্কে উপস্থিত সবাই সকাল সোয়া আটটায় এক মিনিট নীরবতা পালন করে নিহত ব্যক্তিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এ সময় জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন ও যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে টোকিওতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত জন রুস সেখানে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বান কি মুন বলেন, তিনিই জাতিসংঘের প্রথম মহাসচিব, যিনি হিরোশিমার স্মরণ অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন এবং এ কারণে তিনি নিজেকে সম্মানিত মনে করছেন।
No comments