টিটিতে বারবার এক পাকিস্তানি কোচ
চার বছর আগে নড়াইলে একটি সলিডারিটি কোর্স দিয়ে বাংলাদেশে কোচিংয়ের শুরু আরিফ খানের। পাকিস্তানি এই টেবিল টেনিস কোচ সেই থেকে টিটি শেখাতে বারবার আসছেন বাংলাদেশে!
উদীয়মান খেলোয়াড়দের মৌলিক বিষয়গুলো শেখানো, টেকনিকগুলো হাতে-কলমে ধরিয়ে দেওয়া এবং ভবিষ্যতে যাতে তাঁরা আরও উন্নতি করতে পারেন সে ব্যাপারে শিক্ষা দেওয়া—এটাই ওই কোচিংয়ের মূল উদ্দেশ্য। কিন্তু বছরে দু-একবার করে এসে মাসখানেকের এই কোচিংয়ে আদৌ কি খেলোয়াড়দের কোনো উন্নতি হয়? এটা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে টেবিল টেনিস খেলোয়াড়দের মধ্যেই।
জাতীয় দলের খেলোয়াড় মাহবুব বিল্লাহ জানান, ‘সাড়ে সাত লাখ টাকা খরচ করে এমন কোচ আনার কোনো যুক্তি দেখি না। এতে মোটেও কোনো উপকার পাচ্ছি না।’ গত জুলাইয়ে সর্বশেষ চতুর্থবারের মতো কোচিং করিয়ে গেছেন পাকিস্তানের এই সাবেক টেবিল টেনিস খেলোয়াড়। প্রশিক্ষণের জন্য বারবার কেন আরিফ খানকেই বেছে নেওয়া হচ্ছে? বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, আরিফ খান ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলমের (আনু) বন্ধুর ছেলে। এ জন্যই নাকি তাঁকে আনা হচ্ছে। বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করতে শামসুল আলমের সঙ্গে টেলিফোনে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। তাঁকে বেশ কয়েকটি মোবাইল ফোন থেকে কল করলেও তিনি ধরেননি। তবে ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক সাইদুর রহমান (সাদী) বিষয়টি অস্বীকার করে বললেন, ‘এটা সত্যি নয়, উনি আমাদের বন্ধুর মতো। আমরা একসঙ্গে খেলেছি তাঁর সঙ্গে।’
বাস্তবতা হলো, পাকিস্তানের টেনিসের মান বাংলাদেশের চেয়েও খারাপ। তাহলে কেন পাকিস্তান থেকেই বারবার কোচ আনতে হবে? এ ব্যাপারে সাদীর উত্তর, ‘এই কোচের তত্ত্বাবধানে ছেলেরা উন্নতি করেছে। উনি আইটিটিএফ (আন্তর্জাতিক টেবিল টেনিস ফেডারেশন) অনুমোদিত কোচ। আর এসবের বিরুদ্ধে যারা বিভিন্ন কথা ছড়াচ্ছে তারা সুবিধাবাদী লোক। যখন ফেডারেশন থেকে কোনো সুবিধা না পায় তখনই তারা এমন অভিযোগ করে।’
এর আগে দক্ষিণ এশীয় গেমসের সময় চীনা কোচ আনা হলে তাঁকে রাখা হয়েছিল মোহাম্মদপুর শারীরিক শিক্ষা কলেজের ডরমিটরিতে। তাতে অর্থেরও কিছু সাশ্রয় হয়েছিল। কিন্তু যতবারই আরিফ খান এসেছেন, তাঁকে রাখা হয়েছে ঢাকার তিন তারকা মানের হোটেলে। এসব নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন খেলোয়াড়েরা। চাইলে পশ্চিমবঙ্গ থেকে কম খরচে এর চেয়ে অনেক ভালো কোচ আনা যায় বলে মনে করেন জাতীয় চ্যাম্পিয়ন মাহবুব বিল্লাহ। আরেকটা লাভ হবে তাতে, বাংলা ভাষাভাষী বলে খেলোয়াড়েরাও বেশি নৈকট্য বোধ করবেন। তবে আরিফ খানকে খুব বেশি টাকা দেওয়া হয় না বলেই জানালেন সাদী, ‘আমাদের তো মাসে ১০ লাখ ডলার দেওয়ার সামর্থ্য নেই। আরিফ খানকে দিই মাত্র দেড় হাজার ডলার।’ তাঁর কোচিংয়ের মান নিয়ে প্রশ্ন তোলাটাকে বোকামি হিসেবে দেখছেন সাদী, ‘উনি দুবার সাফ গেমসে সোনা জিতেছেন। তাঁর কোচিংয়ের পদ্ধতিও অন্যদের চেয়ে অনেক ভালো। ছেলেরা তো দেখছি দারুণ উন্নতি করছে।’ উদীয়মান খেলোয়াড়দের একজন রিমনও বললেন সেটাই, ‘আরিফ খান আমার দেখা অন্যতম সেরা একজন কোচ। তাঁর তত্ত্বাবধানে আমরা অনেক ভালো করছি।’ কিন্তু রিমনদের মতো হাতেগোনা কয়েকজনকে নিয়েই বারবার কোচিং করাচ্ছে ফেডারেশন। জাতীয় দলের আরেক খেলোয়াড় রকির অভিযোগ এটা নিয়েই, ‘আমাদের ওই কোচিংয়ে রাখা হয় না। কেন, সেটা ফেডারেশনই ভালো বলতে পারবে। আমার তো মনে হয়, আমাদেরও অনেক কিছু শেখার আছে।’
উদীয়মান খেলোয়াড়দের মৌলিক বিষয়গুলো শেখানো, টেকনিকগুলো হাতে-কলমে ধরিয়ে দেওয়া এবং ভবিষ্যতে যাতে তাঁরা আরও উন্নতি করতে পারেন সে ব্যাপারে শিক্ষা দেওয়া—এটাই ওই কোচিংয়ের মূল উদ্দেশ্য। কিন্তু বছরে দু-একবার করে এসে মাসখানেকের এই কোচিংয়ে আদৌ কি খেলোয়াড়দের কোনো উন্নতি হয়? এটা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে টেবিল টেনিস খেলোয়াড়দের মধ্যেই।
জাতীয় দলের খেলোয়াড় মাহবুব বিল্লাহ জানান, ‘সাড়ে সাত লাখ টাকা খরচ করে এমন কোচ আনার কোনো যুক্তি দেখি না। এতে মোটেও কোনো উপকার পাচ্ছি না।’ গত জুলাইয়ে সর্বশেষ চতুর্থবারের মতো কোচিং করিয়ে গেছেন পাকিস্তানের এই সাবেক টেবিল টেনিস খেলোয়াড়। প্রশিক্ষণের জন্য বারবার কেন আরিফ খানকেই বেছে নেওয়া হচ্ছে? বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, আরিফ খান ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলমের (আনু) বন্ধুর ছেলে। এ জন্যই নাকি তাঁকে আনা হচ্ছে। বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করতে শামসুল আলমের সঙ্গে টেলিফোনে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। তাঁকে বেশ কয়েকটি মোবাইল ফোন থেকে কল করলেও তিনি ধরেননি। তবে ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক সাইদুর রহমান (সাদী) বিষয়টি অস্বীকার করে বললেন, ‘এটা সত্যি নয়, উনি আমাদের বন্ধুর মতো। আমরা একসঙ্গে খেলেছি তাঁর সঙ্গে।’
বাস্তবতা হলো, পাকিস্তানের টেনিসের মান বাংলাদেশের চেয়েও খারাপ। তাহলে কেন পাকিস্তান থেকেই বারবার কোচ আনতে হবে? এ ব্যাপারে সাদীর উত্তর, ‘এই কোচের তত্ত্বাবধানে ছেলেরা উন্নতি করেছে। উনি আইটিটিএফ (আন্তর্জাতিক টেবিল টেনিস ফেডারেশন) অনুমোদিত কোচ। আর এসবের বিরুদ্ধে যারা বিভিন্ন কথা ছড়াচ্ছে তারা সুবিধাবাদী লোক। যখন ফেডারেশন থেকে কোনো সুবিধা না পায় তখনই তারা এমন অভিযোগ করে।’
এর আগে দক্ষিণ এশীয় গেমসের সময় চীনা কোচ আনা হলে তাঁকে রাখা হয়েছিল মোহাম্মদপুর শারীরিক শিক্ষা কলেজের ডরমিটরিতে। তাতে অর্থেরও কিছু সাশ্রয় হয়েছিল। কিন্তু যতবারই আরিফ খান এসেছেন, তাঁকে রাখা হয়েছে ঢাকার তিন তারকা মানের হোটেলে। এসব নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন খেলোয়াড়েরা। চাইলে পশ্চিমবঙ্গ থেকে কম খরচে এর চেয়ে অনেক ভালো কোচ আনা যায় বলে মনে করেন জাতীয় চ্যাম্পিয়ন মাহবুব বিল্লাহ। আরেকটা লাভ হবে তাতে, বাংলা ভাষাভাষী বলে খেলোয়াড়েরাও বেশি নৈকট্য বোধ করবেন। তবে আরিফ খানকে খুব বেশি টাকা দেওয়া হয় না বলেই জানালেন সাদী, ‘আমাদের তো মাসে ১০ লাখ ডলার দেওয়ার সামর্থ্য নেই। আরিফ খানকে দিই মাত্র দেড় হাজার ডলার।’ তাঁর কোচিংয়ের মান নিয়ে প্রশ্ন তোলাটাকে বোকামি হিসেবে দেখছেন সাদী, ‘উনি দুবার সাফ গেমসে সোনা জিতেছেন। তাঁর কোচিংয়ের পদ্ধতিও অন্যদের চেয়ে অনেক ভালো। ছেলেরা তো দেখছি দারুণ উন্নতি করছে।’ উদীয়মান খেলোয়াড়দের একজন রিমনও বললেন সেটাই, ‘আরিফ খান আমার দেখা অন্যতম সেরা একজন কোচ। তাঁর তত্ত্বাবধানে আমরা অনেক ভালো করছি।’ কিন্তু রিমনদের মতো হাতেগোনা কয়েকজনকে নিয়েই বারবার কোচিং করাচ্ছে ফেডারেশন। জাতীয় দলের আরেক খেলোয়াড় রকির অভিযোগ এটা নিয়েই, ‘আমাদের ওই কোচিংয়ে রাখা হয় না। কেন, সেটা ফেডারেশনই ভালো বলতে পারবে। আমার তো মনে হয়, আমাদেরও অনেক কিছু শেখার আছে।’
No comments