কসোভোর স্বাধীনতার ঘোষণা বৈধ
সার্বিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ২০০৮ সালে কসোভোর স্বাধীনতা ঘোষণাকে বৈধতা দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস (আইসিজে)। গতকাল বৃহস্পতিবার নেদারল্যান্ডের দ্য হেগ শহরে অবস্থিত আদালতে ১০-৪ ভোটে কসোভোর স্বাধীনতা ঘোষণার পক্ষে রায় দেন বিচারকেরা।ই রায়ের খবর জানার পর পরই কসোভোর রাজধানী প্রিস্টিনায় আনন্দ-উল্লাসের ঢেউ বইয়ে শুরু করে। তবে সার্বিয়া জানিয়েছে, স্বাধীনতাকামী কসোভোর ব্যাপারে তাদের নীতির কোনো পরিবর্তন হবে না।বিশ্লেষকেরা ধারণা করছেন, আইসিজের এই রায়ের ফলে এখন কসোভোকে আরও অনেক দেশই স্বীকৃতি দিতে আগ্রহী হয়ে উঠবে। পাশাপাশি তা বিশ্বের অন্যান্য অংশে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের স্বাধীনতা ঘোষণার ব্যাপারে উত্সাহী করে তুলতে পারে।
রায়ের ব্যাপারে হতাশা প্রকাশ করে সার্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভুক জেরেমিক বলেন, বেলগ্রেড আশা করেছিল, আদালত সমঝোতার মাধ্যমে একটি সমাধানে পৌঁছানোর ব্যাপারে রায় দেবেন। প্রেসিডেন্ট বরিস তাদিচ বলেছেন, তাঁর দেশ কখনোই কসোভোর স্বাধীনতা মেনে নেবে না।
অন্যদিকে সার্বিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্র রাশিয়া বলেছে, আইসিজের এই রায় কসোভোর স্বাধীনতাকে আইনগত ভিত্তি দিচ্ছে না।কসোভো স্বাধীনতা ঘোষণার মাধ্যমে সার্বিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার পর তাদের স্বাধীনতার আইনি বৈধতা সম্পর্কে আইসিজের কাছে একটি পরিষ্কার ব্যাখ্যা চেয়েছিল জাতিসংঘ। সার্বিয়ার অনুরোধে এই ব্যাখ্যা চাওয়া হয় এবং গত ডিসেম্বরে এ ব্যাপারে শুনানি গ্রহণ করেন আদালত। এরই ধারাবাহিকতায় এ রায় ঘোষণা করা হলো। সার্বিয়ার কর্তৃপক্ষ দাবি করে আসছিল, কসোভোর স্বাধীনতার ঘোষণা অবৈধ এবং অঞ্চলটি সার্বিয়া প্রজাতন্ত্রের অবিচ্ছেদ্য অংশ।রায় ঘোষণার সময় আইসিজের প্রেসিডেন্ট হিসাশি ওয়াদা বলেন, কসোভো ২০০৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি স্বাধীনতার যে ঘোষণা দিয়েছে, তা কোনো আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেনি।রায় ঘোষণার আগে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সার্বিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন। বাইডেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র একটি গণতান্ত্রিক ও বহু জাতিগোষ্ঠীর কসোভোর প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানায়। কসোভোর সার্বভৌমত্ব রক্ষায় তাঁর দেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। দুই পক্ষের মধ্যকার সমস্যা সমাধানে কসোভোর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসতে সার্বিয়ার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।আইসিজের এক মুখপাত্র বলেন, এই রায় কোনো আইনি বাধ্যবাধকতা নয়, বরং এক ধরনের পরামর্শমূলক মতামত। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ এ ব্যাপারে যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারে স্বাধীন। আদালত রায় ঘোষণার আগে কসোভো ও সার্বিয়াসহ ৩৬টি দেশের লিখিত বিবৃতি আমলে নেয়।
রায়ের ব্যাপারে হতাশা প্রকাশ করে সার্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভুক জেরেমিক বলেন, বেলগ্রেড আশা করেছিল, আদালত সমঝোতার মাধ্যমে একটি সমাধানে পৌঁছানোর ব্যাপারে রায় দেবেন। প্রেসিডেন্ট বরিস তাদিচ বলেছেন, তাঁর দেশ কখনোই কসোভোর স্বাধীনতা মেনে নেবে না।
অন্যদিকে সার্বিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্র রাশিয়া বলেছে, আইসিজের এই রায় কসোভোর স্বাধীনতাকে আইনগত ভিত্তি দিচ্ছে না।কসোভো স্বাধীনতা ঘোষণার মাধ্যমে সার্বিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার পর তাদের স্বাধীনতার আইনি বৈধতা সম্পর্কে আইসিজের কাছে একটি পরিষ্কার ব্যাখ্যা চেয়েছিল জাতিসংঘ। সার্বিয়ার অনুরোধে এই ব্যাখ্যা চাওয়া হয় এবং গত ডিসেম্বরে এ ব্যাপারে শুনানি গ্রহণ করেন আদালত। এরই ধারাবাহিকতায় এ রায় ঘোষণা করা হলো। সার্বিয়ার কর্তৃপক্ষ দাবি করে আসছিল, কসোভোর স্বাধীনতার ঘোষণা অবৈধ এবং অঞ্চলটি সার্বিয়া প্রজাতন্ত্রের অবিচ্ছেদ্য অংশ।রায় ঘোষণার সময় আইসিজের প্রেসিডেন্ট হিসাশি ওয়াদা বলেন, কসোভো ২০০৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি স্বাধীনতার যে ঘোষণা দিয়েছে, তা কোনো আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেনি।রায় ঘোষণার আগে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সার্বিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন। বাইডেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র একটি গণতান্ত্রিক ও বহু জাতিগোষ্ঠীর কসোভোর প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানায়। কসোভোর সার্বভৌমত্ব রক্ষায় তাঁর দেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। দুই পক্ষের মধ্যকার সমস্যা সমাধানে কসোভোর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসতে সার্বিয়ার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।আইসিজের এক মুখপাত্র বলেন, এই রায় কোনো আইনি বাধ্যবাধকতা নয়, বরং এক ধরনের পরামর্শমূলক মতামত। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ এ ব্যাপারে যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারে স্বাধীন। আদালত রায় ঘোষণার আগে কসোভো ও সার্বিয়াসহ ৩৬টি দেশের লিখিত বিবৃতি আমলে নেয়।
No comments