যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়া সামরিক মহড়া, একটি আঞ্চলিক হুমকি: পিয়ংইয়ং
যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ সামরিক মহড়ার উদ্যোগের নিন্দা জানিয়েছে উত্তর কোরিয়া। এই মহড়া ওই অঞ্চলে বড় ধরনের বিপদের হুমকি সৃষ্টি করেছে বলেও সতর্ক করেছে তারা। পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন অবরোধ আরোপের পরিকল্পনারও নিন্দা জানিয়েছে পিয়ংইয়ং। গতকাল বৃহস্পতিবার ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে এশিয়ার সবচেয়ে বড় নিরাপত্তা ফোরামে উত্তর কোরীয় প্রতিনিধিদলের সদস্য রি তোং-ইল তাঁর দেশের এই প্রতিক্রিয়ার কথা জানান।
জাপান সাগরে আগামী রোববার থেকে যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়ার ২০টি জাহাজ ও ডুবোজাহাজ এবং ১০০টি যুদ্ধবিমান চার দিনের ওই সামরিক মহড়া শুরু করবে। কয়েক দিন আগে এই পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করা হয়। আর গত বুধবার দক্ষিণ কোরিয়া সফরের সময় উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে নতুন অবরোধ আরোপের পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন। গত মার্চে একটি দক্ষিণ কোরীয় রণতরী ডুবির ঘটনায় উত্তর কোরিয়ার জড়িত থাকার অভিযোগ এনে এই পদক্ষেপ নিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। গতকাল এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ওই ফোরামে অংশ নিতে হ্যানয়ে পৌঁছান হিলারি।
উত্তর কোরীয় কূটনীতিক রি তোং-ইল জানান, যৌথ মহড়ার এই পরিকল্পনা শুধু কোরীয় উপদ্বীপ নয় বরং পুরো অঞ্চলের জন্য একটি বড় হুমকি সৃষ্টি করেছে। উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে নতুন অবরোধ আরোপের মার্কিন পরিকল্পনার নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, এই পদক্ষেপ জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতির বক্তব্যের মূল ভাবের পরিপন্থী। সম্প্রতি এক বিবৃতিতে নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতি দক্ষিণ কোরীয় রণতরী চেতনান ডুবির ঘটনার নিন্দা জানালেও সরাসরি উত্তর কোরিয়ার কথা উল্লেখ করেননি।
পিয়ংইয়ং সম্প্রতি ইঙ্গিত দিয়েছে তারা পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে ছয় দেশের আলোচনায় ফিরতে আগ্রহী। এই প্রসঙ্গ টেনে রি তোং-ইল বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া এই উপদ্বীপকে সত্যিই পরমাণু অস্ত্রমুক্ত রাখতে চাইলে তাদের উচিত পিয়ংইয়ংয়ের আগ্রহকে আমলে নেওয়া এবং সামরিক মহড়া শুরু করার আগে আলোচনায় ফেরার ব্যাপারে ইতিবাচক পরিস্থিতি তৈরি করা।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, ওয়াশিংটন ও সিউল আলোচনা আবার শুরু করার ব্যাপারে খুব একটা আগ্রহী নয়। কারণ, এর আগে পিয়ংইয়ং এ ধরনের আলোচনার সুবিধা নিয়ে পরামণু অস্ত্র কর্মসূচি চালিয়ে গেছে এবং এখনো পরমাণু অস্ত্র তৈরির চেষ্টা বন্ধ করেনি।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, হ্যানয়ে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়াং যাইচির সঙ্গে বৈঠকে হিলারি ক্লিনটন কঠোর অবস্থান থেকে সরে আসার ব্যাপারে পিয়ংইয়ংকে চাপ দিতে বেইজিংয়ের প্রতি আহ্বান জানাবেন। আজ শুক্রবার তাঁদের বৈঠক হওয়ার কথা।
এদিকে উত্তর কোরিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্র চীনও যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ সামরিক মহড়ার নিন্দা জানিয়েছে এবং নিজেদের পূর্ব উপকূলে নৌ-মহড়া চালানোর ঘোষণা দিয়েছে। বেইজিং এ ব্যাপারে বরাবরই ওয়াশিংটনকে সতর্ক করে আসছে। চীনের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র কিন গ্যাং সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে শান্ত থাকার এবং উসকানিমূলক আচরণ না করার আহ্বান জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র বলেছে তাদের এই সামরিক মহড়া সম্পূর্ণ আত্মরক্ষামূলক। উত্তর কোরিয়ার আগ্রাসী মনোভাবের জবাবে এই মহড়ার আয়োজন করা হয়েছে।
গতকাল হ্যানয়ে আসিয়ান রিজিওয়নাল ফোরামের (এআরএফ) খসড়া ঘোষণায় দক্ষিণ কোরীয় রণতরী ডুবির ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানানো হয়েছে এবং এ ব্যাপারে ৯ জুলাইয়ে জাতিসংঘের বিবৃতিকে সমর্থন জানানো হয়েছে। ওই ঘটনার জন্য এআরএফ উত্তর কোরিয়াকে দোষারোপ করেনি। তবে পিয়ংইয়ংয়ের নিরস্ত্রীকরণের জন্য ছয় দেশের আলোচনা আবার শুরু করার আহ্বান জানিয়েছে। ফোরামের বৈঠকে এআরএফের ২৭টি সদস্য দেশকে দক্ষিণ কোরিয়ার পক্ষে দৃঢ় সমর্থন জানানোর আহ্বান জানান হিলারি।
জাপান সাগরে আগামী রোববার থেকে যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়ার ২০টি জাহাজ ও ডুবোজাহাজ এবং ১০০টি যুদ্ধবিমান চার দিনের ওই সামরিক মহড়া শুরু করবে। কয়েক দিন আগে এই পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করা হয়। আর গত বুধবার দক্ষিণ কোরিয়া সফরের সময় উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে নতুন অবরোধ আরোপের পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন। গত মার্চে একটি দক্ষিণ কোরীয় রণতরী ডুবির ঘটনায় উত্তর কোরিয়ার জড়িত থাকার অভিযোগ এনে এই পদক্ষেপ নিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। গতকাল এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ওই ফোরামে অংশ নিতে হ্যানয়ে পৌঁছান হিলারি।
উত্তর কোরীয় কূটনীতিক রি তোং-ইল জানান, যৌথ মহড়ার এই পরিকল্পনা শুধু কোরীয় উপদ্বীপ নয় বরং পুরো অঞ্চলের জন্য একটি বড় হুমকি সৃষ্টি করেছে। উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে নতুন অবরোধ আরোপের মার্কিন পরিকল্পনার নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, এই পদক্ষেপ জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতির বক্তব্যের মূল ভাবের পরিপন্থী। সম্প্রতি এক বিবৃতিতে নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতি দক্ষিণ কোরীয় রণতরী চেতনান ডুবির ঘটনার নিন্দা জানালেও সরাসরি উত্তর কোরিয়ার কথা উল্লেখ করেননি।
পিয়ংইয়ং সম্প্রতি ইঙ্গিত দিয়েছে তারা পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে ছয় দেশের আলোচনায় ফিরতে আগ্রহী। এই প্রসঙ্গ টেনে রি তোং-ইল বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া এই উপদ্বীপকে সত্যিই পরমাণু অস্ত্রমুক্ত রাখতে চাইলে তাদের উচিত পিয়ংইয়ংয়ের আগ্রহকে আমলে নেওয়া এবং সামরিক মহড়া শুরু করার আগে আলোচনায় ফেরার ব্যাপারে ইতিবাচক পরিস্থিতি তৈরি করা।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, ওয়াশিংটন ও সিউল আলোচনা আবার শুরু করার ব্যাপারে খুব একটা আগ্রহী নয়। কারণ, এর আগে পিয়ংইয়ং এ ধরনের আলোচনার সুবিধা নিয়ে পরামণু অস্ত্র কর্মসূচি চালিয়ে গেছে এবং এখনো পরমাণু অস্ত্র তৈরির চেষ্টা বন্ধ করেনি।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, হ্যানয়ে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়াং যাইচির সঙ্গে বৈঠকে হিলারি ক্লিনটন কঠোর অবস্থান থেকে সরে আসার ব্যাপারে পিয়ংইয়ংকে চাপ দিতে বেইজিংয়ের প্রতি আহ্বান জানাবেন। আজ শুক্রবার তাঁদের বৈঠক হওয়ার কথা।
এদিকে উত্তর কোরিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্র চীনও যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ সামরিক মহড়ার নিন্দা জানিয়েছে এবং নিজেদের পূর্ব উপকূলে নৌ-মহড়া চালানোর ঘোষণা দিয়েছে। বেইজিং এ ব্যাপারে বরাবরই ওয়াশিংটনকে সতর্ক করে আসছে। চীনের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র কিন গ্যাং সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে শান্ত থাকার এবং উসকানিমূলক আচরণ না করার আহ্বান জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র বলেছে তাদের এই সামরিক মহড়া সম্পূর্ণ আত্মরক্ষামূলক। উত্তর কোরিয়ার আগ্রাসী মনোভাবের জবাবে এই মহড়ার আয়োজন করা হয়েছে।
গতকাল হ্যানয়ে আসিয়ান রিজিওয়নাল ফোরামের (এআরএফ) খসড়া ঘোষণায় দক্ষিণ কোরীয় রণতরী ডুবির ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানানো হয়েছে এবং এ ব্যাপারে ৯ জুলাইয়ে জাতিসংঘের বিবৃতিকে সমর্থন জানানো হয়েছে। ওই ঘটনার জন্য এআরএফ উত্তর কোরিয়াকে দোষারোপ করেনি। তবে পিয়ংইয়ংয়ের নিরস্ত্রীকরণের জন্য ছয় দেশের আলোচনা আবার শুরু করার আহ্বান জানিয়েছে। ফোরামের বৈঠকে এআরএফের ২৭টি সদস্য দেশকে দক্ষিণ কোরিয়ার পক্ষে দৃঢ় সমর্থন জানানোর আহ্বান জানান হিলারি।
No comments