দলগত উদ্যোগে জোর দিতে আহ্বান জানালেন অর্থমন্ত্রী
‘ঘরে ফেরা কর্মসূচি’তে ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যক্তি উদ্যোগের তুলনায় দলগত উদ্যোগকে বেশি উৎসাহিত করার আহ্বান জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
অর্থমন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের ঘরে ফেরা কর্মসূচিকে সরকার স্বীকৃতি দিয়েছে। এ কারণেই বাজেটে ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ থেকে পাঁচ কোটি টাকাই দেওয়া হয়েছে কৃষি ব্যাংককে।
গত মঙ্গলবার রাজধানীর ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের ঘরে ফেরা কর্মসূচির উদ্বোধনকালে অর্থমন্ত্রী এ কথা জানান।
কৃষি ব্যাংকের চেয়ারম্যান খোন্দকার ইব্রাহীম খালেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোখতার হোসেন এতে স্বাগত বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, রাজধানীর বস্তির মানবেতর জীবন ছেড়ে গ্রামে ফিরতে চায়—এমন চার হাজার ৫০০ ছিন্নমূল পরিবারকে চিহ্নিত করেছে কৃষি ব্যাংক। এর মধ্যে ঘরে ফেরা কর্মসূচির আওতায় প্রথম পর্যায়ে বিনা সুদে ঋণ দেওয়া হচ্ছে রাজধানীর ১৪টি বস্তি থেকে নির্বাচিত ২৫০টি পরিবারকে। নিজ গ্রামে পুনর্বাসিত হবে তারা।
শহরের রিকশা, ঠেলাগাড়ি ও ভ্যানগাড়িচালকের সংখ্যা কমিয়ে নগরজীবনকে যানজটমুক্ত করা, গ্রামাঞ্চলে শ্রমজীবী মানুষের ঘাটতি পূরণ করে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি করা এবং গ্রামীণ অর্থনীতিতে প্রাণসঞ্চার ও সামাজিক অপরাধের পরিমাণ কমানো এ কর্মসূচির অন্যতম লক্ষ্য।
যেসব পরিবারকে ঋণ দেওয়া হয়েছে সেগুলো হলো, গুদারাঘাট বস্তি থেকে ৭২টি, আরামবাগ ঝিলপাড় বস্তি থেকে ৪২টি, খিলগাঁও রেলগেট বস্তি থেকে ৩৪টি, কল্যাণপুর পোড়া বস্তি থেকে ২৬টি, শিয়ালবাড়ী বস্তি থেকে ২৬টি, নাখালপাড়া রেলগেট বস্তি থেকে ১৫টি, হাজি রোড ঝিলপাড় বস্তি থেকে ১২টি, তেজগাঁও রেলগেট বস্তি থেকে ছয়টি, মগবাজার রেলগেট ও কারওয়ানবাজার বস্তি থেকে পাঁচটি করে, রূপনগর বস্তি থেকে তিনটি, মণিপুর বস্তি থেকে দুটি, রায়েরবাজার ও উত্তর শাহজাহানপুর রেলগেট বস্তি থেকে একটি করে পরিবার।
অনুষ্ঠানে দুলা মিয়া ও শামীমা আক্তার শারমিন নামক দুই সাবেক বস্তিবাসী তাঁদের বস্তিজীবন থেকে বেরিয়ে আসার বিবরণ দেন।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সমবায়ের ধারণা, আমাদের দেশ শত বছরের পুরোনো। তবে সমবায়েরও ব্যর্থতা রয়েছে প্রচুর। এত অব্যবস্থাপনা আর কোথাও চোখে পড়ে না। ঘরে ফেরা কর্মসূচিতে দলভিত্তিক ঋণ বিতরণের মাধ্যমে বস্তিবাসীকে গ্রামে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারলে সমবায়ের মৌলিক ধারণা বাস্তবায়িত হবে।’ তবে এ বিষয়ে মাঠ পর্যায়ে কৃষি ব্যাংকের কার্যক্রমকে আরও শক্তিশালী করতে হবে বলে মনে করেন তিনি।
নগরজীবনের প্রবৃদ্ধি অনেক বেশি উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী জানান, জাতীয় জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ৭ শতাংশ। কিন্তু নগরে জনসংখ্যার প্রবৃদ্ধি প্রায় চার শতাংশ। গ্রামগুলোতে পৌর সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হলেও গ্রামের মানুষ গ্রামেই থাকবে এবং নগরজীবনের ওপর চাপ কমবে।
এ ছাড়া নগরের বস্তিবাসীদেরও ভালোভাবে বাঁচার সুযোগ করে দিতে ঘরে ফেরা কর্মসূচির মতো আরও কর্মসূচির প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘গ্রামনির্ভর এসব কর্মসূচি সফল করতে কৃষি ব্যাংকের বিশেষ ভূমিকা পালন করতে হবে। ’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান সরকারকে পাঁচটি ক্ষেত্রে বিশেষ মনোযোগ দেওয়ার পরামর্শ দেন। এগুলো হলো: সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচি, খাদ্যনিরাপত্তা কর্মসূচি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, ক্ষুদ্রঋণ ও গ্রামীণ অ-কৃষি কার্যক্রম।
ভবিষ্যতে কৃষি ব্যাংকের কর্মকাণ্ডকে শক্তিশালী করতে এর আঞ্চলিক কার্যালয়গুলোকে আরও ক্ষমতা দেওয়া হবে বলে জানান কৃষি ব্যাংকের চেয়ারম্যান খোন্দকার ইব্রাহীম খালেদ।
‘বস্তি থেকে স্বস্তি’ নামক প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে তিনি প্রকল্প বাস্তবায়নে অন্য ব্যাংকগুলোকেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
অর্থমন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের ঘরে ফেরা কর্মসূচিকে সরকার স্বীকৃতি দিয়েছে। এ কারণেই বাজেটে ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ থেকে পাঁচ কোটি টাকাই দেওয়া হয়েছে কৃষি ব্যাংককে।
গত মঙ্গলবার রাজধানীর ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের ঘরে ফেরা কর্মসূচির উদ্বোধনকালে অর্থমন্ত্রী এ কথা জানান।
কৃষি ব্যাংকের চেয়ারম্যান খোন্দকার ইব্রাহীম খালেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোখতার হোসেন এতে স্বাগত বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, রাজধানীর বস্তির মানবেতর জীবন ছেড়ে গ্রামে ফিরতে চায়—এমন চার হাজার ৫০০ ছিন্নমূল পরিবারকে চিহ্নিত করেছে কৃষি ব্যাংক। এর মধ্যে ঘরে ফেরা কর্মসূচির আওতায় প্রথম পর্যায়ে বিনা সুদে ঋণ দেওয়া হচ্ছে রাজধানীর ১৪টি বস্তি থেকে নির্বাচিত ২৫০টি পরিবারকে। নিজ গ্রামে পুনর্বাসিত হবে তারা।
শহরের রিকশা, ঠেলাগাড়ি ও ভ্যানগাড়িচালকের সংখ্যা কমিয়ে নগরজীবনকে যানজটমুক্ত করা, গ্রামাঞ্চলে শ্রমজীবী মানুষের ঘাটতি পূরণ করে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি করা এবং গ্রামীণ অর্থনীতিতে প্রাণসঞ্চার ও সামাজিক অপরাধের পরিমাণ কমানো এ কর্মসূচির অন্যতম লক্ষ্য।
যেসব পরিবারকে ঋণ দেওয়া হয়েছে সেগুলো হলো, গুদারাঘাট বস্তি থেকে ৭২টি, আরামবাগ ঝিলপাড় বস্তি থেকে ৪২টি, খিলগাঁও রেলগেট বস্তি থেকে ৩৪টি, কল্যাণপুর পোড়া বস্তি থেকে ২৬টি, শিয়ালবাড়ী বস্তি থেকে ২৬টি, নাখালপাড়া রেলগেট বস্তি থেকে ১৫টি, হাজি রোড ঝিলপাড় বস্তি থেকে ১২টি, তেজগাঁও রেলগেট বস্তি থেকে ছয়টি, মগবাজার রেলগেট ও কারওয়ানবাজার বস্তি থেকে পাঁচটি করে, রূপনগর বস্তি থেকে তিনটি, মণিপুর বস্তি থেকে দুটি, রায়েরবাজার ও উত্তর শাহজাহানপুর রেলগেট বস্তি থেকে একটি করে পরিবার।
অনুষ্ঠানে দুলা মিয়া ও শামীমা আক্তার শারমিন নামক দুই সাবেক বস্তিবাসী তাঁদের বস্তিজীবন থেকে বেরিয়ে আসার বিবরণ দেন।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সমবায়ের ধারণা, আমাদের দেশ শত বছরের পুরোনো। তবে সমবায়েরও ব্যর্থতা রয়েছে প্রচুর। এত অব্যবস্থাপনা আর কোথাও চোখে পড়ে না। ঘরে ফেরা কর্মসূচিতে দলভিত্তিক ঋণ বিতরণের মাধ্যমে বস্তিবাসীকে গ্রামে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারলে সমবায়ের মৌলিক ধারণা বাস্তবায়িত হবে।’ তবে এ বিষয়ে মাঠ পর্যায়ে কৃষি ব্যাংকের কার্যক্রমকে আরও শক্তিশালী করতে হবে বলে মনে করেন তিনি।
নগরজীবনের প্রবৃদ্ধি অনেক বেশি উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী জানান, জাতীয় জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ৭ শতাংশ। কিন্তু নগরে জনসংখ্যার প্রবৃদ্ধি প্রায় চার শতাংশ। গ্রামগুলোতে পৌর সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হলেও গ্রামের মানুষ গ্রামেই থাকবে এবং নগরজীবনের ওপর চাপ কমবে।
এ ছাড়া নগরের বস্তিবাসীদেরও ভালোভাবে বাঁচার সুযোগ করে দিতে ঘরে ফেরা কর্মসূচির মতো আরও কর্মসূচির প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘গ্রামনির্ভর এসব কর্মসূচি সফল করতে কৃষি ব্যাংকের বিশেষ ভূমিকা পালন করতে হবে। ’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান সরকারকে পাঁচটি ক্ষেত্রে বিশেষ মনোযোগ দেওয়ার পরামর্শ দেন। এগুলো হলো: সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচি, খাদ্যনিরাপত্তা কর্মসূচি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, ক্ষুদ্রঋণ ও গ্রামীণ অ-কৃষি কার্যক্রম।
ভবিষ্যতে কৃষি ব্যাংকের কর্মকাণ্ডকে শক্তিশালী করতে এর আঞ্চলিক কার্যালয়গুলোকে আরও ক্ষমতা দেওয়া হবে বলে জানান কৃষি ব্যাংকের চেয়ারম্যান খোন্দকার ইব্রাহীম খালেদ।
‘বস্তি থেকে স্বস্তি’ নামক প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে তিনি প্রকল্প বাস্তবায়নে অন্য ব্যাংকগুলোকেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
No comments