কোটি কোটি ডলারের হিসাব দিতে ব্যর্থ মার্কিন কর্তৃপক্ষ
ইরাক পুনর্গঠন তহবিলের হিসাবে গরমিল খুঁজে পাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তরের সমালোচনা করেছে সে দেশের একটি সরকারি হিসাব নিরীক্ষা কর্তৃপক্ষ। গত মঙ্গলবার প্রকাশিত একটি হিসাব নিরীক্ষা প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ইরাক পুনর্গঠনে বরাদ্দ করা ৮৭০ কোটি ডলারের হিসাব ঠিকমতো দিতে পারেনি মার্কিন প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর পেন্টাগন।
যুক্তরাষ্ট্রের স্পেশাল ইন্সপেকটর জেনারেল ফর ইরাক রিকন্সট্রাকশন-এর তৈরি করা ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরাক পুনর্গঠনে বরাদ্দ করা তহবিলের ৯৬ শতাংশ অর্থের হিসাব ঠিকমতো দিতে পারেনি মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ। সঠিক নিয়ন্ত্রণ না থাকায় তহবিলের যথেচ্ছ ব্যবহার হয় এবং এতে বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে।
২০০৪ সালে ইরাক পুনর্গঠনের জন্য ৯১০ কোটি ডলার বরাদ্দ পায় পেন্টাগন। মার্কিন নেতৃত্বাধীন ইরাকের দখলদার কর্তৃপক্ষ এই অর্থ বরাদ্দ করে। ইরাকের তেল ও গ্যাস বিক্রির আয় থেকে এবং সাদ্দামের সরকারকে উৎখাত করে পাওয়া অর্থ-সম্পদ থেকে এই তহবিলের অর্থ জোগান দেওয়া হয়।
মার্কিন সরকারের এই নিরীক্ষা প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বরাদ্দ করা অর্থের মধ্যে ৮৭০ কোটি ডলারের যথাযথ হিসাব দিতে পারেনি পেন্টাগন। কারণ, প্রতিরক্ষা দপ্তরের যেসব শাখা এই তহবিল থেকে অর্থ বরাদ্দ পায় তারা ঠিকভাবে এর হিসাব দেয়নি এবং এই তহবিল ব্যবস্থাপনার জন্য কোনো একক সংস্থাও গঠন করা হয়নি। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গেছে, খরচের হিসাব সম্পূর্ণ শেষ করা হয়নি। যেমন পেন্টাগন বলতে পারছে না, তারা কীভাবে বরাদ্দের ২৬০ কোটি ডলার খরচ করেছে। এ ব্যাপারে পর্যাপ্ত নথিপত্রও নেই।
প্রতিবেদনে সুপারিশ করা হয়েছে, ভবিষ্যতে এ ধরনের বেসরকারি তহবিল ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে কী ধরনের প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে, মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবার্ট গেটসের তা অবশ্যই নির্দিষ্ট করে দেওয়া উচিত।
এদিকে খরচের হিসাব নিয়ে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য দিয়ে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের কেন্দ্রীয় শাখা ও সামরিক বাহিনীর প্রকৌশল শাখা। প্রতিরক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তহবিলের অর্থ হারিয়ে যায়নি বরং খরচের হিসাবগুলো হয়তো আর্কাইভে রাখা আছে। এই হিসাবগুলো খুঁজে বের করতে তাদের অনেক সময় লাগবে। কিন্তু প্রকৌশল শাখা বলছে, তারা ২০০ কোটি ডলারের খরচের হিসাবের কাগজ নিরীক্ষাকারীদের কাছে জমা দিয়েছে।
এর আগেও ইরাক পুনর্গঠন তহবিলের বরাদ্দ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল। ২০০৫ সালে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনীর প্রাদেশিক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ৮৮০ কোটি ডলারের একটি তহবিল ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ আনা হয়। ওই তহবিলটি ছিল ইরাকের সরকারের। ওই ঘটনায় আট মার্কিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ, প্রতারণা ও মুদ্রা পাচারের অভিযোগে ফৌজদারি তদন্ত করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের স্পেশাল ইন্সপেকটর জেনারেল ফর ইরাক রিকন্সট্রাকশন-এর তৈরি করা ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরাক পুনর্গঠনে বরাদ্দ করা তহবিলের ৯৬ শতাংশ অর্থের হিসাব ঠিকমতো দিতে পারেনি মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ। সঠিক নিয়ন্ত্রণ না থাকায় তহবিলের যথেচ্ছ ব্যবহার হয় এবং এতে বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে।
২০০৪ সালে ইরাক পুনর্গঠনের জন্য ৯১০ কোটি ডলার বরাদ্দ পায় পেন্টাগন। মার্কিন নেতৃত্বাধীন ইরাকের দখলদার কর্তৃপক্ষ এই অর্থ বরাদ্দ করে। ইরাকের তেল ও গ্যাস বিক্রির আয় থেকে এবং সাদ্দামের সরকারকে উৎখাত করে পাওয়া অর্থ-সম্পদ থেকে এই তহবিলের অর্থ জোগান দেওয়া হয়।
মার্কিন সরকারের এই নিরীক্ষা প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বরাদ্দ করা অর্থের মধ্যে ৮৭০ কোটি ডলারের যথাযথ হিসাব দিতে পারেনি পেন্টাগন। কারণ, প্রতিরক্ষা দপ্তরের যেসব শাখা এই তহবিল থেকে অর্থ বরাদ্দ পায় তারা ঠিকভাবে এর হিসাব দেয়নি এবং এই তহবিল ব্যবস্থাপনার জন্য কোনো একক সংস্থাও গঠন করা হয়নি। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গেছে, খরচের হিসাব সম্পূর্ণ শেষ করা হয়নি। যেমন পেন্টাগন বলতে পারছে না, তারা কীভাবে বরাদ্দের ২৬০ কোটি ডলার খরচ করেছে। এ ব্যাপারে পর্যাপ্ত নথিপত্রও নেই।
প্রতিবেদনে সুপারিশ করা হয়েছে, ভবিষ্যতে এ ধরনের বেসরকারি তহবিল ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে কী ধরনের প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে, মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবার্ট গেটসের তা অবশ্যই নির্দিষ্ট করে দেওয়া উচিত।
এদিকে খরচের হিসাব নিয়ে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য দিয়ে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের কেন্দ্রীয় শাখা ও সামরিক বাহিনীর প্রকৌশল শাখা। প্রতিরক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তহবিলের অর্থ হারিয়ে যায়নি বরং খরচের হিসাবগুলো হয়তো আর্কাইভে রাখা আছে। এই হিসাবগুলো খুঁজে বের করতে তাদের অনেক সময় লাগবে। কিন্তু প্রকৌশল শাখা বলছে, তারা ২০০ কোটি ডলারের খরচের হিসাবের কাগজ নিরীক্ষাকারীদের কাছে জমা দিয়েছে।
এর আগেও ইরাক পুনর্গঠন তহবিলের বরাদ্দ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল। ২০০৫ সালে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনীর প্রাদেশিক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ৮৮০ কোটি ডলারের একটি তহবিল ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ আনা হয়। ওই তহবিলটি ছিল ইরাকের সরকারের। ওই ঘটনায় আট মার্কিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ, প্রতারণা ও মুদ্রা পাচারের অভিযোগে ফৌজদারি তদন্ত করা হয়।
No comments