বন্যার মৃদু পদধ্বনি -দুর্যোগ সীমিত হলেও সরকারের প্রস্তুতি রাখতে হবে
বর্ষা আসে, সঙ্গে আসে বন্যা। কিন্তু এবার বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় আবহাওয়াবিদেরা স্বাভাবিক বন্যার বেশি কিছু হওয়ার আশঙ্কা করছেন না। বাংলাদেশ প্লাবন সমভূমির দেশ হওয়ায় প্রতিবছর ৩০ শতাংশ এলাকায় বছরের মাঝামাঝি বন্যা হওয়ার কথা। তার আলামত ইতিমধ্যে দেখা দিয়েছে। তবে গত এক সপ্তাহের গণমাধ্যমের খবরে দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চল কিছুটা প্লাবিত হওয়ার তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। এ ছাড়া চর এলাকায় নদীভাঙনে ইতিমধ্যে অজস্র মানুষ ভোগান্তির মধ্যে পড়েছে।
মৌসুমি বায়ু এবার অনেক দেরিতে হওয়ায় ভারী বৃষ্টিপাত কম হয়েছে। তবে উজান থেকে আসা পানি পদ্মা, যমুনা ও তিস্তা নদীর কিছু এলাকায় উপচে পড়ছে। এ ছাড়া নদীর গতিপ্রবাহে নানারকম স্থাপনা নির্মাণ এবং প্লাবনভূমি কমে যাওয়ায় বন্যার ভোগান্তি কিছুটা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পরিস্থিতি এখনো সহনীয় হলেও আগস্টের শুরুতে অতিবর্ষণ ও উজানে ভারতের আসাম ও মেঘালয়ের পাহাড়ি ঢলে বন্যার প্রকোপ কিছুটা বাড়তে পারে। ইতিমধ্যে কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, পঞ্চগড়সহ উত্তরের জেলাগুলোর নদীর পানি বাড়তে শুরু করায় কয়েক লাখ মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় জীবনযাপন করছে। সিরাজগঞ্জ, বগুড়া ও মুন্সিগঞ্জে নদীভাঙনও স্থানীয়দের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করছে। ফরিদপুরসহ কয়েকটি এলাকায় বন্যা মোকাবিলা বাঁধের ওপর চাপ বাড়ছে। সার্বিক পরিস্থিতি বলছে, দুর্যোগ বড় না হলেও সরকারের প্রস্তুত থাকাই কর্তব্য। বিশেষ করে জরুরি ত্রাণ, আশ্রয়, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও ডায়রিয়া ঠেকানোর দিকে মনোযোগ দিতে হবে। বন্যাদুর্গত এলাকায় কাজের অভাব ঘটায় গরিব মানুষের বিকল্প আয়ের সংস্থান করতে হবে।
বন্যা একই সঙ্গে অভিশাপ ও আশীর্বাদ। নদীবাহিত পলি জমে জমেই বাংলাদেশের জন্ম। বন্যায় এই পলি সমতলে ছড়িয়ে মাটির উর্বরতাও বাড়ায়। আবার ভুল নদীশাসনে নদীগর্ভ উঁচু হওয়ায় নদী অতিরিক্ত পানি ধরে রাখতে ব্যর্থ হয় এবং হচ্ছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ নয়, চিরাচরিত পথে বন্যার সঙ্গে বসবাসের প্রস্তুতি নিয়ে রাখাই কার্যকর বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
অন্যদিকে, পানির গমনপথ দখল করে ঘরবাড়ি-স্থাপনা তৈরি হওয়ায় একদিকে বন্যার পলিসমৃদ্ধ পানি যেমন কৃষি জমিতে যেতে পারছে না, আবার কোথাও কোথাও তা জলাবদ্ধতারও জন্ম দিচ্ছে। তাই ওপর থেকে নামা পানি যাতে সহজে খাল-বিল-জলাশয়ে ছড়িয়ে বিনা বাধায় সমুদ্রে নেমে যেতে পারে, তার ব্যবস্থা নিতে হবে।
মৌসুমি বায়ু এবার অনেক দেরিতে হওয়ায় ভারী বৃষ্টিপাত কম হয়েছে। তবে উজান থেকে আসা পানি পদ্মা, যমুনা ও তিস্তা নদীর কিছু এলাকায় উপচে পড়ছে। এ ছাড়া নদীর গতিপ্রবাহে নানারকম স্থাপনা নির্মাণ এবং প্লাবনভূমি কমে যাওয়ায় বন্যার ভোগান্তি কিছুটা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পরিস্থিতি এখনো সহনীয় হলেও আগস্টের শুরুতে অতিবর্ষণ ও উজানে ভারতের আসাম ও মেঘালয়ের পাহাড়ি ঢলে বন্যার প্রকোপ কিছুটা বাড়তে পারে। ইতিমধ্যে কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, পঞ্চগড়সহ উত্তরের জেলাগুলোর নদীর পানি বাড়তে শুরু করায় কয়েক লাখ মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় জীবনযাপন করছে। সিরাজগঞ্জ, বগুড়া ও মুন্সিগঞ্জে নদীভাঙনও স্থানীয়দের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করছে। ফরিদপুরসহ কয়েকটি এলাকায় বন্যা মোকাবিলা বাঁধের ওপর চাপ বাড়ছে। সার্বিক পরিস্থিতি বলছে, দুর্যোগ বড় না হলেও সরকারের প্রস্তুত থাকাই কর্তব্য। বিশেষ করে জরুরি ত্রাণ, আশ্রয়, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও ডায়রিয়া ঠেকানোর দিকে মনোযোগ দিতে হবে। বন্যাদুর্গত এলাকায় কাজের অভাব ঘটায় গরিব মানুষের বিকল্প আয়ের সংস্থান করতে হবে।
বন্যা একই সঙ্গে অভিশাপ ও আশীর্বাদ। নদীবাহিত পলি জমে জমেই বাংলাদেশের জন্ম। বন্যায় এই পলি সমতলে ছড়িয়ে মাটির উর্বরতাও বাড়ায়। আবার ভুল নদীশাসনে নদীগর্ভ উঁচু হওয়ায় নদী অতিরিক্ত পানি ধরে রাখতে ব্যর্থ হয় এবং হচ্ছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ নয়, চিরাচরিত পথে বন্যার সঙ্গে বসবাসের প্রস্তুতি নিয়ে রাখাই কার্যকর বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
অন্যদিকে, পানির গমনপথ দখল করে ঘরবাড়ি-স্থাপনা তৈরি হওয়ায় একদিকে বন্যার পলিসমৃদ্ধ পানি যেমন কৃষি জমিতে যেতে পারছে না, আবার কোথাও কোথাও তা জলাবদ্ধতারও জন্ম দিচ্ছে। তাই ওপর থেকে নামা পানি যাতে সহজে খাল-বিল-জলাশয়ে ছড়িয়ে বিনা বাধায় সমুদ্রে নেমে যেতে পারে, তার ব্যবস্থা নিতে হবে।
No comments