জামব্রোত্তার প্রেরণা অতীত
ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হিসেবে টুর্নামেন্ট শুরু করে প্রথম রাউন্ড থেকেই বাদ পড়ার লজ্জার রেকর্ড আছে ফ্রান্সের। ১৯৯৮-এর চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স ২০০২ বিশ্বকাপে বিদায় নিয়েছিল গ্রুপ পর্ব থেকে। এবার ইতালিও কি নিতে যাচ্ছে ফরাসিদের লজ্জার ভাগ? প্যারাগুয়ের পর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও ড্র, খোদ ইতালিয়ানরাই জ্বলছে ‘বাদ’ শঙ্কার আগুনে!
তবে ইতালিয়ান খেলোয়াড়দের ভাবনাটা উল্টোই। আজ স্লোভাকিয়ার বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচের আগে বাদ পড়ার কথা চিন্তাই করছেন না ডিফেন্ডার জিয়ানলুকা জামব্রোত্তা। তাঁর দৃঢ় বিশ্বাস, ইতালি তাদের যোগ্যতা দিয়ে ঠিকই পেরিয়ে যাবে প্রথম রাউন্ডের বাধা। বাদ পড়ার প্রসঙ্গ উঠতেই সোজাসাপ্টা জানিয়ে দিয়েছেন, ‘আমরা এ নিয়ে ভাবছি না। যদি এমন কিছু ঘটেই, চিন্তাটা তখন করব। কিন্তু এই চিন্তাটা আমাদের মাথায়ই নেই। অর্ধেক খালি গ্লাস নয়, আমরা তাকিয়ে আছি অর্ধেক ভর্তি গ্লাসের দিকে।’ শঙ্কা উড়িয়ে দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত করতে হলে আজ স্লোভাকিয়ার বিপক্ষে জিততেই হবে। প্রথম দুই ম্যাচের পারফরম্যান্স বলছে, কোচ মার্সেলো লিপ্পির দলের পক্ষে কাজটি কঠিন। কিন্তু জামব্রোত্তা এতটা আত্মপ্রত্যয়ী থাকতে পারছেন কী করে? কারণ অতীত।
চারবারের চ্যাম্পিয়ন, দুবারের রানার্সআপ, একবারের তৃতীয় স্থান অধিকারী ইতালির কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলা করে বেরিয়ে আসার অভিজ্ঞতার অভাব নেই। ১৯৮২ সালে চ্যাম্পিয়ন ইতালি। অথচ গ্রুপ পর্বে তিনটি ম্যাচই ড্র করেছিল তারা। তিন ম্যাচে ড্র করেছিল আফ্রিকান দেশ ক্যামেরুনও। কিন্তু ইতালিয়ানদের সৌভাগ্য, একটি গোল বেশি করার পুরস্কার হিসেবে পা রাখে পরবর্তী রাউন্ডে। আর ফাইনালে পশ্চিম জার্মানিকে হারিয়ে শেষে তো চ্যাম্পিয়নই তারা।
১৯৭০ ও ১৯৯৪—ব্রাজিলের কাছে হেরে দুটো বিশ্বকাপেই রানার্সআপ তারা। অথচ গ্রুপ পর্বে পাড়ি দিতে হয়েছে কঠিন পথ। ১৯৭০-এ সুইডেনের বিপক্ষে জয়ের পর উরুগুয়ে, ইসরায়েলের সঙ্গে ড্র করে ইতালি। ১৯৯৪ বিশ্বকাপে ভাগ্যটা আরও ভালো। গ্রুপের চার দলেরই এক অবস্থা—এক জয়, এক ড্র, এক হারে পয়েন্ট সমান ৪ করে। সেরা তৃতীয় দলের একটি হওয়ায় পরবর্তী রাউন্ডে জায়গা পায় ইতালি।
পেছনে এমন জ্বলজ্বলে অতীত আছে বলেই কি না জামব্রোত্তা বলছেন, ‘এবারই প্রথম এই ধরনের ম্যাচের মুখোমুখি হচ্ছি না আমরা। আমরা জানি এই ম্যাচের গুরুত্ব। এবং ম্যাচে আমরা সবকিছুই ঢেলে দেব।’ ২০০৬ বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য ৩৩ বছর বয়সী এই ডিফেন্ডার এতটাই আত্মবিশ্বাসী যেন ইতালির ভয়-শঙ্কা কিছুই নেই! বলেছেন, ‘ভয় পাচ্ছি না। আমরা বরং খুবই আত্মবিশ্বাসী। আমরা পরবর্তী রাউন্ডে যাবই। আমাদের ভালো করার দারুণ সুযোগ আছে। আমাদের শুধু ডেড বলে গোল ঠেকানোর কাজটি রপ্ত করতে হবে। কারণ আমরা দুই ম্যাচেই ডেড বলে গোল খেয়েছি।’
শেষে বলেছেন আসল কথাটা, ‘আমাদের কোনো জাদু নেই। আমাদের আরও সাবধানী হতে হবে এবং প্রতিপক্ষ সম্পর্কে সচেতন থাকবে হবে।’
তবে ইতালিয়ান খেলোয়াড়দের ভাবনাটা উল্টোই। আজ স্লোভাকিয়ার বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচের আগে বাদ পড়ার কথা চিন্তাই করছেন না ডিফেন্ডার জিয়ানলুকা জামব্রোত্তা। তাঁর দৃঢ় বিশ্বাস, ইতালি তাদের যোগ্যতা দিয়ে ঠিকই পেরিয়ে যাবে প্রথম রাউন্ডের বাধা। বাদ পড়ার প্রসঙ্গ উঠতেই সোজাসাপ্টা জানিয়ে দিয়েছেন, ‘আমরা এ নিয়ে ভাবছি না। যদি এমন কিছু ঘটেই, চিন্তাটা তখন করব। কিন্তু এই চিন্তাটা আমাদের মাথায়ই নেই। অর্ধেক খালি গ্লাস নয়, আমরা তাকিয়ে আছি অর্ধেক ভর্তি গ্লাসের দিকে।’ শঙ্কা উড়িয়ে দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত করতে হলে আজ স্লোভাকিয়ার বিপক্ষে জিততেই হবে। প্রথম দুই ম্যাচের পারফরম্যান্স বলছে, কোচ মার্সেলো লিপ্পির দলের পক্ষে কাজটি কঠিন। কিন্তু জামব্রোত্তা এতটা আত্মপ্রত্যয়ী থাকতে পারছেন কী করে? কারণ অতীত।
চারবারের চ্যাম্পিয়ন, দুবারের রানার্সআপ, একবারের তৃতীয় স্থান অধিকারী ইতালির কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলা করে বেরিয়ে আসার অভিজ্ঞতার অভাব নেই। ১৯৮২ সালে চ্যাম্পিয়ন ইতালি। অথচ গ্রুপ পর্বে তিনটি ম্যাচই ড্র করেছিল তারা। তিন ম্যাচে ড্র করেছিল আফ্রিকান দেশ ক্যামেরুনও। কিন্তু ইতালিয়ানদের সৌভাগ্য, একটি গোল বেশি করার পুরস্কার হিসেবে পা রাখে পরবর্তী রাউন্ডে। আর ফাইনালে পশ্চিম জার্মানিকে হারিয়ে শেষে তো চ্যাম্পিয়নই তারা।
১৯৭০ ও ১৯৯৪—ব্রাজিলের কাছে হেরে দুটো বিশ্বকাপেই রানার্সআপ তারা। অথচ গ্রুপ পর্বে পাড়ি দিতে হয়েছে কঠিন পথ। ১৯৭০-এ সুইডেনের বিপক্ষে জয়ের পর উরুগুয়ে, ইসরায়েলের সঙ্গে ড্র করে ইতালি। ১৯৯৪ বিশ্বকাপে ভাগ্যটা আরও ভালো। গ্রুপের চার দলেরই এক অবস্থা—এক জয়, এক ড্র, এক হারে পয়েন্ট সমান ৪ করে। সেরা তৃতীয় দলের একটি হওয়ায় পরবর্তী রাউন্ডে জায়গা পায় ইতালি।
পেছনে এমন জ্বলজ্বলে অতীত আছে বলেই কি না জামব্রোত্তা বলছেন, ‘এবারই প্রথম এই ধরনের ম্যাচের মুখোমুখি হচ্ছি না আমরা। আমরা জানি এই ম্যাচের গুরুত্ব। এবং ম্যাচে আমরা সবকিছুই ঢেলে দেব।’ ২০০৬ বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য ৩৩ বছর বয়সী এই ডিফেন্ডার এতটাই আত্মবিশ্বাসী যেন ইতালির ভয়-শঙ্কা কিছুই নেই! বলেছেন, ‘ভয় পাচ্ছি না। আমরা বরং খুবই আত্মবিশ্বাসী। আমরা পরবর্তী রাউন্ডে যাবই। আমাদের ভালো করার দারুণ সুযোগ আছে। আমাদের শুধু ডেড বলে গোল ঠেকানোর কাজটি রপ্ত করতে হবে। কারণ আমরা দুই ম্যাচেই ডেড বলে গোল খেয়েছি।’
শেষে বলেছেন আসল কথাটা, ‘আমাদের কোনো জাদু নেই। আমাদের আরও সাবধানী হতে হবে এবং প্রতিপক্ষ সম্পর্কে সচেতন থাকবে হবে।’
No comments