আসল কাজটা স্ট্রাইকারদের
ইতালির সামনে এখন ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত। গ্রুপ পর্ব থেকেই ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের বিদায় নেওয়ার শঙ্কা। প্যারাগুয়ে আর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুটো হতাশাজনক ড্রয়ের পর আজ স্লোভাকিয়ার মুখোমুখি তারা। জটিল হিসাবের সমীকরণ আছে, তবে আমি চাই, ইতালি জয় দিয়েই উঠে যাক দ্বিতীয় রাউন্ডে। দলের বেহাল দশা কাটিয়ে উঠতে কোচ মার্সেলো লিপ্পি বিভিন্ন ছকে খেলিয়ে দেখেছেন। অবশ্য একটা জায়গায় তিনি কোনো পরিবর্তন আনেননি। রক্ষণের চার সেনানী ক্যানাভারো, জামব্রোত্তা, চিয়েলিনি আর ক্রিসিতো। মাঝমাঠেও আমি কোনো সমস্যা দেখি না। সেখানে মন্তোলিভো-পেপেরা ভালোই তো খেলছে। ইতালির সমস্যা আসলে তাদের আক্রমণভাগে।
নিজে স্ট্রাইকার ছিলাম বলে জানি, আসল কাজটা স্ট্রাইকারদেরই করতে হয়। না হলে দলের সামগ্রিক প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যায়। জিলার্দিনো, ইকুইন্তা, ডি নাতালে ও পাজ্জিনিদের কারণে যে সমস্যায় এখন ইতালি ভুগছে। গোল করতে পারছে না চ্যাম্পিয়নরা। এমন সময় মাঠের বাইরে বসে আছে আন্দ্রে পিরলো। বাকি স্ট্রাইকাররা দলের প্রাপ্যটা মিটিয়ে দিতে ব্যর্থ।
স্লোভাকিয়া মাত্র একটি পয়েন্ট পেয়েছে। ইতালিকে হারালে এখনো তাদের পক্ষে দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়া সম্ভব। ওদের মাঝমাঠের শিল্পী হামসিক তো আমাকে মুগ্ধ করেই যাচ্ছে। ফরোয়ার্ড ভেইসও নজর কেড়েছে। এবং ওরা আজ একটা অঘটনের স্বপ্ন নিয়েই মাঠে নামবে। ইতালির আক্রমণাত্মক মেজাজে খেলার সুযোগ নিতে চাইবে স্লোভাকিয়া। কোনোমতে একটা গোল আদায়ের সন্ধানে থাকে ওরা।
ড্র করলেও প্যারাগুয়ের দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত, জিতলে তো কথাই নেই। তবে যতটা সহজ মনে হচ্ছে কাজটা কিন্তু ততটাই কঠিন। আগের দুই ম্যাচ থেকে দুটো পয়েন্ট কুড়িয়ে এনেছে ইতালি। আজ জিতলে দ্বিতীয় রাউন্ডে চলে যাবে ওরা। প্যারাগুয়েকেই অবশ্য আমার ফেবারিট মনে হচ্ছে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লড়াইয়ে। আক্রমণভাগে সান্তা ক্রুজ, ভালদেসের মতো খেলোয়াড় আছে ওদের। মাঝমাঠে রিভেরস আর ভেরা। তবে কিউইরাও প্রমাণ করে দিয়েছে, ওরা ‘অংশগ্রহণই বড় কথা’র মন্ত্রেই তৃপ্ত নয়। আরও বড় কিছু করে দেখাতে চায়।
নিউজিল্যান্ড দলে সে রকম কোনো তারকা নেই। বেশির ভাগ ফুটবলারই পুরোপুরি পেশাদারও নয়। হয়তো তাদের সেই মাপের প্রতিভাও নেই। তবে বড় একটা হূদয় তাদের আছে। ইতালির বিপক্ষে ওদের সেন্টারব্যাক নেলসেন আর গোলরক্ষক প্যাস্টন তো দুর্দান্ত খেলল। স্মেলজ আর কিলেন ইতালির রক্ষণদুর্গে বেশ কবারই হামলা চালিয়েছে।
ডেনমার্ক আর জাপানও অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইয়ে মুখোমুখি। দুই দলেরই পয়েন্ট ৩। জাপান অবশ্য গোল ব্যবধানের হিসাবে এগিয়ে আছে। ফলে ড্র করলেও ওরা চলে যাবে। হল্যান্ডের কাছে হেরে যাওয়ার পর ডেনমার্ক দেখলাম ওদের দুর্বলতাগুলো সম্পর্কে বেশ সজাগ। সেটারই ফল তারা পেয়েছে ক্যামেরুনের বিপক্ষে ২-১ গোলের জয়ে। জাপানও হল্যান্ডের কাছে হেরেছে, জিতেছে ক্যামেরুনের বিপক্ষে।
জাপানের খেলার ধরনটাই হলো আঁটসাঁট ডিফেন্স, পাল্টা আক্রমণ। হোন্ডা আর ওকুবু দুজনই বিপজ্জনক। ডেনমার্ক অবশ্য ওদের তুলনায় অনেক বেশি আক্রমণাত্মক। বেন্টনার, টমাসন, রোমেদাল...আক্রমণভাগে একঝাঁক প্রতিভাবান খেলোয়াড়। কোচ ওলসেন তাঁর দলকে এমনভাবে অনুপ্রাণিত করেছেন, ওদের আর হারানোর কিছু নেই, যা আছে তা শুধুই পাওয়ার। তবে জাপানিদের আছে গতি, আর আছে হোন্ডা নামের একটা ইঞ্জিন।
ক্যামেরুনের জন্য খারাপই লাগছে। শেষ ম্যাচটা ওদের জন্য নিয়মরক্ষার। অবশ্য এই ম্যাচ থেকে মাথা উঁচু করে বিদায় নেওয়ার রসদ খুঁজে নিতে পারে ওরা। কিন্তু প্রতিপক্ষ হল্যান্ড বলে স্যামুয়েল ইতো কতটা কী করতে পারে, সেটাই এখন দেখার।
নিজে স্ট্রাইকার ছিলাম বলে জানি, আসল কাজটা স্ট্রাইকারদেরই করতে হয়। না হলে দলের সামগ্রিক প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যায়। জিলার্দিনো, ইকুইন্তা, ডি নাতালে ও পাজ্জিনিদের কারণে যে সমস্যায় এখন ইতালি ভুগছে। গোল করতে পারছে না চ্যাম্পিয়নরা। এমন সময় মাঠের বাইরে বসে আছে আন্দ্রে পিরলো। বাকি স্ট্রাইকাররা দলের প্রাপ্যটা মিটিয়ে দিতে ব্যর্থ।
স্লোভাকিয়া মাত্র একটি পয়েন্ট পেয়েছে। ইতালিকে হারালে এখনো তাদের পক্ষে দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়া সম্ভব। ওদের মাঝমাঠের শিল্পী হামসিক তো আমাকে মুগ্ধ করেই যাচ্ছে। ফরোয়ার্ড ভেইসও নজর কেড়েছে। এবং ওরা আজ একটা অঘটনের স্বপ্ন নিয়েই মাঠে নামবে। ইতালির আক্রমণাত্মক মেজাজে খেলার সুযোগ নিতে চাইবে স্লোভাকিয়া। কোনোমতে একটা গোল আদায়ের সন্ধানে থাকে ওরা।
ড্র করলেও প্যারাগুয়ের দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত, জিতলে তো কথাই নেই। তবে যতটা সহজ মনে হচ্ছে কাজটা কিন্তু ততটাই কঠিন। আগের দুই ম্যাচ থেকে দুটো পয়েন্ট কুড়িয়ে এনেছে ইতালি। আজ জিতলে দ্বিতীয় রাউন্ডে চলে যাবে ওরা। প্যারাগুয়েকেই অবশ্য আমার ফেবারিট মনে হচ্ছে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লড়াইয়ে। আক্রমণভাগে সান্তা ক্রুজ, ভালদেসের মতো খেলোয়াড় আছে ওদের। মাঝমাঠে রিভেরস আর ভেরা। তবে কিউইরাও প্রমাণ করে দিয়েছে, ওরা ‘অংশগ্রহণই বড় কথা’র মন্ত্রেই তৃপ্ত নয়। আরও বড় কিছু করে দেখাতে চায়।
নিউজিল্যান্ড দলে সে রকম কোনো তারকা নেই। বেশির ভাগ ফুটবলারই পুরোপুরি পেশাদারও নয়। হয়তো তাদের সেই মাপের প্রতিভাও নেই। তবে বড় একটা হূদয় তাদের আছে। ইতালির বিপক্ষে ওদের সেন্টারব্যাক নেলসেন আর গোলরক্ষক প্যাস্টন তো দুর্দান্ত খেলল। স্মেলজ আর কিলেন ইতালির রক্ষণদুর্গে বেশ কবারই হামলা চালিয়েছে।
ডেনমার্ক আর জাপানও অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইয়ে মুখোমুখি। দুই দলেরই পয়েন্ট ৩। জাপান অবশ্য গোল ব্যবধানের হিসাবে এগিয়ে আছে। ফলে ড্র করলেও ওরা চলে যাবে। হল্যান্ডের কাছে হেরে যাওয়ার পর ডেনমার্ক দেখলাম ওদের দুর্বলতাগুলো সম্পর্কে বেশ সজাগ। সেটারই ফল তারা পেয়েছে ক্যামেরুনের বিপক্ষে ২-১ গোলের জয়ে। জাপানও হল্যান্ডের কাছে হেরেছে, জিতেছে ক্যামেরুনের বিপক্ষে।
জাপানের খেলার ধরনটাই হলো আঁটসাঁট ডিফেন্স, পাল্টা আক্রমণ। হোন্ডা আর ওকুবু দুজনই বিপজ্জনক। ডেনমার্ক অবশ্য ওদের তুলনায় অনেক বেশি আক্রমণাত্মক। বেন্টনার, টমাসন, রোমেদাল...আক্রমণভাগে একঝাঁক প্রতিভাবান খেলোয়াড়। কোচ ওলসেন তাঁর দলকে এমনভাবে অনুপ্রাণিত করেছেন, ওদের আর হারানোর কিছু নেই, যা আছে তা শুধুই পাওয়ার। তবে জাপানিদের আছে গতি, আর আছে হোন্ডা নামের একটা ইঞ্জিন।
ক্যামেরুনের জন্য খারাপই লাগছে। শেষ ম্যাচটা ওদের জন্য নিয়মরক্ষার। অবশ্য এই ম্যাচ থেকে মাথা উঁচু করে বিদায় নেওয়ার রসদ খুঁজে নিতে পারে ওরা। কিন্তু প্রতিপক্ষ হল্যান্ড বলে স্যামুয়েল ইতো কতটা কী করতে পারে, সেটাই এখন দেখার।
No comments