এশিয়ার গর্ব দক্ষিণ কোরিয়া
কাছাকাছিই ছিলেন তাঁরা চারজন। ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গে চারজনই হাঁটু গেড়ে বসে পড়লেন। নিদারুণ হতাশায় মাথা নুইয়ে পড়ল দুজনের, বাকি দুজন দুই হাত তুলে শুরু করলেন প্রার্থনা। ম্যাচ ড্র হয়েছে ২-২ গোলে, কিন্তু নাইজেরিয়া-দক্ষিণ কোরিয়া ম্যাচ শেষে দুই দলের চিত্র ছিল এমনই উল্টো। দ্বিতীয়বারের মতো দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠে ‘এশিয়ার টাইগার’রা ছিল আনন্দে উদ্বেল, আর আফ্রিকার বিশ্বকাপে বাদ পড়ার পর ‘সুপার ইগল’রা ছিল হতাশায় মুহ্যমান।
শেষ ষোলোয় যেতে নাইজেরিয়ার জয়ের কোনো বিকল্প ছিল না। দক্ষিণ কোরিয়ার ড্র হলেও চলে, তবে নিশ্চিত করতে প্রয়োজন ছিল জয়। দুই দলই তাই জয়ের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, আর এতেই ম্যাচটি হয়ে উঠে এখনো পর্যন্ত এই বিশ্বকাপের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ম্যাচগুলোর একটি। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণের ম্যাচে যেমন গোল হয়েছে চারটি, তেমনি মিসও হয়েছে অসংখ্য। নাইজেরিয়ার কয়েকটি মিস এমনই দৃষ্টিকটু ছিল যে বাদ পড়ার জন্য কেবল নিজেদেরই দায়ী করতে পারে তারা। ১২ মিনিটে চিডি ওদিয়াহর দুর্দান্ত পাসে পা লাগিয়ে নাইজেরিয়াকে এগিয়ে দেন কালু উচে। ৩৮ মিনিটে লি জাং সুংয়ের গোলে সমতা ফেরায় কোরীয়রা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আগের ম্যাচের আত্মঘাতী গোলদাতা পার্ক চু ইয়ংয়ের ফ্রি কিক এগিয়ে দেয় কোরিয়াকে, সমতা ফেরে ইয়াকুবু আইয়েগবানির পেনাল্টিতে।
এই ড্রয়ে জয়ের চেয়েও বেশি কিছু পেয়ে আনন্দে ভেসে যাচ্ছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার সবচেয়ে বড় তারকা পার্ক জি সুং, ‘আমরা ইতিহাস সৃষ্টি করেছি, এই প্রথম দেশের বাইরে আমরা দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠলাম। আমি সত্যিই ভীষণ খুশি, দলের সবাই খুশি।’ ১৯৫৪ বিশ্বকাপ দিয়ে ফুটবলের সর্বোচ্চ আসরে দক্ষিণ কোরিয়ার যাত্রা শুরু। হাঙ্গেরির বিপক্ষে ৯ আর তুরস্কের বিপক্ষে ৭ গোল খেয়ে বিশ্বকাপ অভিষেকটা হয়েছিল দুঃস্বপ্নের মতো। তবে থমকে যায়নি তাদের ফুটবল, এশিয়া থেকে সবচেয়ে বেশি, অষ্টমবার বিশ্বকাপ খেলছে তারা। ২০০২ বিশ্বকাপে নিজেদের মাটিতে খেলেছে সেমিফাইনাল। এবার অন্য মহাদেশের বিশ্বকাপে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠে প্রমাণ করল কতটা এগিয়েছে তাদের ফুটবল। দলের সাফল্যে আনন্দের বন্যা বয়ে যাচ্ছে পুরো দক্ষিণ কোরিয়ায়, দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট লি মিউং-বাক।
দলের মিডফিল্ডার কি সুং-ইয়ংয়ের এখন প্রত্যাশা, এশিয়ার অন্য দলগুলো অনুসরণ করবে তাদের, ‘আমি চাই, এশিয়ার দলগুলো দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলবে। এশিয়ার দলগুলো অনেক উন্নতি করেছে। এখন জাপানও যদি দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠে, তাহলে দারুণ হবে।
শেষ ষোলোয় যেতে নাইজেরিয়ার জয়ের কোনো বিকল্প ছিল না। দক্ষিণ কোরিয়ার ড্র হলেও চলে, তবে নিশ্চিত করতে প্রয়োজন ছিল জয়। দুই দলই তাই জয়ের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, আর এতেই ম্যাচটি হয়ে উঠে এখনো পর্যন্ত এই বিশ্বকাপের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ম্যাচগুলোর একটি। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণের ম্যাচে যেমন গোল হয়েছে চারটি, তেমনি মিসও হয়েছে অসংখ্য। নাইজেরিয়ার কয়েকটি মিস এমনই দৃষ্টিকটু ছিল যে বাদ পড়ার জন্য কেবল নিজেদেরই দায়ী করতে পারে তারা। ১২ মিনিটে চিডি ওদিয়াহর দুর্দান্ত পাসে পা লাগিয়ে নাইজেরিয়াকে এগিয়ে দেন কালু উচে। ৩৮ মিনিটে লি জাং সুংয়ের গোলে সমতা ফেরায় কোরীয়রা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আগের ম্যাচের আত্মঘাতী গোলদাতা পার্ক চু ইয়ংয়ের ফ্রি কিক এগিয়ে দেয় কোরিয়াকে, সমতা ফেরে ইয়াকুবু আইয়েগবানির পেনাল্টিতে।
এই ড্রয়ে জয়ের চেয়েও বেশি কিছু পেয়ে আনন্দে ভেসে যাচ্ছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার সবচেয়ে বড় তারকা পার্ক জি সুং, ‘আমরা ইতিহাস সৃষ্টি করেছি, এই প্রথম দেশের বাইরে আমরা দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠলাম। আমি সত্যিই ভীষণ খুশি, দলের সবাই খুশি।’ ১৯৫৪ বিশ্বকাপ দিয়ে ফুটবলের সর্বোচ্চ আসরে দক্ষিণ কোরিয়ার যাত্রা শুরু। হাঙ্গেরির বিপক্ষে ৯ আর তুরস্কের বিপক্ষে ৭ গোল খেয়ে বিশ্বকাপ অভিষেকটা হয়েছিল দুঃস্বপ্নের মতো। তবে থমকে যায়নি তাদের ফুটবল, এশিয়া থেকে সবচেয়ে বেশি, অষ্টমবার বিশ্বকাপ খেলছে তারা। ২০০২ বিশ্বকাপে নিজেদের মাটিতে খেলেছে সেমিফাইনাল। এবার অন্য মহাদেশের বিশ্বকাপে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠে প্রমাণ করল কতটা এগিয়েছে তাদের ফুটবল। দলের সাফল্যে আনন্দের বন্যা বয়ে যাচ্ছে পুরো দক্ষিণ কোরিয়ায়, দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট লি মিউং-বাক।
দলের মিডফিল্ডার কি সুং-ইয়ংয়ের এখন প্রত্যাশা, এশিয়ার অন্য দলগুলো অনুসরণ করবে তাদের, ‘আমি চাই, এশিয়ার দলগুলো দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলবে। এশিয়ার দলগুলো অনেক উন্নতি করেছে। এখন জাপানও যদি দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠে, তাহলে দারুণ হবে।
No comments