অশান্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস
একটি মামলাকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে গত কয়েক দিনে যে সংঘর্ষ, মিছিল-পাল্টা মিছিল, হুমকি-পাল্টা হুমকির ঘটনা ঘটেছে, তা দুঃখজনক। সোমবার মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রলীগের হামলায় ছাত্রদলের ২৫ নেতা-কর্মী আহত হন। ছাত্রলীগের দাবি, তাদের নেতা-কর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা করেছে ছাত্রদল এবং তারা মামলা প্রত্যাহারের অনুরোধ জানালেও তাতে কর্ণপাত করেনি ছাত্রসংগঠনটি। কারও বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হলে আইনি প্রক্রিয়ায় তার সমাধান করা যেত। কিন্তু তা না করে ছাত্রলীগ সহিংস পথ কেন বেছে নিল? হামলার প্রতিবাদে ছাত্রদল আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করে বলেছে, ৩০ জুনের মধ্যে তিন দফা দাবি মানা না হলে ১ জুলাই থেকে তারা লাগাতার ধর্মঘট পালন করবে।
হামলার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে পাঁচ ছাত্রকে কারণ দর্শাও নোটিশ দিয়েছে। এটি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রাথমিক পদক্ষেপ। মঙ্গলবার দুই বিবদমান ছাত্রসংগঠনই মিছিল করে পরস্পরের বিরুদ্ধে ক্যাম্পাসে অশান্ত পরিস্থিতি সৃষ্টির অভিযোগ এনেছে। সে ক্ষেত্রে ক্যাম্পাসে নতুন করে সংঘাত-সংঘর্ষের আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কর্তব্য হবে অবিলম্বে দুই ছাত্রসংগঠনের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে ক্যাম্পাসে শান্তিশৃঙ্খলা নিশ্চিত করা। ছাত্রসংগঠনগুলোকে বুঝতে হবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস পেশিশক্তি প্রদর্শনের স্থান নয়। কোনো নেতা বা কর্মী, তিনি যে ছাত্রসংগঠনেরই হোক না কেন, তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে কাউকে ছাড় দেওয়া যাবে না। ছাত্রলীগের যেসব কর্মী হামলা করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। অন্যদিকে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কেউ বিশ্ববিদ্যালয় অচল করে দিতে চাইলে তাও শক্ত হাতে ঠেকাতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকবে, এটাই সবাই আশা করেন। ক্যাম্পাসে ছাত্রসংগঠনগুলোর সহাবস্থানই কাম্য।
হামলার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে পাঁচ ছাত্রকে কারণ দর্শাও নোটিশ দিয়েছে। এটি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রাথমিক পদক্ষেপ। মঙ্গলবার দুই বিবদমান ছাত্রসংগঠনই মিছিল করে পরস্পরের বিরুদ্ধে ক্যাম্পাসে অশান্ত পরিস্থিতি সৃষ্টির অভিযোগ এনেছে। সে ক্ষেত্রে ক্যাম্পাসে নতুন করে সংঘাত-সংঘর্ষের আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কর্তব্য হবে অবিলম্বে দুই ছাত্রসংগঠনের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে ক্যাম্পাসে শান্তিশৃঙ্খলা নিশ্চিত করা। ছাত্রসংগঠনগুলোকে বুঝতে হবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস পেশিশক্তি প্রদর্শনের স্থান নয়। কোনো নেতা বা কর্মী, তিনি যে ছাত্রসংগঠনেরই হোক না কেন, তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে কাউকে ছাড় দেওয়া যাবে না। ছাত্রলীগের যেসব কর্মী হামলা করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। অন্যদিকে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কেউ বিশ্ববিদ্যালয় অচল করে দিতে চাইলে তাও শক্ত হাতে ঠেকাতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকবে, এটাই সবাই আশা করেন। ক্যাম্পাসে ছাত্রসংগঠনগুলোর সহাবস্থানই কাম্য।
No comments