শ্রীলঙ্কায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তদন্তে প্যানেল নিয়োগ
শ্রীলঙ্কায় গৃহযুদ্ধের শেষ দিনগুলোতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তদন্তে জাতিসংঘ গত মঙ্গলবার একটি প্যানেল নিয়োগ করেছে। জাতিসংঘের এই সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়ে শ্রীলঙ্কার সরকার বলেছে, এটি তামিল গেরিলা সংগঠন লিবারেশন টাইগার্স অব তামিল ইলমকে (এলটিটিই) চাঙা করে তোলার উদ্যোগ।
শ্রীলঙ্কায় গৃহযুদ্ধ চলাকালে সেনাসদস্যরা হাজার হাজার বেসামরিক তামিল নাগরিককে হত্যা করে বলে জোরালো অভিযোগ রয়েছে। এ অভিযোগ তদন্তের জন্য আন্তর্জাতিক চাপের মুখে জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন এই প্যানেল গঠন করেন।
গত মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের মুখপাত্র মার্টিন নেসিরকি বলেন, ইন্দোনেশিয়ার সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল মারজুকি দারুসমানকে এই প্যানেলের চেয়ারম্যান করা হয়েছে। চার মাসের মধ্যে এই প্যানেল তদন্তকাজ শেষ করবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে শ্রীলঙ্কার একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, সে দেশে গৃহযুদ্ধের শেষ দিনগুলোতে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও এ সংক্রান্ত আইন লঙ্ঘনের যে কঠোর অভিযোগ উঠেছে, তা তদন্ত করে এ ব্যাপারে প্রতিবেদন দিতে একটি প্যানেল নিয়োগ করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন। ইন্দোনেশিয়ার সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল মারজুকি দারুসমানকে এই প্যানেলের প্রধান করা হয়েছে।
শ্রীলঙ্কার ওই কর্মকর্তা বলেন, দারুসমানকে প্যানেলের প্রধান করা নিরপেক্ষ হয়নি। ২০০৮ সালের এপ্রিলে শ্রীলঙ্কায় মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে ইন্টারন্যাশনাল ইন্ডিপেনডেন্ট গ্রুপ অব ইমিনেন্ট পারসনসের যে তদন্তদলটি আসে, এর অন্যতম সদস্য ছিলেন দারুসমান। স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে বিরোধের জের ধরে তারা তদন্ত থেকে সরে দাঁড়ান। কাজেই এই প্যানেলে আবার তাঁকে নিয়ে আসার ঘটনা শ্রীলঙ্কার স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে বড় ধরনের বিরোধ সৃষ্টি করতে পারে। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে শ্রীলঙ্কার সরকার পরে আনুষ্ঠানিকভাবে আপত্তি জানাতে পারে।
গতকাল বুধবার শ্রীলঙ্কার সরকার জাতিসংঘের এই তদন্তের উদ্যোগকে গোপন কর্মসূচি বলে আখ্যা দিয়েছে। সরকারের মুখপাত্র কেহেলিয়া রামবুকওয়েলা সরকারি ওয়েবসাইটে বলেন, এটি হচ্ছে এলটিটিইকে অক্সিজেন দেওয়ার উদ্যোগ।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের আন্তর্জাতিক অ্যাডভোকেসি ডিরেক্টর পেগি হিকস জাতিসংঘের এই প্যানেলকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এটি জলের মতো পরিষ্কার যে শ্রীলঙ্কার সরকার যুদ্ধকালীন অপরাধ ও নির্যাতনের ঘটনা তদন্তের ব্যাপারে অনিচ্ছুক।
শ্রীলঙ্কায় গৃহযুদ্ধ চলাকালে সেনাসদস্যরা হাজার হাজার বেসামরিক তামিল নাগরিককে হত্যা করে বলে জোরালো অভিযোগ রয়েছে। এ অভিযোগ তদন্তের জন্য আন্তর্জাতিক চাপের মুখে জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন এই প্যানেল গঠন করেন।
গত মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের মুখপাত্র মার্টিন নেসিরকি বলেন, ইন্দোনেশিয়ার সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল মারজুকি দারুসমানকে এই প্যানেলের চেয়ারম্যান করা হয়েছে। চার মাসের মধ্যে এই প্যানেল তদন্তকাজ শেষ করবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে শ্রীলঙ্কার একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, সে দেশে গৃহযুদ্ধের শেষ দিনগুলোতে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও এ সংক্রান্ত আইন লঙ্ঘনের যে কঠোর অভিযোগ উঠেছে, তা তদন্ত করে এ ব্যাপারে প্রতিবেদন দিতে একটি প্যানেল নিয়োগ করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন। ইন্দোনেশিয়ার সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল মারজুকি দারুসমানকে এই প্যানেলের প্রধান করা হয়েছে।
শ্রীলঙ্কার ওই কর্মকর্তা বলেন, দারুসমানকে প্যানেলের প্রধান করা নিরপেক্ষ হয়নি। ২০০৮ সালের এপ্রিলে শ্রীলঙ্কায় মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে ইন্টারন্যাশনাল ইন্ডিপেনডেন্ট গ্রুপ অব ইমিনেন্ট পারসনসের যে তদন্তদলটি আসে, এর অন্যতম সদস্য ছিলেন দারুসমান। স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে বিরোধের জের ধরে তারা তদন্ত থেকে সরে দাঁড়ান। কাজেই এই প্যানেলে আবার তাঁকে নিয়ে আসার ঘটনা শ্রীলঙ্কার স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে বড় ধরনের বিরোধ সৃষ্টি করতে পারে। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে শ্রীলঙ্কার সরকার পরে আনুষ্ঠানিকভাবে আপত্তি জানাতে পারে।
গতকাল বুধবার শ্রীলঙ্কার সরকার জাতিসংঘের এই তদন্তের উদ্যোগকে গোপন কর্মসূচি বলে আখ্যা দিয়েছে। সরকারের মুখপাত্র কেহেলিয়া রামবুকওয়েলা সরকারি ওয়েবসাইটে বলেন, এটি হচ্ছে এলটিটিইকে অক্সিজেন দেওয়ার উদ্যোগ।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের আন্তর্জাতিক অ্যাডভোকেসি ডিরেক্টর পেগি হিকস জাতিসংঘের এই প্যানেলকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এটি জলের মতো পরিষ্কার যে শ্রীলঙ্কার সরকার যুদ্ধকালীন অপরাধ ও নির্যাতনের ঘটনা তদন্তের ব্যাপারে অনিচ্ছুক।
No comments