বিক্ষোভকারীদের হটাতে আদালতের আদেশ চাইবে থাই সরকার
থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের পর্যটনস্থল থেকে লাল শার্ট পরা বিক্ষোভকারীদের হটিয়ে দিতে আজ সোমবার আদালতের আদেশ চেয়ে আবেদন করবে দেশটির সরকার। সংঘর্ষ এড়াতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নমনীয় থাকলেও আদালতের আদেশ প্রার্থনার সিদ্ধান্ত সরকারের কঠোর অবস্থানে যাওয়ার পূর্বাভাস হিসেবে দেখা হচ্ছে। তবে গণগ্রেপ্তারের হুমকি সত্ত্বেও গতকাল লক্ষাধিক ‘লাল শার্টধারী’ আইন ভেঙে পর্যটন এলাকায় শক্ত অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছে। খবর এএফপির।
তিন সপ্তাহ ধরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার অনুসারীরা পার্লামেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনসহ ব্যাংককের প্রধান প্রধান কার্যালয় অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে। কয়েক দিন আগে তারা ব্যাংককের পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে অবস্থান নিতে শুরু করে। গতকাল তারা সেখানে পর্যটকদের থাকার স্থান পাঁচতারকা হোটেল ও সুপারমার্কেটগুলো বন্ধ করে দেয়। অস্থায়ী মঞ্চ বানিয়ে তারা সেখানে সভা-সমাবেশও করে। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য সরকার প্রয়োজনে বল প্রয়োগ করতে আদালতের আদেশ চাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
থাইল্যান্ডের উপপ্রধানমন্ত্রী সুথেপ থাউগসুবান গতকাল বলেছেন, বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেওয়ার জন্য তাঁদের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে সরকার আদালতের আদেশ চেয়ে আবেদন করবে। তিনি বলেন, সরকারের আইন বিশেষজ্ঞরা আবেদনের খসড়া তৈরি করছেন। আজ সোমবার আদালতে ওই আবেদন পেশ করা হবে। আদেশ পাওয়ার পর সরকার তার পরবর্তী কর্তব্য ঠিক করবে।
উপপ্রধানমন্ত্রী বলেন, সংঘর্ষের ঝুঁকি থাকায় তাঁরা জোরজবরদস্তি এড়াতে চান। তবে পরিস্থিতির কারণে সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে পাঠানো হতে পারে।
পুলিশ বলেছে, গত শনিবার ৬০ হাজার বিক্ষোভকারী ছিল। প্রায় ৩০ হাজার লোক এখনো রাজপথে সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছে। তবে বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলেছে, গতকাল সেখানে লক্ষাধিক লোকের জমায়েত হয়েছিল। সরকার তাদের ঘরে ফিরে যেতে বললেও আন্দোলন থেকে তাদের সরে আসার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
পর্যটন-বাণিজ্য হুমকির মুখে পড়তে পারে বলে সরকার কয়েক দিন আগে পর্যটনস্থলে বিক্ষোভ করার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে এক বছরের জেল হবে বলেও সরকারের পক্ষ থেকে হুমকি দেওয়া হয়। কিন্তু সেই হুমকি কোনো কাজে আসেনি। গতকাল বিক্ষোভকারীরা পর্যটনস্থলের বিভিন্ন বিপণিকেন্দ্র বন্ধ করে দেয়। আন্দোলনকারীদের অন্যতম নেতা জতুপর্ন প্রমপ্যান গতকাল বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যে বলেছেন, বিক্ষোভকারীদের ধরপাকড়ের সাহস প্রধানমন্ত্রী অভিজিতের নেই। তাদের ওপর যদি গুলি চলে, তাহলে তা তাঁর জন্য ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনবে।
আন্দোলনকারীদের বেশির ভাগই গ্রামাঞ্চলের দরিদ্র কৃষক। সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার সমর্থক এই বিক্ষোভকারীরা ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী অভিজিত্ ভেজ্জাজিভার সরকারকে বুর্জোয়াবান্ধব হিসেবে মনে করছে বলে গণমাধ্যমগুলোতে বলা হচ্ছে। তারা অবিলম্বে পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে নতুন নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছে। ইতিমধ্যে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর দুই দফা বৈঠক হলেও সমঝোতা ছাড়াই সে বৈঠক শেষ হয়ে যায়। প্রধানমন্ত্রী ভেজ্জাজিভা এক টেলিভিশন ভাষণে বিক্ষোভকারীদের পর্যটনস্থল ছেড়ে বিক্ষোভের জন্য নির্ধারিত স্থানে চলে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, কিছু লোক সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করার চেষ্টা করছে। কিন্তু সরকার নমনীয় অবস্থানে থাকার চেষ্টা করবে।
উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ চাইয়াপুম থেকে আসা কাম্পা ন’গাওকোর নামের ৫৫ বছর বয়সী এক বিক্ষোভকারী গতকাল বলেন, তিনি গ্রেপ্তার হওয়ার অথবা জেলহাজতের ভয় করছেন না। তিনি জানান, তিনি নিশ্চিত যে তাঁকে আটক করা হলে জেলে গিয়ে তিনি অসংখ্য বিক্ষোভকারীকে পাশে পাবেন।
প্রধানমন্ত্রী এক বছর আগে ২০১০ সালে নির্বাচনের কথা বললেও বিক্ষোভকারীরা তা মানছে না এবং তারা সরকারকে সেনা সমর্থিত সরকার হিসেবে অভিহিত করছে।
থাইল্যান্ডে ২০০৬ সালে সামরিক অভ্যুত্থানে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা ক্ষমতাচ্যুত হয়ে দেশ ত্যাগ করেন। এরপর ২০০৮ সালে সেনাবাহিনীর পৃষ্ঠপোষকতায় থাই সংবিধান সংশোধন করে সাধারণ নির্বাচন দেওয়া হয়। থাকসিনের সমর্থকেরা ওই সংবিধান সংশোধনকে অবৈধ বলে দাবি করে। ২০০৮ সালে নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আসার পর থাকসিন দেশে ফেরেন এবং একটি মামলায় আদালত তাঁকে কারাদণ্ড দেন। গ্রেপ্তার এড়াতে সিনাওয়াত্রা আবার দেশ ছাড়েন।
তিন সপ্তাহ ধরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার অনুসারীরা পার্লামেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনসহ ব্যাংককের প্রধান প্রধান কার্যালয় অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে। কয়েক দিন আগে তারা ব্যাংককের পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে অবস্থান নিতে শুরু করে। গতকাল তারা সেখানে পর্যটকদের থাকার স্থান পাঁচতারকা হোটেল ও সুপারমার্কেটগুলো বন্ধ করে দেয়। অস্থায়ী মঞ্চ বানিয়ে তারা সেখানে সভা-সমাবেশও করে। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য সরকার প্রয়োজনে বল প্রয়োগ করতে আদালতের আদেশ চাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
থাইল্যান্ডের উপপ্রধানমন্ত্রী সুথেপ থাউগসুবান গতকাল বলেছেন, বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেওয়ার জন্য তাঁদের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে সরকার আদালতের আদেশ চেয়ে আবেদন করবে। তিনি বলেন, সরকারের আইন বিশেষজ্ঞরা আবেদনের খসড়া তৈরি করছেন। আজ সোমবার আদালতে ওই আবেদন পেশ করা হবে। আদেশ পাওয়ার পর সরকার তার পরবর্তী কর্তব্য ঠিক করবে।
উপপ্রধানমন্ত্রী বলেন, সংঘর্ষের ঝুঁকি থাকায় তাঁরা জোরজবরদস্তি এড়াতে চান। তবে পরিস্থিতির কারণে সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে পাঠানো হতে পারে।
পুলিশ বলেছে, গত শনিবার ৬০ হাজার বিক্ষোভকারী ছিল। প্রায় ৩০ হাজার লোক এখনো রাজপথে সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছে। তবে বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলেছে, গতকাল সেখানে লক্ষাধিক লোকের জমায়েত হয়েছিল। সরকার তাদের ঘরে ফিরে যেতে বললেও আন্দোলন থেকে তাদের সরে আসার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
পর্যটন-বাণিজ্য হুমকির মুখে পড়তে পারে বলে সরকার কয়েক দিন আগে পর্যটনস্থলে বিক্ষোভ করার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে এক বছরের জেল হবে বলেও সরকারের পক্ষ থেকে হুমকি দেওয়া হয়। কিন্তু সেই হুমকি কোনো কাজে আসেনি। গতকাল বিক্ষোভকারীরা পর্যটনস্থলের বিভিন্ন বিপণিকেন্দ্র বন্ধ করে দেয়। আন্দোলনকারীদের অন্যতম নেতা জতুপর্ন প্রমপ্যান গতকাল বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যে বলেছেন, বিক্ষোভকারীদের ধরপাকড়ের সাহস প্রধানমন্ত্রী অভিজিতের নেই। তাদের ওপর যদি গুলি চলে, তাহলে তা তাঁর জন্য ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনবে।
আন্দোলনকারীদের বেশির ভাগই গ্রামাঞ্চলের দরিদ্র কৃষক। সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার সমর্থক এই বিক্ষোভকারীরা ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী অভিজিত্ ভেজ্জাজিভার সরকারকে বুর্জোয়াবান্ধব হিসেবে মনে করছে বলে গণমাধ্যমগুলোতে বলা হচ্ছে। তারা অবিলম্বে পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে নতুন নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছে। ইতিমধ্যে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর দুই দফা বৈঠক হলেও সমঝোতা ছাড়াই সে বৈঠক শেষ হয়ে যায়। প্রধানমন্ত্রী ভেজ্জাজিভা এক টেলিভিশন ভাষণে বিক্ষোভকারীদের পর্যটনস্থল ছেড়ে বিক্ষোভের জন্য নির্ধারিত স্থানে চলে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, কিছু লোক সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করার চেষ্টা করছে। কিন্তু সরকার নমনীয় অবস্থানে থাকার চেষ্টা করবে।
উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ চাইয়াপুম থেকে আসা কাম্পা ন’গাওকোর নামের ৫৫ বছর বয়সী এক বিক্ষোভকারী গতকাল বলেন, তিনি গ্রেপ্তার হওয়ার অথবা জেলহাজতের ভয় করছেন না। তিনি জানান, তিনি নিশ্চিত যে তাঁকে আটক করা হলে জেলে গিয়ে তিনি অসংখ্য বিক্ষোভকারীকে পাশে পাবেন।
প্রধানমন্ত্রী এক বছর আগে ২০১০ সালে নির্বাচনের কথা বললেও বিক্ষোভকারীরা তা মানছে না এবং তারা সরকারকে সেনা সমর্থিত সরকার হিসেবে অভিহিত করছে।
থাইল্যান্ডে ২০০৬ সালে সামরিক অভ্যুত্থানে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা ক্ষমতাচ্যুত হয়ে দেশ ত্যাগ করেন। এরপর ২০০৮ সালে সেনাবাহিনীর পৃষ্ঠপোষকতায় থাই সংবিধান সংশোধন করে সাধারণ নির্বাচন দেওয়া হয়। থাকসিনের সমর্থকেরা ওই সংবিধান সংশোধনকে অবৈধ বলে দাবি করে। ২০০৮ সালে নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আসার পর থাকসিন দেশে ফেরেন এবং একটি মামলায় আদালত তাঁকে কারাদণ্ড দেন। গ্রেপ্তার এড়াতে সিনাওয়াত্রা আবার দেশ ছাড়েন।
No comments