জঙ্গিদের বিরুদ্ধে রাশিয়ার ‘নীরব যুদ্ধ’
পাতালরেলের ব্যস্ত জনস্রোতে সন্ত্রাসীদের আত্মঘাতী হামলা এবং ৩৯টি প্রাণের মৃত্যু চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে, উত্তর ককেশীয় অঞ্চল থেকে সন্ত্রাসীরা এখনো হাত গুটিয়ে নেয়নি। বরং এ হামলা রাশিয়ায় ইসলামি জঙ্গিদের প্রভাব ও ক্ষমতাকে বিশ্ববাসীর সামনে উন্মোচন করে দিয়েছে।
অনেক দিন ধরেই রাশিয়া উগ্রপন্থী জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ‘নীরব যুদ্ধ’ চালিয়ে আসছে। যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য পশ্চিমা শক্তির মতো তারা ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’ নিয়ে ততটা উচ্চকিত নয়। তবে দিনদুপুরে মস্কো শহরের কেন্দ্রে ব্যস্ত পাতালরেল-স্টেশনে এ হামলা ও জীবনক্ষয় রাশিয়ার এই নীরব যুদ্ধের আরও কিছু ক্ষেত্র তৈরি করে দিয়েছে। এই যুদ্ধের প্রধান লক্ষ্য সেসব বিদ্রোহীর বিরুদ্ধে, যারা স্বপ্ন দেখে ককেশীয় অঞ্চলে শরিয়া আইন প্রতিষ্ঠা করার।
এই হামলার জন্য উত্তর ককেশীয় অঞ্চলের চেচেন বিদ্রোহীরা দায় স্বীকার করেছে। এর আগে চেচেন বিদ্রোহী নেতা দকু উমারভ শরিয়া আইন প্রতিষ্ঠা করার যুদ্ধকে চেচেন সীমান্ত থেকে রাশিয়ার কেন্দ্রে নিয়ে আসার ঘোষণা দিয়ে বলেছিলেন, ভবিষ্যতে রাশিয়ার বিভিন্ন শহরে আত্মঘাতী বোমা চালানো হবে। সেই ঘোষণার ধারাবাহিকতায়ই হয়তো মস্কোর পাতালরেলে এই হামলা।
এ ব্যাপারে বার্তা সংস্থা ককেশিয়ান নটের প্রধান সম্পাদক গ্রেইগরি শেভেদভ বলেন, চেচেনরা রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধকে সীমান্ত থেকে রাশিয়ার ভেতরেই টেনে নিয়ে এসেছে। তিনি আরও বলেন, ‘আমার ভয় হয়, রাশিয়ার রাজধানী মস্কো থেকে শুরু করে অন্যান্য শহরে বিদ্রোহীদের আরও হামলার পরিকল্পনা রয়েছে কি না।’
১৯৯৫ সালে রাশিয়ার চেচনিয়া অভিযানের পর থেকেই বিভিন্ন চেচেন গ্রুপ রাশিয়ার প্রধান হুমকিতে পরিণত হয়েছে। অনেক বিশ্লেষক মনে করেন, দীর্ঘদিন ধরেই চেচনিয়া, ইঙ্গুশেতিয়া ও দাগেস্তানের ইস্যুগুলো থেকে রাশিয়ার জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে প্রবাহিত করে রাখা হয়েছে। মস্কোর গত সোমবারের হামলা ও দাগেস্তানে বুধবারের আত্মঘাতী হামলা আবারও মনে করিয়ে দিয়েছে, চেচেনদের বিদ্রোহ কেবল উত্তর ককেশাসে সীমাবদ্ধ নেই বরং তা একেবারে বাড়ির দোরগোড়ায় এসে দাঁড়িয়েছে। রাশিয়ার নীতিনির্ধারক ও সরকার সব সময়ই দেশের মানুষকে বুঝিয়ে এসেছে যে চেচনিয়া ও দাগেস্তানেই রয়েছে সন্ত্রাস ও বিদ্রোহের সব উপাদান। সমস্যাটিকে এত দিন আঞ্চলিক হিসেবে দাবি করে এলেও এ সপ্তাহের দুটি আত্মঘাতী হামলার পর সেই সুযোগটি আর থাকছে না।
রাজনীতির মাঠে চেচনিয়া সমস্যা ও বিদ্রোহ একটি সাধারণ অস্ত্র। কোন পক্ষ কত কঠোরভাবে চেচনিয়াকে দমন করতে পেরেছে, তা-ই নাকি রাশিয়ার রাজনীতিতে জয়-পরাজয়ের নিয়ামক। সে কারণেই হয়তো ১৯৯৯ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন চেচনিয়ার বিরুদ্ধে একটি নির্মম সেনা অভিযানের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। সেই সেনা অভিযানটি পুতিনকে তাঁর ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে সহায়তা করলেও আখেরে বিরাট ক্ষতি করে ফেলেছে দেশেরই।
এই অভিযানের ফলে চেচেন বিদ্রোহীরা আরও ভয়ংকর হয়ে উঠেছে এবং প্রতিশোধস্পৃহা তাদের নিরীহ জনসাধারণ হত্যায় প্রলুব্ধ করছে। ২০১২ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সামনে রেখে গত সোমবারের মস্কো হামলা আরও একটি রাজনৈতিক ইস্যু হয়ে উঠবে কি না, সেই আশঙ্কা এখন সবার।
অনেক দিন ধরেই রাশিয়া উগ্রপন্থী জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ‘নীরব যুদ্ধ’ চালিয়ে আসছে। যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য পশ্চিমা শক্তির মতো তারা ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’ নিয়ে ততটা উচ্চকিত নয়। তবে দিনদুপুরে মস্কো শহরের কেন্দ্রে ব্যস্ত পাতালরেল-স্টেশনে এ হামলা ও জীবনক্ষয় রাশিয়ার এই নীরব যুদ্ধের আরও কিছু ক্ষেত্র তৈরি করে দিয়েছে। এই যুদ্ধের প্রধান লক্ষ্য সেসব বিদ্রোহীর বিরুদ্ধে, যারা স্বপ্ন দেখে ককেশীয় অঞ্চলে শরিয়া আইন প্রতিষ্ঠা করার।
এই হামলার জন্য উত্তর ককেশীয় অঞ্চলের চেচেন বিদ্রোহীরা দায় স্বীকার করেছে। এর আগে চেচেন বিদ্রোহী নেতা দকু উমারভ শরিয়া আইন প্রতিষ্ঠা করার যুদ্ধকে চেচেন সীমান্ত থেকে রাশিয়ার কেন্দ্রে নিয়ে আসার ঘোষণা দিয়ে বলেছিলেন, ভবিষ্যতে রাশিয়ার বিভিন্ন শহরে আত্মঘাতী বোমা চালানো হবে। সেই ঘোষণার ধারাবাহিকতায়ই হয়তো মস্কোর পাতালরেলে এই হামলা।
এ ব্যাপারে বার্তা সংস্থা ককেশিয়ান নটের প্রধান সম্পাদক গ্রেইগরি শেভেদভ বলেন, চেচেনরা রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধকে সীমান্ত থেকে রাশিয়ার ভেতরেই টেনে নিয়ে এসেছে। তিনি আরও বলেন, ‘আমার ভয় হয়, রাশিয়ার রাজধানী মস্কো থেকে শুরু করে অন্যান্য শহরে বিদ্রোহীদের আরও হামলার পরিকল্পনা রয়েছে কি না।’
১৯৯৫ সালে রাশিয়ার চেচনিয়া অভিযানের পর থেকেই বিভিন্ন চেচেন গ্রুপ রাশিয়ার প্রধান হুমকিতে পরিণত হয়েছে। অনেক বিশ্লেষক মনে করেন, দীর্ঘদিন ধরেই চেচনিয়া, ইঙ্গুশেতিয়া ও দাগেস্তানের ইস্যুগুলো থেকে রাশিয়ার জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে প্রবাহিত করে রাখা হয়েছে। মস্কোর গত সোমবারের হামলা ও দাগেস্তানে বুধবারের আত্মঘাতী হামলা আবারও মনে করিয়ে দিয়েছে, চেচেনদের বিদ্রোহ কেবল উত্তর ককেশাসে সীমাবদ্ধ নেই বরং তা একেবারে বাড়ির দোরগোড়ায় এসে দাঁড়িয়েছে। রাশিয়ার নীতিনির্ধারক ও সরকার সব সময়ই দেশের মানুষকে বুঝিয়ে এসেছে যে চেচনিয়া ও দাগেস্তানেই রয়েছে সন্ত্রাস ও বিদ্রোহের সব উপাদান। সমস্যাটিকে এত দিন আঞ্চলিক হিসেবে দাবি করে এলেও এ সপ্তাহের দুটি আত্মঘাতী হামলার পর সেই সুযোগটি আর থাকছে না।
রাজনীতির মাঠে চেচনিয়া সমস্যা ও বিদ্রোহ একটি সাধারণ অস্ত্র। কোন পক্ষ কত কঠোরভাবে চেচনিয়াকে দমন করতে পেরেছে, তা-ই নাকি রাশিয়ার রাজনীতিতে জয়-পরাজয়ের নিয়ামক। সে কারণেই হয়তো ১৯৯৯ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন চেচনিয়ার বিরুদ্ধে একটি নির্মম সেনা অভিযানের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। সেই সেনা অভিযানটি পুতিনকে তাঁর ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে সহায়তা করলেও আখেরে বিরাট ক্ষতি করে ফেলেছে দেশেরই।
এই অভিযানের ফলে চেচেন বিদ্রোহীরা আরও ভয়ংকর হয়ে উঠেছে এবং প্রতিশোধস্পৃহা তাদের নিরীহ জনসাধারণ হত্যায় প্রলুব্ধ করছে। ২০১২ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সামনে রেখে গত সোমবারের মস্কো হামলা আরও একটি রাজনৈতিক ইস্যু হয়ে উঠবে কি না, সেই আশঙ্কা এখন সবার।
No comments