আবার কিশোরীর আত্মহত্যা -এভাবে আর চলতে পারে না
রাজধানীর খিলগাঁওয়ের নন্দীপাড়ার ১৪ বছর বয়সী ইলোরার সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছিল এক বখাটের উপদ্রব। অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী কোমলপ্রাণ কিশোরীটির স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়েছিল রেজাউল নামের বখাটে তরুণের অন্তহীন উপদ্রবে। শেষে কিশোরীকে স্কুলে আনা-নেওয়া করতেন তার মা। কিন্তু তাতেও নিস্তার মেলেনি তার। শনিবার বিকেলে বিষ পান করে নিরুপদ্রব শান্তির দেশে চলে গেছে সে।
চারুকলার ছাত্রী সিমি বা কিশোরী ফাহিমার মতো এই ইলোরাও যেন বলে গেল: আমাদের এই সমাজ, রাষ্ট্র, এই শাসনব্যবস্থা, এর পুলিশ—কেউ তার স্বস্তি, শান্তি, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেনি। সে আস্থা হারিয়ে ফেলেছিল চূড়ান্তভাবেই। নইলে এমন চরম সিদ্ধান্ত কেন নিতে হলো তাকে?
মেয়েদের উত্ত্যক্ত করা এখন নিয়মিত অপরাধের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। কিন্তু সংবাদমাধ্যমে এ ধরনের খবর যতটা গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশিত হচ্ছে, অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রশাসনের বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্তৃপক্ষের তত কঠোরতা লক্ষ করা যাচ্ছে না। যারা এসব অপরাধ করছে, তাদের অনেকেই সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রভাব-প্রতিপত্তির অধিকারী। বিশেষত সরকারি দল বা তার অঙ্গসংগঠনগুলোর ছত্রচ্ছায়ায় তারা এসব অপরাধ করেও পার পেয়ে যাচ্ছে। বিশেষত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে মেয়েদের সঙ্গে জবরদস্তিমূলক আচরণে সরকারপন্থী ছাত্রসংগঠনের একশ্রেণীর নেতা-কর্মীর সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ আসছে বেশি। যেমন, ঢাকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের এক কর্মীর হাতে এক ছাত্রীর লাঞ্ছিত হওয়া, প্রকাশ্যে তাঁর চুল টানা ও চড় মারার খবর ছাপা হয়েছে। ওই ছাত্রী নিরাপত্তা চেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। আর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রী লাঞ্ছনাকারী ছাত্রলীগের এক নেতাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করার পরপরই ছেড়ে দিয়েছে। হাসতে হাসতে সেই ছাত্রলীগ নেতা থানা থেকে বের হয়ে যাচ্ছেন—এমন ছবি পত্রিকায় ছাপা হয়েছে। এগুলো যদি হয় আইন প্রয়োগের নমুনা, তাহলে নারী নির্যাতন কমবে—এটা আশা করা নির্বুদ্ধিতা।
দুঃখের বিষয়, অন্যায়-অপরাধের বিরুদ্ধে, বিশেষত নারীদের প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধও দুর্বল হয়েছে। পাড়ায়-মহল্লায় পরিচিত প্রতিবেশীদের সামনেই মেয়েদের উত্ত্যক্ত করা, জবরদস্তিমূলক আচরণ করা, এমনকি সহিংসতার আশ্রয় নেওয়ার ঘটনা ঘটছে—কেউ প্রতিবাদ করছে না। অল্প কিছু বখাটে, সন্ত্রাসীর অন্যায়-অপরাধের অসহায় নীরব দর্শক হয়ে যাচ্ছে গোটা জনপদ। কারণ ওই স্বল্পসংখ্যক দুর্বৃত্ত রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশ্রয় পাচ্ছে, আইন তাদের ক্ষেত্রে ঠিকভাবে কাজ করছে না। ফলে সমাজের প্রত্যেকেই বিচ্ছিন্নভাবে নিজ নিজ নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত। সম্মিলিত প্রতিবাদ-প্রতিরোধ হারিয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতি সব বিচারে উদ্বেগজনক। আইন প্রয়োগের ব্যবস্থাকে কার্যকর করতে হবে; অন্যায়-অপরাধের রাজনৈতিক প্রশ্রয় এবং পুলিশের দুর্নীতিজনিত শৈথিল্যের অবসান ঘটাতে হবে। একই সঙ্গে সমাজের হারানো সম্মিলিত প্রতিবাদ-প্রতিরোধের শক্তিও ফিরে পেতে হবে।
চারুকলার ছাত্রী সিমি বা কিশোরী ফাহিমার মতো এই ইলোরাও যেন বলে গেল: আমাদের এই সমাজ, রাষ্ট্র, এই শাসনব্যবস্থা, এর পুলিশ—কেউ তার স্বস্তি, শান্তি, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেনি। সে আস্থা হারিয়ে ফেলেছিল চূড়ান্তভাবেই। নইলে এমন চরম সিদ্ধান্ত কেন নিতে হলো তাকে?
মেয়েদের উত্ত্যক্ত করা এখন নিয়মিত অপরাধের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। কিন্তু সংবাদমাধ্যমে এ ধরনের খবর যতটা গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশিত হচ্ছে, অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রশাসনের বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্তৃপক্ষের তত কঠোরতা লক্ষ করা যাচ্ছে না। যারা এসব অপরাধ করছে, তাদের অনেকেই সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রভাব-প্রতিপত্তির অধিকারী। বিশেষত সরকারি দল বা তার অঙ্গসংগঠনগুলোর ছত্রচ্ছায়ায় তারা এসব অপরাধ করেও পার পেয়ে যাচ্ছে। বিশেষত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে মেয়েদের সঙ্গে জবরদস্তিমূলক আচরণে সরকারপন্থী ছাত্রসংগঠনের একশ্রেণীর নেতা-কর্মীর সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ আসছে বেশি। যেমন, ঢাকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের এক কর্মীর হাতে এক ছাত্রীর লাঞ্ছিত হওয়া, প্রকাশ্যে তাঁর চুল টানা ও চড় মারার খবর ছাপা হয়েছে। ওই ছাত্রী নিরাপত্তা চেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। আর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রী লাঞ্ছনাকারী ছাত্রলীগের এক নেতাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করার পরপরই ছেড়ে দিয়েছে। হাসতে হাসতে সেই ছাত্রলীগ নেতা থানা থেকে বের হয়ে যাচ্ছেন—এমন ছবি পত্রিকায় ছাপা হয়েছে। এগুলো যদি হয় আইন প্রয়োগের নমুনা, তাহলে নারী নির্যাতন কমবে—এটা আশা করা নির্বুদ্ধিতা।
দুঃখের বিষয়, অন্যায়-অপরাধের বিরুদ্ধে, বিশেষত নারীদের প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধও দুর্বল হয়েছে। পাড়ায়-মহল্লায় পরিচিত প্রতিবেশীদের সামনেই মেয়েদের উত্ত্যক্ত করা, জবরদস্তিমূলক আচরণ করা, এমনকি সহিংসতার আশ্রয় নেওয়ার ঘটনা ঘটছে—কেউ প্রতিবাদ করছে না। অল্প কিছু বখাটে, সন্ত্রাসীর অন্যায়-অপরাধের অসহায় নীরব দর্শক হয়ে যাচ্ছে গোটা জনপদ। কারণ ওই স্বল্পসংখ্যক দুর্বৃত্ত রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশ্রয় পাচ্ছে, আইন তাদের ক্ষেত্রে ঠিকভাবে কাজ করছে না। ফলে সমাজের প্রত্যেকেই বিচ্ছিন্নভাবে নিজ নিজ নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত। সম্মিলিত প্রতিবাদ-প্রতিরোধ হারিয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতি সব বিচারে উদ্বেগজনক। আইন প্রয়োগের ব্যবস্থাকে কার্যকর করতে হবে; অন্যায়-অপরাধের রাজনৈতিক প্রশ্রয় এবং পুলিশের দুর্নীতিজনিত শৈথিল্যের অবসান ঘটাতে হবে। একই সঙ্গে সমাজের হারানো সম্মিলিত প্রতিবাদ-প্রতিরোধের শক্তিও ফিরে পেতে হবে।
No comments