খুলনা পাওয়ার ও ওশেন কনটেইনার বাজারে সরাসরি তালিকাভুক্ত হবে
বেসরকারি খাতের কোনো কোম্পানিকে সরাসরি তালিকাভুক্তির (ডিরেক্ট লিস্টিং) মাধ্যমে শেয়ারবাজারে আসতে দেওয়া হবে না—এমন সিদ্ধান্ত থেকে কিছুটা সরে এসেছে সরকার। তবে দুটি কোম্পানি এ সুযোগ পাবে।
ওশেন কনটেইনার লিমিটেড ও খুলনা পাওয়ার লিমিটেড নামের দুই কোম্পানি সরাসরি তালিকাভুক্তির মাধ্যমে ৬৪ কোটি টাকার শেয়ার ছাড়বে বাজারে। তবে শেয়ারের মূল্য নির্ধারিত হবে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে (এসইসি) সরাসরি তালিকাভুক্তির মাধ্যমে কোম্পানি দুটিকে বাজারে আনার ব্যবস্থা করে দিতে বলেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। অর্থ মন্ত্রণালয়ের সদ্য গঠিত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ গতকাল সোমবার এসইসিকে এ ব্যাপারে একটি চিঠি দিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ২০০৯ সালের ৫ নভেম্বরের আগে যেসব বেসরকারি কোম্পানি সরাসরি তালিকাভুক্তির মাধ্যমে বাজারে আসতে স্টক এক্সচেঞ্জে আবেদন করেছিল, শুধু সেসব কোম্পানিকেই শেয়ার ছাড়ার অনুমতি দেওয়া যেতে পারে।
ওশেন কনটেইনারস লিমিটেড ২০০৯ সালের ২৩ জুন এবং খুলনা পাওয়ার লিমিটেড একই বছরের ১ অক্টোবর সরাসরি তালিকাভুক্তির মাধ্যমে শেয়ার ছাড়তে স্টক এক্সচেঞ্জে আবেদন করেছিল। আর অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের দুই সপ্তাহ পর ১৯ নভেম্বর সরাসরি তালিকাভুক্তির মাধ্যমে শেয়ার ছাড়ার আবেদন করে ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টস লিমিটেড (ওয়েস্টিন হোটেল) নামে আরেকটি কোম্পানি।
ওশেন কনটেইনার শেয়ার ছাড়বে ১১ কোটি ৯০ লাখ টাকার। আর খুলনা পাওয়ার লিমিটেড শেয়ার ছাড়বে ৫২ কোটি ১৪ লাখ ৮২ হাজার ৫০০ টাকার। আবেদন অনুযায়ী উভয় কোম্পানিরই অভিহিত মূল্য (ফেস ভ্যালু) ১০ টাকা। ওয়েস্টিন হোটেল কর্তৃপক্ষ ৫০ কোটি টাকার শেয়ার ছাড়ার আবেদন করলেও অনুমোদন দেওয়া হয়নি।
গত ৫ নভেম্বর অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে অর্থ মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত পুঁজিবাজারকে অধিকতর স্বচ্ছ, দক্ষ ও গতিশীল করতে যে কয়টি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল বেসরকারি খাতের কোম্পানিকে সরাসরি তালিকাভুক্তির মাধ্যমে পুঁজিবাজারে আসতে না দেওয়া। ওই দিন আরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে বাজারে যেহেতু শেয়ার সরবরাহের ঘাটতি রয়েছে, তাই সরাসরি তালিকাভুক্তি থাকবে। তবে তা শুধু সরকারি মালিকানাধীন কোম্পানিগুলোর ক্ষেত্রে।
২৩ নভেম্বর এই সিদ্ধান্তে অনুমোদন দেন অর্থমন্ত্রী। এর দুই দিন পর ২৫ নভেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয়সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে একই বিষয়ে আরেকটি সভা অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় সংসদ ভবনে।
সভার কার্যবিবরণী অনুযায়ী, আ হ ম মুস্তফা কামাল বৈঠকে বলেছিলেন, সরাসরি তালিকাভুক্তির নামে যা ঘটেছে বা ঘটতে চলেছে, তাতে সবাই অবহিত। ওশেন কনটেইনার, খুলনা পাওয়ার, সামিট, ওয়েস্টিনের নামে বাজারে কী ঘটছে, এসইসি তা পুরোপুরি ওয়াকিবহাল। তিনি প্রশ্ন তোলেন, এসব কোম্পানিকে কারা অনুমোদন দিয়েছে এবং কারা এদের মূলধন ও শেয়ারের মূল্যমান নির্ধারণ করে দিল? এসইসির নীরবতা জনমনে প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে বলেও তিনি মন্তব্য করেছিলেন।
এই সিদ্ধান্তের কারণে বিভ্রান্তিতে পড়ে যায় এসইসি। গত ২১ ডিসেম্বর এসইসির নির্বাহী পরিচালক এ টি এম তারিকুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক আবেদনে বেসরকারি খাতের তিনটি কোম্পানির সরাসরি তালিকাভুক্তির ব্যাপারে অর্থসচিব মোহাম্মদ তারেকের কাছে জানতে চাওয়া হয়। এরই জবাবে গতকাল নতুন নির্দেশনা দেয় অর্থ মন্ত্রণালয়।
প্রসঙ্গত, পুঁজিবাজারে ভালো মৌলভিত্তিসম্পন্ন সিকিউরিটিজের সরবরাহ বাড়ানোর অংশ হিসেবে ২০০৬ সালে ঢাকা ও চট্টগ্রাম উভয় স্টক এক্সচেঞ্জকেই সরাসরি তালিকাভুক্তির বিধি প্রণয়নের অনুমোদন দেয় এসইসি। এতে সরকারি খাতের পাওয়ার গ্রিড, ডেসকো, মেঘনা পেট্রোলিয়াম, যমুনা অয়েল ও তিতাস গ্যাস এবং বেসরকারি খাতের এসিআই ফরমুলেশন, শাইনপুকুর সিরামিক্স ও সবর্শেষ নাভানা সিএনজি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়।
বিধি অনুযায়ী, সরাসরি তালিকাভুক্তির মাধ্যমে মালিকদের ছাড়া শেয়ার সরাসরি বাজারে বিক্রি হয় এবং বিক্রয়লব্ধ অর্থ কোম্পানির খাতে জমা না হয়ে কোম্পানির মালিকদের হিসাবে জমা হয়। অর্থাত্ এই টাকা মালিকেরা পেয়ে যান।
স্টক এক্সচেঞ্জের কাছে করা আবেদন অনুযায়ী, ওশেন কনটেইনারের বিক্রয়লব্ধ অর্থ উদ্যোক্তা শেয়ারহোল্ডাররা সামিট এলায়েন্স পোর্ট লিমিটেড নামে তালিকাভুক্ত কোম্পানির হিসাবে জমা করবেন। আর খুলনা পাওয়ারের অর্থ জমা হবে উদ্যোক্তা শেয়ারহোল্ডার সামিট ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড মার্কেন্টাইল কো-অপারেশনস লিমিটেড এবং ইউনাইটেড এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেড নামের দুই কোম্পানিতে।
প্রসঙ্গত, ওশেন কনটেইনার ও খুলনা পাওয়ারের অন্যতম উদ্যোক্তা হচ্ছে সামিট গ্রুপ। আর ওয়েস্টিন হোটেলের উদ্যোক্তা ইউনিক গ্রুপের বোরাক রিয়েল এস্টেট, বোরাক ট্রাভেলস, মো. নূর আলী, সেলিনা আলী, নাবিলা আলী ও নাদিয়া আলী।
ওশেন কনটেইনার লিমিটেড ও খুলনা পাওয়ার লিমিটেড নামের দুই কোম্পানি সরাসরি তালিকাভুক্তির মাধ্যমে ৬৪ কোটি টাকার শেয়ার ছাড়বে বাজারে। তবে শেয়ারের মূল্য নির্ধারিত হবে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে (এসইসি) সরাসরি তালিকাভুক্তির মাধ্যমে কোম্পানি দুটিকে বাজারে আনার ব্যবস্থা করে দিতে বলেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। অর্থ মন্ত্রণালয়ের সদ্য গঠিত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ গতকাল সোমবার এসইসিকে এ ব্যাপারে একটি চিঠি দিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ২০০৯ সালের ৫ নভেম্বরের আগে যেসব বেসরকারি কোম্পানি সরাসরি তালিকাভুক্তির মাধ্যমে বাজারে আসতে স্টক এক্সচেঞ্জে আবেদন করেছিল, শুধু সেসব কোম্পানিকেই শেয়ার ছাড়ার অনুমতি দেওয়া যেতে পারে।
ওশেন কনটেইনারস লিমিটেড ২০০৯ সালের ২৩ জুন এবং খুলনা পাওয়ার লিমিটেড একই বছরের ১ অক্টোবর সরাসরি তালিকাভুক্তির মাধ্যমে শেয়ার ছাড়তে স্টক এক্সচেঞ্জে আবেদন করেছিল। আর অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের দুই সপ্তাহ পর ১৯ নভেম্বর সরাসরি তালিকাভুক্তির মাধ্যমে শেয়ার ছাড়ার আবেদন করে ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টস লিমিটেড (ওয়েস্টিন হোটেল) নামে আরেকটি কোম্পানি।
ওশেন কনটেইনার শেয়ার ছাড়বে ১১ কোটি ৯০ লাখ টাকার। আর খুলনা পাওয়ার লিমিটেড শেয়ার ছাড়বে ৫২ কোটি ১৪ লাখ ৮২ হাজার ৫০০ টাকার। আবেদন অনুযায়ী উভয় কোম্পানিরই অভিহিত মূল্য (ফেস ভ্যালু) ১০ টাকা। ওয়েস্টিন হোটেল কর্তৃপক্ষ ৫০ কোটি টাকার শেয়ার ছাড়ার আবেদন করলেও অনুমোদন দেওয়া হয়নি।
গত ৫ নভেম্বর অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে অর্থ মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত পুঁজিবাজারকে অধিকতর স্বচ্ছ, দক্ষ ও গতিশীল করতে যে কয়টি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল বেসরকারি খাতের কোম্পানিকে সরাসরি তালিকাভুক্তির মাধ্যমে পুঁজিবাজারে আসতে না দেওয়া। ওই দিন আরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে বাজারে যেহেতু শেয়ার সরবরাহের ঘাটতি রয়েছে, তাই সরাসরি তালিকাভুক্তি থাকবে। তবে তা শুধু সরকারি মালিকানাধীন কোম্পানিগুলোর ক্ষেত্রে।
২৩ নভেম্বর এই সিদ্ধান্তে অনুমোদন দেন অর্থমন্ত্রী। এর দুই দিন পর ২৫ নভেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয়সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে একই বিষয়ে আরেকটি সভা অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় সংসদ ভবনে।
সভার কার্যবিবরণী অনুযায়ী, আ হ ম মুস্তফা কামাল বৈঠকে বলেছিলেন, সরাসরি তালিকাভুক্তির নামে যা ঘটেছে বা ঘটতে চলেছে, তাতে সবাই অবহিত। ওশেন কনটেইনার, খুলনা পাওয়ার, সামিট, ওয়েস্টিনের নামে বাজারে কী ঘটছে, এসইসি তা পুরোপুরি ওয়াকিবহাল। তিনি প্রশ্ন তোলেন, এসব কোম্পানিকে কারা অনুমোদন দিয়েছে এবং কারা এদের মূলধন ও শেয়ারের মূল্যমান নির্ধারণ করে দিল? এসইসির নীরবতা জনমনে প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে বলেও তিনি মন্তব্য করেছিলেন।
এই সিদ্ধান্তের কারণে বিভ্রান্তিতে পড়ে যায় এসইসি। গত ২১ ডিসেম্বর এসইসির নির্বাহী পরিচালক এ টি এম তারিকুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক আবেদনে বেসরকারি খাতের তিনটি কোম্পানির সরাসরি তালিকাভুক্তির ব্যাপারে অর্থসচিব মোহাম্মদ তারেকের কাছে জানতে চাওয়া হয়। এরই জবাবে গতকাল নতুন নির্দেশনা দেয় অর্থ মন্ত্রণালয়।
প্রসঙ্গত, পুঁজিবাজারে ভালো মৌলভিত্তিসম্পন্ন সিকিউরিটিজের সরবরাহ বাড়ানোর অংশ হিসেবে ২০০৬ সালে ঢাকা ও চট্টগ্রাম উভয় স্টক এক্সচেঞ্জকেই সরাসরি তালিকাভুক্তির বিধি প্রণয়নের অনুমোদন দেয় এসইসি। এতে সরকারি খাতের পাওয়ার গ্রিড, ডেসকো, মেঘনা পেট্রোলিয়াম, যমুনা অয়েল ও তিতাস গ্যাস এবং বেসরকারি খাতের এসিআই ফরমুলেশন, শাইনপুকুর সিরামিক্স ও সবর্শেষ নাভানা সিএনজি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়।
বিধি অনুযায়ী, সরাসরি তালিকাভুক্তির মাধ্যমে মালিকদের ছাড়া শেয়ার সরাসরি বাজারে বিক্রি হয় এবং বিক্রয়লব্ধ অর্থ কোম্পানির খাতে জমা না হয়ে কোম্পানির মালিকদের হিসাবে জমা হয়। অর্থাত্ এই টাকা মালিকেরা পেয়ে যান।
স্টক এক্সচেঞ্জের কাছে করা আবেদন অনুযায়ী, ওশেন কনটেইনারের বিক্রয়লব্ধ অর্থ উদ্যোক্তা শেয়ারহোল্ডাররা সামিট এলায়েন্স পোর্ট লিমিটেড নামে তালিকাভুক্ত কোম্পানির হিসাবে জমা করবেন। আর খুলনা পাওয়ারের অর্থ জমা হবে উদ্যোক্তা শেয়ারহোল্ডার সামিট ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড মার্কেন্টাইল কো-অপারেশনস লিমিটেড এবং ইউনাইটেড এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেড নামের দুই কোম্পানিতে।
প্রসঙ্গত, ওশেন কনটেইনার ও খুলনা পাওয়ারের অন্যতম উদ্যোক্তা হচ্ছে সামিট গ্রুপ। আর ওয়েস্টিন হোটেলের উদ্যোক্তা ইউনিক গ্রুপের বোরাক রিয়েল এস্টেট, বোরাক ট্রাভেলস, মো. নূর আলী, সেলিনা আলী, নাবিলা আলী ও নাদিয়া আলী।
No comments