গাজায় জাতিসংঘ ভবনে হামলার জন্য দুই সেনা কর্মকর্তাকে ইসরায়েলের তিরস্কার
গাজায় গত বছরের যুদ্ধে সাদা ফসফরাসের গোলা ছোড়ার দায়ে ইসরায়েল তাদের ঊর্ধ্বতন দুজন সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা প্রকাশ করেছে। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এবং কর্নেল পদমর্যাদার ওই দুজন কর্মকর্তা গাজা সিটিতে জাতিসংঘের মূল গুদামের দিকে সাদা ফসফরাসের গোলা ছুড়ে মানুষের জীবন বিপন্ন করার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হন। ওই গোলা ছোড়ার পরপরই জাতিসংঘ গুদামটিতে আগুন ধরে গিয়েছিল। খবর বিবিসির।
গাজা ভূখণ্ডে যুদ্ধের সময় বেসামরিক লোকদের জীবন বিপন্ন করার জন্য ইসরায়েল সাদা ফসফরাস ব্যবহার করেছিল—এ মর্মে জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা যে অভিযোগ করে, তার পরিপ্রেক্ষিতে ইসরায়েল আংশিকভাবে হলেও এই প্রথম তা স্বীকার করল।
অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তারা হলেন: গাজা ডিভিশনের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াল আইজেনবার্গ ও গিভাটি ব্রিগেডের কমান্ডার কর্নেল আয়ান মালকা।
বিবিসির মধ্যপ্রাচ্য-বিষয়ক সংবাদদাতা পল উড জেরুজালেম থেকে জানান, এ সংঘর্ষে এটা ছিল অন্যতম ন্যক্কারজনক ঘটনা। গত বছর ২২ দিন ধরে চলা ওই সংঘর্ষের সময় ছবি বেরিয়েছিল যে জাতিসংঘের ওই স্থাপনায় আগুনের গোলা এসে পড়ছে। জাতিসংঘ এ ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছিল। তবে ইসরায়েল এক তদন্ত করার পর প্রথমে বলেছিল, তারা কোনো অন্যায় করেনি। ওই তদন্ত করেছিলেন এক ইসরায়েলি জেনারেল। এখন জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদকে দেওয়া ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার কাছে এ ধরনের হামলা করা যাবে না—এ নিয়ম লঙ্ঘন করে এ ধরনের কয়েকটি গোলা ছোড়া হয়েছিল। এ প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ওই ঘটনার দায়ে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী দুই ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাকে শাস্তি দিয়েছে।
ইসরায়েলের সরকারের মুখপাত্র মার্ক রেজেভ জানিয়েছেন, ওই দুই সেনা কর্মকর্তাকে শুধু তিরস্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
তিনি জানান, প্রায় ১৫০টি ঘটনা তদন্ত করা হচ্ছে। এর মধ্যে ৩৬টি ঘটনা ফৌজদারিভাবে তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ বিশেষ ক্ষেত্রে তা ফৌজদারি তদন্তের জন্য পাঠানো হয়নি। ফৌজদারি অপরাধ করা হয়েছে—এমন যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া না যাওয়ায় ঠিক করা হয়, তাঁরা তিরস্কৃত হওয়ার যোগ্য।
ইসরায়েলের দৈনিক হারেজ-এর সামরিক সংবাদদাতা বিবিসিকে বলেন, এর মানে হলো, তাঁদের ব্যক্তিগত রেকর্ডে কোনো এক ধরনের মন্তব্য লেখা হয়েছে যে তাঁরা নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করেননি। আর এ ধরনের গোলা হামলার আগে তাঁদের নিয়ম মেনে কাজ করা উচিত ছিল।
গাজা যুদ্ধের সময় এক ফিলিস্তিনির ক্রেডিট কার্ড চুরির জন্য এক ইসরায়েলি সেনাকে সাত মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এর ফলে জাতিসংঘের কিছু কর্মকর্তা প্রশ্ন তুলেছেন, দ্য হেগে আন্তর্জাতিক বিচার এড়ানোর জন্য ইসরায়েল যথেষ্ট কিছু করছে কি না।
জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন এ সপ্তাহে গাজায় যুদ্ধ সম্পর্কে তাঁর প্রতিবেদন সাধারণ পরিষদে পেশ করবেন।
জাতিসংঘের যুদ্ধাপরাধ-বিষয়ক বিচারক গোল্ডস্টন এক বিস্তারিত তদন্তের প্রতিবেদনটি তৈরি করেন। গোল্ডস্টনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় ইসরায়েল ও হামাস গোষ্ঠী উভয় যুদ্ধাপরাধ করেছে। ইসরায়েল এবং হামাস উভয়কে তাদের নিজেদের বিশ্বাসযোগ্য ও সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ তদন্ত শুরু করতে বলা হয়। তা না করা হলে আন্তর্জাতিক আদালত ব্যবস্থা নিতে পারে। হামাস বলছে, তার বাহিনী উদ্দেশ্যমূলকভাবে বেসামরিক লোকজনের ওপর রকেট হামলা করেনি।
এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা বলেছেন, জাতিসংঘের কাছে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার মানে এই নয় যে উডস্টনের প্রতিবেদনে যে অভিযোগ করা হয়েছে ও ঘটনার কথা বলা হয়েছে, তার বিস্তারিত জবাব দেওয়া হলো। বরং ইসরায়েলি বিচারব্যবস্থা কেন বিশ্বাসযোগ্য ও নিরপেক্ষ, তা ব্যাখ্যা করা হলো।
গাজা ভূখণ্ডে যুদ্ধের সময় বেসামরিক লোকদের জীবন বিপন্ন করার জন্য ইসরায়েল সাদা ফসফরাস ব্যবহার করেছিল—এ মর্মে জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা যে অভিযোগ করে, তার পরিপ্রেক্ষিতে ইসরায়েল আংশিকভাবে হলেও এই প্রথম তা স্বীকার করল।
অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তারা হলেন: গাজা ডিভিশনের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াল আইজেনবার্গ ও গিভাটি ব্রিগেডের কমান্ডার কর্নেল আয়ান মালকা।
বিবিসির মধ্যপ্রাচ্য-বিষয়ক সংবাদদাতা পল উড জেরুজালেম থেকে জানান, এ সংঘর্ষে এটা ছিল অন্যতম ন্যক্কারজনক ঘটনা। গত বছর ২২ দিন ধরে চলা ওই সংঘর্ষের সময় ছবি বেরিয়েছিল যে জাতিসংঘের ওই স্থাপনায় আগুনের গোলা এসে পড়ছে। জাতিসংঘ এ ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছিল। তবে ইসরায়েল এক তদন্ত করার পর প্রথমে বলেছিল, তারা কোনো অন্যায় করেনি। ওই তদন্ত করেছিলেন এক ইসরায়েলি জেনারেল। এখন জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদকে দেওয়া ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার কাছে এ ধরনের হামলা করা যাবে না—এ নিয়ম লঙ্ঘন করে এ ধরনের কয়েকটি গোলা ছোড়া হয়েছিল। এ প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ওই ঘটনার দায়ে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী দুই ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাকে শাস্তি দিয়েছে।
ইসরায়েলের সরকারের মুখপাত্র মার্ক রেজেভ জানিয়েছেন, ওই দুই সেনা কর্মকর্তাকে শুধু তিরস্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
তিনি জানান, প্রায় ১৫০টি ঘটনা তদন্ত করা হচ্ছে। এর মধ্যে ৩৬টি ঘটনা ফৌজদারিভাবে তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ বিশেষ ক্ষেত্রে তা ফৌজদারি তদন্তের জন্য পাঠানো হয়নি। ফৌজদারি অপরাধ করা হয়েছে—এমন যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া না যাওয়ায় ঠিক করা হয়, তাঁরা তিরস্কৃত হওয়ার যোগ্য।
ইসরায়েলের দৈনিক হারেজ-এর সামরিক সংবাদদাতা বিবিসিকে বলেন, এর মানে হলো, তাঁদের ব্যক্তিগত রেকর্ডে কোনো এক ধরনের মন্তব্য লেখা হয়েছে যে তাঁরা নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করেননি। আর এ ধরনের গোলা হামলার আগে তাঁদের নিয়ম মেনে কাজ করা উচিত ছিল।
গাজা যুদ্ধের সময় এক ফিলিস্তিনির ক্রেডিট কার্ড চুরির জন্য এক ইসরায়েলি সেনাকে সাত মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এর ফলে জাতিসংঘের কিছু কর্মকর্তা প্রশ্ন তুলেছেন, দ্য হেগে আন্তর্জাতিক বিচার এড়ানোর জন্য ইসরায়েল যথেষ্ট কিছু করছে কি না।
জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন এ সপ্তাহে গাজায় যুদ্ধ সম্পর্কে তাঁর প্রতিবেদন সাধারণ পরিষদে পেশ করবেন।
জাতিসংঘের যুদ্ধাপরাধ-বিষয়ক বিচারক গোল্ডস্টন এক বিস্তারিত তদন্তের প্রতিবেদনটি তৈরি করেন। গোল্ডস্টনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় ইসরায়েল ও হামাস গোষ্ঠী উভয় যুদ্ধাপরাধ করেছে। ইসরায়েল এবং হামাস উভয়কে তাদের নিজেদের বিশ্বাসযোগ্য ও সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ তদন্ত শুরু করতে বলা হয়। তা না করা হলে আন্তর্জাতিক আদালত ব্যবস্থা নিতে পারে। হামাস বলছে, তার বাহিনী উদ্দেশ্যমূলকভাবে বেসামরিক লোকজনের ওপর রকেট হামলা করেনি।
এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা বলেছেন, জাতিসংঘের কাছে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার মানে এই নয় যে উডস্টনের প্রতিবেদনে যে অভিযোগ করা হয়েছে ও ঘটনার কথা বলা হয়েছে, তার বিস্তারিত জবাব দেওয়া হলো। বরং ইসরায়েলি বিচারব্যবস্থা কেন বিশ্বাসযোগ্য ও নিরপেক্ষ, তা ব্যাখ্যা করা হলো।
No comments