মালদ্বীপও ক্রিকেট খেলে
ইমাদ ইসমাইল কি একটু বিব্রত হলেন? মাত্র ৮৮ রান করে পাকিস্তানের কাছে ১০ উইকেটে হারের পর বাংলাদেশি সাংবাদিকের কাছে ‘আপনার দল তো ভালো খেলল’ জাতীয় প্রশংসায় বিব্রত হওয়ারই কথা মালদ্বীপের ক্রিকেট কোচের। এই যদি ভালো খেলা হয়, খারাপ খেলা কোনটা!
বাস্তবতা হলো, ইমাদ ইসমাইল একটুও বিব্রত হননি। লাজুক মুখে মৃদু হাসি ছড়িয়ে বললেন, ‘এ ম্যাচে আমাদের টার্গেট ছিল ১০০ রান করা আর অন্তত ১০ ওভার বল করা। দুটোতেই মোটামুটি সফল বলতে পারেন।’ কথা সত্যি। মালদ্বীপ ক্রিকেট খেলে শুনেই যদি কেউ চমকে উঠে থাকেন, তাঁদের জন্য তথ্য—মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে কাল একেবারে খারাপ করেনি দ্বীপবাসী ব্যাটসম্যানরা। ১০০ রান না হলেও ২০ ওভারের ম্যাচে তারা ৮৮ রান করেছে, তাও হাতে ৩ উইকেট রেখে। ওপেনার মুশাম ইব্রাহিমের সর্বোচ্চ ২৭ রানে ছিল দৃষ্টিনন্দন একটা ছক্কা। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটারদের নিয়ে গড়া পাকিস্তান কোনো উইকেট না হারিয়েই ৯.৪ ওভারে ম্যাচ জিতে নিলেও ফাঁকা গ্যালারিতে বসে পুলিশ আর অন্যান্য নিরাপত্তা সদস্যরা মালদ্বীপের ক্রিকেট ভালোই উপভোগ করেছেন।
অথচ ইমাদ ইসমাইল জানালেন, মালদ্বীপে ক্রিকেটের চর্চা ৫০ বছর আগে থেকে হলেও খেলাটা এখনো শৌখিন সেখানে। ক্রিকেট খেলে মূলত রাজধানী মালের শ দেড়েক ছেলে। মালেতে মাঠ একটাই। এই মাঠেই ঘুরেফিরে হয় টি-টোয়েন্টি, এক দিন আর দুই দিনের ঘরোয়া ম্যাচ। টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে সাত-আটটা দল হয়, যে দলগুলোর বেশির ভাগ খেলোয়াড়ই মালদ্বীপ প্রবাসী ভারতীয়, শ্রীলঙ্কান বা পাকিস্তানি। এক দিনের ম্যাচ হয় দুই বিভাগে। প্রথম বিভাগে খেলে ছয়টা দল, দ্বিতীয় বিভাগে চারটা। আর দুই দিনের ম্যাচ খেলে কেবল প্রথম বিভাগের ছয়টা দল। ‘ছেলেরা ক্লাবের প্রতি ভালোবাসা থেকেই ক্রিকেট খেলে। খেলার জন্য কেউ কোনো টাকা পায় না। এমনকি খেলার সরঞ্জামও তাদের নিজেদের’—মালদ্বীপ অনূর্ধ্ব-২১ দলের কোচ ইমাদ ইসমাইল সংক্ষেপে তুলে ধরলেন সে দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের চিত্র।
কিন্তু এভাবে কতদূর যাওয়া সম্ভব? ফুটবল জনপ্রিয়তার দেশে মালদ্বীপ ক্রিকেট বোর্ডেরই বা খেলাটা নিয়ে ভবিষ্যত্ পরিকল্পনা কী? ইমাদ ইসমাইল আশাবাদী, ‘এসিসি আমাদের ওখানে ক্রিকেট উন্নয়নের কাজ করছে। বোর্ডও চেষ্টা চালাচ্ছে ক্রিকেটকে জনপ্রিয় করে তুলতে। এ ধরনের টুর্নামেন্টে যত বেশি অংশ নেব, ততই আমাদের ক্রিকেট এগিয়ে যাবে।’ এসএ গেমস ক্রিকেটের কথাই বললেন কোচ, মালদ্বীপ অনূর্ধ্ব-২১ দলের অধিনায়ক আহমেদ হাসানের কাছে যেটা কি না মালদ্বীপের এযাবত্কালে অংশ নেওয়া সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্ট, ‘এত বড় টুর্নামেন্টে আমরা আগে কখনো খেলিনি। আজ (গতকাল) পাকিস্তানের মতো দলের বিপক্ষে খেললাম, এরপর আরও বড় বড় ম্যাচ আছে। এই টুর্নামেন্ট ভালো একটা অভিজ্ঞতা দেবে আমাদের।’
অভিজ্ঞতাটাই সবচেয়ে জরুরি এখন মালদ্বীপের তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য। শুনলে অবাক হবেন, এসএ গেমস খেলতে আসার আগে মালদ্বীপের তরুণদের অভিজ্ঞতা বলতে প্রতিবেশী দেশ শ্রীলঙ্কায় খেলে আসা পাঁচটা প্রস্তুতি ম্যাচ মাত্র। আর আন্তর্জাতিক ম্যাচের অভিজ্ঞতা? সেটা তো কালই প্রথম খেলল মালদ্বীপ অনূর্ধ্ব-২১ দল!
শ্রীলঙ্কা-নেপাল: আমাদের রাজশাহী অফিস জানিয়েছে, রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত দিনের অন্য ম্যাচে শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-২১ দল ৬৪ রানে হারিয়েছে নেপাল অনূর্ধ্ব-২১ দলকে। শ্রীলঙ্কার ৮ উইকেটে করা ১৬৬ রানের জবাবে ৩ উইকেটে ১০২ রান করেছে নেপাল। শ্রীলঙ্কার দিলশান মুনাবিরা ২৮ বলে সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেছেন। নেপালের রুপেশ শ্রীবাস্তব ২৯ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট।
বাস্তবতা হলো, ইমাদ ইসমাইল একটুও বিব্রত হননি। লাজুক মুখে মৃদু হাসি ছড়িয়ে বললেন, ‘এ ম্যাচে আমাদের টার্গেট ছিল ১০০ রান করা আর অন্তত ১০ ওভার বল করা। দুটোতেই মোটামুটি সফল বলতে পারেন।’ কথা সত্যি। মালদ্বীপ ক্রিকেট খেলে শুনেই যদি কেউ চমকে উঠে থাকেন, তাঁদের জন্য তথ্য—মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে কাল একেবারে খারাপ করেনি দ্বীপবাসী ব্যাটসম্যানরা। ১০০ রান না হলেও ২০ ওভারের ম্যাচে তারা ৮৮ রান করেছে, তাও হাতে ৩ উইকেট রেখে। ওপেনার মুশাম ইব্রাহিমের সর্বোচ্চ ২৭ রানে ছিল দৃষ্টিনন্দন একটা ছক্কা। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটারদের নিয়ে গড়া পাকিস্তান কোনো উইকেট না হারিয়েই ৯.৪ ওভারে ম্যাচ জিতে নিলেও ফাঁকা গ্যালারিতে বসে পুলিশ আর অন্যান্য নিরাপত্তা সদস্যরা মালদ্বীপের ক্রিকেট ভালোই উপভোগ করেছেন।
অথচ ইমাদ ইসমাইল জানালেন, মালদ্বীপে ক্রিকেটের চর্চা ৫০ বছর আগে থেকে হলেও খেলাটা এখনো শৌখিন সেখানে। ক্রিকেট খেলে মূলত রাজধানী মালের শ দেড়েক ছেলে। মালেতে মাঠ একটাই। এই মাঠেই ঘুরেফিরে হয় টি-টোয়েন্টি, এক দিন আর দুই দিনের ঘরোয়া ম্যাচ। টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে সাত-আটটা দল হয়, যে দলগুলোর বেশির ভাগ খেলোয়াড়ই মালদ্বীপ প্রবাসী ভারতীয়, শ্রীলঙ্কান বা পাকিস্তানি। এক দিনের ম্যাচ হয় দুই বিভাগে। প্রথম বিভাগে খেলে ছয়টা দল, দ্বিতীয় বিভাগে চারটা। আর দুই দিনের ম্যাচ খেলে কেবল প্রথম বিভাগের ছয়টা দল। ‘ছেলেরা ক্লাবের প্রতি ভালোবাসা থেকেই ক্রিকেট খেলে। খেলার জন্য কেউ কোনো টাকা পায় না। এমনকি খেলার সরঞ্জামও তাদের নিজেদের’—মালদ্বীপ অনূর্ধ্ব-২১ দলের কোচ ইমাদ ইসমাইল সংক্ষেপে তুলে ধরলেন সে দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের চিত্র।
কিন্তু এভাবে কতদূর যাওয়া সম্ভব? ফুটবল জনপ্রিয়তার দেশে মালদ্বীপ ক্রিকেট বোর্ডেরই বা খেলাটা নিয়ে ভবিষ্যত্ পরিকল্পনা কী? ইমাদ ইসমাইল আশাবাদী, ‘এসিসি আমাদের ওখানে ক্রিকেট উন্নয়নের কাজ করছে। বোর্ডও চেষ্টা চালাচ্ছে ক্রিকেটকে জনপ্রিয় করে তুলতে। এ ধরনের টুর্নামেন্টে যত বেশি অংশ নেব, ততই আমাদের ক্রিকেট এগিয়ে যাবে।’ এসএ গেমস ক্রিকেটের কথাই বললেন কোচ, মালদ্বীপ অনূর্ধ্ব-২১ দলের অধিনায়ক আহমেদ হাসানের কাছে যেটা কি না মালদ্বীপের এযাবত্কালে অংশ নেওয়া সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্ট, ‘এত বড় টুর্নামেন্টে আমরা আগে কখনো খেলিনি। আজ (গতকাল) পাকিস্তানের মতো দলের বিপক্ষে খেললাম, এরপর আরও বড় বড় ম্যাচ আছে। এই টুর্নামেন্ট ভালো একটা অভিজ্ঞতা দেবে আমাদের।’
অভিজ্ঞতাটাই সবচেয়ে জরুরি এখন মালদ্বীপের তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য। শুনলে অবাক হবেন, এসএ গেমস খেলতে আসার আগে মালদ্বীপের তরুণদের অভিজ্ঞতা বলতে প্রতিবেশী দেশ শ্রীলঙ্কায় খেলে আসা পাঁচটা প্রস্তুতি ম্যাচ মাত্র। আর আন্তর্জাতিক ম্যাচের অভিজ্ঞতা? সেটা তো কালই প্রথম খেলল মালদ্বীপ অনূর্ধ্ব-২১ দল!
শ্রীলঙ্কা-নেপাল: আমাদের রাজশাহী অফিস জানিয়েছে, রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত দিনের অন্য ম্যাচে শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-২১ দল ৬৪ রানে হারিয়েছে নেপাল অনূর্ধ্ব-২১ দলকে। শ্রীলঙ্কার ৮ উইকেটে করা ১৬৬ রানের জবাবে ৩ উইকেটে ১০২ রান করেছে নেপাল। শ্রীলঙ্কার দিলশান মুনাবিরা ২৮ বলে সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেছেন। নেপালের রুপেশ শ্রীবাস্তব ২৯ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট।
No comments