আমি তো হাসছি, হাসব’ by আবিদুল ইসলাম
বিকেলের সূর্য পশ্চিমে হেলে পড়েছে তখন। বায়তুল মোকাররম মসজিদের ওপর দিয়ে তির্যক আলো এসে পড়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) ভবনের দুয়ারে। সে আলোকে মনে হচ্ছিল কারও ঠোঁটে লেগে থাকা একচিলতে বিজয়ীর হাসি। তখন সেখানে সত্যিই যে ঠোঁটে একচিলতে হাসি নিয়ে বিজয়মঞ্চে দাঁড়িয়েছিলেন ভারোত্তোলক হামিদুল ইসলাম। একটু আগেই বাংলাদেশের ভারোত্তোলনের ইতিহাসকে নতুন করে লিখিয়েছেন তিনি। বাংলাদেশের ভারোত্তোলন দক্ষিণ এশীয় গেমস থেকে প্রথম সোনা পেল তাঁর হাত ধরে।
শেষ বিকেলের সূর্যের হাসি ছড়িয়ে পড়েছে হামিদুলের মুখে। আর তাঁর মুখের হাসিটা ছড়িয়ে পড়েছে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে। এই হাসিটা ছড়িয়ে দিতে পেরে ভালো লাগছে হামিদুলের। তবে সবচেয়ে ভালো লাগছে মায়ের বাবা-মায়ের মুখের হাসিটা, ‘জানেন বাবা-মাকে ফোন করেছিলাম। প্রথমে ওনারা কাঁদলেন। এটা আবেগের কান্না। এর পর হাসলেন। আমি এখান থেকেই যেন দেখতে পেয়েছি, মায়ের মুখটা গর্বে কী উজ্জ্বলই না হয়ে উঠেছে!’
সোনা জয়ের ঘোষণাটা কানে বাজতেই বাবা-মায়ের মুখটাই প্রথম ভেসে উঠেছে হামিদুলের মনের পর্দায়। বাবা-মায়ের জন্যই তো আজকের এই সাফল্য। আবদুল মান্নানের ছিল অভাবের সংসার। তিন ছেলেকে তাই কাজ করতে দিয়েছিলেন মামা হাবিবুর রহমানের খাবার হোটেলে। সেখানে কাজ করতে করতেই একসময় ভারোত্তোলনের শখে পেয়ে বসে হামিদুলকে। নিজেদের কষ্ট হলেও বাবা-মা ছেলের শখের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়াননি।
মেহেরপুরেরই ছেলে মোয়াজ্জেম হোসেনের ভারোত্তোলনের প্রতি ছিল তীব্র টান। মোয়াজ্জেমের ধনী বাবা চাননি ছেলে এটা করুক। তাই বাবার চোখ এড়িয়ে রাতে কুপির আলোয় অনুশীলন করতেন মোয়াজ্জেম। সেখানে তাঁর শিষ্য ছিলেন হামিদুল। মোয়াজ্জেম হামিদুলকে স্বপ্ন দেখাতেন—একদিন তুমি বড় অ্যাথলেট হবে। আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে সোনা জিতে দেশের মুখ উজ্জ্বল করবে। অভাব দূর করবে পরিবারের। মোয়াজ্জেমের কথা সত্যি হয়েছে। দেশের মুখ উজ্জ্বল করেছেন মোয়াজ্জেম। তার আগেই অভাব দূর করেছেন পরিবারের। ভারোত্তোলনের কারণে চাকরি পেয়েছেন সেনাবাহিনীতে। ছোট দুই ভাই আশরাফুল ইসলাম ও একরামুল হককেও নিয়ে এসেছেন ভারোত্তোলনে। চাকরি করেন তাঁরাও।
হামিদুল এখন আরেকটা স্বপ্ন দেখেন। দেশের পতাকা নিয়ে বিজয়মঞ্চে যখন হাত নাড়ছিলেন, তিন ছেলের ছোটটির কথা মনে পড়েছে তাঁর। তাঁর বিশ্বাস, দুই বছরের মোহাম্মদ রোহানই তাঁর পতাকাটা বয়ে নিয়ে যেতে পারবে।
হামিদুলের স্বপ্ন—ছোট ছেলেটা একদিন বড় ভারোত্তোলক হবে। তাঁর মতো কিংবা তাঁকে ছাপিয়ে আরও বড় বিজয়মঞ্চে দাঁড়াবে। সেই বিজয়ের খবর পেয়ে তাঁর বাবার মতোই কাঁদবেন তিনি, হাসবেন তিনি। অনাগত সেই বিজয়ের কথা মনে করে এখনই কি চোখে জল এল হামিদুলের! আঙুল দিয়ে কি চোখের জল মুছলেন? হামিদুল হেসে জবাব দিলেন, ‘কই? কাঁদছি না তো। আমি তো হাসছি। আমি তো হাসব!’
শেষ বিকেলের সূর্যের হাসি ছড়িয়ে পড়েছে হামিদুলের মুখে। আর তাঁর মুখের হাসিটা ছড়িয়ে পড়েছে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে। এই হাসিটা ছড়িয়ে দিতে পেরে ভালো লাগছে হামিদুলের। তবে সবচেয়ে ভালো লাগছে মায়ের বাবা-মায়ের মুখের হাসিটা, ‘জানেন বাবা-মাকে ফোন করেছিলাম। প্রথমে ওনারা কাঁদলেন। এটা আবেগের কান্না। এর পর হাসলেন। আমি এখান থেকেই যেন দেখতে পেয়েছি, মায়ের মুখটা গর্বে কী উজ্জ্বলই না হয়ে উঠেছে!’
সোনা জয়ের ঘোষণাটা কানে বাজতেই বাবা-মায়ের মুখটাই প্রথম ভেসে উঠেছে হামিদুলের মনের পর্দায়। বাবা-মায়ের জন্যই তো আজকের এই সাফল্য। আবদুল মান্নানের ছিল অভাবের সংসার। তিন ছেলেকে তাই কাজ করতে দিয়েছিলেন মামা হাবিবুর রহমানের খাবার হোটেলে। সেখানে কাজ করতে করতেই একসময় ভারোত্তোলনের শখে পেয়ে বসে হামিদুলকে। নিজেদের কষ্ট হলেও বাবা-মা ছেলের শখের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়াননি।
মেহেরপুরেরই ছেলে মোয়াজ্জেম হোসেনের ভারোত্তোলনের প্রতি ছিল তীব্র টান। মোয়াজ্জেমের ধনী বাবা চাননি ছেলে এটা করুক। তাই বাবার চোখ এড়িয়ে রাতে কুপির আলোয় অনুশীলন করতেন মোয়াজ্জেম। সেখানে তাঁর শিষ্য ছিলেন হামিদুল। মোয়াজ্জেম হামিদুলকে স্বপ্ন দেখাতেন—একদিন তুমি বড় অ্যাথলেট হবে। আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে সোনা জিতে দেশের মুখ উজ্জ্বল করবে। অভাব দূর করবে পরিবারের। মোয়াজ্জেমের কথা সত্যি হয়েছে। দেশের মুখ উজ্জ্বল করেছেন মোয়াজ্জেম। তার আগেই অভাব দূর করেছেন পরিবারের। ভারোত্তোলনের কারণে চাকরি পেয়েছেন সেনাবাহিনীতে। ছোট দুই ভাই আশরাফুল ইসলাম ও একরামুল হককেও নিয়ে এসেছেন ভারোত্তোলনে। চাকরি করেন তাঁরাও।
হামিদুল এখন আরেকটা স্বপ্ন দেখেন। দেশের পতাকা নিয়ে বিজয়মঞ্চে যখন হাত নাড়ছিলেন, তিন ছেলের ছোটটির কথা মনে পড়েছে তাঁর। তাঁর বিশ্বাস, দুই বছরের মোহাম্মদ রোহানই তাঁর পতাকাটা বয়ে নিয়ে যেতে পারবে।
হামিদুলের স্বপ্ন—ছোট ছেলেটা একদিন বড় ভারোত্তোলক হবে। তাঁর মতো কিংবা তাঁকে ছাপিয়ে আরও বড় বিজয়মঞ্চে দাঁড়াবে। সেই বিজয়ের খবর পেয়ে তাঁর বাবার মতোই কাঁদবেন তিনি, হাসবেন তিনি। অনাগত সেই বিজয়ের কথা মনে করে এখনই কি চোখে জল এল হামিদুলের! আঙুল দিয়ে কি চোখের জল মুছলেন? হামিদুল হেসে জবাব দিলেন, ‘কই? কাঁদছি না তো। আমি তো হাসছি। আমি তো হাসব!’
No comments