করপোরেশনের মাধ্যমে এক লাখ টন চিনি আমদানির সিদ্ধান্ত
চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশনের মাধ্যমে এবার এক লাখ টন চিনি আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে গত বৃহস্পতিবার শিল্প মন্ত্রণালয়সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিও সুপারিশ করেছে।
শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, আগামী রমজান মাস সামনে রেখে দেশে চিনির দর স্থিতিশীল রাখতে সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আমার আলোচনা হয়েছে। তিনিও সম্মতি দিয়েছেন।’
মন্ত্রী গতকাল সোমবার তাঁর দপ্তরে সাংবাদিকদের এ তথ্য দেন।
এদিকে দেশে চিনির উত্পাদন বাড়ানো ও পাশাপাশি চিনিকলগুলোতে সহযোগী পণ্য তৈরিরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রণালয়। দেশের ১৫টি চিনিকলের মধ্যে দুটিতে ‘ডিস্টিলারি প্লান্ট’ স্থাপন করার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। অন্য দিকে অপরিশোধিত চিনি আমদানি করে দুটি চিনিকলে পরিশোধন করতে ‘ক্রাশিং প্লান্ট’ স্থাপনের নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। মোবারকগঞ্জ চিনিকল, নর্থ বেঙ্গল চিনিকল ও ফরিদপুর চিনিকলের মধ্যে দুটিতে এই ক্রাশিং প্লান্ট স্থাপন করা হবে। বাকি একটি এবং রাজশাহী চিনিকলে ডিস্টিলারি প্লান্ট হবে বলে জানান শিল্পমন্ত্রী।
দিলীপ বড়ুয়া বলেন, ‘আমরা চিনি উত্পাদনের পাশাপাশি আরও কিছু পণ্য উত্পাদনের জন্য এসব পরিকল্পনা করেছি। এগুলো না করতে পারলে এসব শিল্পকে লাভজনকভাবে পরিচালনা করা যাবে না।’
এদিকে চলতি চিনি উত্পাদন মৌসুমে ১৫টি চিনিকলে গত ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত মাত্র ৫৪ হাজার মেট্রিক টন চিনি উত্পাদন হয়েছে। মন্ত্রী বলেছেন, গত মৌসুমের সমপরিমাণ অর্থাত্ ৬০ হাজার মেট্রিক টন চিনি এ বছর দেশে উত্পাদন হবে।
দেশে বার্ষিক চিনির চাহিদা আনুমানিক ১২ লাখ মেট্রিক টন। কয়েক বছর ধরে বেসরকারি খাতেই এসব চিনি আমদানি হয়ে আসছে। তার আগে বিগত আওয়ামী লীগের সরকারের আমলে সরকারের চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশনের মাধ্যমে বড় অংশ চিনি আমদানি হতো। বিগত বিএনপি সরকারের আমলে বেসরকারি খাতের হাতে গোনা সাত-আটটি প্রতিষ্ঠানকে চিনি আমদানির সনদ দেওয়া হয়। কয়েক বছর ধরে বিশেষত রোজার মাসে স্থানীয় বাজারে চিনির ব্যাপক মূল্য বৃদ্ধি পায়। এ সময় ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটকে দায়ী করেন সরকারের একাধিক মন্ত্রী।
প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, চলতি মৌসুমে এক লাখ এক হাজার টন চিনি উত্পাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে দেশের ১৫টি চিনিকল উত্পাদন শুরু করে। কিন্তু গত ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত তথ্যে জানা যায়, আটটি মিল ইতিমধ্যেই বন্ধ হয়ে গেছে। এই মিলগুলো হলো—শ্যামপুর, রংপুর, জয়পুরহাট, রাজশাহী, নাটোর, নর্থ বেঙ্গল, পাবনা ও কুষ্টিয়া চিনিকল।
এ মিলগুলোর কোনোটিই লক্ষ্যমাত্রার ধারে-কাছে পৌঁছাতে পারেনি। যেমন নর্থ বেঙ্গল চিনিকলের এ বছর চিনি উত্পাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৭ হাজার ৫০ টন। কিন্তু মিলটি সাত হাজার ৪৪৮ টন চিনি উত্পাদন করেই বন্ধ হয়ে গেছে। আটটি মিলই কমবেশি লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেক চিনি উত্পাদন করেই বন্ধ হয়ে গেছে।
মন্ত্রী বলেন, চাষিরা দাম ভালো না পাওয়ায় আখ উত্পাদনে আগ্রহ হারায়। সরকার এবার মণপ্রতি আখের ক্রয়মূল্য বাড়িয়ে ৮০ টাকা নির্ধারণ করেছে, যা আগে ছিল ৬৪ টাকা। তিনি জানান, দাম বাড়ানোর পর এবার আখের চারা উত্পাদন গতবারের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। ফলে চিনি উত্পাদনও আগামী মৌসুমে বাড়বে বলে ধারণা করা যায়।
শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, আগামী রমজান মাস সামনে রেখে দেশে চিনির দর স্থিতিশীল রাখতে সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আমার আলোচনা হয়েছে। তিনিও সম্মতি দিয়েছেন।’
মন্ত্রী গতকাল সোমবার তাঁর দপ্তরে সাংবাদিকদের এ তথ্য দেন।
এদিকে দেশে চিনির উত্পাদন বাড়ানো ও পাশাপাশি চিনিকলগুলোতে সহযোগী পণ্য তৈরিরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রণালয়। দেশের ১৫টি চিনিকলের মধ্যে দুটিতে ‘ডিস্টিলারি প্লান্ট’ স্থাপন করার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। অন্য দিকে অপরিশোধিত চিনি আমদানি করে দুটি চিনিকলে পরিশোধন করতে ‘ক্রাশিং প্লান্ট’ স্থাপনের নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। মোবারকগঞ্জ চিনিকল, নর্থ বেঙ্গল চিনিকল ও ফরিদপুর চিনিকলের মধ্যে দুটিতে এই ক্রাশিং প্লান্ট স্থাপন করা হবে। বাকি একটি এবং রাজশাহী চিনিকলে ডিস্টিলারি প্লান্ট হবে বলে জানান শিল্পমন্ত্রী।
দিলীপ বড়ুয়া বলেন, ‘আমরা চিনি উত্পাদনের পাশাপাশি আরও কিছু পণ্য উত্পাদনের জন্য এসব পরিকল্পনা করেছি। এগুলো না করতে পারলে এসব শিল্পকে লাভজনকভাবে পরিচালনা করা যাবে না।’
এদিকে চলতি চিনি উত্পাদন মৌসুমে ১৫টি চিনিকলে গত ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত মাত্র ৫৪ হাজার মেট্রিক টন চিনি উত্পাদন হয়েছে। মন্ত্রী বলেছেন, গত মৌসুমের সমপরিমাণ অর্থাত্ ৬০ হাজার মেট্রিক টন চিনি এ বছর দেশে উত্পাদন হবে।
দেশে বার্ষিক চিনির চাহিদা আনুমানিক ১২ লাখ মেট্রিক টন। কয়েক বছর ধরে বেসরকারি খাতেই এসব চিনি আমদানি হয়ে আসছে। তার আগে বিগত আওয়ামী লীগের সরকারের আমলে সরকারের চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশনের মাধ্যমে বড় অংশ চিনি আমদানি হতো। বিগত বিএনপি সরকারের আমলে বেসরকারি খাতের হাতে গোনা সাত-আটটি প্রতিষ্ঠানকে চিনি আমদানির সনদ দেওয়া হয়। কয়েক বছর ধরে বিশেষত রোজার মাসে স্থানীয় বাজারে চিনির ব্যাপক মূল্য বৃদ্ধি পায়। এ সময় ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটকে দায়ী করেন সরকারের একাধিক মন্ত্রী।
প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, চলতি মৌসুমে এক লাখ এক হাজার টন চিনি উত্পাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে দেশের ১৫টি চিনিকল উত্পাদন শুরু করে। কিন্তু গত ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত তথ্যে জানা যায়, আটটি মিল ইতিমধ্যেই বন্ধ হয়ে গেছে। এই মিলগুলো হলো—শ্যামপুর, রংপুর, জয়পুরহাট, রাজশাহী, নাটোর, নর্থ বেঙ্গল, পাবনা ও কুষ্টিয়া চিনিকল।
এ মিলগুলোর কোনোটিই লক্ষ্যমাত্রার ধারে-কাছে পৌঁছাতে পারেনি। যেমন নর্থ বেঙ্গল চিনিকলের এ বছর চিনি উত্পাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৭ হাজার ৫০ টন। কিন্তু মিলটি সাত হাজার ৪৪৮ টন চিনি উত্পাদন করেই বন্ধ হয়ে গেছে। আটটি মিলই কমবেশি লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেক চিনি উত্পাদন করেই বন্ধ হয়ে গেছে।
মন্ত্রী বলেন, চাষিরা দাম ভালো না পাওয়ায় আখ উত্পাদনে আগ্রহ হারায়। সরকার এবার মণপ্রতি আখের ক্রয়মূল্য বাড়িয়ে ৮০ টাকা নির্ধারণ করেছে, যা আগে ছিল ৬৪ টাকা। তিনি জানান, দাম বাড়ানোর পর এবার আখের চারা উত্পাদন গতবারের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। ফলে চিনি উত্পাদনও আগামী মৌসুমে বাড়বে বলে ধারণা করা যায়।
No comments