শেয়ারের দাম আয়ের ৫০ গুণ হলেই ঋণসুবিধা বন্ধ
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের বিপরীতে ঋণ বিতরণের নিয়মে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এখন থেকে যেসব কোম্পানির শেয়ারের আয় অনুপাতে দাম বা পিই ৫০ পয়েন্ট বা এর বেশি হবে, সেসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার কেনার জন্য মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসগুলো বিনিয়োগকারীদের ঋণসুবিধা দিতে পারবে না।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) এক সভায় গতকাল সোমবার এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর আগে গত ৯ ডিসেম্বর এসইসি পিই অনুপাত ৭৫ পয়েন্টের বেশি হলে ঋণসুবিধা না দেওয়ার জন্য আদেশ জারি করেছিল।
এ ব্যাপারে এসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আনোয়ারুল কবীর ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, বাজারে তারল্যপ্রবাহ এমনিতেই বেড়ে গেছে। এ অবস্থায় অতিরিক্ত ঋণসুবিধা বাজারের তারল্যপ্রবাহকে আরও বাড়িয়ে দেবে, যা শেষ পর্যন্ত বাজারের ঝুঁকিই বাড়াবে। তা ছাড়া অনেক ব্রোকারেজ হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংক গ্রাহকদের ঋণসুবিধা দেওয়ার ক্ষেত্রে দূরদর্শিতার পরিচয় দিতে ব্যর্থ হয়েছে। এসব কারণেই ঋণসুবিধা দেওয়ার জন্য সীমা আরও কমিয়ে এনেছে এসইসি। আজ মঙ্গলবার থেকেই এ নির্দেশ কার্যকর হবে বলে জানান তিনি।
তবে কিসের ভিত্তিতে সীমা নির্ধারণ করা হলো—এ প্রশ্নে আনোয়ারুল কবির ভূঁইয়া বলেন, ‘যাঁরা (কমিশন) এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাঁরাই এর ব্যাখ্যা ভালো দিতে পারবেন।’
এ ছাড়া এসইসি ব্রোকারেজ হাউসগুলোকে তাদের গ্রাহকদের মূলধনের সর্বোচ্চ দেড় গুণ বা ১: ১.৫ অনুপাতের বেশি ঋণ না দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। অর্থাত্, কোনো গ্রাহকের নগদ এক লাখ টাকা থাকলে তাঁকে সর্বোচ্চ দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণসুবিধা দেওয়া যাবে। এর আগে ব্রোকারেজ হাউসগুলো মূলধনের দ্বিগুণ বা ১:২ অনুপাতে ঋণ দিতে পারত। এসইসির নতুন এই সিদ্ধান্তের ফলে মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসগুলোর মধ্যে ঋণসুবিধা দেওয়ার ক্ষেত্রে সমতা এল। মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো সর্বোচ্চ ১:১.৫ হারেই ঋণ দিতে পারে।
নিয়মানুযায়ী ব্রোকারেজ হাউসগুলো তাদের গড় প্রকৃত মূলধনের ২৫ শতাংশের বেশি কোনো একক কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগের জন্য ঋণসুবিধা দিতে পারে না। গ্রাহকদের ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে এ নিয়মের কোনো ব্যতয় ঘটেছে কি না, তা খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এসইসি। এর অংশ হিসেবে ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ব্রোকারেজ হাউসগুলোকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে বলেছে সংস্থাটি।
এসইসি সূত্র বলছে, কোম্পানির সর্বশেষ ইপিএসের ভিত্তিতে পিই অনুপাত হিসাব করা হবে। এটি নিরীক্ষিত বার্ষিক ইপিএস হতে পারে, আবার অনিরীক্ষিত ত্রৈমাসিক ইপিএসও হতে পারে। এটা নির্ভর করবে কোম্পানির সব শেষ কোন ইপিএসটি প্রকাশ করা হয়েছে, তার ওপর।
উল্লেখ্য, কোম্পানির শেয়ারের সর্বশেষ বাজারমূল্যকে শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস দিয়ে ভাগ করলে পিই অনুপাত পাওয়া যায়। যে কোম্পানির পিই যত বেশি, সেই কোম্পানিকে বিনিয়োগের জন্য তত ঝুঁকিপূর্ণ মনে করা হয়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর সর্বশেষ ঘোষিত ত্রৈমাসিক ইপিএসের ভিত্তিতে নির্ণিত পিই প্রকাশ করে থাকে।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) এক সভায় গতকাল সোমবার এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর আগে গত ৯ ডিসেম্বর এসইসি পিই অনুপাত ৭৫ পয়েন্টের বেশি হলে ঋণসুবিধা না দেওয়ার জন্য আদেশ জারি করেছিল।
এ ব্যাপারে এসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আনোয়ারুল কবীর ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, বাজারে তারল্যপ্রবাহ এমনিতেই বেড়ে গেছে। এ অবস্থায় অতিরিক্ত ঋণসুবিধা বাজারের তারল্যপ্রবাহকে আরও বাড়িয়ে দেবে, যা শেষ পর্যন্ত বাজারের ঝুঁকিই বাড়াবে। তা ছাড়া অনেক ব্রোকারেজ হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংক গ্রাহকদের ঋণসুবিধা দেওয়ার ক্ষেত্রে দূরদর্শিতার পরিচয় দিতে ব্যর্থ হয়েছে। এসব কারণেই ঋণসুবিধা দেওয়ার জন্য সীমা আরও কমিয়ে এনেছে এসইসি। আজ মঙ্গলবার থেকেই এ নির্দেশ কার্যকর হবে বলে জানান তিনি।
তবে কিসের ভিত্তিতে সীমা নির্ধারণ করা হলো—এ প্রশ্নে আনোয়ারুল কবির ভূঁইয়া বলেন, ‘যাঁরা (কমিশন) এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাঁরাই এর ব্যাখ্যা ভালো দিতে পারবেন।’
এ ছাড়া এসইসি ব্রোকারেজ হাউসগুলোকে তাদের গ্রাহকদের মূলধনের সর্বোচ্চ দেড় গুণ বা ১: ১.৫ অনুপাতের বেশি ঋণ না দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। অর্থাত্, কোনো গ্রাহকের নগদ এক লাখ টাকা থাকলে তাঁকে সর্বোচ্চ দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণসুবিধা দেওয়া যাবে। এর আগে ব্রোকারেজ হাউসগুলো মূলধনের দ্বিগুণ বা ১:২ অনুপাতে ঋণ দিতে পারত। এসইসির নতুন এই সিদ্ধান্তের ফলে মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসগুলোর মধ্যে ঋণসুবিধা দেওয়ার ক্ষেত্রে সমতা এল। মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো সর্বোচ্চ ১:১.৫ হারেই ঋণ দিতে পারে।
নিয়মানুযায়ী ব্রোকারেজ হাউসগুলো তাদের গড় প্রকৃত মূলধনের ২৫ শতাংশের বেশি কোনো একক কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগের জন্য ঋণসুবিধা দিতে পারে না। গ্রাহকদের ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে এ নিয়মের কোনো ব্যতয় ঘটেছে কি না, তা খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এসইসি। এর অংশ হিসেবে ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ব্রোকারেজ হাউসগুলোকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে বলেছে সংস্থাটি।
এসইসি সূত্র বলছে, কোম্পানির সর্বশেষ ইপিএসের ভিত্তিতে পিই অনুপাত হিসাব করা হবে। এটি নিরীক্ষিত বার্ষিক ইপিএস হতে পারে, আবার অনিরীক্ষিত ত্রৈমাসিক ইপিএসও হতে পারে। এটা নির্ভর করবে কোম্পানির সব শেষ কোন ইপিএসটি প্রকাশ করা হয়েছে, তার ওপর।
উল্লেখ্য, কোম্পানির শেয়ারের সর্বশেষ বাজারমূল্যকে শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস দিয়ে ভাগ করলে পিই অনুপাত পাওয়া যায়। যে কোম্পানির পিই যত বেশি, সেই কোম্পানিকে বিনিয়োগের জন্য তত ঝুঁকিপূর্ণ মনে করা হয়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর সর্বশেষ ঘোষিত ত্রৈমাসিক ইপিএসের ভিত্তিতে নির্ণিত পিই প্রকাশ করে থাকে।
No comments