ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণও জরুরি -রংপুর বিভাগ
সোমবার প্রশাসনিক পুনর্গঠন ও পুনর্বিন্যাস-সম্পর্কিত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির সভায় রংপুরকে বিভাগে উন্নীত করার যে সিদ্ধান্ত হয়েছে, তাকে আমরা স্বাগত জানাই। এটি প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণের পক্ষে এক ধাপ অগ্রগতি বৈকি। মোট আটটি জেলা নতুন বিভাগের অন্তর্ভুক্ত হবে, যথাক্রমে—রংপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নীলফামারী, গাইবান্ধা, পঞ্চগড়, দিনাজপুর ও ঠাকুরগাঁও।
সরকারের এ সিদ্ধান্তে উত্তরাঞ্চলের মানুষ নিঃসন্দেহে খুশি হয়েছে। বিভাগ ঘোষণার খবর প্রচারিত হওয়ার পর উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন শহরে আনন্দ মিছিল বের হয়েছে, মানুষ মিষ্টিমুখ করেছে।
এত দিন উত্তরাঞ্চলের একমাত্র বিভাগ ছিল রাজশাহী। কিন্তু রাজশাহী থেকে উত্তরাঞ্চলের কোনো কোনো জেলা শহরের দূরত্ব সড়কপথে সাত-আট ঘণ্টারও বেশি। রংপুর বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হলে সেসব এলাকার মানুষ প্রশাসনিক সুবিধা পাবে। রংপুর বিভাগ প্রতিষ্ঠা ছিল উত্তরাঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি। অতীতে নেতা-নেত্রীরা প্রতিশ্রুতি দিলেও তা বাস্তবায়ন করেননি। সে ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ তথা মহাজোট সরকার নতুন বিভাগ প্রতিষ্ঠা করে উত্তরাঞ্চলের জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করল। এটি আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিও বটে। পত্রিকার প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী শিগগিরই রংপুরে গিয়ে বিভাগের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবেন।
কিন্তু আনুষ্ঠানিক ঘোষণাই যথেষ্ট নয়, তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হলো এর বাস্তবায়ন। আমাদের প্রশাসনিক কাঠামোয় সচিবালয়ের পরই বিভাগের স্থান। নতুন বিভাগ হলে তার প্রশাসনিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের কাজটিও দ্রুত শেষ করতে হবে। সেখানে নতুন অফিস স্থাপন এবং কর্মকর্তা নিয়োগের বিষয়টিও সামনে আসবে। বর্তমান রংপুর পৌরসভা সিটি করপোরেশনে উন্নীত হবে। বরিশাল ও সিলেট বিভাগ ঘোষণার পর এসব বাস্তবায়নে অযথা বিলম্ব করা হয়েছিল। রংপুরের ক্ষেত্রে সেটি যাতে না হয়, সে ব্যাপারে সরকারকে সতর্ক থাকতে হবে। অফিস ভাড়া করে হলেও অবিলম্বে বিভাগীয় প্রশাসনিক কাজ শুরু করা প্রয়োজন। অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, সরকার অনেক সময় জনগণের স্বার্থে ভালো ভালো প্রকল্প হাতে নিলেও যথাসময়ে তা বাস্তবায়িত হয় না। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা ইচ্ছে করে সময়ক্ষেপণ করেন প্রকল্পের ব্যয় বাড়িয়ে নেওয়ার জন্য।
রংপুর বিভাগ ঘোষণা যদি সরকারের ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণ নীতির অংশ হয়, তা হলে শুধু উত্তরাঞ্চলের নয়, সারা দেশের মানুষই এর প্রতি সমর্থন জানাবে। কিন্তু একদিকে নতুন বিভাগ ঘোষণা, অন্যদিকে স্থানীয় সরকারকে অকার্যকর করা কোন ভাবেই গ্রহনযোগ্য নয়। উপজেলা নির্বাচনের পর সরকার গত এক বছরেও দায়িত্ব নির্দিষ্ট না করায় তার সুফল জনগন পাচ্ছে না। সংবিধানে শক্তিশালী স্থানীয় সরকারের কথা বলা আছে। জনপ্রতিনিধিত্ব সরকার তা অগ্রাহ্য করতে পারেনা। জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে হলে প্রশাসনিক কাঠামো পুনর্বিন্যাসের পাশাপাশি ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণও জরুরি।
সরকারের এ সিদ্ধান্তে উত্তরাঞ্চলের মানুষ নিঃসন্দেহে খুশি হয়েছে। বিভাগ ঘোষণার খবর প্রচারিত হওয়ার পর উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন শহরে আনন্দ মিছিল বের হয়েছে, মানুষ মিষ্টিমুখ করেছে।
এত দিন উত্তরাঞ্চলের একমাত্র বিভাগ ছিল রাজশাহী। কিন্তু রাজশাহী থেকে উত্তরাঞ্চলের কোনো কোনো জেলা শহরের দূরত্ব সড়কপথে সাত-আট ঘণ্টারও বেশি। রংপুর বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হলে সেসব এলাকার মানুষ প্রশাসনিক সুবিধা পাবে। রংপুর বিভাগ প্রতিষ্ঠা ছিল উত্তরাঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি। অতীতে নেতা-নেত্রীরা প্রতিশ্রুতি দিলেও তা বাস্তবায়ন করেননি। সে ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ তথা মহাজোট সরকার নতুন বিভাগ প্রতিষ্ঠা করে উত্তরাঞ্চলের জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করল। এটি আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিও বটে। পত্রিকার প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী শিগগিরই রংপুরে গিয়ে বিভাগের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবেন।
কিন্তু আনুষ্ঠানিক ঘোষণাই যথেষ্ট নয়, তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হলো এর বাস্তবায়ন। আমাদের প্রশাসনিক কাঠামোয় সচিবালয়ের পরই বিভাগের স্থান। নতুন বিভাগ হলে তার প্রশাসনিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের কাজটিও দ্রুত শেষ করতে হবে। সেখানে নতুন অফিস স্থাপন এবং কর্মকর্তা নিয়োগের বিষয়টিও সামনে আসবে। বর্তমান রংপুর পৌরসভা সিটি করপোরেশনে উন্নীত হবে। বরিশাল ও সিলেট বিভাগ ঘোষণার পর এসব বাস্তবায়নে অযথা বিলম্ব করা হয়েছিল। রংপুরের ক্ষেত্রে সেটি যাতে না হয়, সে ব্যাপারে সরকারকে সতর্ক থাকতে হবে। অফিস ভাড়া করে হলেও অবিলম্বে বিভাগীয় প্রশাসনিক কাজ শুরু করা প্রয়োজন। অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, সরকার অনেক সময় জনগণের স্বার্থে ভালো ভালো প্রকল্প হাতে নিলেও যথাসময়ে তা বাস্তবায়িত হয় না। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা ইচ্ছে করে সময়ক্ষেপণ করেন প্রকল্পের ব্যয় বাড়িয়ে নেওয়ার জন্য।
রংপুর বিভাগ ঘোষণা যদি সরকারের ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণ নীতির অংশ হয়, তা হলে শুধু উত্তরাঞ্চলের নয়, সারা দেশের মানুষই এর প্রতি সমর্থন জানাবে। কিন্তু একদিকে নতুন বিভাগ ঘোষণা, অন্যদিকে স্থানীয় সরকারকে অকার্যকর করা কোন ভাবেই গ্রহনযোগ্য নয়। উপজেলা নির্বাচনের পর সরকার গত এক বছরেও দায়িত্ব নির্দিষ্ট না করায় তার সুফল জনগন পাচ্ছে না। সংবিধানে শক্তিশালী স্থানীয় সরকারের কথা বলা আছে। জনপ্রতিনিধিত্ব সরকার তা অগ্রাহ্য করতে পারেনা। জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে হলে প্রশাসনিক কাঠামো পুনর্বিন্যাসের পাশাপাশি ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণও জরুরি।
No comments