ভুয়া সমিতির নিবন্ধন বাতিল করতে হবে -জলমহাল ইজারা
জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুরের জলমহালের ইজারা নিতে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা, শিক্ষক, কৃষক ও ব্যবসায়ীরা ভুয়া জেলে সেজে সমবায় সমিতির নিবন্ধন করিয়ে নেওয়ার ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। তাঁরা ভালো করেই জানেন এটা বেআইনি। আর এই বেআইনি কাজে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা মত্স্য কর্মকর্তা ও সমবায় কর্মকর্তা সহায়তা করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
মত্স্য সমবায় সমিতিগুলোর নিবন্ধনের কাজটি জেলা সমবায় অধিদপ্তর করলেও আবেদনপত্র যাচাই-বাছাইয়ের দায়িত্ব উপজেলা মত্স্য ও সমবায় কর্মকর্তার। এ ক্ষেত্রে সরেজমিন জরিপের বিধান থাকলেও তা করা হয়নি। যে কারণে মাদ্রাসাশিক্ষক থেকে শুরু করে রাজনৈতিক নেতারাও মত্স্যজীবী বনে গেছেন। পত্রিকার খবর অনুযায়ী সরকারি জলমহাল ইজারার জন্য নতুন প্রজ্ঞাপন জারির পর ১০টি মত্স্যজীবী সমবায় সমিতি নিবন্ধন নিয়েছে এবং নিবন্ধনের অপেক্ষায় আরও ৪০টি আবেদনপত্র জমা আছে।
ভুয়া মত্স্যজীবী সমবায় সমিতি নিবন্ধনের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা একে অপরকে দায়ী করেছেন। উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা দায় চাপাচ্ছেন মত্স্য কর্মকর্তার ওপর, আবার মত্স্য কর্মকর্তা বলছেন ইউপি চেয়ারম্যানের সনদ অনুযায়ী নিবন্ধনের সুপারিশ করা হয়েছে। এতে একটি বিষয় স্পষ্ট, পরস্পরের যোগসাজশেই ভুয়া মত্স্যজীবী সমবায় সমিতিগুলোকে নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে। এসব নিবন্ধন অবিলম্বে বাতিল করার পাশাপাশি দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। যেসব আবেদন জেলা সমবায় সমিতি অধিদপ্তরে জমা পড়েছে, তা ভালো করে যাচাই-বাছাই করা প্রয়োজন। উপজেলা সমবায় ও মত্স্য কর্মকর্তার ভুয়া প্রতিবেদনের ভিত্তিতে নিবন্ধন দেওয়া যাবে না।
সমবায় সমিতির সদস্যরা প্রকৃতই মত্স্যজীবী কি না, তা বের করা কঠিন নয়। ভোটার তালিকায় পেশা হিসেবে তাঁরা কী লিখেছিলেন? রাতারাতি তো পেশা বদলানো যায় না। উপজেলা মত্স্য কর্মকর্তা সরেজমিন জরিপ করার কষ্ট স্বীকার না করলেও ভোটার কার্ডটি পরীক্ষা করে দেখতে পারতেন। এ ধরনের ঘটনা যে শুধু আক্কেলপুরেই ঘটেছে, তা ভাববার কারণ নেই।
যখনই যে দল ক্ষমতায় থাকে, তাদের নেতা-কর্মীরা সবকিছু নিজেদের দখলে নিতে চান। আক্কেলপুরে ভুয়া মত্স্যজীবী সমিতির সঙ্গেও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতার নাম রয়েছে। সরকারি জলমহাল ইজারা পাওয়ার অধিকার একমাত্র জেলে বা মত্স্যজীবীদেরই। রাজনৈতিক প্রভাব-প্রতিপত্তি কিংবা অর্থের জোরে সেখানে অন্য কেউ ভাগ বসাবে, তা মেনে নেওয়া যায় না।
মত্স্য সমবায় সমিতিগুলোর নিবন্ধনের কাজটি জেলা সমবায় অধিদপ্তর করলেও আবেদনপত্র যাচাই-বাছাইয়ের দায়িত্ব উপজেলা মত্স্য ও সমবায় কর্মকর্তার। এ ক্ষেত্রে সরেজমিন জরিপের বিধান থাকলেও তা করা হয়নি। যে কারণে মাদ্রাসাশিক্ষক থেকে শুরু করে রাজনৈতিক নেতারাও মত্স্যজীবী বনে গেছেন। পত্রিকার খবর অনুযায়ী সরকারি জলমহাল ইজারার জন্য নতুন প্রজ্ঞাপন জারির পর ১০টি মত্স্যজীবী সমবায় সমিতি নিবন্ধন নিয়েছে এবং নিবন্ধনের অপেক্ষায় আরও ৪০টি আবেদনপত্র জমা আছে।
ভুয়া মত্স্যজীবী সমবায় সমিতি নিবন্ধনের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা একে অপরকে দায়ী করেছেন। উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা দায় চাপাচ্ছেন মত্স্য কর্মকর্তার ওপর, আবার মত্স্য কর্মকর্তা বলছেন ইউপি চেয়ারম্যানের সনদ অনুযায়ী নিবন্ধনের সুপারিশ করা হয়েছে। এতে একটি বিষয় স্পষ্ট, পরস্পরের যোগসাজশেই ভুয়া মত্স্যজীবী সমবায় সমিতিগুলোকে নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে। এসব নিবন্ধন অবিলম্বে বাতিল করার পাশাপাশি দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। যেসব আবেদন জেলা সমবায় সমিতি অধিদপ্তরে জমা পড়েছে, তা ভালো করে যাচাই-বাছাই করা প্রয়োজন। উপজেলা সমবায় ও মত্স্য কর্মকর্তার ভুয়া প্রতিবেদনের ভিত্তিতে নিবন্ধন দেওয়া যাবে না।
সমবায় সমিতির সদস্যরা প্রকৃতই মত্স্যজীবী কি না, তা বের করা কঠিন নয়। ভোটার তালিকায় পেশা হিসেবে তাঁরা কী লিখেছিলেন? রাতারাতি তো পেশা বদলানো যায় না। উপজেলা মত্স্য কর্মকর্তা সরেজমিন জরিপ করার কষ্ট স্বীকার না করলেও ভোটার কার্ডটি পরীক্ষা করে দেখতে পারতেন। এ ধরনের ঘটনা যে শুধু আক্কেলপুরেই ঘটেছে, তা ভাববার কারণ নেই।
যখনই যে দল ক্ষমতায় থাকে, তাদের নেতা-কর্মীরা সবকিছু নিজেদের দখলে নিতে চান। আক্কেলপুরে ভুয়া মত্স্যজীবী সমিতির সঙ্গেও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতার নাম রয়েছে। সরকারি জলমহাল ইজারা পাওয়ার অধিকার একমাত্র জেলে বা মত্স্যজীবীদেরই। রাজনৈতিক প্রভাব-প্রতিপত্তি কিংবা অর্থের জোরে সেখানে অন্য কেউ ভাগ বসাবে, তা মেনে নেওয়া যায় না।
No comments