তালেবান নেতাদের সরকারে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে
আফগানিস্তানে নিযুক্ত শীর্ষস্থানীয় মার্কিন সামরিক কর্মকর্তা বলেছেন, তালেবান নেতাদের কাবুলে নতুন সরকারে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের ফিনান্সিয়াল টাইমস পত্রিকায় গত সোমবার প্রকাশিত একটি সাক্ষাত্কারে জেনারেল স্টানলি ম্যাকক্রিস্টাল এ কথা বলেছেন।
শীর্ষস্থানীয় তালেবান নেতারা কি তাহলে শেষ পর্যন্ত সরকারের অংশ হবে—জানতে চাইলে ম্যাকক্রিস্টাল বলেন, ‘যদি কেউ ভবিষ্যতে নিজেকে দেশের কাজে লাগাতে চান, তাহলে আমি মনে করি, তাঁরা সরকারে যোগ দিতে পারেন।’
ওয়াশিংটনের কূটনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, আগামী বৃহস্পতিবার লন্ডনে আফগানিস্তানবিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আগে ম্যাকক্রিস্টালের এ মন্তব্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আফগানিস্তানের নিরাপত্তার দায়িত্ব আফগানদের হাতে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে এক কর্মকাঠামো তৈরি নিয়ে সম্মেলনে আলোচনা হতে পারে।
আফগানিস্তান সংঘাতের রাজনৈতিক সমাধানের সঙ্গে তালেবানকে সংশ্লিষ্ট করার বিষয়ে মার্কিন নেতারা চলতি মাসের শুরু থেকেই প্রকাশ্যে কথা বলতে শুরু করেছেন। এ ছাড়া তালেবানের সঙ্গে আলোচনা শুরুর জন্য কিছু তালেবান নেতাকে জাতিসংঘের সন্ত্রাসী তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আফগানিস্তানে জাতিসংঘ মিশনের প্রধান কাই এইদে। এ ছাড়া এইদে তালেবানের আরও একটি দাবি—আফগানিস্তানে মার্কিন সামরিক বন্দিশালায় আটক ৭৫০ বন্দীর মুক্তির বিষয়টি পর্যালোচনার গতি জোরদার করার আহ্বান জানান।
এইদে জানান, তিনি আশা করছেন, এ দুটি পদক্ষেপ নেওয়া হলে তালেবানের সঙ্গে আফগান সরকারের সরাসরি আলোচনা আরও সহজ হবে। কেননা, তালেবান নেতাদের অনেকে পাকিস্তানে আত্মগোপন করে আছেন।
অর্থ ও চাকরির বিনিময়ে শীর্ষস্থানীয় তালেবান নেতাদের লড়াই ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিতে একটি উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা তৈরির কাজ শুরু করেছেন আফগান, আমেরিকান ও ন্যাটোর নেতারা। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে শত শত বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন হবে। পরিকল্পনাটি নিয়ে লন্ডন সম্মেলনে আলোচনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে বিশেষ মার্কিন দূত রিচার্ড হলব্রুক গত সপ্তাহে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, জাতিসংঘের সন্ত্রাসী তালিকা থেকে কিছু তালেবান নেতাকে বাদ দেওয়া হতে পারে। কেননা, এ নেতারা সহিংসতা বা আল-কায়েদার সঙ্গে জড়িত নন।
হলব্রুক বলেন, ‘ওই তালিকায় অনেকের অন্তর্ভুক্তির কোনো অর্থ বুঝি না। তালিকার অনেকেই মারা গেছেন। আবার অনেককে তালিকায় তোলাই ঠিক হয়নি।’
আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইও সহিংসতা ছেড়ে দিয়েছেন এবং আল-কায়েদার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়—এমন তালেবান নেতাদের জাতিসংঘের সন্ত্রাসী তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার কথা বলেছেন। পশ্চিমা মিত্ররাও এটিকে সমর্থন করে বলে তিনি জানান।
শীর্ষস্থানীয় তালেবান নেতারা কি তাহলে শেষ পর্যন্ত সরকারের অংশ হবে—জানতে চাইলে ম্যাকক্রিস্টাল বলেন, ‘যদি কেউ ভবিষ্যতে নিজেকে দেশের কাজে লাগাতে চান, তাহলে আমি মনে করি, তাঁরা সরকারে যোগ দিতে পারেন।’
ওয়াশিংটনের কূটনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, আগামী বৃহস্পতিবার লন্ডনে আফগানিস্তানবিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আগে ম্যাকক্রিস্টালের এ মন্তব্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আফগানিস্তানের নিরাপত্তার দায়িত্ব আফগানদের হাতে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে এক কর্মকাঠামো তৈরি নিয়ে সম্মেলনে আলোচনা হতে পারে।
আফগানিস্তান সংঘাতের রাজনৈতিক সমাধানের সঙ্গে তালেবানকে সংশ্লিষ্ট করার বিষয়ে মার্কিন নেতারা চলতি মাসের শুরু থেকেই প্রকাশ্যে কথা বলতে শুরু করেছেন। এ ছাড়া তালেবানের সঙ্গে আলোচনা শুরুর জন্য কিছু তালেবান নেতাকে জাতিসংঘের সন্ত্রাসী তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আফগানিস্তানে জাতিসংঘ মিশনের প্রধান কাই এইদে। এ ছাড়া এইদে তালেবানের আরও একটি দাবি—আফগানিস্তানে মার্কিন সামরিক বন্দিশালায় আটক ৭৫০ বন্দীর মুক্তির বিষয়টি পর্যালোচনার গতি জোরদার করার আহ্বান জানান।
এইদে জানান, তিনি আশা করছেন, এ দুটি পদক্ষেপ নেওয়া হলে তালেবানের সঙ্গে আফগান সরকারের সরাসরি আলোচনা আরও সহজ হবে। কেননা, তালেবান নেতাদের অনেকে পাকিস্তানে আত্মগোপন করে আছেন।
অর্থ ও চাকরির বিনিময়ে শীর্ষস্থানীয় তালেবান নেতাদের লড়াই ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিতে একটি উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা তৈরির কাজ শুরু করেছেন আফগান, আমেরিকান ও ন্যাটোর নেতারা। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে শত শত বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন হবে। পরিকল্পনাটি নিয়ে লন্ডন সম্মেলনে আলোচনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে বিশেষ মার্কিন দূত রিচার্ড হলব্রুক গত সপ্তাহে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, জাতিসংঘের সন্ত্রাসী তালিকা থেকে কিছু তালেবান নেতাকে বাদ দেওয়া হতে পারে। কেননা, এ নেতারা সহিংসতা বা আল-কায়েদার সঙ্গে জড়িত নন।
হলব্রুক বলেন, ‘ওই তালিকায় অনেকের অন্তর্ভুক্তির কোনো অর্থ বুঝি না। তালিকার অনেকেই মারা গেছেন। আবার অনেককে তালিকায় তোলাই ঠিক হয়নি।’
আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইও সহিংসতা ছেড়ে দিয়েছেন এবং আল-কায়েদার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়—এমন তালেবান নেতাদের জাতিসংঘের সন্ত্রাসী তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার কথা বলেছেন। পশ্চিমা মিত্ররাও এটিকে সমর্থন করে বলে তিনি জানান।
No comments