আল-কায়েদার হুমকি ‘ফাঁকা বুলি’ নয়
রাসায়নিক, জীবাণু, এমনকি পরমাণু অস্ত্রের সাহায্যে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর হামলার লক্ষ্য পরিত্যাগ করেনি আল-কায়েদা। পশ্চিমা বিশ্বের ওপর গণবিধ্বংসী অস্ত্রের সাহায্যে তাদের হামলার হুমকি ‘ফাঁকা বুলি’ নয়। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর সাবেক একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা প্রণীত নতুন এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে।
রলফ মোওয়ার্ট লারসেন প্রণীত ওই প্রতিবেদনটি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বেলফার সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স গত সোমবার প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্যাপক বিধ্বংসী অস্ত্র অর্জনের জন্য আল-কায়েদা নেতারা এতটাই বদ্ধপরিকর ও ধৈর্যশীল যে এ জন্য তাঁরা বছরের পর বছর অপেক্ষা করতেও রাজি। এসব অস্ত্রের সাহায্যে ব্যাপক প্রাণহানি ঘটানো সম্ভব হবে।
লারসেন বলেন, ব্যাপক বিধ্বংসী অস্ত্র অর্জনের চেষ্টায়, সাধারণভাবে যা ধারণা করা হয় তার চেয়ে অনেক বেশি সুসংগঠিত আল-কায়েদা গোষ্ঠী। অস্ত্র অর্জনের জন্য ভিন্ন পথেও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে জঙ্গি গোষ্ঠীটি।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসী হামলার পর আল-কায়েদা ও গণবিধ্বংসী অস্ত্র বিষয়ে সিআইএর অভ্যন্তরীণ একটি টাস্কফোর্সের নেতৃত্ব দিয়েছেন মোওয়ার্ট লারসেন। পরে জ্বালানি বিভাগের ইনটেলিজেন্স ও কাউন্টার ইনটেলিজেন্সের পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ২৩ বছর সিআইএতে কাজ করেছেন লারসেন।
প্রতিবেদনে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়, পশ্চিমা দেশগুলোর ওপর ওসামা বিন লাদেনের ব্যাপক গণবিধ্বংসী অস্ত্রের সাহায্যে হামলার হুমকি ‘ফাঁকা বুলি’ নয়। এটা আল-কায়েদার শীর্ষস্থানীয় কৌশলগত লক্ষ্য। ইসলামি বিশ্বে পশ্চিমাপন্থী সরকারগুলোর পতন ঘটানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের অর্থনৈতিক বিনাশ চায় জঙ্গি গোষ্ঠীটি।
জীবাণু অস্ত্র, গবেষণাগার নির্মাণ ও প্রাণঘাতী অ্যানথ্রাক্স ব্যাকটেরিয়া তৈরির প্রচেষ্টায় আল-কায়েদার দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা আইমান আল জাওয়াহিরি কীভাবে এক পাকিস্তানি অণুজীববিজ্ঞানী এবং যুক্তরাষ্ট্রে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মালয়েশিয়া সেনাবাহিনীর এক ক্যাপ্টেনকে তাঁর দলে ভিড়িয়েছিলেন সেটা বর্ণনা করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।
মোওয়ার্ট লারসেন বলেন, ২০০১ সালের সেপ্টেম্বরের আগেই আল-কায়েদা ওই দুটি লক্ষ্যই অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিল। কিন্তু অ্যানথ্রাক্স জীবাণুকে সফলভাবে অস্ত্রে রূপান্তরিত করতে পারেনি তারা। আফগানিস্তানে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বাহিনীর অভিযানের পর আফগানিস্তান ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন বিজ্ঞানীরা।
রলফ মোওয়ার্ট লারসেন প্রণীত ওই প্রতিবেদনটি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বেলফার সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স গত সোমবার প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্যাপক বিধ্বংসী অস্ত্র অর্জনের জন্য আল-কায়েদা নেতারা এতটাই বদ্ধপরিকর ও ধৈর্যশীল যে এ জন্য তাঁরা বছরের পর বছর অপেক্ষা করতেও রাজি। এসব অস্ত্রের সাহায্যে ব্যাপক প্রাণহানি ঘটানো সম্ভব হবে।
লারসেন বলেন, ব্যাপক বিধ্বংসী অস্ত্র অর্জনের চেষ্টায়, সাধারণভাবে যা ধারণা করা হয় তার চেয়ে অনেক বেশি সুসংগঠিত আল-কায়েদা গোষ্ঠী। অস্ত্র অর্জনের জন্য ভিন্ন পথেও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে জঙ্গি গোষ্ঠীটি।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসী হামলার পর আল-কায়েদা ও গণবিধ্বংসী অস্ত্র বিষয়ে সিআইএর অভ্যন্তরীণ একটি টাস্কফোর্সের নেতৃত্ব দিয়েছেন মোওয়ার্ট লারসেন। পরে জ্বালানি বিভাগের ইনটেলিজেন্স ও কাউন্টার ইনটেলিজেন্সের পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ২৩ বছর সিআইএতে কাজ করেছেন লারসেন।
প্রতিবেদনে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়, পশ্চিমা দেশগুলোর ওপর ওসামা বিন লাদেনের ব্যাপক গণবিধ্বংসী অস্ত্রের সাহায্যে হামলার হুমকি ‘ফাঁকা বুলি’ নয়। এটা আল-কায়েদার শীর্ষস্থানীয় কৌশলগত লক্ষ্য। ইসলামি বিশ্বে পশ্চিমাপন্থী সরকারগুলোর পতন ঘটানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের অর্থনৈতিক বিনাশ চায় জঙ্গি গোষ্ঠীটি।
জীবাণু অস্ত্র, গবেষণাগার নির্মাণ ও প্রাণঘাতী অ্যানথ্রাক্স ব্যাকটেরিয়া তৈরির প্রচেষ্টায় আল-কায়েদার দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা আইমান আল জাওয়াহিরি কীভাবে এক পাকিস্তানি অণুজীববিজ্ঞানী এবং যুক্তরাষ্ট্রে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মালয়েশিয়া সেনাবাহিনীর এক ক্যাপ্টেনকে তাঁর দলে ভিড়িয়েছিলেন সেটা বর্ণনা করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।
মোওয়ার্ট লারসেন বলেন, ২০০১ সালের সেপ্টেম্বরের আগেই আল-কায়েদা ওই দুটি লক্ষ্যই অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিল। কিন্তু অ্যানথ্রাক্স জীবাণুকে সফলভাবে অস্ত্রে রূপান্তরিত করতে পারেনি তারা। আফগানিস্তানে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বাহিনীর অভিযানের পর আফগানিস্তান ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন বিজ্ঞানীরা।
No comments