মালয়েশিয়ায় মুসলিম নারীদের নিয়ে লেখা বইয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা বাতিল
মুসলিম নারীদের সম্পর্কে লেখা একটি বইয়ের ওপর সরকারের নিষেধাজ্ঞার আদেশ বাতিল ঘোষণা করেছেন মালয়েশিয়ার হাইকোর্ট। গতকাল মঙ্গলবার একজন আইনজীবী এ কথা জানান। বইটিতে ইসলামের ভুল ব্যাখা করা হয়েছে এবং এটা সর্বসাধারণের স্থিতিশীলতার প্রতি হুমকিস্বরূপ—এই অভিযোগে বইটির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল।
গত কয়েক বছরে মালয়েশিয়ায় বেশ কয়েক ডজন বই নিষিদ্ধ করা হয়। অধিকাংশ বই নিষিদ্ধ করা হয় যৌন-সম্পর্কিত বিষয়বস্তু এবং ইসলামের অপব্যাখা করা হয়েছে—এই বিবেচনা থেকে।
মালয়েশিয়ার নারী অধিকার সংস্থা সিস্টার ইন ইসলামের আইনজীবী মালিক ইমতিয়াজ জানান, গত সোমবার কুয়ালালামপুর হাইকোর্ট রায় দেন, মুসলিম উইম্যান অ্যান্ড দি চ্যালেঞ্জ অব ইসলামিক এক্সট্রিমিজম বইটি জাতীয় নিরাপত্তার প্রতি কোনো হুমকি সৃষ্টি করছে না।
সিস্টার ইন ইসলাম বইটি প্রকাশ করেছে। প্রকাশের দুই বছর পর ২০০৮ সালে ওই প্রবন্ধ সংকলনটি নিষিদ্ধ করে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, বইয়ের বিষয়বস্তু মানুষের বিশ্বাসের ভিত্তিকে দুর্বল করতে পারে এবং জননিরাপত্তা বিঘ্নিত করতে পারে।
সিস্টার ইন ইসলাম দাবি করেছে, ২১৫ পৃষ্ঠার ওই বইটি পুরোপুরি শিক্ষা-সম্পর্কিত। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যে নারী অধিকার নিয়ে কাজ করতে গিয়ে মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর, ইরান, মিসর ও ফিলিপাইনের নারী অধিকারকর্মীরা এবং পণ্ডিতেরা যেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছেন, সেগুলো ব্যাপকভাবে বিশ্লেষণ করা হয়েছে ওই বইয়ে।
সংস্থাটি বলেছে, নিষিদ্ধ করার আগে বইটির প্রায় তিন হাজার কপি বিক্রি হয়েছে। কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যবই হিসেবেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বইটি।
মালিক ইমতিয়াজ বলেন, হাইকোর্টের বিচারপতি মোহাম্মদ আরিফ মোহাম্মদ ইউসুফ বলেছেন, বইটি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত ছিল অযৌক্তিক। কারণ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যে সাতটি পৃষ্ঠা সম্পর্কে আপত্তি করেছিল, সেখানে জননিরাপত্তার প্রতি কোনো ধরনের হুমকির প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
গত কয়েক বছরে মালয়েশিয়ায় বেশ কয়েক ডজন বই নিষিদ্ধ করা হয়। অধিকাংশ বই নিষিদ্ধ করা হয় যৌন-সম্পর্কিত বিষয়বস্তু এবং ইসলামের অপব্যাখা করা হয়েছে—এই বিবেচনা থেকে।
মালয়েশিয়ার নারী অধিকার সংস্থা সিস্টার ইন ইসলামের আইনজীবী মালিক ইমতিয়াজ জানান, গত সোমবার কুয়ালালামপুর হাইকোর্ট রায় দেন, মুসলিম উইম্যান অ্যান্ড দি চ্যালেঞ্জ অব ইসলামিক এক্সট্রিমিজম বইটি জাতীয় নিরাপত্তার প্রতি কোনো হুমকি সৃষ্টি করছে না।
সিস্টার ইন ইসলাম বইটি প্রকাশ করেছে। প্রকাশের দুই বছর পর ২০০৮ সালে ওই প্রবন্ধ সংকলনটি নিষিদ্ধ করে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, বইয়ের বিষয়বস্তু মানুষের বিশ্বাসের ভিত্তিকে দুর্বল করতে পারে এবং জননিরাপত্তা বিঘ্নিত করতে পারে।
সিস্টার ইন ইসলাম দাবি করেছে, ২১৫ পৃষ্ঠার ওই বইটি পুরোপুরি শিক্ষা-সম্পর্কিত। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যে নারী অধিকার নিয়ে কাজ করতে গিয়ে মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর, ইরান, মিসর ও ফিলিপাইনের নারী অধিকারকর্মীরা এবং পণ্ডিতেরা যেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছেন, সেগুলো ব্যাপকভাবে বিশ্লেষণ করা হয়েছে ওই বইয়ে।
সংস্থাটি বলেছে, নিষিদ্ধ করার আগে বইটির প্রায় তিন হাজার কপি বিক্রি হয়েছে। কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যবই হিসেবেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বইটি।
মালিক ইমতিয়াজ বলেন, হাইকোর্টের বিচারপতি মোহাম্মদ আরিফ মোহাম্মদ ইউসুফ বলেছেন, বইটি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত ছিল অযৌক্তিক। কারণ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যে সাতটি পৃষ্ঠা সম্পর্কে আপত্তি করেছিল, সেখানে জননিরাপত্তার প্রতি কোনো ধরনের হুমকির প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
No comments