সংশোধিত বাজেট জাতীয় সংসদের আগামী অধিবেশনেই: অর্থমন্ত্রী -কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ সোনালী, জনতা ও অগ্রণীর স্বতন্ত্র বেতনকাঠামো হবে
চলতি অর্থবছরের (২০০৯-১০) সংশোধিত বাজেট প্রণয়নের কাজ শুরু করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেছেন, ‘সংশোধিত বাজেটের কাজ এবার একটু আগেভাগেই শুরু করা হলো। জাতীয় সংসদের আগামী অধিবেশনে তা উপস্থাপন করা হবে।’
গতকাল রোববার সচিবালয়ে সামষ্টিক অর্থনীতি-সম্পর্কিত সমন্বয় কাউন্সিল এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন তিন বাণিজ্যিক ব্যাংকের স্বতন্ত্র বেতনকাঠামো-সংক্রান্ত বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এসব কথা জানান অর্থমন্ত্রী।
বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান, অর্থসচিব মোহাম্মদ তারেক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর জিয়াউল হাসান সিদ্দিকী এবং রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন তিন ব্যাংকের চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন।
এবার মোট দেশজ উত্পাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির হারের লক্ষ্যমাত্রা যে ৬ শতাংশ ধার্য করা হয়েছে, তা অর্জিত হবে বলে সাংবাদিকদের কাছে আশাবাদ ব্যক্ত করেন অর্থমন্ত্রী। আশাবাদের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি জানান, ‘এবার রাজস্ব আদায় বাড়বে, বৈদেশিক সাহায্য প্রত্যাশা ছাড়িয়ে যাবে। দাতা সংস্থাগুলো যা-ই বলুক না কেন, মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৬ শতাংশের মধ্যেই থাকবে। আর বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নের হার আগের বছরের তুলনায় ইতিমধ্যেই অনেক বেড়ে গেছে।’
অর্থমন্ত্রী জানান, আগের অর্থবছরের ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) এডিপি বাস্তবায়িত হয়েছিল ২৩ শতাংশ। তখন এডিপির আকার ছিল ২৫ হাজার কোটি টাকার মতো। এবারের এডিপির আকার ৩০ হাজার কোটি টাকা হওয়া সত্ত্বেও বাস্তবায়িত হয়েছে ২৮ শতাংশ। অর্থাত্ শুধু অনুপাতে নয়, পরিমাণেও বেড়েছে এডিপি বাস্তবায়নের হার।
স্বতন্ত্র বেতনকাঠামো: বাংলাদেশ ব্যাংক ও রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সোনালী, জনতা ও অগ্রণী ব্যাংকের স্বতন্ত্র বেতনকাঠামোর ব্যাপারে সরকার নীতিগতভাবে একমত বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।
অর্থমন্ত্রী বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ তিন ব্যাংককে বিদ্যমান বেতনকাঠামো থেকে বের করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। প্রতিযোগিতার পরিবেশে টিকে থাকতে হলে পাল্লা দিয়ে চলতে হবে। স্বতন্ত্র বেতনকাঠামোর জন্য ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদ থেকে সুপারিশ পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান অর্থমন্ত্রী। তিনি অবশ্য বলেন, ‘তবে কাঠামো যেন এমন না হয় যে একজন এক লাখ টাকা বেতন পাবেন, আর আরেকজন পাবেন মোটে ৪০ হাজার টাকা।’
এ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ‘স্বতন্ত্র বেতনকাঠামো করতে গেলে যে অতিরিক্ত খরচ হবে, তা এই ব্যাংকগুলোকে আয় করতে হবে। সুতরাং, ব্যাংকগুলো অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে যে সুপারিশ পাঠাবে, তার সঙ্গে একটি করে ব্যবসায় পরিকল্পনাও থাকতে হবে।’
বেতনকাঠামো একবারে বাস্তবায়ন করা হবে না, ধাপে ধাপে করা হবে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, সব মিলিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ সুপারিশ তৈরি করবে বাংলাদেশ ব্যাংক।
প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংক: ‘প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংক’ নামে একটি ব্যাংক গঠনের ব্যাপারেও নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান অর্থমন্ত্রী। এ ব্যাপারে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিবকে প্রধান করে একটি কমিটি করা হয়েছে। এ কমিটি এক মাসের মধ্যে একটি প্রতিবেদন তৈরি করে অর্থ মন্ত্রণালয়ে জমা দেবে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারেও এ রকম একটি অঙ্গীকার ছিল। এর বাইরে আপাতত অন্য কোনো ব্যাংক গঠনের ইচ্ছা নেই সরকারের। প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংকে প্রবাসীদের টাকা-পয়সা আসবে এবং এগুলোকে যথাযথ বিনিয়োগে কাজে লাগানো হবে। এখন তাঁদের টাকা-পয়সা শুধু বাড়ি কেনা, বাড়ি করা বা ভোগবিলাসে ব্যয় হয়ে যায়, বিনিয়োগে আসে না।’
প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংক গঠিত হলে বিদেশ থেকে অর্থ পাঠানো-সম্পর্কিত প্রতারণা বন্ধ হবে বলে মনেও করেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘প্রথম দিকে বিশেষায়িত ব্যাংকের কথা ভাবা হলেও প্রবাসীদের দাবি তফসিলি ব্যাংক করা। তাঁরাই হবেন এর শেয়ারহোল্ডার। তবে তফসিলি ব্যাংক গঠনের কাজটি অত সহজ নয়। সদ্য গঠিত কমিটির প্রতিবেদনে তাই এ ব্যাংক গঠনের নানা দিক উঠে আসবে।’
ব্যাংকিং বিভাগ: সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ব্যাংকিং বিভাগ নামে নতুন বিভাগ চালুর পক্ষে যুক্তি দেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘সরকারের কাজ বিভাজনের অংশ হিসেবে ব্যাংকিং বিভাগ গঠন করা হয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি সব ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো এ বিভাগের আওতায় থাকবে। তবে সমন্বয়ের কাজটি অর্থ বিভাগই করবে।’
এতে বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বায়ত্তশাসনে হস্তক্ষেপ আসবে কি না—এ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘না, সে রকম কোনো আশঙ্কা নেই। বাংলাদেশ ব্যাংক চলবে তার নিজের মতো।’
গতকাল রোববার সচিবালয়ে সামষ্টিক অর্থনীতি-সম্পর্কিত সমন্বয় কাউন্সিল এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন তিন বাণিজ্যিক ব্যাংকের স্বতন্ত্র বেতনকাঠামো-সংক্রান্ত বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এসব কথা জানান অর্থমন্ত্রী।
বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান, অর্থসচিব মোহাম্মদ তারেক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর জিয়াউল হাসান সিদ্দিকী এবং রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন তিন ব্যাংকের চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন।
এবার মোট দেশজ উত্পাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির হারের লক্ষ্যমাত্রা যে ৬ শতাংশ ধার্য করা হয়েছে, তা অর্জিত হবে বলে সাংবাদিকদের কাছে আশাবাদ ব্যক্ত করেন অর্থমন্ত্রী। আশাবাদের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি জানান, ‘এবার রাজস্ব আদায় বাড়বে, বৈদেশিক সাহায্য প্রত্যাশা ছাড়িয়ে যাবে। দাতা সংস্থাগুলো যা-ই বলুক না কেন, মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৬ শতাংশের মধ্যেই থাকবে। আর বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নের হার আগের বছরের তুলনায় ইতিমধ্যেই অনেক বেড়ে গেছে।’
অর্থমন্ত্রী জানান, আগের অর্থবছরের ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) এডিপি বাস্তবায়িত হয়েছিল ২৩ শতাংশ। তখন এডিপির আকার ছিল ২৫ হাজার কোটি টাকার মতো। এবারের এডিপির আকার ৩০ হাজার কোটি টাকা হওয়া সত্ত্বেও বাস্তবায়িত হয়েছে ২৮ শতাংশ। অর্থাত্ শুধু অনুপাতে নয়, পরিমাণেও বেড়েছে এডিপি বাস্তবায়নের হার।
স্বতন্ত্র বেতনকাঠামো: বাংলাদেশ ব্যাংক ও রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সোনালী, জনতা ও অগ্রণী ব্যাংকের স্বতন্ত্র বেতনকাঠামোর ব্যাপারে সরকার নীতিগতভাবে একমত বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।
অর্থমন্ত্রী বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ তিন ব্যাংককে বিদ্যমান বেতনকাঠামো থেকে বের করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। প্রতিযোগিতার পরিবেশে টিকে থাকতে হলে পাল্লা দিয়ে চলতে হবে। স্বতন্ত্র বেতনকাঠামোর জন্য ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদ থেকে সুপারিশ পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান অর্থমন্ত্রী। তিনি অবশ্য বলেন, ‘তবে কাঠামো যেন এমন না হয় যে একজন এক লাখ টাকা বেতন পাবেন, আর আরেকজন পাবেন মোটে ৪০ হাজার টাকা।’
এ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ‘স্বতন্ত্র বেতনকাঠামো করতে গেলে যে অতিরিক্ত খরচ হবে, তা এই ব্যাংকগুলোকে আয় করতে হবে। সুতরাং, ব্যাংকগুলো অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে যে সুপারিশ পাঠাবে, তার সঙ্গে একটি করে ব্যবসায় পরিকল্পনাও থাকতে হবে।’
বেতনকাঠামো একবারে বাস্তবায়ন করা হবে না, ধাপে ধাপে করা হবে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, সব মিলিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ সুপারিশ তৈরি করবে বাংলাদেশ ব্যাংক।
প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংক: ‘প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংক’ নামে একটি ব্যাংক গঠনের ব্যাপারেও নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান অর্থমন্ত্রী। এ ব্যাপারে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিবকে প্রধান করে একটি কমিটি করা হয়েছে। এ কমিটি এক মাসের মধ্যে একটি প্রতিবেদন তৈরি করে অর্থ মন্ত্রণালয়ে জমা দেবে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারেও এ রকম একটি অঙ্গীকার ছিল। এর বাইরে আপাতত অন্য কোনো ব্যাংক গঠনের ইচ্ছা নেই সরকারের। প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংকে প্রবাসীদের টাকা-পয়সা আসবে এবং এগুলোকে যথাযথ বিনিয়োগে কাজে লাগানো হবে। এখন তাঁদের টাকা-পয়সা শুধু বাড়ি কেনা, বাড়ি করা বা ভোগবিলাসে ব্যয় হয়ে যায়, বিনিয়োগে আসে না।’
প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংক গঠিত হলে বিদেশ থেকে অর্থ পাঠানো-সম্পর্কিত প্রতারণা বন্ধ হবে বলে মনেও করেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘প্রথম দিকে বিশেষায়িত ব্যাংকের কথা ভাবা হলেও প্রবাসীদের দাবি তফসিলি ব্যাংক করা। তাঁরাই হবেন এর শেয়ারহোল্ডার। তবে তফসিলি ব্যাংক গঠনের কাজটি অত সহজ নয়। সদ্য গঠিত কমিটির প্রতিবেদনে তাই এ ব্যাংক গঠনের নানা দিক উঠে আসবে।’
ব্যাংকিং বিভাগ: সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ব্যাংকিং বিভাগ নামে নতুন বিভাগ চালুর পক্ষে যুক্তি দেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘সরকারের কাজ বিভাজনের অংশ হিসেবে ব্যাংকিং বিভাগ গঠন করা হয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি সব ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো এ বিভাগের আওতায় থাকবে। তবে সমন্বয়ের কাজটি অর্থ বিভাগই করবে।’
এতে বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বায়ত্তশাসনে হস্তক্ষেপ আসবে কি না—এ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘না, সে রকম কোনো আশঙ্কা নেই। বাংলাদেশ ব্যাংক চলবে তার নিজের মতো।’
No comments