মিজানই বড় ভরসা তায়কোয়ান্দোর
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পুরোনো ভবনের পঞ্চম তলায় তায়কোয়ান্দো খেলোয়াড়দের আবাসিক শিবির। সুযোগ-সুবিধা বাড়ায় ক্যাম্প নিয়ে অভিযোগ নেই খেলোয়াড়দের। অনুশীলন চলছে পরিষদের নিচতলায় জিমনেসিয়ামে। যাওয়া-আসায় ৩০ সেকেন্ডও সময় লাগে না। কিন্তু এটুকু দূরত্ব পাড়ি দিতেই কাল বিকেলে তায়কোয়ান্দো খেলোয়াড়দের কী তাড়াহুড়ো!
ততক্ষণে যে অনুশীলনে এসে পড়েছেন কোরিয়ার কোচ লি জু সং। প্রায় ১০ বছর ধরে বাংলাদেশের তায়কোয়ান্দোর সঙ্গে আছেন। পরিষ্কার বাংলায় কথা বলেন, কিন্তু গত শুক্রবার আর্মি স্টেডিয়াম চত্বর থেকে বেচারার গাড়ি চুরি হয়ে যাওয়ায় মনটা ভীষণ খারাপ হলেও অনুশীলনের ব্যাপারে খুব সিরিয়াস দেখা গেল তাঁকে। কোচ-খেলোয়াড় সবাই মিলে মন দিয়ে অনুশীলন করার একটাই উদ্দেশ্য—এবার দেশের মাটিতে এসএ গেমসে ভালো কিছু করা চাই।
গতবার কলম্বো গেমস প্রায় অপ্রত্যাশিতভাবেই একটা সোনা উপহার দিয়েছিল তায়কোয়ান্দো থেকে। সেটি এনেছিলেন সেনাবাহিনীর মিজানুর রহমান। এবার সেই সোনা ধরে রাখার বাড়তি চাপ আছে মিজানের ওপর। তা ছাড়া গোটা তায়কোয়ান্দো দলের কাছেই এই গেমসটা যে ‘মর্যাদা আর পরীক্ষার’ উপলক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছে!
অনুশীলনের জন্য তৈরি হওয়ার এক ফাঁকে মিজান বললেন, ‘বিশ্বাস করবেন না, এবার কতটা পরিশ্রম করেছি আমরা। একটা বছর কঠোর অনুশীলনের মধ্যে ছিলাম। এখন গেমসে এর প্রতিফলন না থাকলে কষ্টের সীমা থাকবে না।’
তায়কোয়ান্দোতে এবার বাংলাদেশ কটি সোনা জিতবে? সোনা কি আদৌ আসবে? মিজানের উত্তর, ‘এটা আগাম বলা সম্ভব নয়। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে গতবারের সোনাটা ধরে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করব।’
তায়কোয়ান্দোর অন্য খেলোয়াড়েরা একটা কথাই ঘুরেফিরে বলছেন। খুব ভালো খেলোয়াড়ও প্রথম ম্যাচে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে পড়ে হেরে যেতে পারে। তায়কোয়ান্দো মারামারির খেলা, খেলার সময় কে কেমন করে তার ওপরই নির্ভর সবকিছু!
কথা ঠিক। তারপরও আশা থাকেই। মূলত গতবারের সোনাজয়ী মিজানকে (মিডল ওয়েট) কেন্দ্র করেই আবর্তিত এই আশা। হেভিওয়েটে রাসিউল কবিরকে নিয়েও সতীর্থরা আশাবাদী। মেয়েদের বিভাগে পিন ওয়েটে ফারজানা আক্তার রুমি, ফ্লাইওয়েটে শাম্মী আক্তার আছেন সম্ভাবনার তালিকায়। ফারজানা এর আগে এসএ গেমসে ভালোই করেছেন। শাম্মীও এবার ভালো করবেন বলে সতীর্থদের বিশ্বাস। তবে মিজান ও রাসিউলকে নিয়েই প্রত্যাশার পারদটা চড়া। কিছুদিন আগে দক্ষিণ কোরিয়া কাপ থেকে সোনা জিতে আসা এ দুজন বাড়তি আত্মবিশ্বাস জোগাচ্ছেন বাংলাদেশ দলকে।
কিন্তু কথাবার্তায় মিজানের মতোই সতর্ক রাসিউল। সোনা জয়ের ব্যাপারে তাঁর কথা, ‘স্বপ্ন তো আছে সোনা জেতার। অনেক পরিশ্রম করছি আমরা। তবে জিতবই বলি কী করে?’
এক খেলোয়াড় জানালেন, ভোর ছয়টায় উঠে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে তায়কোয়ান্দো খেলোয়াড়দের রানিং দেখে এক অ্যাথলেটিকস কোচ নাকি তাঁর অ্যাথলেটদের বলেছিলেন, ‘ওরা তায়কোয়ান্দো খেলোয়াড় হয়ে এত দৌড়ায়, আর তোমরা অ্যাথলেট হয়ে অত দৌড়াও না!’
১৯৯৯ কাঠমান্ডু সাফে অভিষেকে তায়কোয়ান্দো থেকে বাংলাদেশের অর্জন ছিল ৪টি ব্রোঞ্জ, পরেরবার ১টি ব্রোঞ্জ। এবার কটি সোনা? মিডিয়ার কাছে সতর্ক প্রত্যাশা কোচ লির, ‘গতবার একটা সোনা জিতেছি। এবার প্রতিশ্রুত দেব না, তবে এক-দুটি সোনার সম্ভাবনা আছে।’ কাকে নিয়ে বেশি আশা? ‘মিজান আছে...মেয়েদের মধ্যে রুমি...।’
ততক্ষণে যে অনুশীলনে এসে পড়েছেন কোরিয়ার কোচ লি জু সং। প্রায় ১০ বছর ধরে বাংলাদেশের তায়কোয়ান্দোর সঙ্গে আছেন। পরিষ্কার বাংলায় কথা বলেন, কিন্তু গত শুক্রবার আর্মি স্টেডিয়াম চত্বর থেকে বেচারার গাড়ি চুরি হয়ে যাওয়ায় মনটা ভীষণ খারাপ হলেও অনুশীলনের ব্যাপারে খুব সিরিয়াস দেখা গেল তাঁকে। কোচ-খেলোয়াড় সবাই মিলে মন দিয়ে অনুশীলন করার একটাই উদ্দেশ্য—এবার দেশের মাটিতে এসএ গেমসে ভালো কিছু করা চাই।
গতবার কলম্বো গেমস প্রায় অপ্রত্যাশিতভাবেই একটা সোনা উপহার দিয়েছিল তায়কোয়ান্দো থেকে। সেটি এনেছিলেন সেনাবাহিনীর মিজানুর রহমান। এবার সেই সোনা ধরে রাখার বাড়তি চাপ আছে মিজানের ওপর। তা ছাড়া গোটা তায়কোয়ান্দো দলের কাছেই এই গেমসটা যে ‘মর্যাদা আর পরীক্ষার’ উপলক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছে!
অনুশীলনের জন্য তৈরি হওয়ার এক ফাঁকে মিজান বললেন, ‘বিশ্বাস করবেন না, এবার কতটা পরিশ্রম করেছি আমরা। একটা বছর কঠোর অনুশীলনের মধ্যে ছিলাম। এখন গেমসে এর প্রতিফলন না থাকলে কষ্টের সীমা থাকবে না।’
তায়কোয়ান্দোতে এবার বাংলাদেশ কটি সোনা জিতবে? সোনা কি আদৌ আসবে? মিজানের উত্তর, ‘এটা আগাম বলা সম্ভব নয়। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে গতবারের সোনাটা ধরে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করব।’
তায়কোয়ান্দোর অন্য খেলোয়াড়েরা একটা কথাই ঘুরেফিরে বলছেন। খুব ভালো খেলোয়াড়ও প্রথম ম্যাচে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে পড়ে হেরে যেতে পারে। তায়কোয়ান্দো মারামারির খেলা, খেলার সময় কে কেমন করে তার ওপরই নির্ভর সবকিছু!
কথা ঠিক। তারপরও আশা থাকেই। মূলত গতবারের সোনাজয়ী মিজানকে (মিডল ওয়েট) কেন্দ্র করেই আবর্তিত এই আশা। হেভিওয়েটে রাসিউল কবিরকে নিয়েও সতীর্থরা আশাবাদী। মেয়েদের বিভাগে পিন ওয়েটে ফারজানা আক্তার রুমি, ফ্লাইওয়েটে শাম্মী আক্তার আছেন সম্ভাবনার তালিকায়। ফারজানা এর আগে এসএ গেমসে ভালোই করেছেন। শাম্মীও এবার ভালো করবেন বলে সতীর্থদের বিশ্বাস। তবে মিজান ও রাসিউলকে নিয়েই প্রত্যাশার পারদটা চড়া। কিছুদিন আগে দক্ষিণ কোরিয়া কাপ থেকে সোনা জিতে আসা এ দুজন বাড়তি আত্মবিশ্বাস জোগাচ্ছেন বাংলাদেশ দলকে।
কিন্তু কথাবার্তায় মিজানের মতোই সতর্ক রাসিউল। সোনা জয়ের ব্যাপারে তাঁর কথা, ‘স্বপ্ন তো আছে সোনা জেতার। অনেক পরিশ্রম করছি আমরা। তবে জিতবই বলি কী করে?’
এক খেলোয়াড় জানালেন, ভোর ছয়টায় উঠে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে তায়কোয়ান্দো খেলোয়াড়দের রানিং দেখে এক অ্যাথলেটিকস কোচ নাকি তাঁর অ্যাথলেটদের বলেছিলেন, ‘ওরা তায়কোয়ান্দো খেলোয়াড় হয়ে এত দৌড়ায়, আর তোমরা অ্যাথলেট হয়ে অত দৌড়াও না!’
১৯৯৯ কাঠমান্ডু সাফে অভিষেকে তায়কোয়ান্দো থেকে বাংলাদেশের অর্জন ছিল ৪টি ব্রোঞ্জ, পরেরবার ১টি ব্রোঞ্জ। এবার কটি সোনা? মিডিয়ার কাছে সতর্ক প্রত্যাশা কোচ লির, ‘গতবার একটা সোনা জিতেছি। এবার প্রতিশ্রুত দেব না, তবে এক-দুটি সোনার সম্ভাবনা আছে।’ কাকে নিয়ে বেশি আশা? ‘মিজান আছে...মেয়েদের মধ্যে রুমি...।’
No comments