রাজবাড়ী অঞ্চলে ছয়টি রেলস্টেশন বন্ধ -সরকার হাজার হাজার টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে by রাশেদ রায়হান,
চলতি বছরের কয়েক মাসের মধ্যে রাজবাড়ী অঞ্চলের ছয়টি রেলস্টেশনের সব ধরনের অফিশিয়াল কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ করে করে দেওয়া হয়েছে। জনবল সংকটের কারণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এসব স্টেশনের কার্যক্রম গুটিয়ে নেয় বলে জানা গেছে।
এদিকে স্টেশনগুলোতে রেল কর্তৃপক্ষের কোনো কার্যক্রম না থাকায় প্রতিদিন শত শত মানুষ বিনা টিকিটে ভ্রমণ ও বিভিন্ন মালামাল বহন করছে, যে কারণে সরকার প্রতিদিন হাজার হাজার টাকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, গোয়ালন্দ ঘাট-পোড়াদহ রুটে মোট ১৪টি স্টেশনের মধ্যে ছয়টির কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ করা হয়েছে। স্টেশনগুলো হচ্ছে—পাঁচুরিয়া, সূর্যনগর, মাছপাড়া, চড়াইকোল, জগতী ও বেলগাছি। আরও কিছু স্টেশনেও লোকবল সংকটের কারণে কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলে জানান রেলের কর্মকর্তারা।
রেলস্টেশনগুলো বন্ধ করায় কৃষক ও ব্যবসায়ীরা এ অঞ্চলে উত্পাদিত ফুলকপি, বাঁধাকপি, কালিজিরা, ধনে, গুয়ামুড়ি, গুড় প্রভৃতি কৃষিপণ্য ঠিকমতো সরবরাহ করা যাচ্ছে না।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, এসব স্টেশনে মাস্টার, সহকারী স্টেশনমাস্টার ও বুকিং ক্লার্ক না থাকায় টিকিট বিক্রিসহ মালামাল বুকিংয়ের কাজ বন্ধ রয়েছে। রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ ঘাট ও ফরিদপুর লাইনের জমজমাট স্টেশন পাঁচুরিয়া থেকে স্টেশনমাস্টারসহ তিনজন কর্মকর্তাকে অন্যত্র প্রত্যাহার করে এটিকে বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
রাজবাড়ীতে ট্রেনের কোচ ও মালগাড়ি ধোয়ামোছাসহ সাময়িক মেরামতের জন্য ক্যারেজ-ইয়ার্ড থাকলেও এতে ফোরম্যান ও রানার (শান্টিংম্যান) না থাকায় জরুরি প্রয়োজনেও কোনো কাজ হচ্ছে না। রাজবাড়ীর ক্যারেজ ও ওয়াগন অফিসেরও একই দশা।
রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ ঘাট থেকে প্রতিদিন পোড়াদহ জংশন হয়ে খুলনা ও রাজশাহীর উদ্দেশে পাঁচটি ট্রেন ছেড়ে যায়। অনুরূপভাবে ট্রেনগুলো দৌলতদিয়ায় ফিরে আসে। ট্রেনগুলো হচ্ছে মধুমতী ৭৫৬/৭৫৫, শাটল ৫০৫/৫১৪, শাটল ৫১৩/৫০৬, লোকাল ৫১৫/৫১ ও নকশিকাঁথা ২৫/২৬। স্বল্প খরচ ও কম ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা, উত্তরাঞ্চল ও ঢাকামুখী যাত্রীরা এ রুট দিয়ে চলাচল করে থাকে। এর মধ্যে আন্তনগর মধুমতী এক্সপ্রেস ছাড়া বাকি পাঁচটি ট্রেন সবগুলো স্টেশনে থামে। কিন্তু স্টেশনগুলোতে টিকিট বিক্রির ব্যবস্থা না থাকায় যাত্রীরা এখন বিনা ভাড়ায় চলাচল করে।
রেলওয়ের রাজবাড়ীর স্টেশনমাস্টার দেওয়ান নিজাম উদ্দিনও প্রথম আলোকে জানান, বন্ধ হওয়া স্টেশনগুলোয় সব অবকাঠামো থাকার পরও জনবল প্রত্যাহার করায় এসব স্টেশন থেকে প্রতিদিন শত শত মানুষ বিনা টিকিটেই ট্রেন ভ্রমণ করছে। এ ছাড়া স্থানীয় কৃষক ও ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্য মালামাল বুকিং করতে না পারায় নানা সমস্যার মধ্যে পড়ছে। তিনি আরও বলেন, অন্যদিকে অফিস রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কোনো লোক না থাকায় রেলের মালপত্র চুরির আশঙ্কা যেমন বেড়েছে, তেমনি লাখ লাখ টাকার সম্পদের ক্ষতি সাধিত হচ্ছে।
এদিকে স্টেশনগুলোতে রেল কর্তৃপক্ষের কোনো কার্যক্রম না থাকায় প্রতিদিন শত শত মানুষ বিনা টিকিটে ভ্রমণ ও বিভিন্ন মালামাল বহন করছে, যে কারণে সরকার প্রতিদিন হাজার হাজার টাকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, গোয়ালন্দ ঘাট-পোড়াদহ রুটে মোট ১৪টি স্টেশনের মধ্যে ছয়টির কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ করা হয়েছে। স্টেশনগুলো হচ্ছে—পাঁচুরিয়া, সূর্যনগর, মাছপাড়া, চড়াইকোল, জগতী ও বেলগাছি। আরও কিছু স্টেশনেও লোকবল সংকটের কারণে কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলে জানান রেলের কর্মকর্তারা।
রেলস্টেশনগুলো বন্ধ করায় কৃষক ও ব্যবসায়ীরা এ অঞ্চলে উত্পাদিত ফুলকপি, বাঁধাকপি, কালিজিরা, ধনে, গুয়ামুড়ি, গুড় প্রভৃতি কৃষিপণ্য ঠিকমতো সরবরাহ করা যাচ্ছে না।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, এসব স্টেশনে মাস্টার, সহকারী স্টেশনমাস্টার ও বুকিং ক্লার্ক না থাকায় টিকিট বিক্রিসহ মালামাল বুকিংয়ের কাজ বন্ধ রয়েছে। রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ ঘাট ও ফরিদপুর লাইনের জমজমাট স্টেশন পাঁচুরিয়া থেকে স্টেশনমাস্টারসহ তিনজন কর্মকর্তাকে অন্যত্র প্রত্যাহার করে এটিকে বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
রাজবাড়ীতে ট্রেনের কোচ ও মালগাড়ি ধোয়ামোছাসহ সাময়িক মেরামতের জন্য ক্যারেজ-ইয়ার্ড থাকলেও এতে ফোরম্যান ও রানার (শান্টিংম্যান) না থাকায় জরুরি প্রয়োজনেও কোনো কাজ হচ্ছে না। রাজবাড়ীর ক্যারেজ ও ওয়াগন অফিসেরও একই দশা।
রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ ঘাট থেকে প্রতিদিন পোড়াদহ জংশন হয়ে খুলনা ও রাজশাহীর উদ্দেশে পাঁচটি ট্রেন ছেড়ে যায়। অনুরূপভাবে ট্রেনগুলো দৌলতদিয়ায় ফিরে আসে। ট্রেনগুলো হচ্ছে মধুমতী ৭৫৬/৭৫৫, শাটল ৫০৫/৫১৪, শাটল ৫১৩/৫০৬, লোকাল ৫১৫/৫১ ও নকশিকাঁথা ২৫/২৬। স্বল্প খরচ ও কম ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা, উত্তরাঞ্চল ও ঢাকামুখী যাত্রীরা এ রুট দিয়ে চলাচল করে থাকে। এর মধ্যে আন্তনগর মধুমতী এক্সপ্রেস ছাড়া বাকি পাঁচটি ট্রেন সবগুলো স্টেশনে থামে। কিন্তু স্টেশনগুলোতে টিকিট বিক্রির ব্যবস্থা না থাকায় যাত্রীরা এখন বিনা ভাড়ায় চলাচল করে।
রেলওয়ের রাজবাড়ীর স্টেশনমাস্টার দেওয়ান নিজাম উদ্দিনও প্রথম আলোকে জানান, বন্ধ হওয়া স্টেশনগুলোয় সব অবকাঠামো থাকার পরও জনবল প্রত্যাহার করায় এসব স্টেশন থেকে প্রতিদিন শত শত মানুষ বিনা টিকিটেই ট্রেন ভ্রমণ করছে। এ ছাড়া স্থানীয় কৃষক ও ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্য মালামাল বুকিং করতে না পারায় নানা সমস্যার মধ্যে পড়ছে। তিনি আরও বলেন, অন্যদিকে অফিস রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কোনো লোক না থাকায় রেলের মালপত্র চুরির আশঙ্কা যেমন বেড়েছে, তেমনি লাখ লাখ টাকার সম্পদের ক্ষতি সাধিত হচ্ছে।
No comments