বাবরি মসজিদ ভাঙার ঘটনায় অনুতপ্ত নই: ভগবত
ভারতীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) প্রধান মোহন ভগবত বলেছেন, ১৭ বছর আগে ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ ভাঙার ঘটনায় সংঘের অনুতাপ করার প্রশ্নই আসে না। বরং ওই মসজিদের স্থানে রামমন্দির স্থাপনের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। গতকাল শনিবার ভারতীয় শহর চণ্ডীগরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
সম্প্রতি বাবরি মসজিদ ভাঙার ঘটনায় গঠিত লিবারহান তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এতে অভিযোগ করা হয়েছে, উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ভাঙার ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত ছিল এবং এতে তত্কালীন রাজ্য সরকার, আরএসএস ও ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) শীর্ষনেতারা জড়িত। বিজেপি ও আরএসএসের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে মোহন ভগবত বলেন, কোনো ষড়যন্ত্র নয়, বরং জনতার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমেই বাবরি মসজিদের পতন হয়েছে। মুসলিম সম্প্রদায়ের অনেক লোকও এতে জড়িত ছিলেন। যা কিছুই ঘটেছে, তা রামমন্দির নির্মাণ আন্দোলনের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। তাই এ নিয়ে আরএসএসের অনুতপ্ত হওয়ার কিছু নেই। কারও নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, ‘যাদের আফসোস করার তারা আফসোস করুক।’
বাবরি মসজিদ ভাঙার ঘটনায় অংশগ্রহণকারী কয়েকজন মুসলিম নেতার নাম জানতে চাইলে আরএসএসের প্রধান জানান, ওই দিন প্রবীণ বিজেপি নেতা মুখতার আব্বাস নাকভি ও মুজাফফর হুসাইনের মতো মুসলিম সম্প্রদায়ের অনেকে উপস্থিত ছিলেন। রামমন্দির আন্দোলনে সংঘের সমর্থন অব্যাহত রাখার কথা জানিয়ে মোহন ভগবত বলেন, সংঘ নিজস্ব নির্দেশনা অনুসারে কাজ করে যাচ্ছে। ‘সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় বা আদালতের আদেশে অথবা জনগণের মতৈক্যের ভিত্তিতে—যেভাবেই হোক রামমন্দির নির্মাণ করার ব্যাপারে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
বাবরি মসজিদ ভাঙার পরে মুসলিম ও খ্রিষ্ট সম্প্রদায়সহ অন্যান্য সম্প্রদায়ের সঙ্গে সংঘের নৈকট্য বেড়েছে দাবি করে মোহন ভগবত বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য পরিষ্কার। অন্য সম্প্রদায়ের সঙ্গে আমাদের কোনো শত্রুতা নেই।’ বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা সংঘের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে বলেও দাবি করেন তিনি। ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর ভারতের অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ভেঙে ফেলা হয়।
সম্প্রতি বাবরি মসজিদ ভাঙার ঘটনায় গঠিত লিবারহান তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এতে অভিযোগ করা হয়েছে, উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ভাঙার ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত ছিল এবং এতে তত্কালীন রাজ্য সরকার, আরএসএস ও ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) শীর্ষনেতারা জড়িত। বিজেপি ও আরএসএসের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে মোহন ভগবত বলেন, কোনো ষড়যন্ত্র নয়, বরং জনতার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমেই বাবরি মসজিদের পতন হয়েছে। মুসলিম সম্প্রদায়ের অনেক লোকও এতে জড়িত ছিলেন। যা কিছুই ঘটেছে, তা রামমন্দির নির্মাণ আন্দোলনের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। তাই এ নিয়ে আরএসএসের অনুতপ্ত হওয়ার কিছু নেই। কারও নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, ‘যাদের আফসোস করার তারা আফসোস করুক।’
বাবরি মসজিদ ভাঙার ঘটনায় অংশগ্রহণকারী কয়েকজন মুসলিম নেতার নাম জানতে চাইলে আরএসএসের প্রধান জানান, ওই দিন প্রবীণ বিজেপি নেতা মুখতার আব্বাস নাকভি ও মুজাফফর হুসাইনের মতো মুসলিম সম্প্রদায়ের অনেকে উপস্থিত ছিলেন। রামমন্দির আন্দোলনে সংঘের সমর্থন অব্যাহত রাখার কথা জানিয়ে মোহন ভগবত বলেন, সংঘ নিজস্ব নির্দেশনা অনুসারে কাজ করে যাচ্ছে। ‘সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় বা আদালতের আদেশে অথবা জনগণের মতৈক্যের ভিত্তিতে—যেভাবেই হোক রামমন্দির নির্মাণ করার ব্যাপারে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
বাবরি মসজিদ ভাঙার পরে মুসলিম ও খ্রিষ্ট সম্প্রদায়সহ অন্যান্য সম্প্রদায়ের সঙ্গে সংঘের নৈকট্য বেড়েছে দাবি করে মোহন ভগবত বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য পরিষ্কার। অন্য সম্প্রদায়ের সঙ্গে আমাদের কোনো শত্রুতা নেই।’ বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা সংঘের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে বলেও দাবি করেন তিনি। ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর ভারতের অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ভেঙে ফেলা হয়।
No comments