ডলার আবার শক্তিশালী, স্বর্ণের দরপতন
ডলার ক্রমেই দুর্বল হচ্ছিল। আর বিপরীতে বেড়ে চলছিল স্বর্ণের দর। ১ ডিসেম্বর বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দর প্রথমবারের মতো প্রতি আউন্স এক হাজার ২০০ ডলার অতিক্রম করে। পরের দুই দিনও এ প্রবণতা অব্যাহত ছিল।
কিন্তু গত শুক্রবার ঘটে উল্টো ঘটনা। প্রতি আউন্স স্বর্ণের দর এক ধাক্কায় এক হাজার ২২৬ ডলার ৫৬ সেন্ট থেকে নেমে আসে এক হাজার ১৬১ ডলার ৪০ সেন্টে।
কারণটা হলো, মার্কিন ডলার আবার শক্তিশালী হয়ে ওঠা। মার্কিন ডলারের দর এদিন জাপানি ইয়েনের বিপরীতে দুই শতাংশ এবং ইউরোর বিপরীতে ১ দশমিক ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়।
তবে মার্কিন ডলার এমনি এমনি শক্তিশালী হয়ে ওঠেনি। শক্তিশালী হয়েছে আমেরিকার অর্থনীতি চাঙ্গা হয়ে ওঠার একটি সংবাদে। সংবাদটি হলো, দেশটির বেকারত্বের হার অক্টোবর মাসের তুলনায় নভেম্বর মাসে হ্রাস পেয়েছে।
সরকারি পরিসংখ্যানে দেখা যায়, অক্টোবর মাসে আমেরিকায় বেকারত্বের হার ছিল ১০ দশমিক ২০ শতাংশ, যা নভেম্বর মাসে কমে হয়েছে ১০ শতাংশ। পরিমাণগত হিসাবে নভেম্বর মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১১ হাজার মানুষ কাজ হারিয়েছে।
মন্দা শুরু হওয়ার পর ২০০৭ সালের ডিসেম্বর থেকে এ পর্যন্ত এটাই কোনো এক মাসে কাজ হারানোর সবচেয়ে কম সংখ্যা।
এর আগে অনেকেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, নভেম্বর মাসে এক লাখ ৩০ হাজার মানুষ কাজ হারাতে পারে। বাস্তবে এর চেয়ে অনেক কম মানুষ কাজ হারিয়েছে। আর এটাই মার্কিন অর্থনীতির শক্তিমত্তার অন্যতম প্রকাশ বলে মনে করা হচ্ছে।
নভেম্বরের বেকারত্বের সংখ্যাটি অবশ্য প্রাথমিক হিসাব। পরবর্তী সময়ে এটি আরও সংশোধিত হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম অধিদপ্তর অক্টোবর মাসে বেকারের সংখ্যা সংশোধন করে এক লাখ ১০ হাজার নির্ধারণ করেছে, যা প্রাথমিকভাবে ছিল এক লাখ ৯০ হাজার।
একইভাবে সেপ্টেম্বর মাসেও বেকারের সংখ্যা দুই লাখ ১৯ হাজার থেকে কমিয়ে এক লাখ ৩৯ হাজার নির্ধারণ করা হয়েছে।
নভেম্বরের এত কম বেকারের সংখ্যাটি সবাইকে বিস্মিত করেছে। পাশাপাশি মার্কিন নীতিনির্ধারকেরাও এতে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন।
তথ্যটি জানার পর এক বিবৃতিতে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, ‘এটা আমাদের জন্য একটা ভালো খবর, যা আমরা আশা করছিলাম। তবে আমাদের আরও অনেক দূর এগিয়ে যেতে হবে।’
স্বর্ণের দর: কয়েক সপ্তাহ ধরে স্বর্ণের দর বেড়ে চলছিল। বিশ্লেষকদের মতে, স্বর্ণ হলো সবচেয়ে নিরাপদ বিনিয়োগ। ডলার দুর্বল হয়ে পড়ায় এই নিরাপদ উত্সটির প্রতি নির্ভরতা আরও বেড়ে যায় বিনিয়োগকারীদের।
তাঁরা আরও বলছেন, অনিশ্চয়তার সময় বিনিয়োগকারীরা স্বর্ণকেই বেছে নেন। গত সপ্তাহে দুবাই ঋণ-সংকটের জের ধরে অনেক বিনিয়োগকারী শেয়ারবাজার থেকে অর্থ তুলে নিয়ে স্বর্ণ কিনতে শুরু করেন।
বিশ্বের অনেক কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ যেসব প্রতিষ্ঠান অধিকহারে ডলার ধরে রেখেছিল, তারাও সাম্প্রতিক সময়ে স্বর্ণের দিকে ঝুঁকেছে। চীন, ভারত ও রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার সময় রক্ষাকবচ হিসেবে স্বর্ণে বিনিয়োগকে অধিক নিরাপদ হিসেবে গণ্য করছে।
অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র সরকার সুদের হার কিছুদিন পর্যন্ত নিম্ন পর্যায়ে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় বিনিয়োগকারীদের কাছে ডলারের আকর্ষণ কিছুটা হ্রাস পায়। অনেকে ডলার থেকে বিনিয়োগ সরিয়ে নেয়। এর ফলে বিশ্ববাজারে অন্য প্রধান মুদ্রাগুলোর বিপরীতে ডলার দুর্বল হয়ে পড়ে।
বিশ্লেষকেরা অবশ্য এ-ও বলছেন, এই দুটি কারণ ছাড়াও ফাটকাবাজিজনিত কারণও স্বর্ণের দর বাড়িয়ে দেয়। অনেকেই মনে করতে থাকেন, স্বর্ণের দর আরও বাড়বে। সে কারণে তাঁরাও স্বর্ণ কিনতে এগিয়ে আসেন। এর ফলে স্বর্ণের চাহিদা বেড়ে যায়, যার ফলে দাম বেড়ে যায়।
কিন্তু গত শুক্রবার ঘটে উল্টো ঘটনা। প্রতি আউন্স স্বর্ণের দর এক ধাক্কায় এক হাজার ২২৬ ডলার ৫৬ সেন্ট থেকে নেমে আসে এক হাজার ১৬১ ডলার ৪০ সেন্টে।
কারণটা হলো, মার্কিন ডলার আবার শক্তিশালী হয়ে ওঠা। মার্কিন ডলারের দর এদিন জাপানি ইয়েনের বিপরীতে দুই শতাংশ এবং ইউরোর বিপরীতে ১ দশমিক ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়।
তবে মার্কিন ডলার এমনি এমনি শক্তিশালী হয়ে ওঠেনি। শক্তিশালী হয়েছে আমেরিকার অর্থনীতি চাঙ্গা হয়ে ওঠার একটি সংবাদে। সংবাদটি হলো, দেশটির বেকারত্বের হার অক্টোবর মাসের তুলনায় নভেম্বর মাসে হ্রাস পেয়েছে।
সরকারি পরিসংখ্যানে দেখা যায়, অক্টোবর মাসে আমেরিকায় বেকারত্বের হার ছিল ১০ দশমিক ২০ শতাংশ, যা নভেম্বর মাসে কমে হয়েছে ১০ শতাংশ। পরিমাণগত হিসাবে নভেম্বর মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১১ হাজার মানুষ কাজ হারিয়েছে।
মন্দা শুরু হওয়ার পর ২০০৭ সালের ডিসেম্বর থেকে এ পর্যন্ত এটাই কোনো এক মাসে কাজ হারানোর সবচেয়ে কম সংখ্যা।
এর আগে অনেকেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, নভেম্বর মাসে এক লাখ ৩০ হাজার মানুষ কাজ হারাতে পারে। বাস্তবে এর চেয়ে অনেক কম মানুষ কাজ হারিয়েছে। আর এটাই মার্কিন অর্থনীতির শক্তিমত্তার অন্যতম প্রকাশ বলে মনে করা হচ্ছে।
নভেম্বরের বেকারত্বের সংখ্যাটি অবশ্য প্রাথমিক হিসাব। পরবর্তী সময়ে এটি আরও সংশোধিত হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম অধিদপ্তর অক্টোবর মাসে বেকারের সংখ্যা সংশোধন করে এক লাখ ১০ হাজার নির্ধারণ করেছে, যা প্রাথমিকভাবে ছিল এক লাখ ৯০ হাজার।
একইভাবে সেপ্টেম্বর মাসেও বেকারের সংখ্যা দুই লাখ ১৯ হাজার থেকে কমিয়ে এক লাখ ৩৯ হাজার নির্ধারণ করা হয়েছে।
নভেম্বরের এত কম বেকারের সংখ্যাটি সবাইকে বিস্মিত করেছে। পাশাপাশি মার্কিন নীতিনির্ধারকেরাও এতে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন।
তথ্যটি জানার পর এক বিবৃতিতে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, ‘এটা আমাদের জন্য একটা ভালো খবর, যা আমরা আশা করছিলাম। তবে আমাদের আরও অনেক দূর এগিয়ে যেতে হবে।’
স্বর্ণের দর: কয়েক সপ্তাহ ধরে স্বর্ণের দর বেড়ে চলছিল। বিশ্লেষকদের মতে, স্বর্ণ হলো সবচেয়ে নিরাপদ বিনিয়োগ। ডলার দুর্বল হয়ে পড়ায় এই নিরাপদ উত্সটির প্রতি নির্ভরতা আরও বেড়ে যায় বিনিয়োগকারীদের।
তাঁরা আরও বলছেন, অনিশ্চয়তার সময় বিনিয়োগকারীরা স্বর্ণকেই বেছে নেন। গত সপ্তাহে দুবাই ঋণ-সংকটের জের ধরে অনেক বিনিয়োগকারী শেয়ারবাজার থেকে অর্থ তুলে নিয়ে স্বর্ণ কিনতে শুরু করেন।
বিশ্বের অনেক কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ যেসব প্রতিষ্ঠান অধিকহারে ডলার ধরে রেখেছিল, তারাও সাম্প্রতিক সময়ে স্বর্ণের দিকে ঝুঁকেছে। চীন, ভারত ও রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার সময় রক্ষাকবচ হিসেবে স্বর্ণে বিনিয়োগকে অধিক নিরাপদ হিসেবে গণ্য করছে।
অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র সরকার সুদের হার কিছুদিন পর্যন্ত নিম্ন পর্যায়ে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় বিনিয়োগকারীদের কাছে ডলারের আকর্ষণ কিছুটা হ্রাস পায়। অনেকে ডলার থেকে বিনিয়োগ সরিয়ে নেয়। এর ফলে বিশ্ববাজারে অন্য প্রধান মুদ্রাগুলোর বিপরীতে ডলার দুর্বল হয়ে পড়ে।
বিশ্লেষকেরা অবশ্য এ-ও বলছেন, এই দুটি কারণ ছাড়াও ফাটকাবাজিজনিত কারণও স্বর্ণের দর বাড়িয়ে দেয়। অনেকেই মনে করতে থাকেন, স্বর্ণের দর আরও বাড়বে। সে কারণে তাঁরাও স্বর্ণ কিনতে এগিয়ে আসেন। এর ফলে স্বর্ণের চাহিদা বেড়ে যায়, যার ফলে দাম বেড়ে যায়।
No comments