চলতি ২০০৯-১০ অর্থবছরের সাড়ে চার মাসে ব্যাংকব্যবস্থা থেকে সরকার যে পরিমাণ ঋণ করেছে তার চেয়ে অনেক বেশি অর্থ পরিশোধ করেছে। যার কারণে গত ৩০ জুনের তুলনায় ব্যাংকব্যবস্থায় সরকারের নিট ঋণের পরিমাণ সাত হাজার ৭৪৪ কোটি ৯৩ লাখ টাকা কমে গেছে।
গত ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, ব্যাংকব্যবস্থায় সরকারের ঋণের সার্বিক স্থিতি হয়েছে ৪৮ হাজার ৯৮৫ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। গত অর্থবছরের শেষদিন অর্থাত্ ৩০ জুন এর পরিমাণ ছিল ৫৬ হাজার ৭৩০ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।
এদিকে সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) দেশে কার্যত কোনো বাজেট ঘাটতি অর্থায়ন করতে হয়নি। ফলে সরকার এই বিপুল পরিমাণ ব্যাংক ঋণ ফেরত দিতে পেরেছে। এখন বাজেট উদ্বৃত্ত দেখা দিয়েছে।
হালনাগাদ তথ্য-উপাত্ত না থাকায় অর্থবছরের তিন বা চার মাসের ঘাটতি অর্থায়নের অবস্থা জানা যায়নি। অর্থ মন্ত্রণালয় বা বাংলাদেশ ব্যাংক—কেউই এ সংক্রান্ত হালনাগাদ পরিসংখ্যান প্রকাশ করেনি।
জাতীয় বাজেটে চলতি অর্থবছর ব্যাংকব্যবস্থা থেকে সরকারের মোট ১৬ হাজার ৭৫৫ কোটি টাকা ঋণ করার পরিকল্পনা রয়েছে।
ব্যাংকব্যবস্থায় ঋণ কমলেও চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) সরকার ব্যাংকবহির্ভূত উত্স বিশেষত, সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে বড় অঙ্কের অর্থ সংগ্রহ করেছে। তিন মাসে সঞ্চয়পত্রে সরকারের ঋণ হয়েছে দুই হাজার ৮০৯ কোটি ৯৬ টাকা।
এ নিয়ে সেপ্টেম্বর শেষে সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে সরকারের মোট ঋণের স্থিতি গিয়ে ঠেকেছে ৫২ হাজার ৬০০ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।
২০০৮-০৯ গোটা অর্থবছরে সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে সরকারের ঋণের পরিমাণ ছিল তিন হাজার ৬৩৩ কোটি ৩২ লাখ টাকা। ফলে গত ৩০ জুন এসে সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে মোট ঋণের স্থিতি হয় ৪৯ হাজার ৭৯০ কোটি ৭৯ লাখ টাকা।
ব্যাংকে আমানতের সুদের হার কমে যাওয়ায় সাধারণ মানুষ এখন শেয়ারবাজারের বাইরে নিশ্চিত বিনিয়োগ হিসেবে সঞ্চয়পত্রের দিকে ঝুঁকে আছে। যে কারণে সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে সরকার বেশি অর্থ সংগ্রহ করতে পারছে।
এদিকে ব্যাংকব্যবস্থায় সরকারের ঋণ কমে আসা এবং দেশে বিশেষত, বিদ্যুত্-গ্যাসের পর্যাপ্ত সরবরাহ না থাকায় শিল্প-বিনিয়োগে এক ধরনের মন্থর গতি তৈরি হয়েছে। ফলে ব্যাংকগুলোতে বিনিয়োগযোগ্য অর্থ পড়ে থাকলেও তা খাটানো যাচ্ছে না।
আর এ কারণে গ্রাহকের আমানতের নিরাপত্তা সঞ্চিতি বা বিধিবদ্ধ জমার বাইরে ব্যাংক খাতে প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার কোটি টাকার উদ্বৃত তহবিল পড়ে রয়েছে।
অন্যদিকে ২০০৯-১০ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে বিদেশি ঋণ বাবদ সরকার পেয়েছে মাত্র ১৫৪ কোটি ১১ লাখ টাকা। আর গত অর্থবছরের একই সময় বিদেশি ঋণ বাবদ প্রকৃত প্রাপ্তি ছিল এক হাজার ৫৭০ কোটি ৯৫ লাখ টাকা।
অর্থবছরের প্রথম দুই মাসের তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনায় দেশি-বিদেশি উত্স থেকে ঋণ নেওয়া ও ঋণ ফেরত দেওয়া সমন্বয় করলে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের আলোচ্য সময়কালে সরকারের হাতে দুই হাজার ৮৩ কোটি ৪০ লাখ টাকার উদ্বৃত্ত রয়েছে।
অন্যদিকে গত অর্থবছরের জুলাই-আগস্ট সময়কালে ঘাটতি বাবদ অর্থায়ন করতে হয়েছিল প্রায় এক হাজার ৬৮৮ কোটি টাকা।
মূলত উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে অর্থ ব্যয় করতে না পারাই সরকারের ঘাটতি অর্থায়নের প্রয়োজনীয়তা কমিয়ে দিয়েছে। গাণিতিক হিসেবে সরকারের এখন তাই বাজেট উদ্বৃত্ত দেখা দিয়েছে।
এই সময়কালে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) সরকারকে তেমন কোনো অর্থ ব্যয়ই করতে হয়নি। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, ২০০৯-১০ অর্থবছরের জুলাই-আগস্ট সময়কালে এডিপি বাবদ এক হাজার ৩৪৭ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। অথচ একই সময় ছাড় করা হয়েছে তিন হাজার ২৯৩ কোটি টাকা।
তবে এটি কোনো সন্তোষজনক পরিস্থিতি বলে পরিগণিত হতে পারে না। বরং এর মাধ্যমে সরকারের বাজেট ব্যবস্থাপনার দুর্বলতাই ফুটে উঠেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
গত ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, ব্যাংকব্যবস্থায় সরকারের ঋণের সার্বিক স্থিতি হয়েছে ৪৮ হাজার ৯৮৫ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। গত অর্থবছরের শেষদিন অর্থাত্ ৩০ জুন এর পরিমাণ ছিল ৫৬ হাজার ৭৩০ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।
এদিকে সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) দেশে কার্যত কোনো বাজেট ঘাটতি অর্থায়ন করতে হয়নি। ফলে সরকার এই বিপুল পরিমাণ ব্যাংক ঋণ ফেরত দিতে পেরেছে। এখন বাজেট উদ্বৃত্ত দেখা দিয়েছে।
হালনাগাদ তথ্য-উপাত্ত না থাকায় অর্থবছরের তিন বা চার মাসের ঘাটতি অর্থায়নের অবস্থা জানা যায়নি। অর্থ মন্ত্রণালয় বা বাংলাদেশ ব্যাংক—কেউই এ সংক্রান্ত হালনাগাদ পরিসংখ্যান প্রকাশ করেনি।
জাতীয় বাজেটে চলতি অর্থবছর ব্যাংকব্যবস্থা থেকে সরকারের মোট ১৬ হাজার ৭৫৫ কোটি টাকা ঋণ করার পরিকল্পনা রয়েছে।
ব্যাংকব্যবস্থায় ঋণ কমলেও চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) সরকার ব্যাংকবহির্ভূত উত্স বিশেষত, সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে বড় অঙ্কের অর্থ সংগ্রহ করেছে। তিন মাসে সঞ্চয়পত্রে সরকারের ঋণ হয়েছে দুই হাজার ৮০৯ কোটি ৯৬ টাকা।
এ নিয়ে সেপ্টেম্বর শেষে সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে সরকারের মোট ঋণের স্থিতি গিয়ে ঠেকেছে ৫২ হাজার ৬০০ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।
২০০৮-০৯ গোটা অর্থবছরে সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে সরকারের ঋণের পরিমাণ ছিল তিন হাজার ৬৩৩ কোটি ৩২ লাখ টাকা। ফলে গত ৩০ জুন এসে সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে মোট ঋণের স্থিতি হয় ৪৯ হাজার ৭৯০ কোটি ৭৯ লাখ টাকা।
ব্যাংকে আমানতের সুদের হার কমে যাওয়ায় সাধারণ মানুষ এখন শেয়ারবাজারের বাইরে নিশ্চিত বিনিয়োগ হিসেবে সঞ্চয়পত্রের দিকে ঝুঁকে আছে। যে কারণে সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে সরকার বেশি অর্থ সংগ্রহ করতে পারছে।
এদিকে ব্যাংকব্যবস্থায় সরকারের ঋণ কমে আসা এবং দেশে বিশেষত, বিদ্যুত্-গ্যাসের পর্যাপ্ত সরবরাহ না থাকায় শিল্প-বিনিয়োগে এক ধরনের মন্থর গতি তৈরি হয়েছে। ফলে ব্যাংকগুলোতে বিনিয়োগযোগ্য অর্থ পড়ে থাকলেও তা খাটানো যাচ্ছে না।
আর এ কারণে গ্রাহকের আমানতের নিরাপত্তা সঞ্চিতি বা বিধিবদ্ধ জমার বাইরে ব্যাংক খাতে প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার কোটি টাকার উদ্বৃত তহবিল পড়ে রয়েছে।
অন্যদিকে ২০০৯-১০ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে বিদেশি ঋণ বাবদ সরকার পেয়েছে মাত্র ১৫৪ কোটি ১১ লাখ টাকা। আর গত অর্থবছরের একই সময় বিদেশি ঋণ বাবদ প্রকৃত প্রাপ্তি ছিল এক হাজার ৫৭০ কোটি ৯৫ লাখ টাকা।
অর্থবছরের প্রথম দুই মাসের তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনায় দেশি-বিদেশি উত্স থেকে ঋণ নেওয়া ও ঋণ ফেরত দেওয়া সমন্বয় করলে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের আলোচ্য সময়কালে সরকারের হাতে দুই হাজার ৮৩ কোটি ৪০ লাখ টাকার উদ্বৃত্ত রয়েছে।
অন্যদিকে গত অর্থবছরের জুলাই-আগস্ট সময়কালে ঘাটতি বাবদ অর্থায়ন করতে হয়েছিল প্রায় এক হাজার ৬৮৮ কোটি টাকা।
মূলত উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে অর্থ ব্যয় করতে না পারাই সরকারের ঘাটতি অর্থায়নের প্রয়োজনীয়তা কমিয়ে দিয়েছে। গাণিতিক হিসেবে সরকারের এখন তাই বাজেট উদ্বৃত্ত দেখা দিয়েছে।
এই সময়কালে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) সরকারকে তেমন কোনো অর্থ ব্যয়ই করতে হয়নি। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, ২০০৯-১০ অর্থবছরের জুলাই-আগস্ট সময়কালে এডিপি বাবদ এক হাজার ৩৪৭ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। অথচ একই সময় ছাড় করা হয়েছে তিন হাজার ২৯৩ কোটি টাকা।
তবে এটি কোনো সন্তোষজনক পরিস্থিতি বলে পরিগণিত হতে পারে না। বরং এর মাধ্যমে সরকারের বাজেট ব্যবস্থাপনার দুর্বলতাই ফুটে উঠেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
No comments