নিজ্জার হত্যাকাণ্ড: কানাডার বিচার ব্যবস্থায় পূর্ণ আস্থাশীল যুক্তরাজ্য
কানাডার মাটিতে শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জারকে হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে সোমবার ভারতের হাই কমিশনার এবং অন্যান্য কূটনীতিকদের বহিষ্কারের ঘোষণা দিয়েছে দেশটি। এছাড়া কানাডায় ভারতীয় ভিন্নমতাবলম্বীদের লক্ষ্য করার জন্য দিল্লিকেও দায়ি করেছে অটোয়া। যদিও ভারত বরাবরের মতো এবারও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তারাও তাদের দেশ থেকে প্রতিশোধমূলকভাবে কানাডার ছয় কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে। কানাডার আইনি প্রক্রিয়ার সাথে ভারতের সহযোগিতা করা দুই দেশের মধ্যে চলমান কূটনৈতিক দ্বন্দ্বের ‘সঠিক পরবর্তী পদক্ষেপ’ হবে বলে মনে করে যুক্তরাজ্য।
উল্লেখ্য, ভারতীয় নাগরিক নিজ্জার ১৯৯৭ সালে অভিবাসী হিসেবে কানাডায় পাড়ি জমান। পরে ২০১৫ সালে কানাডার নাগরিকত্ব পান তিনি। ভারতের বহুল আলোচিত পৃথক স্বাধীন শিখ রাষ্ট্রের দাবিতে আন্দোলন করে আসা খালিস্তানপন্থীদের অন্যতম নেতা ছিলেন তিনি। সন্ত্রাসবাদ এবং হত্যার ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িত থাকার দায়ে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি করেছিল। গত বছরের জুনে কানাডার ভ্যানকুভারে একটি শিখ মন্দিরের পাশের গাড়ি পার্কিংয়ের স্থানে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন নিজ্জার। এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত সন্দেহে কানাডায় ইতোমধ্যে চার ভারতীয় নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নিজ্জার হত্যাকাণ্ডে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ এর কর্মকর্তাদের সংশ্লিষ্টতার বিশ্বাসযোগ্য তথ্য রয়েছে বলে তদন্তের পর দাবি করেছে কানাডার আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। এমনকি কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এ নিয়ে প্রকাশ্যে ভারতের সরকারি কর্মকর্তাদের নিজ্জার হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ করেছেন। এই হত্যাকাণ্ড ঘিরে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ব্যাপক অবনতি ঘটেছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কানাডার প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।
No comments