সফল হচ্ছে সাকিবের দেশে ফেরার ‘মিশন’ by ইশতিয়াক পারভেজ
২০২৩ বিশ্বকাপে দল যখন একের পর এক ম্যাচে হারছিল তখন তিনি দেশে এসে কোচ নাজমুল আবেদীন ফাহিমের কাছে চলে আসেন নিজের ভুলত্রুটিগুলো সংশোধন করতে। কিন্তু পরে দেখা যায় তিনি দেশে এসেছেন একটি বিজ্ঞাপনের কাজে অংশ নিতে। টুর্নামেন্ট ও সিরিজের মাঝে এমন বিজ্ঞাপনের কাজ ও শোরুম উদ্বোধন করা নিয়ে সমালোচনা কম হয়নি। অন্যদিকে জুয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ততায় আইসিসি তাকে দুই বছর নিষিদ্ধও করেছিল। মাঠে অশোভন আচরণ, দর্শক পেটানোর মতো ঘটনা ঘটিয়ে নিষিদ্ধ হন বেশ কয়েকবার। আর তার টেস্ট খেলার প্রতি অনীহার কথা সবারই জানা। আর এই সব কারণেই সাকিব কেন দেশের মাটিতে বিদায় নিতে চান তা নিয়ে প্রশ্নও তৈরি হচ্ছে। নামপ্রকাশ না করার শর্তে এক ক্রিকেট সংগঠক মনে করেন এখানে সাকিব চাতুরতার আশ্রয় নিয়েছেন বলেই মনে করেন। তিনি বলেন, ‘দেখেন- সাকিব শুধু টেস্ট খেলতে দেশে ফিরছে এটা ভাবা খুব কঠিন। আমার কাছে মনে হয় এর পিছনে তার বড় কোনো মিশন রয়েছে। তিনি যদি খেলতে পারেন হতে পারে তার যে দেশে ব্যবসা- বাণিজ্য রয়েছে সেটি করার পথটা ফের খুলে যাবে। বিপিএল খেলে অর্থ আয় করবেন। এছাড়াও নানা বিজ্ঞাপনও তিনি করতে পারবেন। তিনি যে ক্ষমা চেয়েছেন এতে আমরা অবাক হইনি। তিনি রঙ বদলাতে পারেন এমনকি নিজের প্রয়োজনে অন্যকোনো রাজনৈতিক দলে যুক্ত হলেও অবাক হওয়ার কিছু নেই।’ তবে ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার কাছ থেকে পাওয়া সবুজ সংকেত নিয়েই সাকিবকে দলে রেখেছে বিসিবি। যে কারণে উদ্দেশ্য যাই হোক আপাতত সাকিবের দেশে ফেরার মিশনটা সফল হচ্ছে। অন্যদিকে সদ্য সমাপ্ত ভারত সফরের দল থেকে এই সিরিজে পরিবর্তন আছে কেবল একটি। জায়গা হারিয়েছে পেসার সৈয়দ খালেদ আহমেদ। তার জায়গায় নেয়া হয়নি কাউকে। বাংলাদেশের পারফরম্যান্স খুব ভালো না হলেও দলে তেমন পরিবর্তন আনেননি নির্বাচকরা। সবশেষ ৯ ইনিংসে ফিফটি না করা ওপেনার জাকির হাসান টিকে গেছেন দলে। ভারতে খেলার সুযোগ না পেলেও জায়গা ধরে রেখেছেন কিপার-ব্যাটসম্যান জাকের আলী। বাদ পড়েছেন শুধু ভারতের বিপক্ষে কানপুর টেস্টে খরুচে বোলিং করে উইকেটশূন্য থাকা পেসার খালেদ। স্কোয়াডে এরপরও পেসার আছেন তিনজন-তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ ও নাহিদ রানা। চোটের কারণে ভারতে টেস্ট সিরিজে না থাকা পেসার শরিফুল ইসলাম এই মিরপুর টেস্টেও। মিরপুর টেস্ট শুরু আগামী সোমবার। বাংলাদেশের কোচ হিসেবে ফিল সিমন্সের প্রথম ম্যাচ হবে এটিই।
প্রথম টেস্টে বাংলাদেশের স্কোয়াড: নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), জাকির হাসান, মাহমুদুল হাসান জয়, সাদমান ইসলাম, লিটন কুমার দাস, মুশফিকুর রহীম, মুমিনুল হক, সাকিব আল হাসান, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, নাঈম হাসান, নাহিদ রানা, জাকের আলী অনিক, হাসান মাহমুদ ও তাসকিন আহমেদ।
No comments