কলা চাষে ঝুঁকছেন মনোহরদীর কৃষক
সাগর
কলাসহ আরো বেশ কিছু কলার জন্য সারা দেশের মধ্যে বিখ্যাত নরসিংদী। নরসিংদীর
মনোহরদীতে প্রায় ১২ প্রকার কলার চাষ হয়। নরসিংদীর জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি
কলা উৎপাদিত হয় মনোহরদী উপজেলায়। এ উপজেলায় সবচেয়ে বেশি চাষ হয় সাগর কলা।
এ বছর কলার বাম্পার ফলন হওয়ায় হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে। অল্প খরচে অধিক
ফলন এবং বেশি লাভবান হওয়ায় কৃষকরাও ঝুঁকছে অমৃত সাগর কলা চাষে। কলা হজম
কারক একটি ফল। কলাতে রয়েছে ভিটামিন এবং খনিজ লবণ।
একটি কলা খেলে ১০০ ক্যালরির বেশি শক্তি পাওয়া যায়। কলার মধ্যে থাকা আয়রন রক্তে হিমোগ্লোবিন উৎপাদনে সহায়তা করে। জানা যায়, মুঘল আমল থেকেই নরসিংদীর কলার সু-খ্যাতি ছিল দেশজুড়ে। নানা জাতের কলার মাঝে সাগর কলার চাহিদা ছিল সবচেয়ে বেশি। সাগর কলার জন্য বিখ্যাত হলো মনোহরদী উপজেলা। এলাকাবাসী জানায় সাগর কলার নাম অনুসারে এলাকার নামকরণ করা হয় সাগরদী। উপজেলার লেবুতলা ইউনিয়নের সাগরদী এলাকাটি সাগর কলার জন্য বিখ্যাত। এ এলাকায় প্রতিটি ঘরে রয়েছে সাগর কলার চাষি। মনোহরদী উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে মনোহরদী উপজেলায় প্রায় ১ হাজার হেক্টর জমিতে কলার আবাদ করা হয়েছে। যার মাঝে অধিকাংশই অমৃত সাগর কলা। ১২টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে এ উপজেলা। মনোহরদী পৌরসভার সল্লাবাইদ, চন্দনবাড়ি ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামসহ খিদিরপুর ইউনিয়ন, চালাকচর, কাচিকাটা, বড়চাপা, দৌলতপুর, লেবুতলা ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামে কলা চাষ হয়।
কৃষকরা জানান, এ উপজেলায় চাম্পা, সবরি, হোমাই, কবরী এবং গেরাসুন্দর কলা চাষ হলেও বর্তমানে অমৃত সাগরের চাষ সবচেয়ে বেশি হয়ে থাকে। সাগর কলার চাহিদা বেশ ভালো থাকায় কলা বিক্রিতে কৃষকরা ভালো দাম পাচ্ছেন। স্থানীয়ভাবে চালাকচর বাজার, মনোহরদী বাজার, হাতিরদিয়া বাজার ও পৌরসভার খালেরঘাট বাজারসহ এলাকার বেশ কয়েকটি বাজারে সপ্তাহজুড়ে কলার হাট বসে। এসব বাজার থেকে পাইকাররা কলা ক্রয় করে ঢাকাসহ বিভিন্ন শহরগুলোতে বিক্রি করেন।
এ ছাড়াও এখানকার কলা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করেন বলেও পাইকাররা জানান। সাধারণত বৈশাখ মাসের শুরুতে কলার চারা রোপণ করলে অগ্রহায়ণ মাস থেকে ফল পাওয়া শুরু হয়। প্রতি এক বিঘা জমিতে জাত ভেদে ৩শ’ থেকে সাড়ে ৩শ’ কলার চারা রোপণ করা হয়। এক বিঘা জমিতে কলাচাষ করতে ২০-৩০ হাজার টাকা খরচ হয়। বিঘাপ্রতি কলা ৭০-৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করা যায়। লেবুতলা ইউনিয়নের সাগরদি গ্রামের কৃষক হাবিবুর রহমান জানান, ২ বিঘা জমিতে সাগর কলার চারা রোপণ করে গত এক বছরে ৮০ হাজার টাকার কলা বিক্রি করেছেন। আরো লাখ টাকার মতো করা বিক্রি করতে পারবেন বলে জানান তিনি। যদি কোনো ঝড় তুফান না আসে তাহলে কলা চাষে কৃষকদের সাধারণত লোকসান হয় না বলেও তিনি জানান। এখানকার বাজারগুলোতে সরজমিন দেখা যায়, উপজেলার মনোহরদী বাসস্ট্যান্ড, খালেরঘাট, চালাকচর এবং হাতিরদিয়া কলা বাজারে সবরি কলা প্রতি ছড়া ছোট থেকে বড় আকারের প্রকার ভেদে ৩০০-৬০০ টাকা, সাগর কলা ২৫০-৫০০ টাকা, চাম্পা কলা ১০০-৩০০ টাকা এবং হোমাই কলা ৩০০-৪০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
একটি কলা খেলে ১০০ ক্যালরির বেশি শক্তি পাওয়া যায়। কলার মধ্যে থাকা আয়রন রক্তে হিমোগ্লোবিন উৎপাদনে সহায়তা করে। জানা যায়, মুঘল আমল থেকেই নরসিংদীর কলার সু-খ্যাতি ছিল দেশজুড়ে। নানা জাতের কলার মাঝে সাগর কলার চাহিদা ছিল সবচেয়ে বেশি। সাগর কলার জন্য বিখ্যাত হলো মনোহরদী উপজেলা। এলাকাবাসী জানায় সাগর কলার নাম অনুসারে এলাকার নামকরণ করা হয় সাগরদী। উপজেলার লেবুতলা ইউনিয়নের সাগরদী এলাকাটি সাগর কলার জন্য বিখ্যাত। এ এলাকায় প্রতিটি ঘরে রয়েছে সাগর কলার চাষি। মনোহরদী উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে মনোহরদী উপজেলায় প্রায় ১ হাজার হেক্টর জমিতে কলার আবাদ করা হয়েছে। যার মাঝে অধিকাংশই অমৃত সাগর কলা। ১২টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে এ উপজেলা। মনোহরদী পৌরসভার সল্লাবাইদ, চন্দনবাড়ি ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামসহ খিদিরপুর ইউনিয়ন, চালাকচর, কাচিকাটা, বড়চাপা, দৌলতপুর, লেবুতলা ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামে কলা চাষ হয়।
কৃষকরা জানান, এ উপজেলায় চাম্পা, সবরি, হোমাই, কবরী এবং গেরাসুন্দর কলা চাষ হলেও বর্তমানে অমৃত সাগরের চাষ সবচেয়ে বেশি হয়ে থাকে। সাগর কলার চাহিদা বেশ ভালো থাকায় কলা বিক্রিতে কৃষকরা ভালো দাম পাচ্ছেন। স্থানীয়ভাবে চালাকচর বাজার, মনোহরদী বাজার, হাতিরদিয়া বাজার ও পৌরসভার খালেরঘাট বাজারসহ এলাকার বেশ কয়েকটি বাজারে সপ্তাহজুড়ে কলার হাট বসে। এসব বাজার থেকে পাইকাররা কলা ক্রয় করে ঢাকাসহ বিভিন্ন শহরগুলোতে বিক্রি করেন।
এ ছাড়াও এখানকার কলা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করেন বলেও পাইকাররা জানান। সাধারণত বৈশাখ মাসের শুরুতে কলার চারা রোপণ করলে অগ্রহায়ণ মাস থেকে ফল পাওয়া শুরু হয়। প্রতি এক বিঘা জমিতে জাত ভেদে ৩শ’ থেকে সাড়ে ৩শ’ কলার চারা রোপণ করা হয়। এক বিঘা জমিতে কলাচাষ করতে ২০-৩০ হাজার টাকা খরচ হয়। বিঘাপ্রতি কলা ৭০-৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করা যায়। লেবুতলা ইউনিয়নের সাগরদি গ্রামের কৃষক হাবিবুর রহমান জানান, ২ বিঘা জমিতে সাগর কলার চারা রোপণ করে গত এক বছরে ৮০ হাজার টাকার কলা বিক্রি করেছেন। আরো লাখ টাকার মতো করা বিক্রি করতে পারবেন বলে জানান তিনি। যদি কোনো ঝড় তুফান না আসে তাহলে কলা চাষে কৃষকদের সাধারণত লোকসান হয় না বলেও তিনি জানান। এখানকার বাজারগুলোতে সরজমিন দেখা যায়, উপজেলার মনোহরদী বাসস্ট্যান্ড, খালেরঘাট, চালাকচর এবং হাতিরদিয়া কলা বাজারে সবরি কলা প্রতি ছড়া ছোট থেকে বড় আকারের প্রকার ভেদে ৩০০-৬০০ টাকা, সাগর কলা ২৫০-৫০০ টাকা, চাম্পা কলা ১০০-৩০০ টাকা এবং হোমাই কলা ৩০০-৪০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
No comments