চলছে, এটা কি চলা? by রাবাত আলী
একটি
রাষ্ট্র কিভাবে চলে? এর সংজ্ঞা কি? রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা নানা মত দিয়েছেন।
তাদের কথার মধ্যে অভিন্ন সুর হচ্ছে আইনের শাসন। যা না থাকলে রাষ্ট্র অচল।
যে রাষ্ট্রে জিডিপি ৮% হলেও এটাকে চলে বলা যায় না। এই ভূখণ্ডে নানা কিসিমের
শাসন এসেছে। ইংরেজ শাসন আমরা দেখিনি, শুনেছি। পত্র-পত্রিকায় পড়েছি। বইয়ে
নানা ভাবে বর্ণনা করা হয়েছে।
পাক শাসনও দেখলাম নয়নভরে। সুখ নেই কোথাও। কথায় বলে, যে দিন যায় ভালই যায়। ভাল শাসনের দাবিতে মানুষকে প্রতিবাদী হতে দেখলাম। পরিণতিতে এলো স্বাধীনতা। হিসাব মেলাই না। রাজনীতি নেই, সুশাসন নেই, বিচার নেই, খাদ্যে, পানিতে, দুধে ভেজাল। আরও কত কিছু। আজিমপুর কবরস্থানেও ইদানিং ভেজাল ঢুকে গেছে। কথায় আসি। অনেকে বলেন, চলছে তো। আমিও বলি, চলছে। কিন্তু কিভাবে?
আদালত ছাড়া কি সব কিছু চলছে। মশা মারতেও আদালতের নির্দেশ শুনতে হচ্ছে। দুধ খাব, সেটাও পারছি না। এখনতো পাঁচ সপ্তাহের জন্য দুধ খাওয়া নিষিদ্ধ হয়ে গেল। বাচ্চারা কি খাবে? বুড়োরা কি খাবে? এ নিয়ে কারও কোন মাথা ব্যাথা নেই। মশার কামড়ে জান যায়। কে মারবে মশা? আদালত বলেছে, মশাকে বিনাশ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, ভাল ওষুধ ছিটাতে হবে। কেন প্রধানমন্ত্রীকে এটা বলতে হবে? মশা মারার প্রতিষ্ঠান গেল কই? জনপ্রতিনিধিরা কি করছেন? বিনা ভোটে যারা জনপ্রতিনিধি হয় তাদের জবাবদিহিতা থাকার কথা কি?
প্রশাসন চলছে না। জেলা প্রশাসকরা ব্যাংক চান, বিশ্ববিদ্যালয় চান। এটা কেমন দাবি? তারা কি ব্যবসা করবেন? সমালোচকরা বলেন, ব্যাংকে যেভাবে লুট চলছে সেখানে প্রশাসকরা কেন খালি খালি গায়ে ময়লা লাগাবেন।
বলাবলি আছে, তারাই ক্ষমতা পাকাপোক্ত করেছেন। যদিও তারা সুযোগ সুবিধা আদায় করে নিয়েছেন একধরণের চাপে ফেলে। মোটা দাগে সিভিল প্রশাসন চলছে না। চললে আদালতমুখি হতে হতো না। অন্য প্রশাসনকেও ব্যবহার করা হচ্ছে। তারাই বা ব্যবহৃত হচ্ছেন কেন? যে কেউ এই প্রশ্ন করতে পারেন। জবাব নেই, জবাব দেয়ার দরকার কি? রাজনীতি নেই। কি দরকার রাজনীতির? সবইতো চলছে। সংসদে আমরা সবাই আছি। মিলেমিশে আছি এটাও কি সহ্য হয় না। এটা রাজনীতি নয়, গণতন্ত্র নয় এ কথাই বলছি। গণতন্ত্র সে আবার কি? দেশে দেশে এখন গণতন্ত্রের সংজ্ঞা বদলে গেছে। উন্নয়নের গণতন্ত্র থাকলে আর কি লাগে। হাইব্রিড রেজিম তো জনপ্রিয়তা পেয়ে গেছে। মত প্রকাশের অধিকার যেটুকু আছে তাই যথেষ্ঠ নয় কি?
বিরোধীরা অযথা চিৎকার করে। তাদের আমল তো দেখেছি। তুলনা করবেন না। ওরা যা পারেনি আমরা তা পেরেছি। আমাদেরকে এ জন্য ক্রেডিট দেন। খালি খালি সমালোচনা করছেন। বিদেশিরা মাঝে মধ্যে বলে। ওরা বলবেই। কে শুনে ওদের কথা। পাঁচ বছর পরপর নির্বাচন, এটা কয়টি দেশে নিয়মিত হয়। এমনতো নয় ভোটের বাক্স খালি থাকে। শতভাগ ভোট পাবার পরেও প্রশ্ন তুলে নিজেই কি হাস্যস্পদ হচ্ছেন না।
শিক্ষিত বেকার বাড়ছে। চাকরি না হলে তো বাড়বেই। শিক্ষিতও হবেন আবার চাকরিও চাইবেন দুটো তো একসঙ্গে চলে না। যেমন উন্নয়ন চাইলে ধারাবাহিকতা দরকার। কাজ চান, আবার টেন্ডারও চান। টেন্ডার ভাগাভাগির নীতি মন্দ কি? কেউ অখুশি হলো না। কাজ হয়েছে কিনা এটা দেখবে কে? জনগণের টাকা। আমরা কি জনগণের বাইরে? বিরোধীরা অযথাই চেঁচামেচি করে। ওরা কি করে না করে সবাই জানেন। ওদের কথা বলে লাভ নেই। ওরা অসহায় আত্মসমর্পণ করে বসে আছে। জনগণ যেমন পাচ্ছে ওরাও তেমন পাচ্ছে। তাই ওরা মানববন্ধন করতে পারলেই বেজায় খুশি।
অনিয়ম দূর করতে নাকি ক্রসফায়ার? শুনতে খারাপ লাগলেও এখন গা-সওয়া হয়ে গেছে। পাবলিক যখন নিজেই ক্রসফায়ার বেছে নেয় তখনতো ভয়ঙ্কর। দুটোই আইনের শাসনের সংজ্ঞায় অনুপস্থিত। আদালত নির্ভর প্রশাসন কতদূর যাবে? বেশিদূর যাবে এমনটা ভাববার কারণ নেই। এক পর্যায়ে সংঘাতও হয়ে যেতে পারে। প্রশাসন পারে না বলেইতো আদালতের শরণাপন্ন হওয়া। আদালতের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবে প্রশাসন। সেই প্রশাসন যদি হ-য-ব-র-ল হয়ে যায় তখন একটাই বাকি থাকে, তা হচ্ছে নৈরাজ্য। সেটা কারও কাম্য নয়। তখন জরুরি শাসন দিয়েও শেষ রক্ষা করা যায় না। আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্কে ভারসাম্যও তখন বিপদ ডেকে আনে। নিজের জমানো টাকা ব্যাংক বা লিজিং কোম্পানি থেকে তুলব সেখানেও বাগড়া। আজ নয়, কাল আসুন। বেশি চাপাচাপি করলে পিটুনি। গুজব থামাতে মসজিদে মসজিদে দোয়া দরুদ এটা মন্দ কি? ভাল হওয়ার নসিহত তো পাওয়া গেল। যাই হোক, শেষ কথা হচ্ছে চলছে, চলবে।
পাক শাসনও দেখলাম নয়নভরে। সুখ নেই কোথাও। কথায় বলে, যে দিন যায় ভালই যায়। ভাল শাসনের দাবিতে মানুষকে প্রতিবাদী হতে দেখলাম। পরিণতিতে এলো স্বাধীনতা। হিসাব মেলাই না। রাজনীতি নেই, সুশাসন নেই, বিচার নেই, খাদ্যে, পানিতে, দুধে ভেজাল। আরও কত কিছু। আজিমপুর কবরস্থানেও ইদানিং ভেজাল ঢুকে গেছে। কথায় আসি। অনেকে বলেন, চলছে তো। আমিও বলি, চলছে। কিন্তু কিভাবে?
আদালত ছাড়া কি সব কিছু চলছে। মশা মারতেও আদালতের নির্দেশ শুনতে হচ্ছে। দুধ খাব, সেটাও পারছি না। এখনতো পাঁচ সপ্তাহের জন্য দুধ খাওয়া নিষিদ্ধ হয়ে গেল। বাচ্চারা কি খাবে? বুড়োরা কি খাবে? এ নিয়ে কারও কোন মাথা ব্যাথা নেই। মশার কামড়ে জান যায়। কে মারবে মশা? আদালত বলেছে, মশাকে বিনাশ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, ভাল ওষুধ ছিটাতে হবে। কেন প্রধানমন্ত্রীকে এটা বলতে হবে? মশা মারার প্রতিষ্ঠান গেল কই? জনপ্রতিনিধিরা কি করছেন? বিনা ভোটে যারা জনপ্রতিনিধি হয় তাদের জবাবদিহিতা থাকার কথা কি?
প্রশাসন চলছে না। জেলা প্রশাসকরা ব্যাংক চান, বিশ্ববিদ্যালয় চান। এটা কেমন দাবি? তারা কি ব্যবসা করবেন? সমালোচকরা বলেন, ব্যাংকে যেভাবে লুট চলছে সেখানে প্রশাসকরা কেন খালি খালি গায়ে ময়লা লাগাবেন।
বলাবলি আছে, তারাই ক্ষমতা পাকাপোক্ত করেছেন। যদিও তারা সুযোগ সুবিধা আদায় করে নিয়েছেন একধরণের চাপে ফেলে। মোটা দাগে সিভিল প্রশাসন চলছে না। চললে আদালতমুখি হতে হতো না। অন্য প্রশাসনকেও ব্যবহার করা হচ্ছে। তারাই বা ব্যবহৃত হচ্ছেন কেন? যে কেউ এই প্রশ্ন করতে পারেন। জবাব নেই, জবাব দেয়ার দরকার কি? রাজনীতি নেই। কি দরকার রাজনীতির? সবইতো চলছে। সংসদে আমরা সবাই আছি। মিলেমিশে আছি এটাও কি সহ্য হয় না। এটা রাজনীতি নয়, গণতন্ত্র নয় এ কথাই বলছি। গণতন্ত্র সে আবার কি? দেশে দেশে এখন গণতন্ত্রের সংজ্ঞা বদলে গেছে। উন্নয়নের গণতন্ত্র থাকলে আর কি লাগে। হাইব্রিড রেজিম তো জনপ্রিয়তা পেয়ে গেছে। মত প্রকাশের অধিকার যেটুকু আছে তাই যথেষ্ঠ নয় কি?
বিরোধীরা অযথা চিৎকার করে। তাদের আমল তো দেখেছি। তুলনা করবেন না। ওরা যা পারেনি আমরা তা পেরেছি। আমাদেরকে এ জন্য ক্রেডিট দেন। খালি খালি সমালোচনা করছেন। বিদেশিরা মাঝে মধ্যে বলে। ওরা বলবেই। কে শুনে ওদের কথা। পাঁচ বছর পরপর নির্বাচন, এটা কয়টি দেশে নিয়মিত হয়। এমনতো নয় ভোটের বাক্স খালি থাকে। শতভাগ ভোট পাবার পরেও প্রশ্ন তুলে নিজেই কি হাস্যস্পদ হচ্ছেন না।
শিক্ষিত বেকার বাড়ছে। চাকরি না হলে তো বাড়বেই। শিক্ষিতও হবেন আবার চাকরিও চাইবেন দুটো তো একসঙ্গে চলে না। যেমন উন্নয়ন চাইলে ধারাবাহিকতা দরকার। কাজ চান, আবার টেন্ডারও চান। টেন্ডার ভাগাভাগির নীতি মন্দ কি? কেউ অখুশি হলো না। কাজ হয়েছে কিনা এটা দেখবে কে? জনগণের টাকা। আমরা কি জনগণের বাইরে? বিরোধীরা অযথাই চেঁচামেচি করে। ওরা কি করে না করে সবাই জানেন। ওদের কথা বলে লাভ নেই। ওরা অসহায় আত্মসমর্পণ করে বসে আছে। জনগণ যেমন পাচ্ছে ওরাও তেমন পাচ্ছে। তাই ওরা মানববন্ধন করতে পারলেই বেজায় খুশি।
অনিয়ম দূর করতে নাকি ক্রসফায়ার? শুনতে খারাপ লাগলেও এখন গা-সওয়া হয়ে গেছে। পাবলিক যখন নিজেই ক্রসফায়ার বেছে নেয় তখনতো ভয়ঙ্কর। দুটোই আইনের শাসনের সংজ্ঞায় অনুপস্থিত। আদালত নির্ভর প্রশাসন কতদূর যাবে? বেশিদূর যাবে এমনটা ভাববার কারণ নেই। এক পর্যায়ে সংঘাতও হয়ে যেতে পারে। প্রশাসন পারে না বলেইতো আদালতের শরণাপন্ন হওয়া। আদালতের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবে প্রশাসন। সেই প্রশাসন যদি হ-য-ব-র-ল হয়ে যায় তখন একটাই বাকি থাকে, তা হচ্ছে নৈরাজ্য। সেটা কারও কাম্য নয়। তখন জরুরি শাসন দিয়েও শেষ রক্ষা করা যায় না। আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্কে ভারসাম্যও তখন বিপদ ডেকে আনে। নিজের জমানো টাকা ব্যাংক বা লিজিং কোম্পানি থেকে তুলব সেখানেও বাগড়া। আজ নয়, কাল আসুন। বেশি চাপাচাপি করলে পিটুনি। গুজব থামাতে মসজিদে মসজিদে দোয়া দরুদ এটা মন্দ কি? ভাল হওয়ার নসিহত তো পাওয়া গেল। যাই হোক, শেষ কথা হচ্ছে চলছে, চলবে।
No comments