‘হামার ঈদ বানের পানিতে ভাসি গেল’
ব্রহ্মপুত্র
নদের পানি বাড়ার পর ঘরের চাল, গবাদিপশু নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে ছুটে গিয়েছিলেন
বানভাসিরা কিন্তু অনেকেই ফিরে এসে পাননি তাদের ঘর কিংবা জমিটুকু। বন্যা
তছনছ করে দিয়েছে অনেকের সাজানো সংসার। সব হারিয়ে অনেকেই হয়েছে নিঃস্ব, নেই
তাদের থাকার জায়গা, নেই খাওয়ার ব্যবস্থা। আছে শুধুই দুঃখ-দুর্দশা। তাদের
কাছে ঈদ যেন এখন সোনার হরিণের মতো।
বন্যা গেলেও আটকে আছে তাদের কষ্ট। বন্যায় ময়লা ধুয়ে গেলেও রেখে গেছে মানুষের দুঃখ-কষ্ট আর যন্ত্রণা। সেই কষ্টের কথা বলতে গেলে বলে ওঠেন- ‘হামরা এলাং ঘরবাড়ি ঠিক করিবার পারিনাই, ঠিকমতো খাবার পাচ্ছি না, থাকার জায়গাটাও নাই, হামার আবার ঈদ’- ক্ষুব্ধ কণ্ঠে কথাগুলো বললেন, বানের পানিতে ঘরহারা ব্রহ্মপুত্র পাড়ের বাঁধে আশ্রয় নেয়া হাজেরা, হাফিজুর, গোলাপজান। এ সময় ওদের চোখ থেকে বেরিয়ে আসছিল পানি।
সেই পানি আড়াল করে বলেন- ‘বাবা গো ক’দিন আগেও ঘরবাড়ি, জায়গা ছিল। আছিল হামার সুখের সংসার কিন্তু বানের পানি নামার সাথে সাথে সউগে (সবকিছু) ভাসি নিয়ে গেল।’ আর বেশি কিছু বলতে পারছিলেন না ঘরবাড়িহারা মানুষগুলো। ধ্বংসস্তূপের পাশে বসে শুধুই দেখছিলেন ফাঁকা আকাশের দিকে। একই দৃশ্য দেখা গেছে রমনা রেল সড়ক ভেঙে যাওয়া এলাকা ছোট কুষ্টারী বিজয়নগর, রাণীগঞ্জের কাঁচকোল, অষ্টমীরচর এলাকায়। এখনো এসব এলাকা বিধ্বস্ত অবস্থায় পড়ে আছে ভেঙে যাওয়া ঘরবাড়ি। তাদের চোখে শুধুই পানি। তাদের মাঝে নেই ঈদের আনন্দ আর ঈদের অনুভূতি। শুধু হাজেরা, গোলাপজান, মজিবর, কল্পনাই নয়, তাদের মতো হাজারো মানুষের মাঝে নেই ঈদ আনন্দ। তাদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে থামিয়ে দিলেন শহিদুল, গোলামউদ্দিন, আহেকুলসহ অনেকে। তারা রেগে বললেন, আপনি কি বোঝেন না, দেখেন না। অনেক মানুষ এখনো আশ্রয়হীন হয়ে রয়েছে সরকারি তাঁবুতে। ওরা আরো বলেন, বন্যা আর সর্বনাশা ব্রহ্মপুত্র ভাঙনে বসতভিটা বিলীন হওয়ার পর আশ্রয়হীনতায় ভুগছি। আশ্রয় নিয়েছি বাঁধের রাস্তায়। এ উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন ব্রহ্মপুত্র কবলিত হওয়ায় প্রতিবছর বন্যা আর ব্রহ্মপুত্র আগ্রাসী রাজত্বে হাজার হাজার পরিবার নিঃস্ব হয়ে যায়। বিসর্জন দিতে হয় বেঁচে থাকার স্বপ্নকে। ব্রহ্মপুত্র সঙ্গে যুদ্ধ করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে এ অঞ্চলের মানুষ। কারণ এ অঞ্চলের মানুষ মঙ্গাকবলিত। অভাব তাদের নিত্যসঙ্গী। তার উপর ব্রহ্মপুত্রের অব্যাহত ভাঙনে মঙ্গা নামক শব্দটি যেন পিছু ছাড়ছে না এখানকার মানুষের। তাইতো এ অঞ্চলের বেশির ভাগ মানুষ জানে না ঈদ কখন আসে কখন যায়। এবারের বন্যা তাদের ঈদের কথা ভুলিয়ে দিয়েছে। গত ঈদুল ফিতরে ব্রহ্মপুত্র ভাঙনে ঈদ আনন্দ যেমন বুঝতে পারেনি তেমনি এবারে বন্যাও ঈদুল আজহার আনন্দ তাদের সবকিছু ভুলিয়ে দিয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ মো. শামসুজ্জোহা বলেন, আমরা জানতে পেরে তাদের জন্য সরকারি তাঁবুর ব্যবস্থা করেছি এবং বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করা হচ্ছে।
বন্যা গেলেও আটকে আছে তাদের কষ্ট। বন্যায় ময়লা ধুয়ে গেলেও রেখে গেছে মানুষের দুঃখ-কষ্ট আর যন্ত্রণা। সেই কষ্টের কথা বলতে গেলে বলে ওঠেন- ‘হামরা এলাং ঘরবাড়ি ঠিক করিবার পারিনাই, ঠিকমতো খাবার পাচ্ছি না, থাকার জায়গাটাও নাই, হামার আবার ঈদ’- ক্ষুব্ধ কণ্ঠে কথাগুলো বললেন, বানের পানিতে ঘরহারা ব্রহ্মপুত্র পাড়ের বাঁধে আশ্রয় নেয়া হাজেরা, হাফিজুর, গোলাপজান। এ সময় ওদের চোখ থেকে বেরিয়ে আসছিল পানি।
সেই পানি আড়াল করে বলেন- ‘বাবা গো ক’দিন আগেও ঘরবাড়ি, জায়গা ছিল। আছিল হামার সুখের সংসার কিন্তু বানের পানি নামার সাথে সাথে সউগে (সবকিছু) ভাসি নিয়ে গেল।’ আর বেশি কিছু বলতে পারছিলেন না ঘরবাড়িহারা মানুষগুলো। ধ্বংসস্তূপের পাশে বসে শুধুই দেখছিলেন ফাঁকা আকাশের দিকে। একই দৃশ্য দেখা গেছে রমনা রেল সড়ক ভেঙে যাওয়া এলাকা ছোট কুষ্টারী বিজয়নগর, রাণীগঞ্জের কাঁচকোল, অষ্টমীরচর এলাকায়। এখনো এসব এলাকা বিধ্বস্ত অবস্থায় পড়ে আছে ভেঙে যাওয়া ঘরবাড়ি। তাদের চোখে শুধুই পানি। তাদের মাঝে নেই ঈদের আনন্দ আর ঈদের অনুভূতি। শুধু হাজেরা, গোলাপজান, মজিবর, কল্পনাই নয়, তাদের মতো হাজারো মানুষের মাঝে নেই ঈদ আনন্দ। তাদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে থামিয়ে দিলেন শহিদুল, গোলামউদ্দিন, আহেকুলসহ অনেকে। তারা রেগে বললেন, আপনি কি বোঝেন না, দেখেন না। অনেক মানুষ এখনো আশ্রয়হীন হয়ে রয়েছে সরকারি তাঁবুতে। ওরা আরো বলেন, বন্যা আর সর্বনাশা ব্রহ্মপুত্র ভাঙনে বসতভিটা বিলীন হওয়ার পর আশ্রয়হীনতায় ভুগছি। আশ্রয় নিয়েছি বাঁধের রাস্তায়। এ উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন ব্রহ্মপুত্র কবলিত হওয়ায় প্রতিবছর বন্যা আর ব্রহ্মপুত্র আগ্রাসী রাজত্বে হাজার হাজার পরিবার নিঃস্ব হয়ে যায়। বিসর্জন দিতে হয় বেঁচে থাকার স্বপ্নকে। ব্রহ্মপুত্র সঙ্গে যুদ্ধ করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে এ অঞ্চলের মানুষ। কারণ এ অঞ্চলের মানুষ মঙ্গাকবলিত। অভাব তাদের নিত্যসঙ্গী। তার উপর ব্রহ্মপুত্রের অব্যাহত ভাঙনে মঙ্গা নামক শব্দটি যেন পিছু ছাড়ছে না এখানকার মানুষের। তাইতো এ অঞ্চলের বেশির ভাগ মানুষ জানে না ঈদ কখন আসে কখন যায়। এবারের বন্যা তাদের ঈদের কথা ভুলিয়ে দিয়েছে। গত ঈদুল ফিতরে ব্রহ্মপুত্র ভাঙনে ঈদ আনন্দ যেমন বুঝতে পারেনি তেমনি এবারে বন্যাও ঈদুল আজহার আনন্দ তাদের সবকিছু ভুলিয়ে দিয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ মো. শামসুজ্জোহা বলেন, আমরা জানতে পেরে তাদের জন্য সরকারি তাঁবুর ব্যবস্থা করেছি এবং বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করা হচ্ছে।
চিলমারী রমনা খড়খড়িয়া বাঁধ ভেঙে সর্বস্বান্ত মানুষ, নেই ঈদ আনন্দ |
No comments