যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর অবস্থান ভারতের সাথে উত্তেজনা বাড়াচ্ছে by ইউসুফ সেলমান ইনাঙ্ক
যুক্তরাষ্ট্র
ও ভারতের সম্পর্ক একটা টালমাটাল অবস্থার মধ্যে প্রবেশ করছে। রাশিয়ার কাছ
থেকে ভারতের এস-৪০০ মিসাইল সিস্টেম ক্রয়, মার্কিন জঙ্গি ড্রোন কেনা নিয়ে
সন্দেহ এবং কাশ্মীর নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের কারণে এই পরিস্থিতি তৈরি
হয়েছে। ভারতকে কোনঠাসা করতে যুক্তরাষ্ট্রের চেষ্টার কারণে পরিস্থিতি আরও
জটিল হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে, কারণ ভারত তাদের অস্ত্রভাণ্ডার সমৃদ্ধ করার জন্য
বিকল্প পথে চেষ্টা করছে। যুক্তরাষ্ট্রের যেসব মিত্র অন্যান্য পরাশক্তির
সাথে সম্পর্ক বাড়িয়েছে এবং বিকল্প উৎস থেকে অস্ত্র কেনার চেষ্টা করেছে,
তাদের সকলের উপর চাপ ব্যাপক বাড়িয়েছে তারা।
ভারত এই দেশগুলোর একটি কারণ দেশটির সরকার রাশিয়ার কাছ থেকে এস-৪০০ কেনার চিন্তাভাবনা করছে। যুক্তরাষ্ট্র এ বিষয়ে ভারতকে বেশ কয়েক দফা সতর্ক করার পর গত বছর মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট শেষ পর্যন্ত ঘোষণা দেয় যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান বাণিজ্য সহযোগী দেশগুলোর যে কারেন্সি মনিটরিং তালিকা রয়েছে, সেখান থেকে ভারতকে বাদ দেয়া হতে পারে। ভারতের পদক্ষেপ ওয়াশিংটনকে উদ্বেগে ফেলে দিয়েছে, এই বিবেচনায় যুক্তরাষ্ট্র এই পদক্ষেপ নেয়।
ভারত ইরানের সাথেও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং ইরানের উপর যুক্তরাষ্ট্র যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, ইরানের সাথে লেনদেনের ক্ষেত্রে সেটা এড়াতে চেষ্টা করে ভারত। তবে এই সম্পর্কটা রাশিয়ার সাথে সম্পর্কের মতো বিপজ্জনক মনে হয়নি যুক্তরাষ্ট্রের।
একদিকে, চায়না ও ভারত আবারও রাশিয়ার সাথে কোন জোটের সাথে যুক্ত হওয়ার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র কড়া সতর্কবার্তা পাঠিয়েছে। অন্যদিকে, চীনের দিক থেকে যে হুমকি সৃষ্টি হয়েছে, সেটা ভারতকে যুক্তরাষ্ট্রের আরও কাছে এনে দিয়েছে।
ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্কের সমস্যাটি সরাসরি অস্ত্রের সাথে জড়িত। এ কারণে ভারত বিকল্প উৎসের দিকে যেতে বাধ্য হয়েছে। তবে, সম্প্রতি রাশিয়া টুডেতে একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে দেখা গেছে যে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যে বর্তমানে যে সব চুক্তি রয়েছে, সেগুলো হুমকির মধ্যে আছে। নিবন্ধের ভাষ্য অনুযায়ী, “ভারতীয় সামরিক বাহিনীর মধ্যে এই উদ্বেগ রয়েছে যে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি যে ড্রোনগুলো তারা কেনার পরিকল্পনা করছে, সেগুলো হয়তো সমস্যাকবলিত এলাকায় টিকে থাকতে পারবে না এবং পুরোপুরি সুসজ্জিত জঙ্গি বিমানের চেয়েও এগুলোর দাম বেশি”। হিন্দুস্তান টাইমস এক রিপোর্টে জানিয়েছে যে ভারত তাদের বিমান বাহিনী ও নৌবাহিনীর জন্য জঙ্গি ড্রোন কিনতে চায়। কিন্তু সেনাবাহিনীর এগুলোর ব্যাপারে আগ্রহ নেই কারণ কাশ্মীরসহ চীন সীমান্তের সাথে লাগোয়া এলাকাগুলোতে এগুলো ভালো কাজ করবে না।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন যে, তার দেশ নিরাপত্তার ব্যাপারে বাইরের কোন চাপের কাছে নত হবে না।
এদিকে কাশ্মীর নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্যে ভারতে আরও উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সাথে এক বৈঠকের সময় ট্রাম্প বলেন যে, বহু দশকের দীর্ঘ কাশ্মীর সঙ্ঘাতের নিরসনে মধ্যস্থতা করার জন্য তাকে প্রস্তাব দিয়েছেন মোদি। নয়াদিল্লী ট্রাম্পের এই দাবিকে নাকচ করে দিয়েছে। তবে পাকিস্তান এখন এ বিষয়ে কিছুটা সুবিধাজনক অবস্থানে চলে গেছে।
ভারত সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্যতম ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিল কিন্তু সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর এই সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। এর পর থেকে, নয়াদিল্লী যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ হয়েছে। তবে, ২০০০ সালের পর থেকে রাশিয়ার সাথে ভারতের সম্পর্কের আবার উন্নতি হয়েছে। ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে যে ‘ডিক্ল্যারেশান অন দ্য ইন্ডিয়া-রাশিয়া স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ’ স্বাক্ষরিত হয়, সেটা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করেছে। এই ইতিবাচক অবস্থান সত্বেও যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ভারতের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কারণে মাঝে মাঝে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ওয়াশিংটনের কাউন্টারিং অ্যামেরিকা’স অ্যাডভার্সারিজ থ্রু স্যাঙ্কশান্স অ্যাক্টের (সিএএটএসএ) কারণে সমস্যার মধ্যে আছে ভারত। এই আইনের অধীনে রাশিয়ার সাথে সহযোগিতার সম্পর্ক থাকলে তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে যুক্তরাষ্ট্র।
ভারত এই দেশগুলোর একটি কারণ দেশটির সরকার রাশিয়ার কাছ থেকে এস-৪০০ কেনার চিন্তাভাবনা করছে। যুক্তরাষ্ট্র এ বিষয়ে ভারতকে বেশ কয়েক দফা সতর্ক করার পর গত বছর মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট শেষ পর্যন্ত ঘোষণা দেয় যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান বাণিজ্য সহযোগী দেশগুলোর যে কারেন্সি মনিটরিং তালিকা রয়েছে, সেখান থেকে ভারতকে বাদ দেয়া হতে পারে। ভারতের পদক্ষেপ ওয়াশিংটনকে উদ্বেগে ফেলে দিয়েছে, এই বিবেচনায় যুক্তরাষ্ট্র এই পদক্ষেপ নেয়।
ভারত ইরানের সাথেও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং ইরানের উপর যুক্তরাষ্ট্র যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, ইরানের সাথে লেনদেনের ক্ষেত্রে সেটা এড়াতে চেষ্টা করে ভারত। তবে এই সম্পর্কটা রাশিয়ার সাথে সম্পর্কের মতো বিপজ্জনক মনে হয়নি যুক্তরাষ্ট্রের।
একদিকে, চায়না ও ভারত আবারও রাশিয়ার সাথে কোন জোটের সাথে যুক্ত হওয়ার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র কড়া সতর্কবার্তা পাঠিয়েছে। অন্যদিকে, চীনের দিক থেকে যে হুমকি সৃষ্টি হয়েছে, সেটা ভারতকে যুক্তরাষ্ট্রের আরও কাছে এনে দিয়েছে।
ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্কের সমস্যাটি সরাসরি অস্ত্রের সাথে জড়িত। এ কারণে ভারত বিকল্প উৎসের দিকে যেতে বাধ্য হয়েছে। তবে, সম্প্রতি রাশিয়া টুডেতে একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে দেখা গেছে যে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যে বর্তমানে যে সব চুক্তি রয়েছে, সেগুলো হুমকির মধ্যে আছে। নিবন্ধের ভাষ্য অনুযায়ী, “ভারতীয় সামরিক বাহিনীর মধ্যে এই উদ্বেগ রয়েছে যে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি যে ড্রোনগুলো তারা কেনার পরিকল্পনা করছে, সেগুলো হয়তো সমস্যাকবলিত এলাকায় টিকে থাকতে পারবে না এবং পুরোপুরি সুসজ্জিত জঙ্গি বিমানের চেয়েও এগুলোর দাম বেশি”। হিন্দুস্তান টাইমস এক রিপোর্টে জানিয়েছে যে ভারত তাদের বিমান বাহিনী ও নৌবাহিনীর জন্য জঙ্গি ড্রোন কিনতে চায়। কিন্তু সেনাবাহিনীর এগুলোর ব্যাপারে আগ্রহ নেই কারণ কাশ্মীরসহ চীন সীমান্তের সাথে লাগোয়া এলাকাগুলোতে এগুলো ভালো কাজ করবে না।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন যে, তার দেশ নিরাপত্তার ব্যাপারে বাইরের কোন চাপের কাছে নত হবে না।
এদিকে কাশ্মীর নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্যে ভারতে আরও উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সাথে এক বৈঠকের সময় ট্রাম্প বলেন যে, বহু দশকের দীর্ঘ কাশ্মীর সঙ্ঘাতের নিরসনে মধ্যস্থতা করার জন্য তাকে প্রস্তাব দিয়েছেন মোদি। নয়াদিল্লী ট্রাম্পের এই দাবিকে নাকচ করে দিয়েছে। তবে পাকিস্তান এখন এ বিষয়ে কিছুটা সুবিধাজনক অবস্থানে চলে গেছে।
ভারত সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্যতম ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিল কিন্তু সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর এই সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। এর পর থেকে, নয়াদিল্লী যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ হয়েছে। তবে, ২০০০ সালের পর থেকে রাশিয়ার সাথে ভারতের সম্পর্কের আবার উন্নতি হয়েছে। ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে যে ‘ডিক্ল্যারেশান অন দ্য ইন্ডিয়া-রাশিয়া স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ’ স্বাক্ষরিত হয়, সেটা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করেছে। এই ইতিবাচক অবস্থান সত্বেও যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ভারতের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কারণে মাঝে মাঝে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ওয়াশিংটনের কাউন্টারিং অ্যামেরিকা’স অ্যাডভার্সারিজ থ্রু স্যাঙ্কশান্স অ্যাক্টের (সিএএটএসএ) কারণে সমস্যার মধ্যে আছে ভারত। এই আইনের অধীনে রাশিয়ার সাথে সহযোগিতার সম্পর্ক থাকলে তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে যুক্তরাষ্ট্র।
No comments