স্ত্রীকে হত্যা করে ১৫ টুকরো, ঘাতক স্বামী গ্রেপ্তার
গাজীপুরে
স্ত্রীকে হত্যার পর তার লাশ ১৫ টুকরো করেছে পাষণ্ড স্বামী মামুন মিয়া।
পুলিশ ঘাতক মামুনকে গ্রেপ্তার করেছে। ইলেক্টট্রিক মিস্ত্রী মামুন মিয়ার
বাড়ি জেলার কাপাসিয়া উপজেলার বড়ইবাড়ি গ্রামে। বুধবার দুপুরে গাজীপুর পুলিশ
সুপার শামসুন্নাহার প্রেস ব্রিফিং এ তথ্য জানান। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ
সুপার আবদুস সবুর ও শ্রীপুর থানার ওসি লিয়াকত আলী উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার জানান, গাজীপুরের শ্রীপুরের একটি পোশাক কারখানার শ্রমিক নেত্রকোনার বাসিন্দা সুমা আক্তারকে তার স্বামী মামুন মিয়া (২৫) পরিকল্পিতভাবে ঘুমের ওধুষ খাইয়ে গত ৯ই আগস্ট হত্যা করে। পরে মরদেহ বাথরুমে নিয়ে ১৫টি টুকরো করে। মরদেহের মূল অংশ নিয়ে সিংহস্রী ব্রিজ থেকে শীতলক্ষা নদীতে ফেলে দেয়। বাকি ৫ টুকরো গত ১২ই আগস্ট নিহতের স্বজনদের সহায়তায় তাদের বাসার ড্রেসিং টেবিলের ড্রয়ার থেকে পলিথিন ব্যাগে মোড়ানো অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
এ সময় একটি বড় আকারের ছোরা ও ট্রাভেল ব্যাগ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঢাকার আশুলিয়া থেকে ঘাতক স্বামী মামুন মিয়াকে মঙ্গলবার গভীর রাতে তার আত্মীয়ের বাস থেকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।
পুলিশ জানায়, পারিবারিক কলহ ও স্ত্রী সুমার জমানো ৪০ হাজার টাকা ভোগ করার জন্যই গার্মেন্টস কারখানা ছুটির দিনে হত্যার পরিকল্পনা করে মামুন। পরিকল্পনা মতো ওইদিন সন্ধ্যায় হালিমের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে অচেতন করে। পরে রাত ১টার দিকে শাসরোধে হত্যা করে। পরদিন ভোর ও সন্ধ্যায় শরীরের মূল অংশ ট্রাভেল ব্যাগে ভরে নদীতে ফেলে দেয়। বাকি ৫টি টুকরো নদীতে ফেলার জন্য পলিথিনে মুড়িয়ে ড্রয়ারে রেখে দেয়।
পরদিন সকালে ভিকটিমের ছোটবোন ওই বাসায় চলে আসায় তা ফেলতে পারেনি বরং ঘাতক মামুন বাসা ছেড়ে পালিয়ে যায়।
এদিকে, শ্রীপুর থানায় নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা থানার দেবকান্দা গ্রামের নিজাম উদ্দিনের দায়ের করা মামলার বিবরণে জানা গেছে, প্রায় দু’বছর আগে কাপাসিয়ার মামুনের সঙ্গে তার মেয়ে সুমা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে তাদের দু’জনের মধ্যে ঝগড়া-ঝাটি ও কথা কাটাকাটি হতো। গত ৯ই আগস্ট সকালে মামুন তার শ্বাশুড়ির মোবাইল নাম্বারে ফোন দিয়ে জানায়, সুমাকে তাদের বাড়ি যেতে গাড়িতে উঠিয়ে দিয়েছে। কিন্তু সে বাড়িতে না গেলে স্বজনরা খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। একপর্যায়ে ১২ই আগস্ট সুমার বোন বৃষ্টি তার এক বান্ধবীকে নিয়ে বোনের ভাড়া বাসায় যায়। ঘরের দরজা খুলে মালামাল গুছানোর একপর্যায়ে দুর্গন্ধ ও ড্রেসিং টেবিলের ড্রয়ারে রক্তযুক্ত মাংস সদৃশ্যবস্তু দেখতে পেয়ে চিৎকার দিতে থাকে।
এতে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ৫টি টুকরো উদ্ধার করে।
পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার জানান, গাজীপুরের শ্রীপুরের একটি পোশাক কারখানার শ্রমিক নেত্রকোনার বাসিন্দা সুমা আক্তারকে তার স্বামী মামুন মিয়া (২৫) পরিকল্পিতভাবে ঘুমের ওধুষ খাইয়ে গত ৯ই আগস্ট হত্যা করে। পরে মরদেহ বাথরুমে নিয়ে ১৫টি টুকরো করে। মরদেহের মূল অংশ নিয়ে সিংহস্রী ব্রিজ থেকে শীতলক্ষা নদীতে ফেলে দেয়। বাকি ৫ টুকরো গত ১২ই আগস্ট নিহতের স্বজনদের সহায়তায় তাদের বাসার ড্রেসিং টেবিলের ড্রয়ার থেকে পলিথিন ব্যাগে মোড়ানো অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
এ সময় একটি বড় আকারের ছোরা ও ট্রাভেল ব্যাগ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঢাকার আশুলিয়া থেকে ঘাতক স্বামী মামুন মিয়াকে মঙ্গলবার গভীর রাতে তার আত্মীয়ের বাস থেকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।
পুলিশ জানায়, পারিবারিক কলহ ও স্ত্রী সুমার জমানো ৪০ হাজার টাকা ভোগ করার জন্যই গার্মেন্টস কারখানা ছুটির দিনে হত্যার পরিকল্পনা করে মামুন। পরিকল্পনা মতো ওইদিন সন্ধ্যায় হালিমের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে অচেতন করে। পরে রাত ১টার দিকে শাসরোধে হত্যা করে। পরদিন ভোর ও সন্ধ্যায় শরীরের মূল অংশ ট্রাভেল ব্যাগে ভরে নদীতে ফেলে দেয়। বাকি ৫টি টুকরো নদীতে ফেলার জন্য পলিথিনে মুড়িয়ে ড্রয়ারে রেখে দেয়।
পরদিন সকালে ভিকটিমের ছোটবোন ওই বাসায় চলে আসায় তা ফেলতে পারেনি বরং ঘাতক মামুন বাসা ছেড়ে পালিয়ে যায়।
এদিকে, শ্রীপুর থানায় নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা থানার দেবকান্দা গ্রামের নিজাম উদ্দিনের দায়ের করা মামলার বিবরণে জানা গেছে, প্রায় দু’বছর আগে কাপাসিয়ার মামুনের সঙ্গে তার মেয়ে সুমা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে তাদের দু’জনের মধ্যে ঝগড়া-ঝাটি ও কথা কাটাকাটি হতো। গত ৯ই আগস্ট সকালে মামুন তার শ্বাশুড়ির মোবাইল নাম্বারে ফোন দিয়ে জানায়, সুমাকে তাদের বাড়ি যেতে গাড়িতে উঠিয়ে দিয়েছে। কিন্তু সে বাড়িতে না গেলে স্বজনরা খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। একপর্যায়ে ১২ই আগস্ট সুমার বোন বৃষ্টি তার এক বান্ধবীকে নিয়ে বোনের ভাড়া বাসায় যায়। ঘরের দরজা খুলে মালামাল গুছানোর একপর্যায়ে দুর্গন্ধ ও ড্রেসিং টেবিলের ড্রয়ারে রক্তযুক্ত মাংস সদৃশ্যবস্তু দেখতে পেয়ে চিৎকার দিতে থাকে।
এতে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ৫টি টুকরো উদ্ধার করে।
No comments