ভারতের মুখোশ খুলে দিতে দেশে দেশে দূত পাঠাতে হবে পাকিস্তানকে by ইকরাম সেহগাল
ভারতীয়
সংবিধানের ধারা ৩৫এ ও ৩৭০ অনুযায়ী কাশ্মীরীরা বিগত পঞ্চাশ বছরের বেশি সময়
ধরে যে বিশেষ মর্যাদা ভোগ করে আসছিলো বিজেপি তা বাতিল করতে পারে কিনা সেটা
এখনো স্পষ্ট নয়। যদি তাই হয়, তাহলে ভারতের পার্লামেন্টে কোন ভোটভুটি ছাড়াই
শুধু প্রেসিডেন্টের আদেশের বলে দেশের আইনে (ল’ অব দি ল্যান্ড) এ ধরনের
মৌলিক পরিবর্তন আনা যায় কিনা সেটাও একটি প্রশ্ন।
বিজেপি’র সিদ্ধান্তটি ইতোমধ্যে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। পার্লামেন্টে বিরোধী দলগুলোর প্রায় সবাই এর বিরোধিতা করেছে। তবে, মোদির সত্যিকারের বিরোধিতা করার মতো শক্তি সেখানে বিরোধী দলগুলোর নেই।
গত নির্বাচনে লজ্জাজনক পরাজয়ের পর রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস (আইএনসি)’র নেতৃত্ব এখন পুরোপুরি বিশৃঙ্খল অবস্থায়। আর মোদি সরকারের মূল রাজনৈতিক মন্ত্র হলো ‘জোর যার মূলুক তার’, কোন আনুষ্ঠানিকতার ধার তারা ধারে না।
টানা দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় যেতে বিজেপি’র নির্বাচনী ইশতেহারে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিশ্রুতিগুলোর একটি ছিলো ধারা ৩৭০ ও ৩৫এ বাতিল করা। তাই তাদের কাজটি প্রত্যাশিত ছিলো।
গত ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হামলা চালিয়ে ভারত তার আগ্রাসী চেহারা প্রকাশ করে দেয়। এতে তারা দুটি জঙ্গিবিমান খোয়ায় ও একজন পাইলটকে হারায়। আরেক পাইলট পাকিস্তানের হাতে ধরা পড়ে। এরপর আসে আইসিজে’র রায়, যেখানে ভারতীয় গুপ্তচর কুলভূষণ যাদবকে সামরিক আদালতে মৃত্যুদণ্ড প্রদানের বিষয়টি স্বীকার করে নেয়া হয়। ভারত শুধু জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী ‘কনস্যুলার এক্সেস’ বিষয়ে ছাড় পায়।
নিয়ন্ত্রণ রেখার ওপার থেকে পাকিস্তানী ভূখণ্ডে গোলা বর্ষণ, পাকিস্তানের বেসামরিক লোকদের বিরুদ্ধে গুচ্ছ বোমা ব্যবহার ভারতের গভীর হতাশাকেই প্রকাশ করে দিয়েছে। তাছাড়া পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সফল যুক্তরাষ্ট্র সফর দুই দশক ধরে ভারতের ছড়ানো পাকিস্তান-বিরোধী বয়ানকে মিথ্যা প্রমাণিত ও বাতিল করে দিয়েছে।
কাশ্মীর নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে মধ্যস্থতা করার ব্যাপারে ট্রাম্প যে প্রস্তাব দিয়েছেন তাও ভারতকে ক্ষুব্ধ করেছে। এটা কাশ্মীরের ব্যাপারে চূড়ান্ত ফয়সালা গ্রহণে বিজেপি’কে উদ্বুদ্ধ করতে পারে।
কাশ্মীরে মাত্র সাত মিলিয়ন মানুষকে সামাল দিতে নিরাপত্তা বাহিনীর অর্ধ মিলিয়ন সদস্যকে আগে থেকেই মোতায়েন করে রাখা হয়েছিলো। সাম্প্রতিক সময়ে আরো ৩০,০০০ সেনা মোতায়েন করা হয়। সেখানে থেকে পর্যটক ও তীর্থযাত্রীদের জোর করে বের করে দেয়া হয়। পাকিস্তান সীমান্তের কাছে বিপুল সংখ্যক সেনা সমাবেশ করা হয়। তখনই বোঝা গিয়েছিলো যে বড় কোন কাজ করতে যাচ্ছে ভারত।
পৃথিবীতে ভারত একমাত্র দেশ যারা আফগানিস্তানে শান্তি কায়েম নিয়ে বিচলিত। আফগান শান্তি প্রক্রিয়ায় অগ্রবর্তী ভূমিকা পালন করছে পাকিস্তান। তাহলে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রক্সি যুদ্ধ অব্যাহত রাখা ছাড়া ভারত কি শান্তিতে থাকতে পারে? কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল কি মার্কিন-তালেবান শান্তি আলোচনাকে নস্যাৎ করার কোন মরিয়া প্রচেষ্টা?
বিজেপি’র সিদ্ধান্তটি ইতোমধ্যে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। পার্লামেন্টে বিরোধী দলগুলোর প্রায় সবাই এর বিরোধিতা করেছে। তবে, মোদির সত্যিকারের বিরোধিতা করার মতো শক্তি সেখানে বিরোধী দলগুলোর নেই।
গত নির্বাচনে লজ্জাজনক পরাজয়ের পর রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস (আইএনসি)’র নেতৃত্ব এখন পুরোপুরি বিশৃঙ্খল অবস্থায়। আর মোদি সরকারের মূল রাজনৈতিক মন্ত্র হলো ‘জোর যার মূলুক তার’, কোন আনুষ্ঠানিকতার ধার তারা ধারে না।
টানা দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় যেতে বিজেপি’র নির্বাচনী ইশতেহারে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিশ্রুতিগুলোর একটি ছিলো ধারা ৩৭০ ও ৩৫এ বাতিল করা। তাই তাদের কাজটি প্রত্যাশিত ছিলো।
গত ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হামলা চালিয়ে ভারত তার আগ্রাসী চেহারা প্রকাশ করে দেয়। এতে তারা দুটি জঙ্গিবিমান খোয়ায় ও একজন পাইলটকে হারায়। আরেক পাইলট পাকিস্তানের হাতে ধরা পড়ে। এরপর আসে আইসিজে’র রায়, যেখানে ভারতীয় গুপ্তচর কুলভূষণ যাদবকে সামরিক আদালতে মৃত্যুদণ্ড প্রদানের বিষয়টি স্বীকার করে নেয়া হয়। ভারত শুধু জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী ‘কনস্যুলার এক্সেস’ বিষয়ে ছাড় পায়।
নিয়ন্ত্রণ রেখার ওপার থেকে পাকিস্তানী ভূখণ্ডে গোলা বর্ষণ, পাকিস্তানের বেসামরিক লোকদের বিরুদ্ধে গুচ্ছ বোমা ব্যবহার ভারতের গভীর হতাশাকেই প্রকাশ করে দিয়েছে। তাছাড়া পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সফল যুক্তরাষ্ট্র সফর দুই দশক ধরে ভারতের ছড়ানো পাকিস্তান-বিরোধী বয়ানকে মিথ্যা প্রমাণিত ও বাতিল করে দিয়েছে।
কাশ্মীর নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে মধ্যস্থতা করার ব্যাপারে ট্রাম্প যে প্রস্তাব দিয়েছেন তাও ভারতকে ক্ষুব্ধ করেছে। এটা কাশ্মীরের ব্যাপারে চূড়ান্ত ফয়সালা গ্রহণে বিজেপি’কে উদ্বুদ্ধ করতে পারে।
কাশ্মীরে মাত্র সাত মিলিয়ন মানুষকে সামাল দিতে নিরাপত্তা বাহিনীর অর্ধ মিলিয়ন সদস্যকে আগে থেকেই মোতায়েন করে রাখা হয়েছিলো। সাম্প্রতিক সময়ে আরো ৩০,০০০ সেনা মোতায়েন করা হয়। সেখানে থেকে পর্যটক ও তীর্থযাত্রীদের জোর করে বের করে দেয়া হয়। পাকিস্তান সীমান্তের কাছে বিপুল সংখ্যক সেনা সমাবেশ করা হয়। তখনই বোঝা গিয়েছিলো যে বড় কোন কাজ করতে যাচ্ছে ভারত।
পৃথিবীতে ভারত একমাত্র দেশ যারা আফগানিস্তানে শান্তি কায়েম নিয়ে বিচলিত। আফগান শান্তি প্রক্রিয়ায় অগ্রবর্তী ভূমিকা পালন করছে পাকিস্তান। তাহলে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রক্সি যুদ্ধ অব্যাহত রাখা ছাড়া ভারত কি শান্তিতে থাকতে পারে? কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল কি মার্কিন-তালেবান শান্তি আলোচনাকে নস্যাৎ করার কোন মরিয়া প্রচেষ্টা?
ভারতীয় নিরাপত্তা সদস্যদের লক্ষ্য করে ঢিল ছুঁড়ছে কাশ্মীরী তরুণরা |
>>>লেখক: প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক
No comments