জম্মু-কাশ্মির সংকট: সরকারের প্রতি ভরসা রাখতে বললো সুপ্রিম কোর্ট
জম্মু
কাশ্মিরের পরিস্থিতিকে ‘সংবেদনশীল' আখ্যা দিয়ে ভারতের সর্বোচ্চ আদালতের
পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রাতারাতি অবস্থার বদল হবে না। সেখানকার পরিস্থিতির
স্বাভাবিকতা আনতে মোদি সরকারের প্রতি ভরসা রাখতে হবে, তাদের সময় দিতে হবে।
কাশ্মিরের অবরুদ্ধ অবস্থার বিরুদ্ধে করা এক মামলার পর্যবেক্ষণে এই অবস্থান
জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। দুই সপ্তাহ পর আবার মামলাটির শুনানি অনুষ্ঠিত হবে
বলে জানানো হয়েছে।
গত ৫ আগস্ট (সোমবার) ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের মধ্য দিয়ে কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসনের অধিকার কেড়ে নেয় বিজেপি নেতৃত্বাধীন ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। একইসঙ্গে ওই ধারার অধীন ৩৫(এ) বাতিলের মধ্য দিয়ে রাজ্যটির ‘বিশেষ মর্যাদা’ কেড়ে নেওয়া হয়। এরপর থেকেই জম্মু-কাশ্মির কার্যত অচলাবস্থার মধ্যে রয়েছে।
অবিলম্বে কাশ্মির থেকে কারফিউ তুলে নিতে, টেলিফোন সংযোগ ফিরিয়ে আনতে এবং ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করতে আদালতে আবেদন করেছিলেন এক সমাজকর্মী। জম্মু-কাশ্মিরের দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা ও মেহবুবা মুফতির আটকের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন তেহসিন পুনাওয়ালা। সুপ্রিম কোর্টে আবেদনপত্রে কারফিউ প্রত্যাহারের কথাও উল্লেখ করেছিলেন ওই সমাজকর্মী। মঙ্গলবার সেই মামলারই শুনানি ছিল।
সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি অরুণ মিশ্রর নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটির শুনানি চলছিল। সে সময় বিচারকরা তাদের পর্যবেক্ষণে বলেন, ‘আমরাও চাই জম্মু-কাশ্মিরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হোক। তবে এক রাতেই সবকিছুর পরিবর্তন সম্ভব নয়। সরকারের ওপর ভরসা করতেই হবে। আর কেন্দ্রেরও আরেকটু সময় পাওয়া উচিত।'
শুনানিতে আদালতের প্রশ্ন ছিল, পুরো পরিস্থিতি কি পর্যালোচনা করা হচ্ছে? জবাবে কেন্দ্রের পক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল বলেন, ‘উপত্যকার পরিস্থিতির দিকে কেন্দ্রীয় সরকার সব সময় নজর রেখেছে।' পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘২০১৬-র জুলাই মাসে হিজবুল মুজাহিদিন কমান্ডার বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পরও একই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিলেন। সেই সময়ও ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। সেবার ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এবার এখন পর্যন্ত কোনও প্রাণহানি ঘটেনি।'
জবাবে বিচারপতি বলেন, ‘আমাদের কাছে বাস্তব চিত্র থাকা প্রয়োজন। সময় দিতে হবে। আমাদের স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফেরাতে অপেক্ষা করতে হবে। যদি বদল না হয় তবে আবেদনকারী ফের আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন।'
গত ৫ আগস্ট (সোমবার) ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের মধ্য দিয়ে কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসনের অধিকার কেড়ে নেয় বিজেপি নেতৃত্বাধীন ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। একইসঙ্গে ওই ধারার অধীন ৩৫(এ) বাতিলের মধ্য দিয়ে রাজ্যটির ‘বিশেষ মর্যাদা’ কেড়ে নেওয়া হয়। এরপর থেকেই জম্মু-কাশ্মির কার্যত অচলাবস্থার মধ্যে রয়েছে।
অবিলম্বে কাশ্মির থেকে কারফিউ তুলে নিতে, টেলিফোন সংযোগ ফিরিয়ে আনতে এবং ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করতে আদালতে আবেদন করেছিলেন এক সমাজকর্মী। জম্মু-কাশ্মিরের দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা ও মেহবুবা মুফতির আটকের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন তেহসিন পুনাওয়ালা। সুপ্রিম কোর্টে আবেদনপত্রে কারফিউ প্রত্যাহারের কথাও উল্লেখ করেছিলেন ওই সমাজকর্মী। মঙ্গলবার সেই মামলারই শুনানি ছিল।
সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি অরুণ মিশ্রর নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটির শুনানি চলছিল। সে সময় বিচারকরা তাদের পর্যবেক্ষণে বলেন, ‘আমরাও চাই জম্মু-কাশ্মিরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হোক। তবে এক রাতেই সবকিছুর পরিবর্তন সম্ভব নয়। সরকারের ওপর ভরসা করতেই হবে। আর কেন্দ্রেরও আরেকটু সময় পাওয়া উচিত।'
শুনানিতে আদালতের প্রশ্ন ছিল, পুরো পরিস্থিতি কি পর্যালোচনা করা হচ্ছে? জবাবে কেন্দ্রের পক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল বলেন, ‘উপত্যকার পরিস্থিতির দিকে কেন্দ্রীয় সরকার সব সময় নজর রেখেছে।' পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘২০১৬-র জুলাই মাসে হিজবুল মুজাহিদিন কমান্ডার বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পরও একই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিলেন। সেই সময়ও ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। সেবার ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এবার এখন পর্যন্ত কোনও প্রাণহানি ঘটেনি।'
জবাবে বিচারপতি বলেন, ‘আমাদের কাছে বাস্তব চিত্র থাকা প্রয়োজন। সময় দিতে হবে। আমাদের স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফেরাতে অপেক্ষা করতে হবে। যদি বদল না হয় তবে আবেদনকারী ফের আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন।'
No comments