কাশ্মীর সঙ্ঘাত নিরসনে তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা লাগবে ভারতের
চীনের
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনইং ভারত-পাকিস্তান
সম্পর্কের উন্নতির জন্য যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের তৎপরতার
প্রতি চীনের সমর্থনের কথা জানিয়েছেন। বহু দশকের কাশ্মীর সঙ্ঘাত নিরসনে ভারত
ও পাকিস্তানের মধ্যে মধ্যস্থতার জন্য ২২ জুলাই মার্কিন প্রেসিডেন্ট
প্রস্তাব দেয়ার পর চীন এই বিবৃতি দিলো।
সেই সাথে, পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কোরেশিও ট্রাম্পের প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন যে, “এটা পাকিস্তানের প্রত্যাশার চেয়ে বেশি”। তবে, ভারত সব সময় তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতার বিরোধিতা করে এসেছে। নয়াদিল্লী সবসময় বলে আসছে যে ইসলামাবাদের সাথে সরাসরি আলোচনার মাধ্যমেই কেবল সমস্যার সমাধান সম্ভব। ভারতের একটা বিষয় বোঝা উচিত, সেটা হলো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিচ্ছে কারণ কাশ্মীরের সঙ্ঘাত নিরসনের জন্য ভারত খুব সামান্যই পদক্ষেপ নিয়েছে এবং খুব সামান্যই অর্জন করেছে, এবং বৈশ্বিক নিরাপত্তার জন্য কাশ্মীরের শান্তির বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ।
যুক্তরাষ্ট্রই প্রথম এখানে মধ্যস্থতার প্রস্তাব করেনি। সাবেক দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট নেলসন ম্যান্ডেলা এবং বর্তমান নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী এরনা সোলবার্গ তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু ভারত সব দেশের প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে, সেটা কাশ্মীরের উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
ভারতের সম্ভবত এটা বোঝার চেষ্টা করা উচিত যে, কেন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সাধারণভাবে শান্তিপূর্ণ পথে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের উন্নতি দেখতে চায়। এর কারণ হলো, ৭০ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা দুই দেশের মধ্যে বিবাদে সবসময় আলোচনার একটা কার্যকর চ্যানেলের অভাব ছিল। নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর সঙ্ঘাত হয়েছে, যেটা বহু নিরপরাধ মানুষের জীবন কেড়ে নিয়েছে।
এ রকম একটা পরিস্থিতিতে চীন সবসময় আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতাকে সমর্থন করেছে কারণ দক্ষিণ এশিয়ার শান্তি ও স্থিতিশীলতার বিষয়টি তাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভারত ও পাকিস্তানের বিবাদ যদি যুদ্ধের দিকে মোড় নেয় বা কোন ধরনের পারমাণবিক সঙ্ঘাত হয়, তাহলে উভয় পক্ষের নিরপরাধ মানুষগুলো এর শিকার হবে। চীনের জাতীয় কৌশল ও স্বার্থও সে ক্ষেত্রে মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে। চীনের প্রস্তাবিত বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ দক্ষিণ এশিয়ায় বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে যাবে, যদি এই অঞ্চলে কোন যুদ্ধ হয়। যুক্তরাষ্ট্রসহ যে দেশই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে শান্তিপূর্ণ সমঝোতার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে, তাদেরকে সমর্থন দেবে চীন, কারণ এতে চীনেরও স্বার্থ রয়েছে।
আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতাকে গ্রহণ করা বা না করার ব্যাপারে ভারতের অবস্থানকে চীন সবসময় শ্রদ্ধা করে। তবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মনোযোগ ও ইচ্ছাকে সচেতনভাবে অগ্রাহ্য করাটা ভারতের উচিত নয়। ভারত এ অঞ্চলে একটা বড় দেশ। এবং ভারত ও পাকিস্তান যদি কাশ্মীর সঙ্ঘাত যথাযথ ও শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করতে পারে, ভারতের জাতীয় ইমেজ সে ক্ষেত্রে বহুগুণে বেড়ে যাবে, এবং তারা দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যেতে পারবে।
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ৭০ বছরেরও বেশি সময় ধরে যে বিবাদ চলে আসছে, ব্রিটিশ উপনিবেশের কারণে সেটা রয়ে গেছে। ভারত ও পাকিস্তান কিভাবে এই ইস্যুর সমাধান করে, সেখান থেকে অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশগুলোও শিক্ষা নেবে।
এই অচলাবস্থার নিরসনে ভারতের কঠোর পরিশ্রম করা উচিত। পাকিস্তান ও ভারত উভয়েই যেহেতু সাংহাই কোঅপারেশান অর্গানাইজেশানের (এসসিও) সদস্য, এসসিও সেক্ষেত্রে আঞ্চলিক সমাধানের ক্ষেত্রে একটা ভালো প্ল্যাটফর্ম হতে পারে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ভারত ও পাকিস্তানের সদিচ্ছা এবং রাজনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে সঙ্ঘাত নিরসনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রজ্ঞা। একমাত্র এ পথেই দক্ষিণ এশিয়ার শান্তি ও স্থিতিশীলতা আসতে পারে এবং সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর স্বার্থ রক্ষা হতে পারে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সদিচ্ছার বিরুদ্ধে কাজ করাটা নয়াদিল্লীর উচিত নয়।
সেই সাথে, পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কোরেশিও ট্রাম্পের প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন যে, “এটা পাকিস্তানের প্রত্যাশার চেয়ে বেশি”। তবে, ভারত সব সময় তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতার বিরোধিতা করে এসেছে। নয়াদিল্লী সবসময় বলে আসছে যে ইসলামাবাদের সাথে সরাসরি আলোচনার মাধ্যমেই কেবল সমস্যার সমাধান সম্ভব। ভারতের একটা বিষয় বোঝা উচিত, সেটা হলো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিচ্ছে কারণ কাশ্মীরের সঙ্ঘাত নিরসনের জন্য ভারত খুব সামান্যই পদক্ষেপ নিয়েছে এবং খুব সামান্যই অর্জন করেছে, এবং বৈশ্বিক নিরাপত্তার জন্য কাশ্মীরের শান্তির বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ।
যুক্তরাষ্ট্রই প্রথম এখানে মধ্যস্থতার প্রস্তাব করেনি। সাবেক দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট নেলসন ম্যান্ডেলা এবং বর্তমান নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী এরনা সোলবার্গ তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু ভারত সব দেশের প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে, সেটা কাশ্মীরের উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
ভারতের সম্ভবত এটা বোঝার চেষ্টা করা উচিত যে, কেন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সাধারণভাবে শান্তিপূর্ণ পথে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের উন্নতি দেখতে চায়। এর কারণ হলো, ৭০ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা দুই দেশের মধ্যে বিবাদে সবসময় আলোচনার একটা কার্যকর চ্যানেলের অভাব ছিল। নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর সঙ্ঘাত হয়েছে, যেটা বহু নিরপরাধ মানুষের জীবন কেড়ে নিয়েছে।
এ রকম একটা পরিস্থিতিতে চীন সবসময় আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতাকে সমর্থন করেছে কারণ দক্ষিণ এশিয়ার শান্তি ও স্থিতিশীলতার বিষয়টি তাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভারত ও পাকিস্তানের বিবাদ যদি যুদ্ধের দিকে মোড় নেয় বা কোন ধরনের পারমাণবিক সঙ্ঘাত হয়, তাহলে উভয় পক্ষের নিরপরাধ মানুষগুলো এর শিকার হবে। চীনের জাতীয় কৌশল ও স্বার্থও সে ক্ষেত্রে মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে। চীনের প্রস্তাবিত বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ দক্ষিণ এশিয়ায় বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে যাবে, যদি এই অঞ্চলে কোন যুদ্ধ হয়। যুক্তরাষ্ট্রসহ যে দেশই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে শান্তিপূর্ণ সমঝোতার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে, তাদেরকে সমর্থন দেবে চীন, কারণ এতে চীনেরও স্বার্থ রয়েছে।
আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতাকে গ্রহণ করা বা না করার ব্যাপারে ভারতের অবস্থানকে চীন সবসময় শ্রদ্ধা করে। তবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মনোযোগ ও ইচ্ছাকে সচেতনভাবে অগ্রাহ্য করাটা ভারতের উচিত নয়। ভারত এ অঞ্চলে একটা বড় দেশ। এবং ভারত ও পাকিস্তান যদি কাশ্মীর সঙ্ঘাত যথাযথ ও শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করতে পারে, ভারতের জাতীয় ইমেজ সে ক্ষেত্রে বহুগুণে বেড়ে যাবে, এবং তারা দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যেতে পারবে।
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ৭০ বছরেরও বেশি সময় ধরে যে বিবাদ চলে আসছে, ব্রিটিশ উপনিবেশের কারণে সেটা রয়ে গেছে। ভারত ও পাকিস্তান কিভাবে এই ইস্যুর সমাধান করে, সেখান থেকে অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশগুলোও শিক্ষা নেবে।
এই অচলাবস্থার নিরসনে ভারতের কঠোর পরিশ্রম করা উচিত। পাকিস্তান ও ভারত উভয়েই যেহেতু সাংহাই কোঅপারেশান অর্গানাইজেশানের (এসসিও) সদস্য, এসসিও সেক্ষেত্রে আঞ্চলিক সমাধানের ক্ষেত্রে একটা ভালো প্ল্যাটফর্ম হতে পারে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ভারত ও পাকিস্তানের সদিচ্ছা এবং রাজনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে সঙ্ঘাত নিরসনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রজ্ঞা। একমাত্র এ পথেই দক্ষিণ এশিয়ার শান্তি ও স্থিতিশীলতা আসতে পারে এবং সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর স্বার্থ রক্ষা হতে পারে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সদিচ্ছার বিরুদ্ধে কাজ করাটা নয়াদিল্লীর উচিত নয়।
No comments