ট্রেন দুর্ঘটনা, স্থানীয়দের ময়নাতদন্ত: ব্রিজ নয় লাইন-জয়েন্ট পয়েন্টেই ছিল সমস্যা by ইমাদ উদ দীন
ট্রেন
দুর্ঘটনা নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। কেন কি কারণে এমন ভয়াবহ দুর্ঘটনা।
দুর্ঘটনার নেপথ্যের বিষয় নিয়ে চলছে স্থানীয় বাসিন্দাদের ময়নাতদন্ত। ব্রিজ
নয়, ব্রিজের ওপর ও আগে-পরের রেললাইন ছিল চরম ঝুঁকিপূর্ণ। দীর্ঘদিন থেকে
ত্যানা (পুরানো কাপড়) আর সুতলি পেঁচিয়ে কোন রকম জোড়াতালি দিয়ে আটকানো
হয়েছিল ফিসপ্লেট ও জয়েন্ট নাট। আর রেললাইন সংযোগ স্থাপনের ওই স্থানে
নাট-বল্টুও ছিল কম। যেগুলো ছিল সেগুলোরও ছিল না কার্য ক্ষমতা। থ্রেটহীন ওই
নাট-বল্টুর সক্ষমতা বাড়ানো হয়েছিল পুরানো কাপড় ও সুতলি পেঁচিয়ে।
রেললাইনের সঙ্গে সংযুক্ত ক্লিপ-হুক ছিল কম। কাটের স্লিপারের অবস্থাও ছিল দুর্বল। কুলাউড়ার বরমচালের ইসলামাবাদ বড়ছড়ার ওই ব্রিজটি দুর্ঘটনা কবলিত হওয়ায় আগে ঝুঁকিপূর্ণ রেললাইন নিয়ে এমন দুর্ঘটনার আশঙ্কা ছিল স্থানীয় বাসিন্দাদের। পুরানো ওই ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ না হলেও এর আশপাশের চরম ঝুঁকিপূর্ণ রেললাইন মেরামত ও নতুন সরঞ্জামাদির দাবি ছিল এলাকাবাসীর। জানা যায়, দুর্ঘটনাস্থলের পার্শ্ববর্তী ইসলামাবাদ, নন্দনগর, ফুলেরতল (কালামিয়া বাজার), মহলাল গ্রামের বাসিন্দারা প্রায়ই ট্রেন আসা-যাওয়ার পরপরই খুলে যাওয়া নাট-বল্টু নিজেরাই টাইট দিতেন। অনেক সময়ই এই দুরবস্থার কথা স্থানীয় স্টেশন মাস্টার ও সংশ্লিষ্টদের জানাতেন। কিন্তু জানানোর পরও কোন পরিবর্তন হতো না ওই পুরাতন ফিসপ্লেট, স্লিপার, নাট-বল্টুর। মাঝে মধ্যে রেল বিভাগের লোকজন পুরাতন কাপড় বা সুতলি পেঁচিয়ে জোড়াতালি দিতেন। রেল বিভাগের এমন উদাসীনতায় স্থানীয় বাসিন্দারা দুর্ঘটনার আশঙ্কায় থাকতেন চরম উদ্বেগ উৎকণ্ঠায়। ব্রিজের আগে ও পরের প্রায় ২শ’ গজ চরম ঝুঁকিপূর্ণ রেললাইন নিয়ে তারা একাধিকবার সংশ্লিষ্টদের অবগত করেছেন। তা মেরামত কিংবা পরিবর্তনের দাবিও করেছেন। গতকাল বিকেলে কথা হয় দুর্ঘটনাস্থলের আশপাশ গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে। তারা ক্ষোভের সঙ্গে জানালেন- আগে থেকেই আমাদের যেমনটি ধারণা ছিল এমনটিই হলো। যদি আমাদের অভিযোগগুলো রেল বিভাগের লোকজন আমলে নিতেন তাহলে এমন ভয়াবহ দুর্ঘটনা হতো না। নন্দনগর গ্রামের ফারুক মিয়া, ফয়ছল আহমদ, মো. জহির আলী, কনা মিয়া, মোতাহের মিয়া, আব্দুল মন্নান, সুমেন আহমদ ও রুহিত পাচী জানান, এই চরম ঝুঁকিপূর্ণ স্থানটির রেললাইন ও যন্ত্রাংশ মেরামতের জন্য একাধিকবার বলা হলেও কোনো গুরুত্বই দেননি রেল বিভাগের লোকজন। তারা বলেন- সেদিন গ্রামবাসী আর প্রশাসনসহ অন্যান্যদের সহযোগিতায় হতাহতের পরিসংখ্যান বড় হয়নি। এত বড় ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর এতো কম হতাহতের সংখ্যা। এটা নিচক সৃষ্টি কর্তার অশেষ কৃপা। তারা জানান, ওই ব্রিজটি পুরানো হলেও তেমন ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে হয় না। চরম ঝুঁকিপূর্ণের তালিকায় যেমনটি ছিল ওই ব্রিজের আশপাশের রেললাইন ও তার ছোট-বড় যন্ত্রাংশ। ওই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় বাসিন্দা শ্যামল শীল, নূর আলী, সালাম ও রিপনসহ কয়েকজন জানান, তখন রাত প্রায় পৌনে বারোটা। দ্রুতগতিতে কালামিয়া (ফুলেরতল) বাজারের পাশের রেলক্রসিংটির পাশে দাঁড়িয়ে ট্রেন যাওয়ার দৃশ্য প্রত্যক্ষ করছিলেন তারা। অন্যদিনের চাইতে ওই দিন ট্রেনটি ছিল খুবই দ্রুতগতি সম্পন্ন। চোখের নিমিশেই ট্রেনটি ব্রিজের ওপর পৌঁছায়। এর আগ থেকেই জয়েন্ট রেলক্রসিং লাইনের পাশ থেকেই ট্রেনেটির পেছনের বগিগুলো অনেকটা টেনে হিঁছড়ে সামনের দিকে নেয়া হচ্ছে বলে মনে হয়েছিল। ট্রেনটি ব্রিজের ওপর উঠার সঙ্গে সঙ্গেই ট্রেনের সামনের অংশ ব্রিজ পার হলেও হঠাৎ বিকট শব্দ আর ভূমিকম্পের মতো কেঁপে উঠে পুরো এলাকা। সঙ্গে আগুনের ফুলকি আর ধোঁয়া। এরপর যা হলো তা তো মর্মান্তিক ইতিহাস। আমরা সকলেই দৌড়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করি। তারা বলেন, আমাদের ধারণা ব্রিজের আগে যে জয়েন্ট পয়েন্ট আছে তার নাট-বল্টু ট্রেনের সামনের অংশ যাওয়ার পর হয়তো খুলে গিয়েছিল। আর এ কারণে পিছনের বগিটি রেললাইন থেকে সটকে পড়ে সামনে আগাতে পারেনি। তারপর কোন রকম ব্রিজে ওঠার সঙ্গে ব্রিজ থেকে পড়ে যায়। এতে ট্রেনের ১৭টি বগির মধ্যে ৬টি বগিই ইঞ্জিন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে লাইনচ্যুত ও ব্রিজের নিচে ও রাস্তার পাশে পড়ে যায়। তাদের সকলেরই ধারণা- জয়েন্ট পয়েন্টের নাট-বল্টু ঢিলেঢালা ও খুলে যাওয়াতেই পেছনের বগি লাইনচ্যুত হয়েই এই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। বরমচাল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ইমরান আহমদ চৌধুরী বলেন, ব্রিজের ওপর থেকে তার উত্তর ও দক্ষিণের প্রায় দেড়-দু’শ ফুট এলাকার রেললাইন, ফিসপ্লেট, স্লিপার, নাট-বল্টু চরম ঝুঁকিপূর্ণ ছিল দীর্ঘদিন থেকে। স্থানীয় বাসিন্দা এমন চরম ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা দেখে সংশ্লিষ্টদের অবগতও করিয়েছিল। কিন্তু কে শোনে কার কথা। ইমরান বলেন, সেদিন ট্রেনটি ছিল দ্রুতগতির। আর ব্রিজের আগে পয়েন্টের নাট-বল্টু ছিল দুর্বল ও সংখ্যায় কম। এতে ট্রেনটির সামনের অংশ ওই স্থান পাড়ি দেয়ার পরপরই পেছনের বগিটি লাইনচ্যুত হয়। ইঞ্জিনের শক্তিতে ট্রেনটির পেছনের ওই বগি ব্রিজ উঠতে পারলেও আর সামনে আগাতে পারেনি। তাই নিয়ন্ত্রণ হারানো ওই বগিটি ব্রিজের নিচে পড়ে যায়। তখনই ওই ৬টি বগি ইঞ্জিন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে চরম ক্ষতিগ্রস্ত ও দুর্ঘটনা কবলিত হয়। তিনি বলেন, ব্রিজ নয় দুর্ঘটনার কারণ হলো চরম ঝুঁকিপূর্ণ রেললাইন ও তার খুচরা সহযোগী যন্ত্রাংশ। কারণ এর আগে ব্রিজের গার্ডার বা স্পেন ক্ষতিগ্রস্ত ছিল এমনটি কারো নজরে পড়েনি। তবে ব্রিজটি পুরানো তা নির্মাণ কিংবা সংস্কারের প্রয়োজন। গতকাল সরজমিনে দেখা গেল, এখন দুর্ঘটনার ওই ব্রিজ দিয়ে ধীর গতিতে চলছে ট্রেন। পাশে ওই দুর্ঘটনার সাক্ষী হিসেবে পড়ে আছে ক্ষতিগ্রস্ত ৩টি বগি। সোমবার ওই বগিগুলো রেখেই ট্রেন লাইন সচল করা হয়েছিল। এখনো নানা জায়গা থেকে উৎসুক নারী পুরুষ দুর্ঘটনাস্থল দেখতে আসছেন। ওই স্থানটির আশপাশে রয়েছে আনছার ও রেল পুলিশের সতর্ক পাহারা। তবে সকলের দাবি একটাই- এরকম ভয়াবহ দুর্ঘটনা এড়াতে দ্রুত এ অঞ্চলের চরম ঝুঁকিপূর্ণ রেললাইন ও ব্রিজ নির্মাণ ও মেরামতের।
রেললাইনের সঙ্গে সংযুক্ত ক্লিপ-হুক ছিল কম। কাটের স্লিপারের অবস্থাও ছিল দুর্বল। কুলাউড়ার বরমচালের ইসলামাবাদ বড়ছড়ার ওই ব্রিজটি দুর্ঘটনা কবলিত হওয়ায় আগে ঝুঁকিপূর্ণ রেললাইন নিয়ে এমন দুর্ঘটনার আশঙ্কা ছিল স্থানীয় বাসিন্দাদের। পুরানো ওই ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ না হলেও এর আশপাশের চরম ঝুঁকিপূর্ণ রেললাইন মেরামত ও নতুন সরঞ্জামাদির দাবি ছিল এলাকাবাসীর। জানা যায়, দুর্ঘটনাস্থলের পার্শ্ববর্তী ইসলামাবাদ, নন্দনগর, ফুলেরতল (কালামিয়া বাজার), মহলাল গ্রামের বাসিন্দারা প্রায়ই ট্রেন আসা-যাওয়ার পরপরই খুলে যাওয়া নাট-বল্টু নিজেরাই টাইট দিতেন। অনেক সময়ই এই দুরবস্থার কথা স্থানীয় স্টেশন মাস্টার ও সংশ্লিষ্টদের জানাতেন। কিন্তু জানানোর পরও কোন পরিবর্তন হতো না ওই পুরাতন ফিসপ্লেট, স্লিপার, নাট-বল্টুর। মাঝে মধ্যে রেল বিভাগের লোকজন পুরাতন কাপড় বা সুতলি পেঁচিয়ে জোড়াতালি দিতেন। রেল বিভাগের এমন উদাসীনতায় স্থানীয় বাসিন্দারা দুর্ঘটনার আশঙ্কায় থাকতেন চরম উদ্বেগ উৎকণ্ঠায়। ব্রিজের আগে ও পরের প্রায় ২শ’ গজ চরম ঝুঁকিপূর্ণ রেললাইন নিয়ে তারা একাধিকবার সংশ্লিষ্টদের অবগত করেছেন। তা মেরামত কিংবা পরিবর্তনের দাবিও করেছেন। গতকাল বিকেলে কথা হয় দুর্ঘটনাস্থলের আশপাশ গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে। তারা ক্ষোভের সঙ্গে জানালেন- আগে থেকেই আমাদের যেমনটি ধারণা ছিল এমনটিই হলো। যদি আমাদের অভিযোগগুলো রেল বিভাগের লোকজন আমলে নিতেন তাহলে এমন ভয়াবহ দুর্ঘটনা হতো না। নন্দনগর গ্রামের ফারুক মিয়া, ফয়ছল আহমদ, মো. জহির আলী, কনা মিয়া, মোতাহের মিয়া, আব্দুল মন্নান, সুমেন আহমদ ও রুহিত পাচী জানান, এই চরম ঝুঁকিপূর্ণ স্থানটির রেললাইন ও যন্ত্রাংশ মেরামতের জন্য একাধিকবার বলা হলেও কোনো গুরুত্বই দেননি রেল বিভাগের লোকজন। তারা বলেন- সেদিন গ্রামবাসী আর প্রশাসনসহ অন্যান্যদের সহযোগিতায় হতাহতের পরিসংখ্যান বড় হয়নি। এত বড় ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর এতো কম হতাহতের সংখ্যা। এটা নিচক সৃষ্টি কর্তার অশেষ কৃপা। তারা জানান, ওই ব্রিজটি পুরানো হলেও তেমন ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে হয় না। চরম ঝুঁকিপূর্ণের তালিকায় যেমনটি ছিল ওই ব্রিজের আশপাশের রেললাইন ও তার ছোট-বড় যন্ত্রাংশ। ওই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় বাসিন্দা শ্যামল শীল, নূর আলী, সালাম ও রিপনসহ কয়েকজন জানান, তখন রাত প্রায় পৌনে বারোটা। দ্রুতগতিতে কালামিয়া (ফুলেরতল) বাজারের পাশের রেলক্রসিংটির পাশে দাঁড়িয়ে ট্রেন যাওয়ার দৃশ্য প্রত্যক্ষ করছিলেন তারা। অন্যদিনের চাইতে ওই দিন ট্রেনটি ছিল খুবই দ্রুতগতি সম্পন্ন। চোখের নিমিশেই ট্রেনটি ব্রিজের ওপর পৌঁছায়। এর আগ থেকেই জয়েন্ট রেলক্রসিং লাইনের পাশ থেকেই ট্রেনেটির পেছনের বগিগুলো অনেকটা টেনে হিঁছড়ে সামনের দিকে নেয়া হচ্ছে বলে মনে হয়েছিল। ট্রেনটি ব্রিজের ওপর উঠার সঙ্গে সঙ্গেই ট্রেনের সামনের অংশ ব্রিজ পার হলেও হঠাৎ বিকট শব্দ আর ভূমিকম্পের মতো কেঁপে উঠে পুরো এলাকা। সঙ্গে আগুনের ফুলকি আর ধোঁয়া। এরপর যা হলো তা তো মর্মান্তিক ইতিহাস। আমরা সকলেই দৌড়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করি। তারা বলেন, আমাদের ধারণা ব্রিজের আগে যে জয়েন্ট পয়েন্ট আছে তার নাট-বল্টু ট্রেনের সামনের অংশ যাওয়ার পর হয়তো খুলে গিয়েছিল। আর এ কারণে পিছনের বগিটি রেললাইন থেকে সটকে পড়ে সামনে আগাতে পারেনি। তারপর কোন রকম ব্রিজে ওঠার সঙ্গে ব্রিজ থেকে পড়ে যায়। এতে ট্রেনের ১৭টি বগির মধ্যে ৬টি বগিই ইঞ্জিন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে লাইনচ্যুত ও ব্রিজের নিচে ও রাস্তার পাশে পড়ে যায়। তাদের সকলেরই ধারণা- জয়েন্ট পয়েন্টের নাট-বল্টু ঢিলেঢালা ও খুলে যাওয়াতেই পেছনের বগি লাইনচ্যুত হয়েই এই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। বরমচাল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ইমরান আহমদ চৌধুরী বলেন, ব্রিজের ওপর থেকে তার উত্তর ও দক্ষিণের প্রায় দেড়-দু’শ ফুট এলাকার রেললাইন, ফিসপ্লেট, স্লিপার, নাট-বল্টু চরম ঝুঁকিপূর্ণ ছিল দীর্ঘদিন থেকে। স্থানীয় বাসিন্দা এমন চরম ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা দেখে সংশ্লিষ্টদের অবগতও করিয়েছিল। কিন্তু কে শোনে কার কথা। ইমরান বলেন, সেদিন ট্রেনটি ছিল দ্রুতগতির। আর ব্রিজের আগে পয়েন্টের নাট-বল্টু ছিল দুর্বল ও সংখ্যায় কম। এতে ট্রেনটির সামনের অংশ ওই স্থান পাড়ি দেয়ার পরপরই পেছনের বগিটি লাইনচ্যুত হয়। ইঞ্জিনের শক্তিতে ট্রেনটির পেছনের ওই বগি ব্রিজ উঠতে পারলেও আর সামনে আগাতে পারেনি। তাই নিয়ন্ত্রণ হারানো ওই বগিটি ব্রিজের নিচে পড়ে যায়। তখনই ওই ৬টি বগি ইঞ্জিন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে চরম ক্ষতিগ্রস্ত ও দুর্ঘটনা কবলিত হয়। তিনি বলেন, ব্রিজ নয় দুর্ঘটনার কারণ হলো চরম ঝুঁকিপূর্ণ রেললাইন ও তার খুচরা সহযোগী যন্ত্রাংশ। কারণ এর আগে ব্রিজের গার্ডার বা স্পেন ক্ষতিগ্রস্ত ছিল এমনটি কারো নজরে পড়েনি। তবে ব্রিজটি পুরানো তা নির্মাণ কিংবা সংস্কারের প্রয়োজন। গতকাল সরজমিনে দেখা গেল, এখন দুর্ঘটনার ওই ব্রিজ দিয়ে ধীর গতিতে চলছে ট্রেন। পাশে ওই দুর্ঘটনার সাক্ষী হিসেবে পড়ে আছে ক্ষতিগ্রস্ত ৩টি বগি। সোমবার ওই বগিগুলো রেখেই ট্রেন লাইন সচল করা হয়েছিল। এখনো নানা জায়গা থেকে উৎসুক নারী পুরুষ দুর্ঘটনাস্থল দেখতে আসছেন। ওই স্থানটির আশপাশে রয়েছে আনছার ও রেল পুলিশের সতর্ক পাহারা। তবে সকলের দাবি একটাই- এরকম ভয়াবহ দুর্ঘটনা এড়াতে দ্রুত এ অঞ্চলের চরম ঝুঁকিপূর্ণ রেললাইন ও ব্রিজ নির্মাণ ও মেরামতের।
No comments