রাখাইন ও চিন রাজ্যে ইন্টারনেট সংযোগ পুনঃস্থাপনে জাতিসংঘ ও সিপিজের আহ্বান
রাখাইন
ও চিন রাজ্যে ইন্টারনেট সংযোগ পুনঃস্থাপনের জন্য মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান
জানিয়েছে জাতিসংঘ ও সাংবাদিকদের অধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংগঠন কমিটি টু
প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে)। মিয়ানমারে মানবাধিকার পরিস্থিতি বিষয়ক
জাতিসংঘের স্পেশাল র্যাপোর্টিউর ইয়াংহি লি এবং সিপিজে এমন আহ্বান
জানিয়েছে। একই সঙ্গে বলা হয়েছে, এটা নিশ্চিত করতে হবে যে, ভবিষ্যতে যেন এই
সংযোগ বিঘ্নিত না হয়। ইয়াংহি লি সোমবার সতর্কতা দিয়েছেন এ বিষয়ে।
মিয়ানমারের ৯টি শহর এলাকায় মোবাইল ফোনের ডাটা নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দিয়েছে দেশটির সরকার। এতে মানবাধিকার পরিস্থিতির ওপর গুরুত্বর প্রভাব পড়তে পারে, রাখাইন ও চিন রাজ্যের মতো যুদ্ধকবলিত রাজ্যগুলোতে মানবিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের ওপরও এর গুরুত্বর প্রভাব পড়ছে। ইয়াংহি লি বলেন, ওইসব এলাকায় মিডিয়ার কোনো প্রবেশাধিকার নেই এবং মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠনগুলোর ওপর রয়েছে মারাত্মক সব বিধিনিষেধ। ফলে পুরো অঞ্চল রয়েছে অন্ধকারে।
সেখানে অবস্থানকারী সব বেসামরিক জনগণকে নিয়ে আমার ভয় হচ্ছে। ওই এলাকার ভিতরে ও বাইরে অবস্থানরত লোকজন একে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না। তারা বিচ্ছিন্ন রয়েছেন। তাদের প্রয়োজনীয় যোগাযোগের উপায় নেই।
উল্লেখ্য, টেলিযোগযোগ আইন ২০১৩-এর অধীনে সব রকম মোবাইল নেটওয়ার্কের ইন্টারনেট সুবিধা অস্থায়ীভিত্তিতে বন্ধ করে দিতে ২০শে জুন নির্দেশ দেয় পরিবহন ও যোগাযোগ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। তাদের অভিযোগ, ইন্টারনেট সুবিধা ব্যবহার করে অবৈধ কর্মকান্ড সংগঠিত করা হচ্ছে। এতে শান্তি বিঘ্নিত হচ্ছে। এ জন্য মোবাইলে ইন্টারনেট সুবিধা বন্ধ করে দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বিশ্বাসযোগ্য রিপোর্ট রয়েছে যে, ১৯ জুন মিয়ানমারের সেনাবাহিনী মধ্য রাখাইনের মিনবায়া শহরে হেলিকপ্টার ব্যবহার করে হামলা চালিয়েছে। পরের দিন সিতওয়েতে নৌবাহিনীর একটি জাহাজে হামলা চালিয়েছে আরাকান আর্মি নামের উগ্রপন্থিরা। এতে বেশ কয়েকজন সেনা সদস্য নিহত ও আহত হয়েছে।
ইয়াংহি লি বলেছেন, আমাকে বলা হয়েছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী একটি ‘ক্লিয়ারেন্স অপারেশন’ চালাচ্ছে। এমন অপারেশনে আমরা জানি যে, বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে ভয়াবহভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয়। আমাদেরকে এটা ভুলে গেছে চলবে না যে, এই একই বাহিনী দুই বছর আগে রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নৃশংসতা চালিয়েছিল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তারা তাদের সেই অপরাধের বিচার থেকে দূরে রয়েছে।
২০১৮ সালের শেষের দিক থেকে আরাকান আর্মি ও সেনাবাহিনীর মধ্যে লড়াই চলছে। এর শিকার হচ্ছেন বেসামরিক লোকজন। এতে কমপক্ষে ৩৫০০০ বেসামরিক মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। শিশু সহ কয়েক ডজন সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছে দুষ্কৃতকারীরা ও টার্গেট করে হামলাকারীরা। অন্যদিকে সেনাবাহিনীর হেফাজতে মারা গেছেন অনেক জাতিগত রাখাইন মানুষ। ইয়াংহি লি বলেন, মোবাইলে ইন্টারনেট নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত থেকে ফিরে আসতে আমি মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। লড়াইয়ে লিপ্ত উভয় পক্ষকে এটা নিশ্চিত করতে হবে যে, বেসামরিক লোকজন ও তাদের সহায় সম্পদ সব সময়ই সুরক্ষিত রাখতে হবে। অনুসরণ করতে হবে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ক আইন। মিডিয়া ও মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে আরোপিত বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করতে হবে অবিলম্বে।
ওদিকে ২২ জুন এক সংবাদ সম্মেলনে সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র বলেছেন, মোবাইলে ইন্টারনেট সুবিধা বন্ধ রাখার কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই। বার্তা সংস্থা এএফপি এক রিপোর্টে বলেছে, যেহেতু ইন্টারনেট সেবা শুধু মোবাইল ফোনে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে, তাই রাখাইন ও চিন রাজ্যের হাতেগোনা কিছু মানুষ কম্পিউটারে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারছেন।
সিপিজের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক সিনিয়র প্রতিনিধি শাওন ক্রিসপিন বলেছেন, মিয়ানমারে মোবাইলে ইচ্ছাকৃতভাবে ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়ায় সাংবাদিকদের রিপোর্ট পাঠানো, রিপোর্ট পাওয়া ও তা প্রকাশ করায় ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়েছে। ওই অঞ্চলগুলোর লড়াই নিয়ে মুক্তভাবে রিপোর্ট প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষের উচিত সেন্সরশিপমুলক নির্দেশ প্রত্যাহার করা। ওদিকে রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিতওয়েভিত্তিক ইউনিয়ন ডেভেলপমেন্ট মিডিয়া গ্রুপ নামের বার্তা সংস্থায় একজন সাংবাদিক বলেছেন, মঙ্গলবারও ইন্টারনেট বন্ধ রয়েছে সেখানে। সরকার প্রতিশোধ নেবে এই আশঙ্কায় ওই সাংবাদিক তার নাম প্রকাশ করতে রাজি হন নি। পরিবহন ও যোগাযোগ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি সিপিজের ফোনকল রিসিভ করেন। কিন্তু তিনি মোবাইলে ইন্টারনেট সুবিধা বন্ধ করার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
মিয়ানমারের ৯টি শহর এলাকায় মোবাইল ফোনের ডাটা নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দিয়েছে দেশটির সরকার। এতে মানবাধিকার পরিস্থিতির ওপর গুরুত্বর প্রভাব পড়তে পারে, রাখাইন ও চিন রাজ্যের মতো যুদ্ধকবলিত রাজ্যগুলোতে মানবিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের ওপরও এর গুরুত্বর প্রভাব পড়ছে। ইয়াংহি লি বলেন, ওইসব এলাকায় মিডিয়ার কোনো প্রবেশাধিকার নেই এবং মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠনগুলোর ওপর রয়েছে মারাত্মক সব বিধিনিষেধ। ফলে পুরো অঞ্চল রয়েছে অন্ধকারে।
সেখানে অবস্থানকারী সব বেসামরিক জনগণকে নিয়ে আমার ভয় হচ্ছে। ওই এলাকার ভিতরে ও বাইরে অবস্থানরত লোকজন একে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না। তারা বিচ্ছিন্ন রয়েছেন। তাদের প্রয়োজনীয় যোগাযোগের উপায় নেই।
উল্লেখ্য, টেলিযোগযোগ আইন ২০১৩-এর অধীনে সব রকম মোবাইল নেটওয়ার্কের ইন্টারনেট সুবিধা অস্থায়ীভিত্তিতে বন্ধ করে দিতে ২০শে জুন নির্দেশ দেয় পরিবহন ও যোগাযোগ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। তাদের অভিযোগ, ইন্টারনেট সুবিধা ব্যবহার করে অবৈধ কর্মকান্ড সংগঠিত করা হচ্ছে। এতে শান্তি বিঘ্নিত হচ্ছে। এ জন্য মোবাইলে ইন্টারনেট সুবিধা বন্ধ করে দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বিশ্বাসযোগ্য রিপোর্ট রয়েছে যে, ১৯ জুন মিয়ানমারের সেনাবাহিনী মধ্য রাখাইনের মিনবায়া শহরে হেলিকপ্টার ব্যবহার করে হামলা চালিয়েছে। পরের দিন সিতওয়েতে নৌবাহিনীর একটি জাহাজে হামলা চালিয়েছে আরাকান আর্মি নামের উগ্রপন্থিরা। এতে বেশ কয়েকজন সেনা সদস্য নিহত ও আহত হয়েছে।
ইয়াংহি লি বলেছেন, আমাকে বলা হয়েছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী একটি ‘ক্লিয়ারেন্স অপারেশন’ চালাচ্ছে। এমন অপারেশনে আমরা জানি যে, বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে ভয়াবহভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয়। আমাদেরকে এটা ভুলে গেছে চলবে না যে, এই একই বাহিনী দুই বছর আগে রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নৃশংসতা চালিয়েছিল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তারা তাদের সেই অপরাধের বিচার থেকে দূরে রয়েছে।
২০১৮ সালের শেষের দিক থেকে আরাকান আর্মি ও সেনাবাহিনীর মধ্যে লড়াই চলছে। এর শিকার হচ্ছেন বেসামরিক লোকজন। এতে কমপক্ষে ৩৫০০০ বেসামরিক মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। শিশু সহ কয়েক ডজন সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছে দুষ্কৃতকারীরা ও টার্গেট করে হামলাকারীরা। অন্যদিকে সেনাবাহিনীর হেফাজতে মারা গেছেন অনেক জাতিগত রাখাইন মানুষ। ইয়াংহি লি বলেন, মোবাইলে ইন্টারনেট নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত থেকে ফিরে আসতে আমি মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। লড়াইয়ে লিপ্ত উভয় পক্ষকে এটা নিশ্চিত করতে হবে যে, বেসামরিক লোকজন ও তাদের সহায় সম্পদ সব সময়ই সুরক্ষিত রাখতে হবে। অনুসরণ করতে হবে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ক আইন। মিডিয়া ও মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে আরোপিত বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করতে হবে অবিলম্বে।
ওদিকে ২২ জুন এক সংবাদ সম্মেলনে সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র বলেছেন, মোবাইলে ইন্টারনেট সুবিধা বন্ধ রাখার কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই। বার্তা সংস্থা এএফপি এক রিপোর্টে বলেছে, যেহেতু ইন্টারনেট সেবা শুধু মোবাইল ফোনে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে, তাই রাখাইন ও চিন রাজ্যের হাতেগোনা কিছু মানুষ কম্পিউটারে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারছেন।
সিপিজের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক সিনিয়র প্রতিনিধি শাওন ক্রিসপিন বলেছেন, মিয়ানমারে মোবাইলে ইচ্ছাকৃতভাবে ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়ায় সাংবাদিকদের রিপোর্ট পাঠানো, রিপোর্ট পাওয়া ও তা প্রকাশ করায় ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়েছে। ওই অঞ্চলগুলোর লড়াই নিয়ে মুক্তভাবে রিপোর্ট প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষের উচিত সেন্সরশিপমুলক নির্দেশ প্রত্যাহার করা। ওদিকে রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিতওয়েভিত্তিক ইউনিয়ন ডেভেলপমেন্ট মিডিয়া গ্রুপ নামের বার্তা সংস্থায় একজন সাংবাদিক বলেছেন, মঙ্গলবারও ইন্টারনেট বন্ধ রয়েছে সেখানে। সরকার প্রতিশোধ নেবে এই আশঙ্কায় ওই সাংবাদিক তার নাম প্রকাশ করতে রাজি হন নি। পরিবহন ও যোগাযোগ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি সিপিজের ফোনকল রিসিভ করেন। কিন্তু তিনি মোবাইলে ইন্টারনেট সুবিধা বন্ধ করার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
No comments