‘আদালত আমাকে খালাসও দেয় না, শাস্তিও দেয় না’ -রাবেয়া খাতুন
প্রায়
১৮ বছর আগে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধারের ঘটনায় বৃদ্ধ রাবেয়া খাতুন হাইকোর্টে
হাজির হয়েছেন। উচ্চ আদালতের আদেশ অনুসারে আজ বুধবার সকালে তিনি তাঁর নাতি
আলমগীর হোসেনের হাত ধরে লাঠিতে ভর দিয়ে আদালতে আসেন।
বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মোহাম্মদ রিয়াজউদ্দিন খানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে আজ এ–সংক্রান্ত মামলার শুনানি হওয়ার দিন রয়েছে।
‘অশীতিপর রাবেয়া: আদালতের বারান্দায় আর কত ঘুরবেন তিনি?’ শিরোনামে গত ২০ এপ্রিল একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন ছাপা হয়। এটি যুক্ত করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আশরাফুল আলম গত ২৮ এপ্রিল হাইকোর্টে একটি আবেদন করেন। এর শুনানি গ্রহণে ৩০ এপ্রিল হাইকোর্ট রাবেয়া খাতুনের বিরুদ্ধে থাকা মামলাটির কার্যক্রম স্থগিত করেন। মামলার নথি তলবের পাশাপাশি নিম্ন আদালতে থাকা মামলাটি কেন বাতিল ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দেওয়া হয়।
এরপর গত ১৫ মে হাইকোর্ট এক আদেশে ২৬ জুন রাবেয়ার উপস্থিতি নিশ্চিত করতে তাঁর আইনজীবীকে নির্দেশ দেন। এর ধারাবাহিকতায় গত কাল ২৬ জুন অশীতিপর রাবেয়া আদালতে হাজির হন।
আবেদনকারী আইনজীবী আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ২০০২ সালে করা ওই মামলায় রাবেয়ার বয়স ৬০ বছর বলা হয়। সে অনুসারে তাঁর বয়স হয় ৭৭ বছর। তবে রাবেয়ার ভাষ্য, তাঁর বয়স ১০৪ বছর।
জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৮ বছর ধরে আদালতে হাজিরা দেন রাবেয়া। মামলা শেষ হয় না। কবে শেষ হবে তাও জানেন না। রাবেয়া বলেন, ‘পুলিশেরে শরবত, মোরব্বা বানাই খাওয়াইছি। তারপরও মামলায় আমারে আসামি বানাইছে। আমি আর বাঁচতে চাই না, মরতে চাই। অনেক দিন ধরে এই মামলায় হাজিরা দেই। আদালত আমাকে মামলা থেকে খালাসও দেয় না, শাস্তিও দেয় না।’
অবৈধ অস্ত্র ও গুলি নিজ হেফাজতে রাখার অভিযোগে ২০০২ সালের ২ জুন রাবেয়া খাতুনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ওই মামলা করা হয়।
বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মোহাম্মদ রিয়াজউদ্দিন খানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে আজ এ–সংক্রান্ত মামলার শুনানি হওয়ার দিন রয়েছে।
‘অশীতিপর রাবেয়া: আদালতের বারান্দায় আর কত ঘুরবেন তিনি?’ শিরোনামে গত ২০ এপ্রিল একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন ছাপা হয়। এটি যুক্ত করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আশরাফুল আলম গত ২৮ এপ্রিল হাইকোর্টে একটি আবেদন করেন। এর শুনানি গ্রহণে ৩০ এপ্রিল হাইকোর্ট রাবেয়া খাতুনের বিরুদ্ধে থাকা মামলাটির কার্যক্রম স্থগিত করেন। মামলার নথি তলবের পাশাপাশি নিম্ন আদালতে থাকা মামলাটি কেন বাতিল ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দেওয়া হয়।
এরপর গত ১৫ মে হাইকোর্ট এক আদেশে ২৬ জুন রাবেয়ার উপস্থিতি নিশ্চিত করতে তাঁর আইনজীবীকে নির্দেশ দেন। এর ধারাবাহিকতায় গত কাল ২৬ জুন অশীতিপর রাবেয়া আদালতে হাজির হন।
আবেদনকারী আইনজীবী আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ২০০২ সালে করা ওই মামলায় রাবেয়ার বয়স ৬০ বছর বলা হয়। সে অনুসারে তাঁর বয়স হয় ৭৭ বছর। তবে রাবেয়ার ভাষ্য, তাঁর বয়স ১০৪ বছর।
জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৮ বছর ধরে আদালতে হাজিরা দেন রাবেয়া। মামলা শেষ হয় না। কবে শেষ হবে তাও জানেন না। রাবেয়া বলেন, ‘পুলিশেরে শরবত, মোরব্বা বানাই খাওয়াইছি। তারপরও মামলায় আমারে আসামি বানাইছে। আমি আর বাঁচতে চাই না, মরতে চাই। অনেক দিন ধরে এই মামলায় হাজিরা দেই। আদালত আমাকে মামলা থেকে খালাসও দেয় না, শাস্তিও দেয় না।’
অবৈধ অস্ত্র ও গুলি নিজ হেফাজতে রাখার অভিযোগে ২০০২ সালের ২ জুন রাবেয়া খাতুনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ওই মামলা করা হয়।
হাইকোর্টে হাজির রাবেয়া খাতুন। ঢাকা, ২৬ জুন। ছবি: হাসান রাজা |
No comments