ঝাড়খণ্ডে গণপিটুনিতে মুসলিম যুবক নিহত, গণমাধ্যমে ভিডিও ভাইরাল
তবরেজ আনসারির উপর নির্যাতন |
ভারতের
বিজেপিশাসিত ঝাড়খণ্ডে গণপিটুনিতে তবরেজ আনসারি (২৪) নামে এক মুসলিম যুবককে
নিহত হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নির্মমভাবে ও গণপিটুনির কয়েকটি
ভিডিও ভাইরাল হয়ে ওঠায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। একটি বৈদ্যুতিক
খুঁটিতে বেঁধে তাকে মারধরসহ নির্যাতন চালানো হয়। তবরেজের পরিবার জানিয়েছে,
পুণেতে ঝালাই মিস্ত্রির কাজ করতেন ২৪ বছরের ওই যুবক। ঈদ উপলক্ষে তিনি বাড়ি
এসেছিলেন।
এক ভিডিও চিত্রে প্রকাশ, তবরেজকে পেটাতে পেটাতে একজনের লাঠি ভেঙে যাচ্ছে। তবরেজ এসময় বুকফাটা আর্তনাদ করলেও ওই ঘাতকরা তাতে কান দেয়নি। অনেক পরে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে চুরির অভিযোগে কোর্টে তোলে। সেখান থেকে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়। তার অবস্থা খারাপ হলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। গত শনিবার মারা যায় ওই যুবক। যদিও সমাজকর্মীদের অভিযোগ, হাজতে মৃত্যুর পরেই তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
পুলিশ ওই ঘটনায় পাপ্পু মণ্ডল নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। গত ১৭ জুন রাতে চোর সন্দেহে একদল ধর্মান্ধ ওই যুবককে জোর করে ‘জয় শ্রীরাম’ ও ‘জয় হনুমান’ ধ্বনি দিতে বললে ওই যুবক সেই ধ্বনি দিলেও তাকে নির্মমভাবে লাঠিপেটা থেকে রেহাই দেয়া হয়নি। তাকে কমপক্ষে ১৮ ঘণ্টা ধরে মারধর তিনি গুরুতরভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন।
এ ব্যাপারে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সাবেক এমপি ও কোলকাতা হাই কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী সরদার আমজাদ আলী গত সোমবার রেডিও তেহরানকে বলেন, ‘বিশেষ ধর্মোন্মাদনা নিয়ে কিছু মানুষের উপরে যে নির্যাতন অন্য ধর্মের মানুষের উপরে, এখানে একটা-দুটো-তিনটে যা কিছুই ঘটনা ঘটুক না কেন বহির্বিশ্বে এর খারাপ প্রভাব পড়তে বাধ্য। সেই ধরণের অবস্থান থেকে বিরত রাখার দায়িত্ব কিন্তু সরকারের। সরকারের তীক্ষ্ণ নজরদারি ও প্রশাসনিক তৎপরতার প্রয়োজন।’
নিহত তবরেজ আনসারির স্ত্রী শায়েস্তা পারভীন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি পুলিশে লিখিত অভিযোগ করেছি। আমি সুবিচার চাই। তবরেজের বয়স মাত্র ২৪, তাকে হত্যা করা হয়েছে। ওই ঘটনায় পুলিশ ও কারাগার কর্তৃপক্ষের গাফিলতি রয়েছে। এর উচ্চস্তরীয় তদন্ত হওয়া উচিত।’
পুলিশের এক কর্মকর্তা অবশ্য গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, গ্রামবাসীরা চুরির অভিযোগে ওকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছিল। তার বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ করা হয়। তাকে চিকিৎসা করার পরে কোর্টে পাঠানো হলে আদালত তাকে সরাইকেলা কারাগারে পাঠায়।
ঝাড়খণ্ড জনঅধিকার মোর্চার এক প্রতিবেদনে প্রকাশ, রাজ্যটিতে বর্তমান বিজেপি সরকারের আমলে কমপক্ষে ১২ জন লোক গণপিটুনিতে মারা গেছে। এদের মধ্যে ১০ জনই মুসলিম। অন্য দু’জন আদিবাসী। অভিযুক্তদের মধ্যে অধিকাংশই হল বিজেপি, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও তাদের সহায়ক সংগঠনের সদস্য।
এক ভিডিও চিত্রে প্রকাশ, তবরেজকে পেটাতে পেটাতে একজনের লাঠি ভেঙে যাচ্ছে। তবরেজ এসময় বুকফাটা আর্তনাদ করলেও ওই ঘাতকরা তাতে কান দেয়নি। অনেক পরে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে চুরির অভিযোগে কোর্টে তোলে। সেখান থেকে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়। তার অবস্থা খারাপ হলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। গত শনিবার মারা যায় ওই যুবক। যদিও সমাজকর্মীদের অভিযোগ, হাজতে মৃত্যুর পরেই তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
পুলিশ ওই ঘটনায় পাপ্পু মণ্ডল নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। গত ১৭ জুন রাতে চোর সন্দেহে একদল ধর্মান্ধ ওই যুবককে জোর করে ‘জয় শ্রীরাম’ ও ‘জয় হনুমান’ ধ্বনি দিতে বললে ওই যুবক সেই ধ্বনি দিলেও তাকে নির্মমভাবে লাঠিপেটা থেকে রেহাই দেয়া হয়নি। তাকে কমপক্ষে ১৮ ঘণ্টা ধরে মারধর তিনি গুরুতরভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন।
এ ব্যাপারে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সাবেক এমপি ও কোলকাতা হাই কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী সরদার আমজাদ আলী গত সোমবার রেডিও তেহরানকে বলেন, ‘বিশেষ ধর্মোন্মাদনা নিয়ে কিছু মানুষের উপরে যে নির্যাতন অন্য ধর্মের মানুষের উপরে, এখানে একটা-দুটো-তিনটে যা কিছুই ঘটনা ঘটুক না কেন বহির্বিশ্বে এর খারাপ প্রভাব পড়তে বাধ্য। সেই ধরণের অবস্থান থেকে বিরত রাখার দায়িত্ব কিন্তু সরকারের। সরকারের তীক্ষ্ণ নজরদারি ও প্রশাসনিক তৎপরতার প্রয়োজন।’
নিহত তবরেজ আনসারির স্ত্রী শায়েস্তা পারভীন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি পুলিশে লিখিত অভিযোগ করেছি। আমি সুবিচার চাই। তবরেজের বয়স মাত্র ২৪, তাকে হত্যা করা হয়েছে। ওই ঘটনায় পুলিশ ও কারাগার কর্তৃপক্ষের গাফিলতি রয়েছে। এর উচ্চস্তরীয় তদন্ত হওয়া উচিত।’
পুলিশের এক কর্মকর্তা অবশ্য গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, গ্রামবাসীরা চুরির অভিযোগে ওকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছিল। তার বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ করা হয়। তাকে চিকিৎসা করার পরে কোর্টে পাঠানো হলে আদালত তাকে সরাইকেলা কারাগারে পাঠায়।
ঝাড়খণ্ড জনঅধিকার মোর্চার এক প্রতিবেদনে প্রকাশ, রাজ্যটিতে বর্তমান বিজেপি সরকারের আমলে কমপক্ষে ১২ জন লোক গণপিটুনিতে মারা গেছে। এদের মধ্যে ১০ জনই মুসলিম। অন্য দু’জন আদিবাসী। অভিযুক্তদের মধ্যে অধিকাংশই হল বিজেপি, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও তাদের সহায়ক সংগঠনের সদস্য।
মুসলিম যুবককে পেটাতে পেটাতে একজনের লাঠি ভেঙে যাচ্ছে। এসময় বুকফাটা আর্তনাদ করলেও ওই ঘাতকরা তাতে কান দেয়নি |
No comments