জি ২০ শীর্ষ সম্মেলনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে জাপান by মনজুরুল হক
কোবের নোয়েভিয়া স্টেডিয়াম |
চলতি
মাসের ২৮ তারিখে পশ্চিম জাপানের ওসাকা শহরে শুরু হচ্ছে জি ২০ শীর্ষ
সম্মেলন। বিশ্বের ১৯টি প্রধান অর্থনীতির দেশ ও সেই সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে
অন্তর্ভুক্ত রেখে জি ২০র যাত্রা শুরু হয়েছিল ২০০৯ সালে। এক বছর আগের
বৈশ্বিক মুদ্রা সংকট অর্থনৈতিক বিষয়াবলি নিয়ে সহযোগিতা জোরদার করে তোলার
বার্তা পৌঁছে দেওয়ায় ২০০৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের পিটসবার্গে মোট বৈশ্বিক
উৎপাদনের ৮০ শতাংশের বেশি অংশের অংশীদার দেশগুলোর নেতারা মুদ্রা বাজার ও
আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা নিয়ে মতামত বিনিময় করার জন্য যে শীর্ষ
বৈঠকে মিলিত হন, সেটাই পরবর্তীতে জি ২০র আনুষ্ঠানিক আকার নেয়।
এর আগে অবশ্য লন্ডন ও ওয়াশিংটনে স্বল্প বিরতিতে একই ধরনের আরও দুটি শীর্ষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হলেও ২০০৯ সালের পিটসবার্গ শীর্ষ বৈঠকে বছরে একবার নিয়মিত বৈঠকের ধারা বজায় রাখার বিষয়ে নেতৃবৃন্দ সম্মত হয়েছিলেন। বলিষ্ঠ বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহযোগিতার করে যাওয়ার যে অঙ্গীকার সেই বৈঠকে করা হয়, তা অর্জনের একটি উপায় হিসেবে রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ অপরিহার্য বলে ধরে নেওয়া নেতৃবৃন্দের সেদিনের সেই সম্মতির ফলাফল হচ্ছে জি ২০ জোট।
এরপর থেকে প্রতিবছর জোটের নেতারা শীর্ষ বৈঠকে মিলিত হয়ে মূলত অর্থনীতি সংক্রান্ত বিষয়ে মতামত বিনিময় করে গেলেও জলবায়ুর পরিবর্তন ও সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা করা থেকে শুরু করে অভিবাসন ও শরণার্থী সমস্যাসহ বিশ্বের অর্থনীতিকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করা জটিল সব বৈশ্বিক সমস্যাবলীও পরবর্তীতে আলোচ্য-সূচিতে জায়গা করে নেয়। ফলে জি ২০ শীর্ষ সম্মেলন এখন হচ্ছে বিশ্ব সমস্যা নিয়ে আলোচনা করে সমস্যার সমাধানে পদক্ষেপ ঠিক করে নিতে বিশ্বের প্রভাবশালী রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে মতামত বিনিময়ের একটি ফোরাম। তবে বিভক্ত পৃথিবীতে এর কার্যকারিতা নিয়ে বিতর্ক এখনো অব্যাহত আছে।
জি ২০র অন্তর্ভুক্ত ১৯টি দেশ বছরে একবার পর্যায়ক্রমিকভাবে শীর্ষ বৈঠকের আয়োজন করে থাকে। জাপান এবার প্রথমবারের মতো জি ২০ শীর্ষ সম্মেলনের স্বাগতিক দেশ হতে যাচ্ছে এবং ওসাকায় নির্ধারিত মূল সম্মেলন সফল করে তোলার নানারকম প্রস্তুতি এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
জি ২০ শীর্ষ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দের আলোচনায় মিলিত হওয়ার বাইরে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীদের মধ্যে মন্ত্রী পর্যায়ের আরও ৮টি বৈঠকও জাপানের অন্য আটটি শহরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে কৃষি মন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর এবং বাণিজ্য ও ডিজিটাল অর্থনীতিসংক্রান্ত মন্ত্রীদের বৈঠক ইতিমধ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর বাইরে বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের নেতৃস্থানীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠানের অংশ নেওয়া টি ২০ নামের অন্য একটি বৈঠকও কিছুদিন আগে টোকিওতে শেষ হয়। মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকগুলোর মধ্যে সর্বশেষ বৈঠকটি হচ্ছে পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের, নভেম্বর মাসের শেষদিকে নাগোইয়া শহরে যেটা অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে অক্টোবর মাসের শেষ দিকে জোটের পর্যটন মন্ত্রীরা হোক্কাইদোর কুচান শহরে বৈঠকে মিলিত হবেন।
জি ২০ শীর্ষ সম্মেলনকে অর্থবহ ও প্রতিনিধিত্বশীল করে তুলতে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের অন্যান্য কিছু দেশ এবং আন্তর্জাতিক সংগঠনকেও সম্মেলনে অংশ গ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়। আমন্ত্রিত রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে কারা অন্তর্ভুক্ত থাকবে সেই সিদ্ধান্ত গ্রহণের দায়িত্ব স্বাগতিক রাষ্ট্রের ওপর ছেড়ে দেওয়া হলেও আঞ্চলিক ও অন্যান্য ক্ষেত্রের বিভিন্ন জোটের নেতৃত্বে থাকা রাষ্ট্রসমূহ এই ক্ষেত্রে সাধারণত অগ্রাধিকার পেয়ে থাকে। এবারের শীর্ষ সম্মেলনে জোটভুক্ত ১৯টি দেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরে আরও ৮টি দেশ এবং ৯টি বহুজাতিক সংস্থাকে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ফলে জি ২০ ওসাকা সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীর মোট সংখ্যা হচ্ছে ৩৭ টি।
যে ১৯টি দেশ জি ২০র মূল সদস্য সেগুলো হচ্ছে আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইতালি, জাপান, মেক্সিকো, কোরিয়া প্রজাতন্ত্র, দক্ষিণ আফ্রিকা, রাশিয়া, সৌদি আরব, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্র। অন্যদিকে এবারের শীর্ষ সম্মেলনে আমন্ত্রিত ৮টি দেশ হচ্ছে নেদারল্যান্ডস, সিঙ্গাপুর, স্পেন, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, মিসর, চিলি ও সেনেগাল।
এর আগে অবশ্য লন্ডন ও ওয়াশিংটনে স্বল্প বিরতিতে একই ধরনের আরও দুটি শীর্ষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হলেও ২০০৯ সালের পিটসবার্গ শীর্ষ বৈঠকে বছরে একবার নিয়মিত বৈঠকের ধারা বজায় রাখার বিষয়ে নেতৃবৃন্দ সম্মত হয়েছিলেন। বলিষ্ঠ বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহযোগিতার করে যাওয়ার যে অঙ্গীকার সেই বৈঠকে করা হয়, তা অর্জনের একটি উপায় হিসেবে রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ অপরিহার্য বলে ধরে নেওয়া নেতৃবৃন্দের সেদিনের সেই সম্মতির ফলাফল হচ্ছে জি ২০ জোট।
এরপর থেকে প্রতিবছর জোটের নেতারা শীর্ষ বৈঠকে মিলিত হয়ে মূলত অর্থনীতি সংক্রান্ত বিষয়ে মতামত বিনিময় করে গেলেও জলবায়ুর পরিবর্তন ও সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা করা থেকে শুরু করে অভিবাসন ও শরণার্থী সমস্যাসহ বিশ্বের অর্থনীতিকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করা জটিল সব বৈশ্বিক সমস্যাবলীও পরবর্তীতে আলোচ্য-সূচিতে জায়গা করে নেয়। ফলে জি ২০ শীর্ষ সম্মেলন এখন হচ্ছে বিশ্ব সমস্যা নিয়ে আলোচনা করে সমস্যার সমাধানে পদক্ষেপ ঠিক করে নিতে বিশ্বের প্রভাবশালী রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে মতামত বিনিময়ের একটি ফোরাম। তবে বিভক্ত পৃথিবীতে এর কার্যকারিতা নিয়ে বিতর্ক এখনো অব্যাহত আছে।
জি ২০র অন্তর্ভুক্ত ১৯টি দেশ বছরে একবার পর্যায়ক্রমিকভাবে শীর্ষ বৈঠকের আয়োজন করে থাকে। জাপান এবার প্রথমবারের মতো জি ২০ শীর্ষ সম্মেলনের স্বাগতিক দেশ হতে যাচ্ছে এবং ওসাকায় নির্ধারিত মূল সম্মেলন সফল করে তোলার নানারকম প্রস্তুতি এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
জি ২০ শীর্ষ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দের আলোচনায় মিলিত হওয়ার বাইরে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীদের মধ্যে মন্ত্রী পর্যায়ের আরও ৮টি বৈঠকও জাপানের অন্য আটটি শহরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে কৃষি মন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর এবং বাণিজ্য ও ডিজিটাল অর্থনীতিসংক্রান্ত মন্ত্রীদের বৈঠক ইতিমধ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর বাইরে বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের নেতৃস্থানীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠানের অংশ নেওয়া টি ২০ নামের অন্য একটি বৈঠকও কিছুদিন আগে টোকিওতে শেষ হয়। মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকগুলোর মধ্যে সর্বশেষ বৈঠকটি হচ্ছে পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের, নভেম্বর মাসের শেষদিকে নাগোইয়া শহরে যেটা অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে অক্টোবর মাসের শেষ দিকে জোটের পর্যটন মন্ত্রীরা হোক্কাইদোর কুচান শহরে বৈঠকে মিলিত হবেন।
জি ২০ শীর্ষ সম্মেলনকে অর্থবহ ও প্রতিনিধিত্বশীল করে তুলতে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের অন্যান্য কিছু দেশ এবং আন্তর্জাতিক সংগঠনকেও সম্মেলনে অংশ গ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়। আমন্ত্রিত রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে কারা অন্তর্ভুক্ত থাকবে সেই সিদ্ধান্ত গ্রহণের দায়িত্ব স্বাগতিক রাষ্ট্রের ওপর ছেড়ে দেওয়া হলেও আঞ্চলিক ও অন্যান্য ক্ষেত্রের বিভিন্ন জোটের নেতৃত্বে থাকা রাষ্ট্রসমূহ এই ক্ষেত্রে সাধারণত অগ্রাধিকার পেয়ে থাকে। এবারের শীর্ষ সম্মেলনে জোটভুক্ত ১৯টি দেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরে আরও ৮টি দেশ এবং ৯টি বহুজাতিক সংস্থাকে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ফলে জি ২০ ওসাকা সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীর মোট সংখ্যা হচ্ছে ৩৭ টি।
যে ১৯টি দেশ জি ২০র মূল সদস্য সেগুলো হচ্ছে আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইতালি, জাপান, মেক্সিকো, কোরিয়া প্রজাতন্ত্র, দক্ষিণ আফ্রিকা, রাশিয়া, সৌদি আরব, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্র। অন্যদিকে এবারের শীর্ষ সম্মেলনে আমন্ত্রিত ৮টি দেশ হচ্ছে নেদারল্যান্ডস, সিঙ্গাপুর, স্পেন, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, মিসর, চিলি ও সেনেগাল।
পাহাড় থেকে দেখা আমানো-হাশিদাতের অপরূপ সৌন্দর্য। |
জি
২০ শীর্ষ সম্মেলনের প্রস্তুতিকে সামনে রেখে শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজনে
সহযোগিতা করে যাওয়া সংগঠন জি ২০ কানসাই প্রমোশনাল কাউন্সিল জাপান-ভিত্তিক
বিদেশি সাংবাদিকদের জন্য সম্মেলনের প্রস্তুতির পাশাপাশি পশ্চিম জাপানের
বিভিন্ন আকর্ষণ ও উল্লেখযোগ্য স্থানের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে
বেশ কয়েকটি প্রেস ট্যুরের ব্যবস্থা করছে। গত সপ্তাহে সেরকম একটি প্রেস
ট্যুরের গন্তব্য ছিল কানসাই অঞ্চলের হিওগো জেলার কোবে শহর এবং কিওতো জেলার
উত্তরাঞ্চলের তিনটি পর্যটক আকর্ষণকারী স্থান। পশ্চিম জাপানের যে দশটি
জেলাকে কানসাই অঞ্চলে অন্তর্ভুক্ত করা হয় সেগুলো হচ্ছে ওসাকা, কিওতো, নারা,
হিওগো, শিগা, ওয়াকাইয়ামা, ফুকুই, তত্তোরি, তোকুশিমা এবং মিয়ে জেলা।
জি ২০ শীর্ষ সম্মেলনের বাইরে এ বছর জাপানের আয়োজন করতে যাওয়া আরও একটি আন্তর্জাতিক ইভেন্ট হচ্ছে বিশ্ব কাপ রাগবি। সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে জাপানের যে ১২টি শহরে বিশ্ব কাপ রাগবির আয়োজন বসছে, সেই দলে কোবে শহর অন্তর্ভুক্ত আছে। কোবের নোয়েভিয়া স্টেডিয়াম মূলত ফুটবলের জন্য নির্ধারিত থাকলেও সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে বিশ্ব কাপ রাগবির চারটি খেলা সেই স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। রাগবি বিশ্বকাপের জন্য স্টেডিয়ামের প্রস্তুতি ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে এবং প্রেস টুরে অংশ নেওয়া সাংবাদিকদের সেই স্টেডিয়াম দেখার সুযোগ করে দেওয়ার পাশাপাশি কোবের বিশ্ব জুড়ে পরিচিত খাদ্য কোবে বিফ পরিবেশন করা এক মধ্যাহ্ন ভোজনের ব্যবস্থাও এদের জন্য রাখা হয়েছিল।
জি ২০ শীর্ষ সম্মেলনের বাইরে এ বছর জাপানের আয়োজন করতে যাওয়া আরও একটি আন্তর্জাতিক ইভেন্ট হচ্ছে বিশ্ব কাপ রাগবি। সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে জাপানের যে ১২টি শহরে বিশ্ব কাপ রাগবির আয়োজন বসছে, সেই দলে কোবে শহর অন্তর্ভুক্ত আছে। কোবের নোয়েভিয়া স্টেডিয়াম মূলত ফুটবলের জন্য নির্ধারিত থাকলেও সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে বিশ্ব কাপ রাগবির চারটি খেলা সেই স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। রাগবি বিশ্বকাপের জন্য স্টেডিয়ামের প্রস্তুতি ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে এবং প্রেস টুরে অংশ নেওয়া সাংবাদিকদের সেই স্টেডিয়াম দেখার সুযোগ করে দেওয়ার পাশাপাশি কোবের বিশ্ব জুড়ে পরিচিত খাদ্য কোবে বিফ পরিবেশন করা এক মধ্যাহ্ন ভোজনের ব্যবস্থাও এদের জন্য রাখা হয়েছিল।
সাগর থেকে বৃষ্টি-ভেজা দিনে দেখা ইনের ফুনাইয়া |
কোবে
বিফের উৎস হচ্ছে হিওগো জেলার তাজিমা অঞ্চলে প্রতিপালন করা গরু। তবে তাজিমা
গরু মাত্রই কোবে বিফের উৎস নয়। সেসব গরুর থেকে দেহে মাংস এবং চর্বির
বিন্যাস কী রকম তা যাচাই করার ভিত্তিতে বেছে নেওয়া গরুর মাংস থেকেই কোবে
বিফ আসছে। কোনোরকম মসলা বা বাড়তি অন্য কিছুর মিশ্রণ ছাড়াই গো-মাংস কতটা
সুস্বাদু হতে পারে, কোবে বিফ সম্ভবত হচ্ছে তার সেরা দৃষ্টান্ত।
কোবের পালা সাঙ্গ করে প্রেস টুরে অংশ নেওয়া সাংবাদিকেরা গিয়েছিলেন কিওতোর উত্তরের তিনটি শহর মিয়াজু, আমানো-হাশিদাতে এবং ইনেতে। তিন শহরের মধ্যে আমানো হাশিদাতে এর অপরূপ প্রাকৃতিক দৃশ্যের জন্য জাপানের সবচেয়ে সুন্দর তিনটি স্থানের একটি হিসেবে পরিচিত। এর মূল আকর্ষণ হচ্ছে সমুদ্র উপকূল থেকে ৬.৩ কিলোমিটার দূরে মিয়াজু উপসাগরের অন্য প্রান্ত পর্যন্ত চলে যাওয়া সরু এক ভূখণ্ড, যার পুরোটা জুড়ে আছে ৮ হাজারের বেশি পাইন গাছ।
জাপানের কিংবদন্তিতে উল্লেখ আছে যে সূর্য দেবী আমাতেরাসু ওমিকামি পৃথিবীকে মানুষের বাসযোগ্য করে তোলার জন্য স্বর্গ থেকে যে মই বেয়ে নেমে এসেছিলেন, সেই মই একসময় পড়ে যায় এবং সেটাই তৈরি করে দেয় সরু সেই ভূখণ্ড। পাহাড়ের ওপর থেকে দেখা সেই দৃশ্য আসলেই হচ্ছে খুবই মনোরম। স্থানীয় পর্যটন কর্তৃপক্ষ আসা করছে জি ২০ শীর্ষ সম্মেলন এবং বিশ্ব কাপ রাগবি উপলক্ষে জাপানে আসা বিদেশিদের অনেকেই সেই সুযোগ গ্রহণ করে ঘুরে যাবেন কিওতোর কিছুটা আড়ালে থেকে যাওয়া তাঁদের সেই অঞ্চল।
কোবের পালা সাঙ্গ করে প্রেস টুরে অংশ নেওয়া সাংবাদিকেরা গিয়েছিলেন কিওতোর উত্তরের তিনটি শহর মিয়াজু, আমানো-হাশিদাতে এবং ইনেতে। তিন শহরের মধ্যে আমানো হাশিদাতে এর অপরূপ প্রাকৃতিক দৃশ্যের জন্য জাপানের সবচেয়ে সুন্দর তিনটি স্থানের একটি হিসেবে পরিচিত। এর মূল আকর্ষণ হচ্ছে সমুদ্র উপকূল থেকে ৬.৩ কিলোমিটার দূরে মিয়াজু উপসাগরের অন্য প্রান্ত পর্যন্ত চলে যাওয়া সরু এক ভূখণ্ড, যার পুরোটা জুড়ে আছে ৮ হাজারের বেশি পাইন গাছ।
জাপানের কিংবদন্তিতে উল্লেখ আছে যে সূর্য দেবী আমাতেরাসু ওমিকামি পৃথিবীকে মানুষের বাসযোগ্য করে তোলার জন্য স্বর্গ থেকে যে মই বেয়ে নেমে এসেছিলেন, সেই মই একসময় পড়ে যায় এবং সেটাই তৈরি করে দেয় সরু সেই ভূখণ্ড। পাহাড়ের ওপর থেকে দেখা সেই দৃশ্য আসলেই হচ্ছে খুবই মনোরম। স্থানীয় পর্যটন কর্তৃপক্ষ আসা করছে জি ২০ শীর্ষ সম্মেলন এবং বিশ্ব কাপ রাগবি উপলক্ষে জাপানে আসা বিদেশিদের অনেকেই সেই সুযোগ গ্রহণ করে ঘুরে যাবেন কিওতোর কিছুটা আড়ালে থেকে যাওয়া তাঁদের সেই অঞ্চল।
ফুনাইয়ার আরেকটি দৃশ্য। |
সাংবাদিক
দলের সর্বশেষ গন্তব্য ছিল ইনে, ফুনাইয়া নামে পরিচিত জেলেদের ভিন্ন স্টাইলে
তৈরি কিছু বাড়িঘরের জন্য যে জায়গাটি জাপানিদের কাছে পরিচিত হলেও বিদেশে
তেমন পরিচিতি যেটা এখনো সেভাবে পায়নি। ইনে উপসাগরের তীর ঘেঁষে ২৩০ টির মতো
কাঠের তৈরি বাড়ি সেখানে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে। এসব বাড়ির বৈশিষ্ট্য হচ্ছে
একতলার প্রায় পুরোটাই নিজের দিকে ফাঁকা, সমুদ্রের ঢেউয়ের থেকে দূরের
নিরাপদে মাছ ধরার নৌকা যেখানে রাখা হয়। বাড়ির দ্বিতীয় তলা গৃহকর্তার
পরিবারের বসতির জন্য নির্ধারিত। জাপান সরকারের সহায়তায় ইনের স্থানীয়
প্রশাসন এখন সেই সব বাড়ি মূল্যবান প্রাচীন ঐতিহ্য হিসেবে সংরক্ষণ করছে এবং
পর্যটন আকর্ষণের একটি কেন্দ্রও সেই এলাকাটি হয়ে উঠেছে। ছোট আকারের ইঞ্জিন
চালিত নৌকায় সমুদ্রের কিছুটা দুরে গিয়ে সেদিকে নজর দিলে চমৎকার এক দৃশ্য
চোখের সামনে ফুটে উঠে। আমানো-হাশিদাতের মতোই ইনের স্থানীয় পর্যটন
কর্তৃপক্ষও আশা করছে জি ২০ শীর্ষ সম্মেলন স্থানীয় সেই সব আকর্ষণকেও
বিদেশিদের সামনে নিয়ে এসে পর্যটন শিল্পের বিকাশে পরোক্ষ অবদান রাখবে।
No comments