সীমান্ত হত্যা অনাকাঙ্ক্ষিত
গত
বছরের জানুয়ারি থেকে মে প্রথম পাঁচ মাসের তুলনায় চলতি বছরের প্রথম পাঁচ
মাসে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বেশি। প্রতিবেশী দুই
দেশের সীমান্তে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা বাড়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ভারতের
সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ’র মহাপরিচালক রজনীকান্ত মিশ্রা। তবে কেন
সীমান্তে হত্যাকাণ্ড ঘটছে, তাও খুঁজে বের করার অনুরোধ জানান তিনি। এগুলো
হত্যাকাণ্ড না, অনাকাঙ্খিত মৃত্যু বলেও মন্তব্য করেন বিএসএফ মহাপরিচালক।
সীমান্ত হত্যা বন্ধের জন্য দুই দেশের সীমান্ত বাহিনীর যৌথ টহল ব্যবস্থাও
চালু করার আহ্বান জানান তিনি। গতকাল সকালে বিজিবি সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ
সম্মেলনে বিএসএফ মহাপরিচালক এসব কথা বলেন। গত ১২ই জুন থেকে ঢাকায় বিজিবি ও
বিএসএফ’র মহাপরিচালক পর্যায়ে ৪৮তম সীমান্ত সম্মেলন শুরু হয়। সম্মেলন
উপলক্ষে গতকাল সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
বিএসএফ মহাপরিচালকের নেতৃত্বে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ভারতীয় হাইকমিশনের প্রতিনিধিসহ ১০ সদস্যের প্রতিনিধিদল সম্মেলনে অংশ নেয়। বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাফিনুল ইসলামের নেতৃত্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিসহ ১৯ সদসস্যের প্রতিনিধিদল সম্মেলনে অংশ নেয়।
সীমান্তে হত্যার বিষয়ে বিএসএফ মহাপরিচালক বলেন, মানুষের জীবন রক্ষা আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। সীমান্ত এলাকায় এমন হত্যাকাণ্ড কারও কাম্য নয়। বিএসএফ প্রথমেই আগ্নেয়াস্ত্র যাতে ব্যবহার না করে, সে বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া আছে। কিন্তু কখনও কখনও অবস্থা এমন হয়, চোরাচালানকারীরা লাঠি, পাথর, ধারালো অস্ত্র নিয়ে সীমান্তরক্ষীদের ওপর সংঘবদ্ধ হামলা চালায়। তখনও সীমান্তরক্ষীরা আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে না। আমরা সীমান্তে সর্বোচ্চ ধৈর্য ধরি। কিন্তু সীমান্তরক্ষীদের ওপর হামলা হলে অনাকাঙ্খিত এই ঘটনা ঘটে। প্রতিটি ঘটনায় পুলিশ তদন্তও করে।
বিএসএফ প্রধান বলেন, গত বছর সীমান্তে মাত্র সাতটি হত্যার ঘটনা ঘটেছিল। এর মধ্যে একটি বাংলাদেশের, বাকি ছয়টি ভারতের। তবে এ বছর প্রথম পাঁচ মাসে এর থেকে বেশি ঘটনা ঘটেছে। বাংলাদেশ-ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকায় বিভিন্ন উগ্রবাদী কার্যক্রম মোকাবিলায় দুই দেশ কীভাবে কাজ করে, জানতে চাইলে বিএসএফ মহাপরিচালক রজনীকান্ত বলেন, বেশ কয়েক মাস ধরে আমাদের মধ্যে খুব বেশি তথ্যের বিনিময় হচ্ছে। আমরা কোনও তথ্য পেলে সঙ্গে সঙ্গে তা বিজিবিকে জানাই।
বিজিবিও কোন তথ্য পেলে আমাদের জানায়। এসব তথ্য অনুযায়ী সীমান্ত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। বিএসএফ মহাপরিচালক বলেন, উগ্রবাদ উভয় রাষ্ট্রের জন্যই সমস্যা। সম্মেলনে এ নিয়ে আলোচনা হয়নি। তথ্য আদান-প্রদানের বিষয়ে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাফিনুল ইসলাম বলেন, আমাদের দুই দেশের বাহিনীর ভেতরে নিয়মিত তথ্য আদান-প্রদান হচ্ছে। তথ্যের ভিত্তিতে সীমান্ত এলাকায় অভিযান পরিচালনাও হয়। ভারত থেকেও বাংলাদেশে ইয়াবা প্রবেশ করছে। এর উৎস কোথায় জানতে চাইলে বিএসএফ প্রধান বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত কোনও দেশ এর জন্য দায়ী না। ইয়াবার জন্য তৃৃতীয় একটি দেশ দায়ী। ভারতেও এর আসক্ত রয়েছে। ফেলানী হত্যার বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসএফ প্রধান বলেন, বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন।
আদালতে ট্রায়াল চলছে। প্রশ্নোত্তর পর্ব শুরুর আগে লিখিত বক্তব্য দেন বিজিবি প্রধান। তিনি বলেন, দুই দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর মধ্যে যাতে পারস্পরিক ভ্রাতৃত্ববোধ থাকে, সেজন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। বিএসএফ’র দিল্লি থেকে একটি মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা শুরু করে সেটি আমাদের ঢাকায় বিজিবি সদর দপ্তরে এসে শেষ হবে। বিজিবির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এটা বিএসএফ করবে বলে জানিয়েছেন। বিচ্ছিন্নতাবাদী ও উগ্র সংগঠনগুলোর কার্যক্রম এবং আস্তানা বন্ধে বিজিবি ও বিএসএফ একসঙ্গে কাজ করে যাওয়ার বিষয়টিও সম্মেলনে আলোচনায় এসেছে। এছাড়া, কুমিল্লায় ২য় ‘ক্রাইম ফ্রি জোন’ চালুর বিষয়েও সিদ্ধান্তে আসে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বৈঠক থেকে।
বিএসএফ মহাপরিচালকের নেতৃত্বে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ভারতীয় হাইকমিশনের প্রতিনিধিসহ ১০ সদস্যের প্রতিনিধিদল সম্মেলনে অংশ নেয়। বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাফিনুল ইসলামের নেতৃত্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিসহ ১৯ সদসস্যের প্রতিনিধিদল সম্মেলনে অংশ নেয়।
সীমান্তে হত্যার বিষয়ে বিএসএফ মহাপরিচালক বলেন, মানুষের জীবন রক্ষা আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। সীমান্ত এলাকায় এমন হত্যাকাণ্ড কারও কাম্য নয়। বিএসএফ প্রথমেই আগ্নেয়াস্ত্র যাতে ব্যবহার না করে, সে বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া আছে। কিন্তু কখনও কখনও অবস্থা এমন হয়, চোরাচালানকারীরা লাঠি, পাথর, ধারালো অস্ত্র নিয়ে সীমান্তরক্ষীদের ওপর সংঘবদ্ধ হামলা চালায়। তখনও সীমান্তরক্ষীরা আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে না। আমরা সীমান্তে সর্বোচ্চ ধৈর্য ধরি। কিন্তু সীমান্তরক্ষীদের ওপর হামলা হলে অনাকাঙ্খিত এই ঘটনা ঘটে। প্রতিটি ঘটনায় পুলিশ তদন্তও করে।
বিএসএফ প্রধান বলেন, গত বছর সীমান্তে মাত্র সাতটি হত্যার ঘটনা ঘটেছিল। এর মধ্যে একটি বাংলাদেশের, বাকি ছয়টি ভারতের। তবে এ বছর প্রথম পাঁচ মাসে এর থেকে বেশি ঘটনা ঘটেছে। বাংলাদেশ-ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকায় বিভিন্ন উগ্রবাদী কার্যক্রম মোকাবিলায় দুই দেশ কীভাবে কাজ করে, জানতে চাইলে বিএসএফ মহাপরিচালক রজনীকান্ত বলেন, বেশ কয়েক মাস ধরে আমাদের মধ্যে খুব বেশি তথ্যের বিনিময় হচ্ছে। আমরা কোনও তথ্য পেলে সঙ্গে সঙ্গে তা বিজিবিকে জানাই।
বিজিবিও কোন তথ্য পেলে আমাদের জানায়। এসব তথ্য অনুযায়ী সীমান্ত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। বিএসএফ মহাপরিচালক বলেন, উগ্রবাদ উভয় রাষ্ট্রের জন্যই সমস্যা। সম্মেলনে এ নিয়ে আলোচনা হয়নি। তথ্য আদান-প্রদানের বিষয়ে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাফিনুল ইসলাম বলেন, আমাদের দুই দেশের বাহিনীর ভেতরে নিয়মিত তথ্য আদান-প্রদান হচ্ছে। তথ্যের ভিত্তিতে সীমান্ত এলাকায় অভিযান পরিচালনাও হয়। ভারত থেকেও বাংলাদেশে ইয়াবা প্রবেশ করছে। এর উৎস কোথায় জানতে চাইলে বিএসএফ প্রধান বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত কোনও দেশ এর জন্য দায়ী না। ইয়াবার জন্য তৃৃতীয় একটি দেশ দায়ী। ভারতেও এর আসক্ত রয়েছে। ফেলানী হত্যার বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসএফ প্রধান বলেন, বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন।
আদালতে ট্রায়াল চলছে। প্রশ্নোত্তর পর্ব শুরুর আগে লিখিত বক্তব্য দেন বিজিবি প্রধান। তিনি বলেন, দুই দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর মধ্যে যাতে পারস্পরিক ভ্রাতৃত্ববোধ থাকে, সেজন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। বিএসএফ’র দিল্লি থেকে একটি মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা শুরু করে সেটি আমাদের ঢাকায় বিজিবি সদর দপ্তরে এসে শেষ হবে। বিজিবির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এটা বিএসএফ করবে বলে জানিয়েছেন। বিচ্ছিন্নতাবাদী ও উগ্র সংগঠনগুলোর কার্যক্রম এবং আস্তানা বন্ধে বিজিবি ও বিএসএফ একসঙ্গে কাজ করে যাওয়ার বিষয়টিও সম্মেলনে আলোচনায় এসেছে। এছাড়া, কুমিল্লায় ২য় ‘ক্রাইম ফ্রি জোন’ চালুর বিষয়েও সিদ্ধান্তে আসে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বৈঠক থেকে।
No comments