বিটিআরসি ও অপারেটরদের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড়
মোবাইলফোনের
ভয়েস কল, ইন্টারনেট সেবা, নেটওয়ার্ক সমস্যা, গোপন চার্জ, স্বয়ংক্রিয়
প্যাকেজ চালু থেকে শুরু করে নানা অভিযোগের কথা জানালেন গ্রাহকরা। পাশাপাশি
কাঠগড়ায় তুললেন নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন
(বিটিআরসি)কে। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে গ্রাহকদের বেশির ভাগ প্রশ্নের উত্তর
দিয়েছে বিটিআরসি। আবার কিছু প্রশ্ন সরাসরি এড়িয়ে গেছে। গতকাল রাজধানীর
রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (আইইবি) অডিটরিয়ামে
‘টেলিযোগাযোগ সেবা ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার কার্যক্রম’ বিষয়ে গণশুনানিতে এসব
ঘটনা ঘটে। এদিকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিটিআরসি’র গণশুনানিতে সন্তুষ্ট
নয় বলে জানিয়েছে মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন। প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি মহিউদ্দিন
আহমেদ মানবজমিনকে বলেন, অসন্তুষ্ট হওয়ার অনেকগুলো কারণ রয়েছে। শুনানিতে
অনেক প্রশ্ন উত্থাপন করেছি।
কিন্তু বেশিরভাগ প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেনি বিটিআরসি। মূলত তারা অপারেটরদের পক্ষে পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে। গ্রাহকদের স্বার্থ তারা খুব একটা গুরুত্ব দিচ্ছে না। গণশুনানি কমিটির সভাপতি ও বিটিআরসি চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের মহাপরিচালক এবিএম হুমায়ুন কবির।
শুনানিতে ডি-অ্যাক্টিভেটেড নম্বর দিয়ে ইমো, ভাইবারের মতো অ্যাপস ব্যবহার বন্ধের দাবি জানান জাহিদুল ইসলাম এবং ইমরান আহমেদ নামের গ্রাহক। এ বিষয়ে হুমায়ুন কবির বলেন, বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে কাজ করছে আইটিইউ, আমরাও কাজ করছি। আশা করি দ্রুতই এ সমস্যার সমাধান হবে। রাষ্ট্রায়ত্ত অপারেটর টেলিটকের সেবার মান নিয়ে এক গ্রাহকের প্রশ্নের জবাবে বিটিআরসি জানায় টেলিটক সরকারি প্রতিষ্ঠান। সৌদি টেলিকম আসছে, টেলিটক যাতে আরো উন্নতর হয়। যত্রতত্র টাওয়ার বসানো নিয়ে টাওয়ার শেয়ারিং বিষয়ে এক গ্রাহকের প্রশ্নে বিটিআরসির মহাপরিচালক মাহফুজুল করিম মজুমদার বলেন, টাওয়ারের রেডিয়েশনের যে ফলাফল পেয়েছি তা আন্তর্জাতিকমানের চেয়ে অনেক নিচে। আমাদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই।
টাওয়ারের চেয়ে মোবাইল ফোনের রেডিয়েশনের ঝুঁকিটা বেশি, এটাও মাথায় রাখতে হবে। টাওয়ার শেয়ারিং নিয়ে অপারেটর ও টাওয়ারকো কাজ করছে। মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শহিদুজ্জামান বলেন, টাওয়ারের জন্য ক্ষতি হচ্ছে-এটা অমূলক ধারণা। যদি ক্ষতি হতো তাহলে উন্নত দেশে মোবাইল ফোন ব্যবহার করত না। সারা দেশে বিশেষ করে স্কুল-কলেজ ও জনবহুল এলাকায় রেডিয়েশন পরীক্ষা করে হাইকোর্টকে জানাবো। গণশুনানিতে প্রশ্নকারী রাজকুমার সাহা জানতে চান, ইন্টারনেটের মূল্য কমানো ও ন্যুনতম মেয়াদ ৮ দিন করা যায় কি না? জাকির হোসেন নামে একজন গ্রাহক ইন্টারনেটের মূল্য কমানোর দাবি জানান। এ বিষয়ে বিটিআরসির এবিএম হুমায়ুন কবির বলেন, অপারেটররা আশা করি বিবেচনায় নেবেন। ইন্টারনেটের মূল্য কমানো নিয়ে পর্যবেক্ষণে আছে। পর্যবেক্ষণ শেষে মূল্য ও সীমা নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে। আব্দুস সালাম নামের একজন গ্রাহক অযাচিত নম্বর থেকে কল আসা নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেন। এ বিষয়ে হুমায়ুন কবির বলেন, ডিএনডি (ডু নট ডিস্ট্রার্ব) অপশন কাজ করছে। এছাড়া অপারেটররাও ব্যবস্থা নেবে।
আব্দুস সালাম নামে এক গ্রাহক অভিযোগ করেন, তিনি প্রতি সেকেন্ড পালসের প্যাকেজ কিনে কথা বললেও অতিরিক্ত টাকা কেটে নেয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে মহাপরিচালক শহিদুজ্জামান বলেন, সুস্পস্ট অভিযোগ দিন। যথাযথ ব্যবস্থা নেবো। অপারেটররাও সতর্ক থাকবেন, ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের অভিযোগ না আসে। তিনি বলেন, আমরা সেন্ট্রাল মনিটরিং সিস্টেম চালু করতে যাচ্ছি। এ বছরেই চালু করবো। এ সিস্টেম চালু হলে অভিযোগ করলে পরীক্ষা করে দেখবো কোনো ধরনের ফাঁকি দেয়া হয়েছে কি না এবং করে থাকলে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারবো। হুমায়ুন কবির জানান, শুনানিতে প্রায় ২২টি প্রশ্ন এসেছে। অভিযোগের সমাধানের তথ্য আগামী ১৫-২০ দিনের মধ্যে ওয়েবসাইটে দেয়া হবে।
বিটিআরসির চেয়ারম্যান বলেন, অভিযোগগুলো নিশ্চয়ই কমিশন সমাধান করবে। কল সেন্টার সপ্তাহে ৫ দিন ছিল, এখন সপ্তাহে ৭ দিন ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখা হবে। ফেসবুকসহ ওয়েবসাইটে অভিযোগ নেয়া হবে। তিনি বলেন, অপারেটরের যারা আছেন, কি কি অভিযোগ এসেছে তা শুনেছেন, কি কি সমস্যা? আমরা এটুকু শুনেছি আমরা অপারেটরদের বেশি বেশি সমর্থন করি! সত্যিকার অর্থে বিটিআরসি কখনও কাউকে সমর্থন করে না। আইন যেভাবে আছে আমরা সেভাবে আচরণ করি। মোবাইল টাওয়ারের রেডিয়েশনের বিষয়ে চেয়ারম্যান বলেন, হাইকোর্ট যে নির্দেশনা দিয়েছে আমরা খুবই তৎপর। আমরা টেস্ট করেছি, রেডিয়েশন নিয়ে ভয়ের কোনো কারণ নেই। আগামী ছয় মাসের মধ্যে ফাইভ-জি’র জরিপ কাজ শেষ করা হবে বলে জানান একজন কর্মকর্তা।
সন্তুষ্ট নয় মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন: এদিকে গণশুনানীতে অংশ নিয়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, প্রায় তিন বছর আগে অনুষ্ঠিত গণশুনানির অভিযোগ আজ কেন প্রকাশ করা হচ্ছে? বিইআরসি’র গণশুনানীর ৯০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশের নিয়ম থাকলেও বিটিআরসির কেন এ ধরণের বাধ্যবাধকতা নেই? সেই সঙ্গে আজ গ্রাহকরা অপারেটরদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনেছেন তার পক্ষে অপারেটররা মতামত না দিয়ে কমিশন কেন তাদের পক্ষপাতিত্ব করছে? ভয়েস কলের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে কমিশনের কাছে জানতে চাইলে কমিশনের উত্তর বিশ্বের দুই-একটি দেশ ছাড়া বাংলাদেশের কলরেট সব চাইতে কম। এমএনপি’র ডিপিং চার্জ কেন? এর উত্তরে কমিশনের বক্তব্য বিষয়টি ভবিষ্যতে খতিয়ে দেখা হবে।
ফোর-জি সেবা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে স্পেকট্রাম একটি গুরুত্বপূর্ন বিষয়। কিন্তু স্পেকট্রামের উচ্চমূল্যের কারণে অপারেটররা নিলামে প্রয়োজনীয় স্পেকট্রাম কিনছে না। এ বিষয়ে কমিশনের কোন বক্তব্য পাওয়া যায় নাই। ফোর’জি’র গতি নিয়ে কমিশনের বক্তব্য ফোর’জি সেবা পেতে আরো সময় লাগবে। ফাইভ’জি নিয়ে গ্রাহকদের মতামত নেয়া হয়েছে কি না? জানতে চাইলে কমিশন বলেন,বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রণালয় কাজ করছে। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ পেলে ৬ মাসের মধ্যে ফাইভ’জি চালু করা হবে। প্রযুক্তির অপব্যবহার সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরি করার দাবী জানালে কমিশনের উত্তর সামাজিক উন্নয়ন তহবিলের অর্থ দিয়ে হাওর ও দুর্গম এলাকায় নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের কাজ চলছে। ফিক্সড ইন্টারনেট ব্যবসায় নৈরাজ্য ও মূল্য নির্ধারণ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে কমিশন এ নিয়ে উদ্বিগ্ন বলে গণশুনানীতে জানান। সাড়ে সাত লাখ রিটেইলারকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য প্রতি জেলায় বিটিআরসি’র কার্যালয় ও লোকবল নিয়োগ করে তদারকির তাগিদ দেন।
কিন্তু বেশিরভাগ প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেনি বিটিআরসি। মূলত তারা অপারেটরদের পক্ষে পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে। গ্রাহকদের স্বার্থ তারা খুব একটা গুরুত্ব দিচ্ছে না। গণশুনানি কমিটির সভাপতি ও বিটিআরসি চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের মহাপরিচালক এবিএম হুমায়ুন কবির।
শুনানিতে ডি-অ্যাক্টিভেটেড নম্বর দিয়ে ইমো, ভাইবারের মতো অ্যাপস ব্যবহার বন্ধের দাবি জানান জাহিদুল ইসলাম এবং ইমরান আহমেদ নামের গ্রাহক। এ বিষয়ে হুমায়ুন কবির বলেন, বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে কাজ করছে আইটিইউ, আমরাও কাজ করছি। আশা করি দ্রুতই এ সমস্যার সমাধান হবে। রাষ্ট্রায়ত্ত অপারেটর টেলিটকের সেবার মান নিয়ে এক গ্রাহকের প্রশ্নের জবাবে বিটিআরসি জানায় টেলিটক সরকারি প্রতিষ্ঠান। সৌদি টেলিকম আসছে, টেলিটক যাতে আরো উন্নতর হয়। যত্রতত্র টাওয়ার বসানো নিয়ে টাওয়ার শেয়ারিং বিষয়ে এক গ্রাহকের প্রশ্নে বিটিআরসির মহাপরিচালক মাহফুজুল করিম মজুমদার বলেন, টাওয়ারের রেডিয়েশনের যে ফলাফল পেয়েছি তা আন্তর্জাতিকমানের চেয়ে অনেক নিচে। আমাদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই।
টাওয়ারের চেয়ে মোবাইল ফোনের রেডিয়েশনের ঝুঁকিটা বেশি, এটাও মাথায় রাখতে হবে। টাওয়ার শেয়ারিং নিয়ে অপারেটর ও টাওয়ারকো কাজ করছে। মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শহিদুজ্জামান বলেন, টাওয়ারের জন্য ক্ষতি হচ্ছে-এটা অমূলক ধারণা। যদি ক্ষতি হতো তাহলে উন্নত দেশে মোবাইল ফোন ব্যবহার করত না। সারা দেশে বিশেষ করে স্কুল-কলেজ ও জনবহুল এলাকায় রেডিয়েশন পরীক্ষা করে হাইকোর্টকে জানাবো। গণশুনানিতে প্রশ্নকারী রাজকুমার সাহা জানতে চান, ইন্টারনেটের মূল্য কমানো ও ন্যুনতম মেয়াদ ৮ দিন করা যায় কি না? জাকির হোসেন নামে একজন গ্রাহক ইন্টারনেটের মূল্য কমানোর দাবি জানান। এ বিষয়ে বিটিআরসির এবিএম হুমায়ুন কবির বলেন, অপারেটররা আশা করি বিবেচনায় নেবেন। ইন্টারনেটের মূল্য কমানো নিয়ে পর্যবেক্ষণে আছে। পর্যবেক্ষণ শেষে মূল্য ও সীমা নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে। আব্দুস সালাম নামের একজন গ্রাহক অযাচিত নম্বর থেকে কল আসা নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেন। এ বিষয়ে হুমায়ুন কবির বলেন, ডিএনডি (ডু নট ডিস্ট্রার্ব) অপশন কাজ করছে। এছাড়া অপারেটররাও ব্যবস্থা নেবে।
আব্দুস সালাম নামে এক গ্রাহক অভিযোগ করেন, তিনি প্রতি সেকেন্ড পালসের প্যাকেজ কিনে কথা বললেও অতিরিক্ত টাকা কেটে নেয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে মহাপরিচালক শহিদুজ্জামান বলেন, সুস্পস্ট অভিযোগ দিন। যথাযথ ব্যবস্থা নেবো। অপারেটররাও সতর্ক থাকবেন, ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের অভিযোগ না আসে। তিনি বলেন, আমরা সেন্ট্রাল মনিটরিং সিস্টেম চালু করতে যাচ্ছি। এ বছরেই চালু করবো। এ সিস্টেম চালু হলে অভিযোগ করলে পরীক্ষা করে দেখবো কোনো ধরনের ফাঁকি দেয়া হয়েছে কি না এবং করে থাকলে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারবো। হুমায়ুন কবির জানান, শুনানিতে প্রায় ২২টি প্রশ্ন এসেছে। অভিযোগের সমাধানের তথ্য আগামী ১৫-২০ দিনের মধ্যে ওয়েবসাইটে দেয়া হবে।
বিটিআরসির চেয়ারম্যান বলেন, অভিযোগগুলো নিশ্চয়ই কমিশন সমাধান করবে। কল সেন্টার সপ্তাহে ৫ দিন ছিল, এখন সপ্তাহে ৭ দিন ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখা হবে। ফেসবুকসহ ওয়েবসাইটে অভিযোগ নেয়া হবে। তিনি বলেন, অপারেটরের যারা আছেন, কি কি অভিযোগ এসেছে তা শুনেছেন, কি কি সমস্যা? আমরা এটুকু শুনেছি আমরা অপারেটরদের বেশি বেশি সমর্থন করি! সত্যিকার অর্থে বিটিআরসি কখনও কাউকে সমর্থন করে না। আইন যেভাবে আছে আমরা সেভাবে আচরণ করি। মোবাইল টাওয়ারের রেডিয়েশনের বিষয়ে চেয়ারম্যান বলেন, হাইকোর্ট যে নির্দেশনা দিয়েছে আমরা খুবই তৎপর। আমরা টেস্ট করেছি, রেডিয়েশন নিয়ে ভয়ের কোনো কারণ নেই। আগামী ছয় মাসের মধ্যে ফাইভ-জি’র জরিপ কাজ শেষ করা হবে বলে জানান একজন কর্মকর্তা।
সন্তুষ্ট নয় মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন: এদিকে গণশুনানীতে অংশ নিয়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, প্রায় তিন বছর আগে অনুষ্ঠিত গণশুনানির অভিযোগ আজ কেন প্রকাশ করা হচ্ছে? বিইআরসি’র গণশুনানীর ৯০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশের নিয়ম থাকলেও বিটিআরসির কেন এ ধরণের বাধ্যবাধকতা নেই? সেই সঙ্গে আজ গ্রাহকরা অপারেটরদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনেছেন তার পক্ষে অপারেটররা মতামত না দিয়ে কমিশন কেন তাদের পক্ষপাতিত্ব করছে? ভয়েস কলের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে কমিশনের কাছে জানতে চাইলে কমিশনের উত্তর বিশ্বের দুই-একটি দেশ ছাড়া বাংলাদেশের কলরেট সব চাইতে কম। এমএনপি’র ডিপিং চার্জ কেন? এর উত্তরে কমিশনের বক্তব্য বিষয়টি ভবিষ্যতে খতিয়ে দেখা হবে।
ফোর-জি সেবা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে স্পেকট্রাম একটি গুরুত্বপূর্ন বিষয়। কিন্তু স্পেকট্রামের উচ্চমূল্যের কারণে অপারেটররা নিলামে প্রয়োজনীয় স্পেকট্রাম কিনছে না। এ বিষয়ে কমিশনের কোন বক্তব্য পাওয়া যায় নাই। ফোর’জি’র গতি নিয়ে কমিশনের বক্তব্য ফোর’জি সেবা পেতে আরো সময় লাগবে। ফাইভ’জি নিয়ে গ্রাহকদের মতামত নেয়া হয়েছে কি না? জানতে চাইলে কমিশন বলেন,বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রণালয় কাজ করছে। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ পেলে ৬ মাসের মধ্যে ফাইভ’জি চালু করা হবে। প্রযুক্তির অপব্যবহার সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরি করার দাবী জানালে কমিশনের উত্তর সামাজিক উন্নয়ন তহবিলের অর্থ দিয়ে হাওর ও দুর্গম এলাকায় নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের কাজ চলছে। ফিক্সড ইন্টারনেট ব্যবসায় নৈরাজ্য ও মূল্য নির্ধারণ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে কমিশন এ নিয়ে উদ্বিগ্ন বলে গণশুনানীতে জানান। সাড়ে সাত লাখ রিটেইলারকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য প্রতি জেলায় বিটিআরসি’র কার্যালয় ও লোকবল নিয়োগ করে তদারকির তাগিদ দেন।
No comments